DIY ||| এসো নিজে করি ||| নিজের তৈরি শাড়ীর ডিজাইন নং-১১.
আসসালামু আলাইকুম। এই মুহূর্তে আমার এই পোস্টটি বাংলার এপার ওপার থেকে যারা পড়ছেন আশা করি সকলে সপরিবারে সুস্থ আছেন এবং সুন্দরভাবে জীবন যাপন করছেন।আমিও আপনাদের ভালোবাসায় এবং আল্লাহর অশেষ রহমতে সপরিবারে সুস্থ আছি এবং অনেক আনন্দে দিনযাপন করছি।
আজকে আমি আমার বিজনেসের আরেকটি শাড়ির ডিজাইন নিয়ে আপনাদের সঙ্গে আলোচনা করব।ইতিপূর্বে দশটি শাড়ির ডিজাইন আপনাদের সামনে উপস্থাপন করেছিলাম।প্রতিটি পোস্টে আপনাদের মূল্যবান মতামত আমাকে কাজের প্রতি অনেক আগ্রহী করে তুলেছে এবং ব্যবসার প্রতি অনেক যত্নশীল করে তুলেছে।আর আমি সব সময় ব্যবসার জন্য যে ডিজাইন গুলো করে থাকি।সেই সব ডিজাইন গুলো চিন্তা করি যেন সকল শ্রেণীর মানুষের পছন্দের এরিয়ার মধ্যে থাকে।আমরা নারীরা যে পোশাকি পড়ি না কেন একজন নারীর সৌন্দর্য বর্ধন করে শুধুই শাড়ি।শাড়ির বিকল্প নারীদের অন্য কোন পোশাক আছে বলে আমার মনে হয় না।আর কথা না বাড়িয়ে "নিজের তৈরি শাড়ির ডিজাইন নং-১১" শাড়িটি কিভাবে ডিজাইন করেছি তার পুরা প্রক্রিয়াটি আপনাদের সাথে শেয়ার করব।
উপকরণসমূহঃ-
১। কালো রং।
২। হালকা টিয়া রং।
৩। কমলা রং।
৪। এন কে।
৫। ব্লক।
৬। ব্রাশ।
৭। ট্রে।
৮। টেবিল।
শাড়িটি টেবিলে বিছিয়ে প্রথমে শাড়ির আঁচলে মেজারমেন্ট করে একটি বক্স তৈরি করে নিয়েছি ছোট ব্লক দিয়ে কমলা কালার রং দিয়ে।এরপর শাড়ির নিচের পার এবং ওপরের পাড়ে সমান্তরাল ভাবে একই ব্লকে কমলা রং দিয়ে ডিজাইন করে নিয়েছি।
শাড়ির আঁচলের বক্স এবং ওপরের পাড় এবং নিচের পারে এই কমলা রঙের উপর দিয়ে একটি নকশী ডিজাইন ব্লক দিয়ে কালো রং এর ডিজাইন করে নিয়েছি।
এবার আঁচলের পরে থেকে পুরো শাড়ীর বডিতে ঝাজিকাটা লম্বা লম্বা পাতার ডিজাইনের ব্লকে হালকা টিয়া কালার রং নিয়ে সুন্দর করে ডিজাইন করে নিয়েছি পুরো শাড়ীর জমিনটিতে।
এভাবে ডিজাইন করা শেষ হয়ে গেলে শাড়ীটিকে ঠিক দুপুরের রোদে ৪/৫ ঘণ্টা শুকিয়ে নিয়েছি।
এবার শাড়ীটিকে আয়রন টেবিলে নিয়ে ভালো ভাবে আয়রন করে নিয়েছি যাতে শাড়িটি দেখতে মসৃণ লাগে এবং ব্লকের রং পাকা হয়ে যায়।
এবার শাড়ির সাথে সুতা ম্যাচিং করে কিছু টারর্সেল তৈরি করে নিয়েছি এবং টারর্সেলে একটু অন্য কালার সুতা দিয়ে ফাঁস দিয়ে নিয়েছি আর এগুলো শাড়ির আঁচলে লাগিয়ে নিয়েছি যাতে শাড়িটি সুন্দর দেখা যায় আর এই ভাবেই হয়ে গেল আমার "নিজের তৈরি শাড়ীর ডিজাইন নং-১১"।এবার "নিজের তৈরি শাড়ীর ডিজাইন নং-১১" এর একটি সম্পন্ন ছবি আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করলাম ।
আমি মোছাঃ সায়মা আক্তার। আমি একজন ব্লগার, উদ্যোক্তা এবং শিক্ষিকা।কবিতা লিখতে, নতুন কোনো রেসিপি তৈরি করতে এবং নতুন নতুন ডিজাইন সৃষ্টি করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি।সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকতে এবং অবহেলিত মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারলে খুব ভালো লাগে।তাই সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি।
বিষয়ঃ- ডাই "নিজের তৈরি শাড়ীর ডিজাইন নং-১১"।
কমিউনিটিঃ- আমার বাংলা ব্লগ।
আপনার মূল্যবান সময় নষ্ট করে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ..........
