রেসিপি পোস্ট ||| "কৈ মাছের মুচমুচে ভাঁজি"।

in আমার বাংলা ব্লগlast year

হ্যালো আমার প্রিয় বাংলা ব্লগের ভাই ও বোনেরা আশা করছি সকলে ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি।

IMG_20230707_134818_655.jpg

আমি আজ আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি আরেকটি নতুন পোস্ট নিয়ে। বর্তমান সময়টা চলছে বৃষ্টি। এই বৃষ্টির দিনে একটু ভাঁজা পোড়া খেলে মন্দ হয় না। আর ভাঁজা পোড়া খেতে আমার মনে হয় সকলেই পছন্দ করেন। যদিও ভাঁজা পোড়া জাতীয় খাবার আমাদের স্বাস্থ্যসম্মত না।তবুও মন চায় এগুলো একটু খেতে বিশেষ করে বৃষ্টির দিনে। আর এই ভাঁজা পোড়া জাতীয় খাবার অতিরিক্ত গরম পড়লে তো খাওয়া উচিত না।তাইতো এই দিনে বৃষ্টি হচ্ছে অনেক মজার দিন। মন যা চায় তা খেতে নাহি মানা। বৃষ্টির দিনের খাবারের আইটেমগুলো সবারি জানা। এই সময়টা বাজারে প্রচুর মাছ ওঠে। আপনি যে ধরনের মাছ চান না কেন আমার মনে হয় এই সময়ে সব ধরনের মাছ বাজারে পাওয়া যায়। সব সময় একরকম রেসিপি খেতে ভালো লাগে না।তাই তো সবকিছুতেই একটু পরিবর্তনের দরকার। কথায় আছে কৈ মাছের প্রান, হ্যাঁ ঠিকই বলেছেন আমি আজ আপনাদের মাঝে "কৈ মাছের মুচমুচে ভাঁজি" নিয়ে হাজির হয়েছি। এই "কৈ মাছের মুচমুচে ভাঁজি" কিভাবে করেছি তার সমস্ত প্রস্তুত প্রণালী চলুন নিচে দেখে নেয়া যাক।

উপকরণসমূহঃ-

১।কৈ মাছ।
২।কাঁচা মরিচ।
৩।পেঁয়াজ।
৪।রসুন।
৫।হলুদের গুঁড়ো।
৬।মরিচের গুঁড়ো।
৭।জিরা গুঁড়ো।
৮।লবণ।
৯।তৈল।

IMG_20230707_130118_908.jpgIMG_20230707_130053_445.jpg
IMG_20230707_125400_922.jpgIMG_20230707_125349_346.jpg
IMG_20230707_125341_885.jpgIMG_20230707_125127_124.jpg

IMG_20230707_124932_324.jpg

প্রস্তুত প্রণালী

প্রথম ধাপ

IMG_20230707_125025_364.jpg

প্রথমে কই মাছগুলো ভালো করে কেটে পরিষ্কার করে একটি বাটিতে নিয়েছি।

দ্বিতীয় ধাপ

IMG_20230707_125218_483.jpg

এবার সেই মাছগুলোতে লবণ দিয়ে ভালো করে ঘোষে আবারো পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে বাটিতে নিয়েছি।

তৃতীয় ধাপ

কাঁচা মরিচ পরিষ্কার করে ধুয়ে রান্নার উপযোগী করে কেটে নিয়েছি।

চতুর্থ ধাপ

IMG_20230707_130012_429.jpg

IMG_20230707_125053_561.jpg

পেঁয়াজের খোসা ছাড়িয়ে পরিস্কার করে ধুয়ে রান্নার উপযোগী করে কেটে নিয়েছি।

পঞ্চম ধাপ

IMG_20230707_125303_761.jpg

রসুনের খোসা ছাড়িয়ে রসুন পেস্ট করে নিয়েছি।

ষষ্ঠ ধাপ

IMG_20230707_133344_647.jpg

IMG_20230707_133226_694.jpg

এবার পরিষ্কার করা কৈ মাছগুলোতে হলুদের গুঁড়া, মরিচের গুঁড়ো, জিরা গুঁড়ো,রসুনের পেস্ট এবং লবণ দিয়ে ভালো করে মেখে নিয়েছি ।

