ছোট গল্প |||| তবুও ভালোবেসে যাবো পর্ব-০৫।
আসসালামু আলাইকুম।কেমন আছেন সবাই? আশা করছি সবাই সুন্দর ও সুস্থভাবে দিন যাপন করছেন। আমিও আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায় ও সৃষ্টিকর্তার রহমতে বেশ ভাল আছি।
আমি আজ আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি গল্প নিয়ে। "তবুও ভালবেসে যাব পর্ব-০৫" আপনাদের মাঝে শেয়ার করেছি।তবে এই গল্পটি বাস্তব জীবনের গল্প। এই ঘটনাটি সবাই যখন দেখছিল এবং শুনছিল তখন অনেকেই কেঁদেছিল।প্রিন্সের এতটা ব্লিডিং হচ্ছিল যে বন্ধ হচ্ছিল না। তখন তার মা তাকে জড়িয়ে ধরে কাঁদতে শুরু করলো অ্যাম্বুলেন্সের ভিতরে এবং সৃষ্টিকর্তার কাছে বারবার প্রার্থনা করলো তার ছেলেকে যেন তার বুকে ফিরিয়ে দেয়।
প্রিন্স মায়ের কান্না দেখে সেই অসুস্থ অবস্থায় মাকে সান্তনা দিচ্ছিল।মা আমার কিছু হবে না দেখো আমি সুস্থ হয়ে ফিরব। হসপিটালে সিফট করার পর যখন ডাক্তার এল তখন ডাক্তার প্রিন্সকে দেখে বলল এখানে এই রোগের কোন ট্রিটমেন্ট হবে না।কারণ রোগীর অবস্থা খুব খারাপ আপনি দ্রুত ঢাকায় নিয়ে যান। সেই মুহূর্তে তারা আর দেরি করল না ওই অ্যাম্বুলেন্সে করেই তারা ঢাকার উদ্দেশ্যে রওনা হল।
যখন একটি হাসপাতালে তারা পৌঁছল এবং ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেল প্রিন্সকে। তখন প্রিন্স এই দুনিয়া থেকে চির বিদায় নিয়েছে না ফেরার দেশে। প্রিন্স মার বুকের মাঝেই ছিল। প্রিন্সের মা বুঝতে পারেনি কখন প্রিন্স শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেছে। ডাক্তার দেখে যখন বলল অনেক দেরি হয়ে গেছে। অনেকক্ষণ আগেই ছেলে মারা গেছে। এখন আর এই রোগী এখানে রেখে লাভ নেই আপনারা বাসায় নিয়ে চলে যান। তারপর তারা আবার বেক করে চলে আসলো বাসার উদ্দেশ্যে।
এদিকে মা বাবা এবং প্রিন্সের খালা সবাইকে ফোনে প্রিন্সের মৃত্যুর সংবাদটি দিয়ে দিল। সেই মুহূর্তে মৃত্যুর সংবাদটি সোমাকে অনেকে দিতে নিষেধ করল। কিন্তু প্রিন্সের খালা বলল ওকেও সংবাদটি দিতে হবে। সোমাকে প্রিন্সের মৃত্যুর সংবাদ জানানোর পর সোমা হতবাক হয়ে শুধু আকাশের দিকে চেয়ে রইল এবং দু'চোখ বেয়ে শুধু অশ্রু পরছিল। কিন্তু সোমা কোন কথা বলছিল না শুধু বড় বড় নিঃশ্বাস ছাড়ছিল। কিছুক্ষণ পর সোমা এভাবে চুপ হয়ে থাকার পর হঠাৎ করে সেন্সলেস হয়ে পড়ে গেল।
সোমাকে ধরে তার বাসায় নিয়ে যাওয়া হলো এবং তার মাথায় তার বাবা-মা প্রচুর পানি ঢালো এবং ডাক্তার নিয়ে এলো। যখন সোমার জ্ঞান ফিরলো তখন প্রিন্স প্রিন্স বলে চিৎকার করতে লাগলো। এদিকে প্রিন্সের বাবা-মা ও প্রিন্সের মরদেহ বাসায় নিয়ে এসেছে এবং তাদের বাসায় যে করুন পরিনিতি হয়েছে এটা না দেখলে আসলে বিশ্বাস করার মত কথা না। প্রিন্সেকে যখন শেষ গোসল করানো হলো তখন তার গায়ে প্রচুর রক্ত মাখা ছিল সেগুলো সবাই পরিষ্কার করে পাক পবিত্র করে গোসল করানো হলো।
তার শেষ পোশাকটি পড়ানো হলো। দাফনের আগে সোমাকে খবর দেওয়া হল শেষ দেখাটি দেখার জন্য। প্রিন্সের ছোট বোন সোমাকে নিয়ে এলো প্রিন্সের সাথে শেষ দেখা করানোর জন্য। সোমা অনেক আপসেট হয়ে এলো প্রিন্সের সাথে শেষ দেখা করতে। প্রিন্সের মুখটি দেখে সোমা সেখানে আবারও সেন্সলেস হয়ে গেল। তারপর সোমাকে ধরে অন্য একটি রুমে শুয়ে দেওয়া হল।
আমার পরিচয়।
আমি মোছাঃ সায়মা আক্তার। আমি একজন ব্লগার, উদ্যোক্তা।কবিতা লিখতে, নতুন কোনো রেসিপি তৈরি করতে এবং নতুন নতুন ডিজাইন সৃষ্টি করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি।সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকতে এবং অবহেলিত মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারলে খুব ভালো লাগে।তাই সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি এবং তাদের সহযোগিতায় নিজেকে সব সময় সম্পৃক্ত রাখি।
এই গল্পটার প্রথম পর্বগুলো আমার পড়া হয়েছিল। শুধু এর আগের পর্বটা পড়া হয়নি। কিন্তু আজকের পর্বটা পড়ে সত্যি অনেক বেশি খারাপ লেগেছে। চোখে জল চলে এসেছে পর্ব টা সম্পূর্ণ পড়ার সময়। প্রিন্সের এরকম মৃত্যুর কথা শুনলে সবার চোখে জল চলে আসবে। সোমার কথা ভেবে অনেক বেশি খারাপ লাগতেছে। এখন এটা দেখা যাক এই গল্পটার পরবর্তী পর্বে কি হবে। বিশেষ করে সোমার জীবনে কি হবে এটাই দেখার অপেক্ষায় থাকলাম। আশা করছি তাড়াতাড়ি আপনি পরবর্তী পর্বের রিভিউটা শেয়ার করবেন।
সব সময় সুন্দর সুন্দর মন্তব্য করে উৎসাহ দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ আপু।