সবজি ও রুই মাছের ঝোল।
আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সকল ইউজারদের জন্য রইলো আমার অন্তরের অন্তস্থল থেকে ধন্যবাদ ও শুভেচ্ছা।
আমি সব সময় আপনাদের মাঝে নতুন কিছু করার এবং নতুন কিছু বিষয় উপস্থাপন করার চেষ্টা করি। তাই আজকেও তার ব্যতিক্রম কিছু নয়।বর্তমান শীতকাল চলছে আর শীতকালে অনেক ধরনের সবজি পাওয়া যায় আর এই সবজি প্রত্যেকটি মানুষের জন্য অনেক উপকারী।গ্রাম্য এলাকায় একটি কথার প্রচলন আছে তা হলো দাম কমলে বাগুন আর দাম বাড়লে বেগুন।আমরা বাঙালিরা সব সময় বেগুন খাওয়ার চেষ্টা করি। অর্থাৎ যখন সবজির প্রচলন থাকে তখন দাম কম থাকে কিন্তু তখন আমরা সবজি খেতে পছন্দ করি না। আবার যখন সবজির প্রচলন থাকে না ফলে দাম বেশি থাকে তখন আমরা সবজি খাওয়ার চেষ্টা করি।তাই আজকে আমি "সবজি ও রুই মাছের ঝোল" রেসিপি আপনাদের সামনে উপস্থাপন করতে যাচ্ছি।আশা করি আমার এই রেসিপিটি আপনাদের পছন্দ হবে। এবার আপনাদের সঙ্গে "সবজি ও রুই মাছের ঝোল" রেসিপির প্রস্তুত প্রণালী জানাবো।
প্রয়োজনীয় উপকরন সমুহঃ-
১।রুই মাছ।
২।ফুল কপি।
৩। বেগুন।
৪। আলু।
৫। পিঁয়াজ।
৬। কাঁচা মরিচ।
৭। জিরা গুঁড়ো।
৮। লবণ।
৯। তৈল।
১০। হলুদ গুঁড়ো।
 |  |
|---|
 |  |
|---|
 |  |
|---|
 |  |
|---|
-----------প্রস্তুত প্রণালী----------
----------------- প্রথম ধাপ --------------------
রুই মাছ কেটে পানিতে সুন্দর করে পরিষ্কার করে নিয়েছি এবং লবণ-পানি দিয়ে আবার পরিষ্কার করে নিয়েছি।
--------------- দ্বিতীয় ধাপ---------------
ফুলকপি গুলো সুন্দর করে রান্না করার উপযোগী করে কেটে নিয়ে পানি দিয়ে পরিষ্কার করে নিয়েছি।
-----------------তৃতীয় ধাপ-------------------
বেগুন গুলো খুব সুন্দর করে ছোট ছোট করে টুকরো করে কেটে নিয়েছি এবং পরিষ্কার পানি দিয়ে সুন্দর করে ধুয়ে নিয়েছি।
-----------------চতুর্থ ধাপ-------------------
 |  |
|---|
আলু গুলো সুন্দর করে ছাল ছাড়িয়ে নিয়ে আলুগুলো টুকরো টুকরো করে কেটে নিয়েছি এবং পানি দিয়ে পরিষ্কার করে নিয়েছি।
------------------পঞ্চম ধাপ---------------
 |  |
|---|
পিঁয়াজের খোসা ছাড়িয়ে পিঁয়াজগুলোকে ধুয়ে নিয়েছি। এরপরে পিঁয়াজগুলোকে কুঁচি কুঁচি করে কেটে নিয়েছি।
-------------------অষ্টম ধাপ---------------
কাঁচা মরিচের বোটা ফেলে পানিতে ধুয়ে নিয়ে রান্নার উপযোগী করে কেটে নিয়েছি।
----------------নবম ধাপ-----------------
 |  |
|---|
 |  |
|---|
রুই মাছের টুকরোগুলো লবণ, হলুদ গুঁড়ো , জিরা গুঁড়ো দিয়ে মেখে নিয়ে ফ্রাইপ্যান গরম হওয়ার পরে তৈল দিয়ে মাছগুলো ভেজে একটি বাটিতে রেখে দিলাম ।
------------------দশম ধাপ---------------
 |  |
|---|
 |  |
|---|
এবার প্রেসার কুকারে লবণ, কাঁচামরিচ, পিঁয়াজ কুঁচি, তৈল, জিরা গুঁড়ো দিয়ে কষিয়ে নিলাম। এই কষিয়ে নেওয়ার পর সবজিগুলো সব পেশার কুকারে দিয়ে একটু নাড়াচাড়া করে প্রেসার কুকার ঢেকে দিলাম। এভাবে কিছুক্ষণ রান্না করলাম।
---------------এগারো তম ধাপ -----------------
 |  |
|---|
এবার প্রেসার কুকারের ঢাকনা খুলে একটু নাড়াচাড়া করে রুই মাছের টুকরোগুলো প্রেসার কুকারে দিলাম।সবজি ও রুই মাছ কিছুক্ষণ রান্না করলাম এভাবে। আর এভাবেই হয়ে গেল আমার "সবজি ও রুই মাছের ঝোল" রেসিপি তৈরি। এবার পরিবেশনের জন্য প্রস্তুত করলাম।
আমার পরিচয়।
আমি মোছাঃ সায়মা আক্তার। আমি একজন স্কুল শিক্ষিকা। আমি বাংলা ভাষায় কথা বলতে ও শুনতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি এমন একটি প্লাটফর্ম যেখানে আমরা মনের ভাব বাংলা ভাষায় উপস্থাপন করতে পারি।তাই আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি কে আমি অনেক ভালবাসি। আজকে আমি আপনাদের সামনে "সবজি ও রুই মাছের ঝোল" রেসিপি উপস্থাপন করলাম। জানিনা কেমন হয়েছে তবে আপনাদের কমেন্টের অপেক্ষায় রইলাম।
