আত্মকাহিনী ||| আড়ং বুটিকস-৮।
আসসালামু আলাইকুম।প্রত্যাশা করি এই শীতে বাংলা এপার ওপারের সকল ভাই ও বোনেরা পরিবারকে নিয়ে সুস্থ আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় সৃষ্টিকর্তার রহমতে বেশ ভালো আছি।
আমি আজ আপনাদের মাঝে আরেকটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আপনারা ইতিমধ্যেই জেনেছেন আমার ছোট একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আছে। আমি সেই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের আর কিছু কথা নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি। আমার বাংলা ব্লগের মাঝে সবকিছু শেয়ার করতে পারলে আমার অনেক ভালো লাগে। তাইতো এই ভালোলাগা ও আমার কষ্টের কথাগুলো সবই আপনাদের মাঝে শেয়ার করে থাকি। একটি ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ছোট হোক বা বড় হোক সেটা যার যার মূলধনের উপর নির্ভর করে। মানুষ ইচ্ছা করলে অনেক বড় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান করে চালাতে পারে না। যার মূলধনের পরিমাণ যত বেশি সেই ব্যবসাটিকে সে আরও বৃহৎ আকারে গড়ে তুলতে পারে।
তবে আমি যতটুকু জানি এক লাফে গাছে উঠলে পড়ে যাওয়ার ভয় থাকে। তেমনি যদি সততার সাথে আস্তে আস্তে সামান্য পুঁজি নিয়েও যদি সামনের দিকে এগোনো যায়। তাহলে আমি মনে করি অনেক কিছুই করা সম্ভব। আর আমি সেই সামান্য পুঁজি নিয়েই ব্যবসা প্রতিষ্ঠানে পা রেখেছি। কিছুদিন আগে আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের আমার কর্মী ভাই ও বোনেরা অনেক অসহায় হয়ে পড়ে ছিল। কারণ বর্তমান বাজারের যে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি পেয়েছে তাতে তাদের এই সামান্য আয় দিয়ে সংসার চালানো সম্ভব হচ্ছে না। তারপরেও তারা আমার এই প্রতিষ্ঠানকে ভালোবাসে বিধায় এখানে রীতিমতো কাজ করতে আসে কিন্তু যখন কাজ থাকে না তখন তারা খুব অসহায় হয়ে পড়ে। আমার নিজেরও কিছু করার থাকে না।কিন্তু নিজের দিক থেকে অনেক চিন্তা করি ও ভাবি তখন খুব কষ্ট লাগে।
আমি যতটুক পারি সাহায্য করতে কিন্তু যখন আমার সেরকম কাজ আসে না তখন তাদেরও সমস্যা হয়। কারণ প্রত্যেকটি বোনদের পরিবারে চার-পাঁচজন করে সদস্য থাকে। সেই সদস্যদের মুখে একটু হাসি ফোটানোর জন্য তারা এই কাজ করে। যখন অনেক ভালো কাজ আসে বিভিন্ন জায়গা থেকে ও দেশের বাইরে থেকে। তখন তারা সেই খবর শুনে অনেক আনন্দে আত্মহারা হয়। এজন্যই আনন্দে আত্মহারা হয় কারণ তাদেরও একটু অর্থ উপার্জন হবে। আর একটি মানুষ আরেকটি মানুষকে কখনো একতরফা ভালোবাসতে পারেনা। আমি যদি আমার বোনদেরকে ভালো না বাসি তাহলে তারা আমাকে কিভাবে ভালোবাসবে। তবে তাদের এই কষ্ট ও হা হা কারের প্রার্থনা ও আপনাদের দোয়া হয়তোবা আমাদের বিধাতা শুনেছেন। আর এজন্যই হয়তোবা বেশ কিছু অডার নতুন ভাবে এসেছে।
আর এই অর্ডারগুলো নিয়ে আমাদের এখন অনেক কর্মব্যস্ত সময় অতিবাহিত করতে হচ্ছে। তবে আমি এবং আমার আড়ং বুটিকস পরিবারের সকলে কর্মব্যস্ত থাকতে বেশি পছন্দ করি কারণ কর্মব্যস্ততার মধ্যে শরীর ও মন ভালো থাকে।
আজকের মত এখানেই শেষ করছি। আগামীতে আবারো কোন বিষয় নিয়ে আপনাদের সামনে হাজির হব ইন-সা-আল্লাহ।
আমি মোছাঃ সায়মা আক্তার। আমি একজন ব্লগার, উদ্যোক্তা এবং শিক্ষিকা।কবিতা লিখতে, নতুন কোনো রেসিপি তৈরি করতে এবং নতুন নতুন ডিজাইন সৃষ্টি করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি।সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকতে এবং অবহেলিত মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারলে খুব ভালো লাগে।তাই সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি এবং তাদের সহযোগিতায় নিজেকে সব সময় সম্পৃক্ত রাখি।
বিষয়ঃ- আত্মকাহিনী "আড়ং বুটিকস-৮"।
কমিউনিটিঃ- আমার বাংলা ব্লগ।
আপনার মূল্যবান সময় নষ্ট করে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ..........
বিন্দু থেকে বৃহত্তর।কোন ব্যাবসায় এক বারে বড়ো হয়নি ছোট থেকেই বড়ো হয়েছে।সেরকম আপনার ছোট ব্যাবসা একদিন অনেক বড়ো হবে সেই শুভকামনা করছি।ঠিক বলেছেন মানুষ কখনো একতরফা ভালো বাসে না ভালোবাসা দিলেই প্রতিদানে ভালোবাসা পাওয়া সম্ভব। ভালো লাগলো আপু আপনার সুন্দর ব্যাবসার গল্পটা পড়ে।শুভ কামনা রইলো।পোস্টের মাধ্যমে ব্যাবসার কথা জানতে পারলাম ধন্যবাদ আপনাকে।
অসংখ্য ধন্যবাদ দিদি।সুন্দর মন্তব্য করে উৎসহ দেওয়ার জন্য।