আমার অনুভূতি |||| আড়ং বুটিকস্-৪।
আসসালামু আলাইকুম।আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সকল ভাই ও বোনেরা আশা করি সকলে সবার পরিবারসহ অনেক সুন্দর ভাবে জীবন যাপন করছেন এবং অনেক ভালো সময় অতিবাহিত করছেন।
আজকে আমি আমার আরেকটি পরিবার আড়ং বুটিকস পরিবারের কিছু বিষয় নিয়ে আপনাদের সাথে আলোচনা করব।আশা করি আমার এই আলোচনাটি আপনাদের কাছে ভালো লাগবে।
আজকে সকাল ১০টার দিকে আমি আমার সাব- অফিসের দিকে রওনা দেই এবং এগারোটা নাগাদ আমি একটি সাব-অফিসে পৌঁছায় এবং তাদের সাথে বেশ ভালো কিছু সময় অতিবাহিত করছিলাম।হঠাৎ এক আপার কাছে তার বাড়ি থেকে খবর আসে যে তার ছেলে স্কুলে গিয়েছে কিন্তু স্কুলে নেই।জামা কাপড় এবং বই সব স্কুলে রেখে কোথায় যেন খেলতে চলে গেছে তাকে শিক্ষকেরা খুঁজে পাচ্ছে না।
এই খবর শোনা মাত্রই আমি আপুকে বলি আপু আপনি এখন স্কুলে যান এবং আপনার বাচ্চাকে আগে খুঁজে বের করেন।তখন আমাকে বলে আপু আমার ছেলেটা স্কুলে পড়তে চায় না। স্কুলে গেলে মাঝে মাঝে এই ধরনের ঘটনা ঘটায়।সে বাইরে গিয়ে অন্যান্য বাচ্চাদের সঙ্গে খেলা করে।তখন আমি বললাম আপু সেটা ঠিক আছে কিন্তু আগে বাচ্চাটাকে খুঁজে বের করেন সে কোথায় এরপরে তার সঙ্গে কথা বলেন বা আমরা কথা বলব।
এই কথা শোনার পরে আপু অফিসে তার হাতের কাজ রেখে স্কুলে চলে যাই এবং আমি তার অপেক্ষায় অফিসেই বসে থাকি।কারণ বাচ্চাটির খবর নেওয়ার পরে অফিস থেকে আমি বাসায় যাব।ঠিক ১.৩০ মিনিটে আপু তার বাচ্চাসহ আমাদের অফিসে আসে এবং বলেন যে দেখেন আপা স্কুল ছুটি হয়ে যাওয়ার পরে তাকে খুঁজে পেয়েছি।
তখন আপুকে বলি আপু আমি একটু আপনার বাচ্চার সঙ্গে কথা বলি।আপু তার বাচ্চার সঙ্গে কথা বলার অনুমতি দেয় এবং বাচ্চাকে আমি কাছে নিয়ে অনেক আদর করে বাচ্চাকে বললাম তোমার নাম কি? তুমি কোন ক্লাসে পড়ো?কেমন লেখাপড়া করো? তোমার ক্লাসে কতজন ছাত্র-ছাত্রী? বাচ্চাটি সুন্দর করে সব প্রশ্নের উত্তর দেয় এবং অনেক হাসিখুশি ভাবে আমার সঙ্গে কথাগুলো বলছিল যে বিষয়টি আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে।
এরপর বাচ্চাটিকে আমি জিজ্ঞেস করি বাবু তুমি স্কুলে গিয়ে এইরকম ঘটনা কেন ঘটাও। তখন বাবুটি অনেক সহজ সরল ভাষায় এবং ভিতিহীনভাবে বলে যে ম্যাডাম আমি বাসায় পড়তে বসলে মা ধরে আমাকে মারে, আমি যে পড়তে পারি না।আবার স্কুলে গিয়ে যখন আমি পড়া দিতে পারি না তখন স্যাররাও আমাকে অনেক মারে যেটি আমার কাছে ভালো লাগে না। আবার স্যারেরা আমাকে বলে যে তোর বাবা তো ভ্যান চালায় তুই লেখাপড়া করে কি করবি, তোর তো লেখাপড়া হবে না।তাই আমি স্কুলে গিয়ে বাইরে যাই খেলাধুলা করতে কারণ ওখানে অনেক মজা হয়,অনেক মজা করে আমরা খেলা করি। আপনি কি দেখবেন আমরা কি কি খেলা করি।এসব কথা বাচ্চার মুখে শুনে অনেক খারাপ লাগলো এবং বাচ্চাকে আসলে কি বলবো বা বুঝানোর ভাষা হারিয়ে ফেলেছিলাম।
তাই পরিশেষে সবার কাছে একটি অনুরোধ যে বাচ্চাদের কমল হৃদয়টাকে কখনো কেউ ভেঙে দিবেন না এবং এই বাচ্চাদের সঙ্গে খারাপ আচরণ করবেন না।
আমি মোছাঃ সায়মা আক্তার। আমি একজন ব্লগার, উদ্যোক্তা এবং শিক্ষিকা।কবিতা লিখতে, নতুন কোনো রেসিপি তৈরি করতে এবং নতুন নতুন ডিজাইন সৃষ্টি করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি।সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকতে এবং অবহেলিত মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারলে খুব ভালো লাগে।তাই সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি এবং তাদের সহযোগিতায় নিজেকে সব সময় সম্পৃক্ত রাখি।
বিষয়ঃ- আমার অনুভূতি "আড়ং বুটিকস্-৪"।
কমিউনিটিঃ- আমার বাংলা ব্লগ।
আপনার মূল্যবান সময় নষ্ট করে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ..........
আপু বাসায় যদি ছেলেটাকে সময় মত খেলতে দিতো, আর নিজ দায়িত্বে পড়া শিখাতো এবং স্কুলেও যদি তার সাথে ভাল ব্যবহার করতো তাহলে হয়তো ছেলেটা এমন করতো না। ধন্যবাদ।
জি ভাই আপনি ঠিক বলেছেন আসলে এটি তো আমরা ওই নিম্ন শ্রেণীর পরিবারের সাথে করতে পারেনা।