আলো,বেগুন, ফুলকপি আর মাছ দিয়ে অনেক সুন্দর একটা রেসিপি তৈরি করে নিয়েছেন। আমারতো আলু আর ফুলকপি খেতে খুব ভালো লাগে। সেগুলো যদি মাছ দিয়ে রান্না করা হয় তাহলে তো আরো খেতে সুস্বাদু হয়। আপনি অনেক সুন্দর রান্না করতে পারেন আপু। আমার সত্যিই আপনার রেসিপি টা দেখে খুব ভালো লেগেছে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর একটা রেসিপি তৈরি করে আমাদের সবার মাঝে শেয়ার করার জন্য
সময় নিয়ে আমার পোষ্টটি দেখার জন্য এবং সহযোগিতামূলক মন্তব্য করে উৎসাহ দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ আপু।
সবজি ও রুই মাছের ঝোল রেসিপিটি অসাধারণ হয়েছে আপু। আপনি রেসিপিটি তে সবজি হিসেবে ফুলকপি দিয়েছেন, ফুলকপি আমার খুবই পছন্দের একটি সবজি। রেসিপিটি দেখেই বোঝা যাচ্ছে এটা খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। শুভকামনা রইল আপনার জন্য আপু।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। সুন্দর মন্তব্য করে সহযোগিতা করার জন্য।
সবজি দিয়ে রুই মাছ আসলে অনেক মজা লাগে, আর আপনার তরকারির কালার টা খুব সুন্দর লাগছে দেখতে।আমার কাছে ভালো লেগেছে, ধন্যবাদ আপনাকে।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপু মূল্যবান মন্তব্য করে উৎসাহ ও সাহস জোগানোর জন্য।
সবজি দিয়ে আপনি খুব সুন্দর একটি মাছের রেসিপি করেছেন।এই রেসিপি গুলো খুবই পরিচিত এবং খেতেও দারুন স্বাদ ধন্যবাদ রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য ধাপ গুলো দারুন ভাবে তুলে ধরেছেন
সুচিন্তিত মন্তব্য করে সহযোগিতা করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
আপু আপনার সবজি মাছের ঝোলের রেসিপি খুবই সুন্দর হয়েছে। দেখে মনে হচ্ছে খুবই সুস্বাদু হয়েছে। ফুলকপি আমার অনেক পছন্দের ফুলকপি কিভাবে রান্না করে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত খুব সুন্দর করে আপনি ধাপে ধাপে উপস্থাপন করেছেন, আপনার রেসিপিটি যা দেখে সবাই খুব সহজেই রেসিপিটি তৈরি করতে পারবে। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
সুন্দর মন্তব্য করে আমাকে উৎসাহ দেওয়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু।
সবজি ও রুই মাছ দেখেই খেতে ইচ্ছা করছে। দারুন একটি রেসিপি তৈরি করেছেন আপু। শীতকালে সবজি দিয়ে মাছ খেতে অনেক ভালো লাগে। আর যদি হয় রুই মাছ তাহলে খাবারের স্বাদ আরও বেড়ে যায়। আপনার রান্নার প্রক্রিয়াগুলো অনেক সুন্দর করে গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন। দারুন একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ জানাচ্ছি আপু।
জি শীতকালের সবজি দিয়ে রুই মাছের ঝোল খুব মজা। আপনার সুন্দর মন্তব্য পড়ে খুব ভালো লাগলো।
সবজি দিয়ে রুই মাছের ঝোল এর রেসিপি আমার খুবই ভালো লাগে। আপনার রেসিপিটা দেখে খেতে খুব ইচ্ছা করছে, দেখে অনেক সুস্বাদু মনে হচ্ছে। তাই বারবার খেতে ইচ্ছা করছে। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
আপনার কাছে রেসিপিটি ভালো লেগেছে শুনে ভালো লাগলো ধন্যবাদ ভাই।
রুই মাছ খেতে পছন্দ করেন না এমন মানুষ খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। তেমন আমিও রহিম আজ ভীষণ পছন্দ করি। আপনার রান্না করা মাছের তরকারি টি দেখে ভীষণ সুস্বাদু মনে হচ্ছে। দেখে খেতে ইচ্ছে করছে। অনেক সুন্দর রেসিপি শেয়ার করেছেন আপু। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এবং আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
সহযোগিতামূলক মন্তব্য করে উৎসাহ দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ ভাই।
মাছের মধ্যে আমি সব থেকে রুই মাছ বেশি পছন্দ করি আর খেতেও সুস্বাদু। আপনি রুই মাছের ঝোল রান্না করেছেন দেখে তো খেতে ইচ্ছা করছে আপু। অনেক সুন্দর করে উপস্থাপনা করেছেন আপনার জন্য শুভকামনা রইলো
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই মন্তব্য করে সহযোগিতা করার জন্য।
বিভিন্ন ধরনের তরিতরকারি দিয়ে খুব সুন্দর একটি রেসিপি তৈরি করেছেন দেখছি। এমনিতেই রুই মাছ খুবই সুস্বাদু লাগে ।তার সাথে বিভিন্ন শাক সবজি এবং তরিতরকারি দিয়ে সাধের পরিমাণটা বাড়িয়ে দিয়েছেন ।আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
এত সুন্দর মন্তব্য দেখে কার না ভালো লাগে অনেক ধন্যবাদ ভাই।