আমার বাংলা ব্লগ প্রতিযোগিতা-১০(শেয়ার করো তোমার পছন্দের শীতকালীন সবজির রেসিপি) মূলার পায়েস।
হ্যালো বন্ধুরা। সবাই কেমন আছেন?
এটা আমরা সবাই জানি মূলা শীতকালীন একটি সবজি। অনেকের ধারণা মূলা খেলে গ্যাস হয়। কিন্তু মূলাতে রয়েছে অনেক উপকারিতা যা আমরা অনেকেই হয়তো জানি না।মূলার উপকারিতা সম্পর্কে এখন আমরা জানবো।মূলাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন 'সি', ফলিক এসিড এই ধরনের পুষ্টিগত উপাদান। এছাড়াও রয়েছে এন্টি অক্সিজেন, ফসফরাস, পটাশিয়াম, জিংক, ভিটামিন বি কমপ্লেক্স।তাই এই সবজি আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী।আবার ইউরিন এর সমস্যা থাকলে দূর করতে পারে, সেই সাথে কিডনি সুস্থ রাখতে পারে।এই মূলা খাওয়ার পরে ইউরিন এর মাধ্যমে শরীরের সমস্ত বিষাক্ত উপাদানগুলো তরল বর্জ্য হয়ে বের হয়ে যায় এবং আমাদের কিডনি সুস্থ রাখতে সহায়তা করে। ওজন কমাতেও মূলা বিশেষ ভূমিকা পালন করে।"আমার বাংলা ব্লগ" প্রতিযোগিতা-১০( শেয়ার করো তোমার পছন্দের শীতকালীন সবজির রেসিপি) তে আমি এবার "মূলার পায়েস" রেসিপি উপস্থাপন করতে যাচ্ছি। জানিনা কেমন হবে?তবে পুরো প্রসেসটি আপনাদের সাথে শেয়ার করবো এখন।
প্রয়োজনীয় উপকরণসমুহঃ-
১। মূলা।
২। ঘি।
৩। চিনি।
৪। দারচিনি।
৫। এলাচ।
৬। দুধ।
৭। কাজু বাদাম।
-মূলার পায়েস তৈরির প্রসেস-
--------------------প্রথম ধাপ-------------------
প্রথমে মূলাগুলো সুন্দর করে ধুয়ে নিয়ে ছাল ছাড়িয়ে নিলাম।
---------------------দ্বিতীয় ধাপ------------------
ছাল ছাড়ানো মূলাগুলো পানিতে কিছুক্ষন রেখে দিলাম।
--------------------তৃতীয় ধাপ-------------------
এবার সবজি কাটার দিয়ে মূলাগুলো ঝুরি ঝুরি করে কেটে নিলাম।
---------------------চতুর্থ ধাপ-------------------
এইবার ঝুরিমূলাগুলো একটি বাটিতে পানি দিয়ে কিছুক্ষণ রেখে দিলাম।
-------------------- পঞ্চম ধাপ-------------------
এইবার ঝুরি মূলাগুলো সিদ্ধ করার পরে গরম পানি গুলো ফেলে দিলাম। এরপর ঠান্ডা পানি দিয়ে ঝুড়ি মূলাগুলো সুন্দর করে পরিষ্কার করে নিলাম যাতে গন্ধটা চলে যায়।
----------------------ষষ্ঠ ধাপ--------------------
এবার মূলোর ঝুরিগুলো সুন্দর করে পানি ঝরিয়ে নিয়ে ফ্রাইপ্যানে ঘি দিয়ে মূলাগুলোকে ভেজে নিলাম।
---------------------সপ্তম ধাপ-------------------
এইবার দুধ গরম করার পর দুধের ভিতর কাজুবাদাম, এলাচ, দারচিনি,চিনি দিয়ে জ্বাল করতে করতে দুধটিকে খুব ঘন করে নিলাম।
---------------------অষ্টম ধাপ-------------------
এবার ঘন দুধের মধ্যে মূলো দিয়ে নাড়াচাড়া করলাম আর এভাবে কিছুক্ষণ রান্না করার পর হয়ে গেল আমার "মূলার পায়েস" রেসিপি। এবার "মূলার পায়েস" রেসিপি পরিবেশনের জন্য ডেকোরেশন করে তার একটি ছবি উপস্থাপন করলাম।
আমার পরিচয়।
আমি মোছাঃ সায়মা আক্তার। আমি একজন স্কুল শিক্ষিকা এবং উদ্যোক্তা।আমি একজন বাঙালি আর তাই বাংলাভাষাকে অনেক বেশি ভালোবাসি বাংলা ভাষায় কথা বলতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি বাংলাভাষাকে সবার উপরে স্থান দিয়েছে এবং বাংলা ভাষায় মতামত প্রকাশ করাকে উৎসাহ দান করে তাই আমার বাংলা ব্লগ কে আমি অনেক ভালবাসি। আজকে আমি আপনাদের সামনে "মূলার পায়েস "রেসিপি উপস্থাপন করেছি।
ওয়াও আপু অনেক সুন্দর ও লোভনীয় একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। মুলার পায়েশের অনেক নাম শুনেছি তবে কোন দিন খাওয়া হয়নি। তবে আপনার মুলার পায়েস এর রেসিপি দেখে জিভে জল এসে গেল। খুব তাড়াতাড়ি বাসায় তৈরি করব।
ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি মুলার রেসিপি ধাপে ধাপে বর্ণনা দিয়ে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
জি ভাই বাসায় তৈরি করবেন।খেতে অনেক মজাদার এবং সুস্বাদু।
মুলার পায়েস কখনো খাওয়া হয়নি তবে আপনার রেসিপি দেখে তো মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। আপনার পুরো পরিবার কে নিয়ে মজা করে খেয়েছেন শুনে খুশি হলাম। আমিও বাসায় তৈরি করবো। ধন্যবাদ আপনাকে আপু আপনার জন্য শুভকামনা রইলো ভালো থাকুন