আপু আমার মাঝে মাঝে ইচ্ছে হয় আপনার কাছ থেকে একটা শাড়ি কিনে নিয়ে আসি। যদি কখনো সেই সময় সুযোগ হয় তাহলে অবশ্যই আপনার কাছ থেকে শাড়ি আনতে যাব। আমার কাছে আপনার শাড়ির ডিজাইন যেমন ভালো লাগে তেমনি কালারও খুব সুন্দর লাগে।ধাপগুলো খুব সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন। ধন্যবাদ এত ইউনিক পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপু উৎসাহ মূলক মন্তব্য করে আগ্রহ বাড়িয়ে দেয়ার জন্য।
আপনি শাড়িতে দারুণ একটি ডিজাইন করেছেন। দেখতে বেশ দারুন লাগছে। আর আপনার ডিজাইনের ধরন দেখে বোঝা যাচ্ছে আপনি এ বিষয়ে খুব দক্ষ। ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের মাঝে এই সুন্দর শাড়ির ডিজাইন এর প্রক্রিয়া টা শেয়ার করার জন্য।
আপনাকে অনেক ধন্যবাদ ভাই।
জাস্ট অসাধারণ এরকম ক্রিটিভ পোস্ট খুব কম দেখেছি, আমি জানতে চাই শাড়ির কাপড়টা কি ছিল? এটা কি ধরনের রং ব্যবহার করা হয়েছে? পানিতে ওয়াশ করার পর এই রংগুলো উঠে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে? কিছু মনে করবেন না কাপড় রিলেটেড কোন কিছু দেখলে একটু কৌতূহল থাকে আমার মধ্যে। অসাধারন ছিল আপনার প্রতিটা ডিজাইনের অংশগুলো।
র-শাড়ীটি ছিল কটন আর এই রঙ কখনো ওয়াশ করলে উঠবে না। এই শাড়ীগুলো আড়ং এর শোরুমে সব সময় পাওয়া যায় ভাই।
আপু আপনিতো দেখছি অনেক পারদর্শী একজন কারুশিল্পী। আপনি অনেক সুন্দর ভাবে এবং সময় নিয়ে ধীরে ধীরে শাড়িটিতে ব্লকের কাজ শেষ করলেন। বেশ সুন্দর ছিল।
চেষ্টা করছি একজন উদ্যোক্তা হওয়ার জন্য।
আপু আপনার কাছে অনেকগুলো প্রশ্ন, কোনটা দিয়ে শুরু করব তাই বুঝতে পারছি না। আপনি কি এক রঙ্গের শাড়ি আলাদা কিনে আনেন তারপর ডিজাইন করেন? বেশ ভালো ডিজাইন আপনি চয়েজ করেছেন শাড়িটির জন্য। বেশ প্রশংসনীয় কাজ আপু।
জি আপু আগে কালার পছন্দ করে শাড়ী তাঁতীদের কাছ থেকে নেওয়া হয়। এরপর সেই শাড়ির উপর ডিজাইন করা হয়। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
সে সত্যি বলতে শাড়ির বিষয়ে আমি একেবারে অজ্ঞ। প্রথমত এটা আমাদের জিনিস না দ্বিতীয়ত এটার সঙ্গে আমি কোনোভাবেই জড়িত না। তবে দেখতে সুন্দর লাগছে ডিজাইন টা। পোস্ট টার মাধ্যমে আপনার দক্ষতা প্রকাশ পাচ্ছে। বেশ সুন্দর পোস্ট ছিল আপু ধন্যবাদ আমাদের সঙ্গে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
আপনি নিজের হাতে অনেক কারু কাজ করে থাকেন যেগুলো সত্যি প্রশংসনীয়। আজকেও আপনি আবার একটি শাড়ির ডিজাইন অংকন করেছেন যা আমার কাছে অসাধারণ লেগেছে। আপনি আরো কয়েকবারও এরকম কারু কাজগুলো করেছেন যেগুলো আমি দেখেছিলাম আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছিল। খুব সুন্দর হয়েছে আপনার আজকের এই কারু কাজটি। আমাদের মাঝে সুন্দরভাবে তুলে ধরার জন্য ধন্যবাদ জানাই।
চেষ্টা করে যাচ্ছি ভাই।
আসলে আমিও আপনার কথা সঙ্গে একমত পোষণ করছি, শারীরিক বিকল্প হিসেবে এমন কোন পোশাক সত্যিই খুঁজে পাওয়া যায় না। আমার কাছে মনে হয় একজন নারী যদি শাড়ি পড়ে তাহলে দেখতে খুবই সুন্দর দেখায় আসলে নারীকে শাড়িতে যেমনটা সুন্দর দেখায় অন্য কোন পোশাকে তেমন একটা সুন্দরী দেখায় না। আপনি বরাবরই আমাদের মাঝে অনেক সুন্দর সুন্দর শাড়ির ডিজাইন নিয়ে হাজির হন, আপনার এই শাড়ির ডিজাইন গুলো আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে।
আমার ডিজাইন আপনার ভালো লেগেছে শুনে অনেক ভালো লাগলো।
নারীর সৌন্দর্য বর্ধনের মাধ্যম হচ্ছে শাড়ী।আপনি ত আপু খুবই গুনবতী । অনেক ভাল কাজ জানেন আপনি। শাড়ির ডিজাইন করা সহজ ব্যাপার না। আপনি খুব সুন্দরভাবে শাড়ির ডিজাইন করে আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন। শাড়ির কালার ও খুব সুন্দর। এই কাজ করতে নিশ্চয়ই অনেক সময় লাগে। ধন্যবাদ আপু।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।