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই। সুন্দর মন্তব্য করে সহযোগিতা করার জন্য।
সত্য কথা বলতে লাইফের ফার্স্ট টাইম মুলার পায়েস রেসিপি টা দেখলাম। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। নতুন এবং ইউনিক একটা রেসিপি আমাদের সামনে তুলে ধরার জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
গতকালকে মুলার পায়েশ নিয়ে অনেক মজা করা হচ্ছিল। আমরাতো এটি কে নিয়ে সবাই ট্রোল করতেছিলাম। কিন্তু আজকে দেখি আপনি সত্যি সত্যি তা বানিয়ে ফেলেছেন।
পায়েস এর রং দেখে মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। আপনি খুব সুন্দর হবে তা উপস্থাপন করেছেন।
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই সুন্দর মন্তব্য করে উৎসাহ ও আগ্রহ বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য।
প্রথমে মূলার পায়েস টাইটেল দেখে ভেবেছিলাম মজে করে লিখেছেন, পরে দেখি সত্যিই আপনি মূলার পায়েস বানিয়েছেন।খুব অবাক লাগছে আমার তারপরও এখন মনে হচ্ছে অনেক টেস্টটি হয়েছে মনে হচ্ছে খেয়ে দেখতে পারলে ভালো হয়তো, একটা আমার কল্পনা দূর হইতো আমার একটা আকাঙ্ক্ষা দূর হয়েছে এরকম কিছু একটা মনে হতো। হিহিহি। শুভকামনা রইলো আপু, আপনি সবসময় ইউনিক কিছু নিয়ে আসেন এই জন্যই বেশি ভালো লাগে।
মূল্যবান মন্তব্য করে সহযোগিতা করার জন্য ধন্যবাদ ভাই। মুলার পায়েস অনেক মজাদার ছিল ভাই।
মূল্যবান মন্তব্য করে সহযোগিতা করার জন্য ধন্যবাদ ভাই। মুলার পায়েস অনেক মজাদার ছিল ভাই।
মুলার পায়েস রান্না আগে কখনো খাওয়া হয়নি। দেখে তো মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু হবে। আপনার রেসিপি দেখে আমার খেতে ইচ্ছে করছে। একসময় চেষ্টা করব এইভাবে রেসিপি তৈরি করে খাওয়ার। খুব ভালো লাগলো আপনার রেসিপি। প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করায় আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
আপনার মন্তব্যটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো।সুন্দর মন্তব্য করে সহযোগিতা করার জন্য ধন্যবাদ ভাই।
এই রেসিপিটা আমার কাছে একদম ইউনিক লাগছে। আমার মনে হয় আমি আজকে প্রথম দেখলাম মুলার পায়েস। আসলে রেসিপি টা দেখতে কিন্তু অসাধারণ লাগছে আমার কাছে। উপরে কাজুবাদাম ছিটিয়ে দেওয়াতে রেসিপিটি সৌন্দর্য আরো বেড়ে গেল। মনে হচ্ছে ক্ষেত্রেও অনেক সুস্বাদু হয়েছে। অনেক ধন্যবাদ আপনার মনের মাঝে এত সুন্দর ইউনিক একটা রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
জি আপু খেতে অনেক মজাদার ছিল আর সুন্দর করে গুছিয়ে মন্তব্য করার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু।
আসলে মুলার পায়েস কোন দিন খাওয়া হয়নি। মুলা দিয়ে পায়েস তৈরি করা যায় এর আগে জানতাম না। আপনার রেসিপি দেখে নতুন একটি রেসিপি সম্পর্কে জানতে পারলাম। মুলা খেতে আমি পছন্দ করিনা কিন্তু আপনার রেসিপি দেখে মুলার পায়েস খেতে বড় ইচ্ছে করতেছে। যাই হোক অনেক সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ।
সুন্দর মন্তব্য করে উৎসাহ দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ ভাই।
আসলে পায়েস আমার খুবই পছন্দের একটি খাবার তবে চালের পায়েস মাঝেমধ্যেই বাড়িতে প্রস্তুত করে খাওয়া হয় কিন্তু কোনদিন এরকম হবে ভাবিনি যে মুলা দিয়ে পায়েস তৈরি করা যায় আসলে আপনার ইউনিক বুদ্ধির প্রশংসা না করে আর পারছিনা আপনি অসাধারণভাবে মুলা দিয়ে পায়েস এর রেসিপি প্রস্তুত করেছেন হচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হবে সেইসাথে ধাপ গুলো আরো সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন সব মিলে খুব ভালো হয়েছে আপনার জন্য অনেক শুভকামনা থাকলো
আপনার মূল্যবান মতামতের জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
সম্পূর্ণ ভিন্ন ধরনের একটি রেসিপি আমাদের সঙ্গে শেয়ার করেছেন। মূলার জুস নিয়ে মানুষ ট্রল করত।আর আপনি মূলা দিয়ে সুন্দর একটি রেসিপি বানিয়ে আমাদের সামনে উপস্থাপন করলেন।সুন্দর হয়েছে আপনার রেসিপিটি।শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
মন্তব্য করে সহযোগিতা করার জন্য ধন্যবাদ ভাই।