সপ্তম ধাপ

IMG_20230707_133356_525.jpg

মেখে নেওয়া মাছগুলোকে ৬ মিনিট রেখে দিয়েছি।

অষ্টম ধাপ

IMG_20230707_133441_585.jpg

IMG_20230707_133419_481.jpg

এবার একটি ফ্রাইপেনে তৈল দিয়ে কই মাছগুলো মুচমুচে করে ভেঁজে নিয়েছি ।

নবম ধাপ

IMG_20230707_134612_216.jpgIMG_20230707_134112_424.jpg

IMG_20230707_134846_861.jpg

ভেঁজে নেওয়া মাছের তৈলে পেঁয়াজ কুঁচি,মরিচ কুঁচি,রসুন পেস্ট,হলুদের গুঁড়ো,মরিচের গুঁড়ো দিয়ে ও সামান্য পরিমাণ লবণ দিয়ে পেঁয়াজের ব্যারেস্তা সুন্দর করে ভেঁজে নিয়েছি এবং ভাঁজা মাছের উপরে সেই ভাঁজা পেঁয়াজগুলো সুন্দর করে দিয়ে দিয়েছি।আর এভাবেই হয়ে গেল আমার "কৈ মাছের মুচমুচে ভাঁজি" রেসিপি।এবার এই "কৈ মাছের মুচমুচে ভাঁজি" রেসিপির একটি ছবি আপনাদের সামনে উপস্থাপন করলাম।

received_617824823488930.jpeg

আমি মোছাঃ সায়মা আক্তার। আমি একজন ব্লগার, উদ্যোক্তা এবং শিক্ষিকা।কবিতা লিখতে, নতুন কোনো রেসিপি তৈরি করতে এবং নতুন নতুন ডিজাইন সৃষ্টি করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি।সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকতে এবং অবহেলিত মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারলে খুব ভালো লাগে।তাই সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি এবং তাদের সহযোগিতায় নিজেকে সব সময় সম্পৃক্ত রাখি।

বিষয়ঃ- রেসিপি পোস্ট "কৈ মাছের মুচমুচে ভাঁজি"।

কমিউনিটিঃ- আমার বাংলা ব্লগ।

আপনার মূল্যবান সময় নষ্ট করে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ..........

🇧🇩🇧🇩ধন্যবাদ🇧🇩🇧🇩

received_1368894727258026.jpeg

received_1847025145651788.gif

received_929440788081405.jpeg

received_3543384005885066.jpeg

Sort:  
 last year (edited)

যেকোনো মাছ মচমচে ভাজি খেতে আমার ভীষণ ভালো লাগে। আপনি কৈ মাছ ভাজিল সুন্দর একটি রেসিপি তৈরি করেছেন এবং খুবই সুন্দরভাবে প্রতিটা ধাপ আমাদের মাঝে বর্ণনা করেছেন এতে সবাই বুঝতে অনেক সুবিধা হয়েছে। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।

 last year 

মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ ভাই। তবে মন্তব্য লেখার পরে পড়ে দেখা উচিত।

 last year 

আসলেই বৃষ্টির দিনে ভাজাপোড়া খেতে বেশি মজা লাগে। মজাদার কই মাছের ভাজি রেসিপি শেয়ার করেছেন আর মাছ ভাজি গুলোর সাথে যখন পেঁয়াজ আর মরিচ কুচিগুলো ভাজি করে পরিবেশন করেছিলেন তখন বেশি লোভনীয় লাগছিল।

 last year 

জি ভাই মাছ ভাজির সঙ্গে পেঁয়াজ কুঁচি ভাজি আসলেই আকর্ষণীয় করে তোলে।

 last year 

আপনার কৈ মাছ ভাজি অনেক লোভনীয় লাগছে। পিঁয়াজ মরিচ দিয়ার জন্য আরো বেশি ভালো লাগছে। ধন্যবাদ আপনাকে এই রকম রেসিপি শেয়ার করার জন্য

 last year 

আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ মন্তব্য করার জন্য।

 last year 

আপনার কৈ মাছ দেখে মনে পড়ল যে অনেকদিন কৈ মাছ খাওয়া হয় না। যে কোন মাছ এভাবে ফ্রাই করলে খেতে খুবই ভালো লাগে। আপনার আজকের কৈ মাছের ভাজা দেখেই মনে হচ্ছে যে একপিস নিয়ে খেয়ে ফেলি। এত লোভনীয় লাগছে দেখতে।

 last year 

আমার রেসিপিটি আপনার পছন্দ হয়েছে এটি আমার জন্য বড় পাওয়া।

 last year 

বৃষ্টির দিনে গরম গরম ভাতের সাথে কৈই মাছের মুচমুচে ভাজি খেতে খুবই দারুণ লাগে। কিছুদিন আগে আমি কৈ মাছের ভাজি খেয়েছি। রেসিপিটা দেখে খুবই লোভনীয় লাগছে। সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ। মজাদার একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।

 last year 

সুন্দর মন্তব্য করে উৎসাহ দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।

 last year 

ঠিক বলেছেন আপু বৃষ্টির সময় এই ধরনের ভাজি গুলো খেতে অনেক মজাই লাগে। আজকে আপনি অনেক সুন্দর করে কৈ মাছের ভাজি রেসিপি করেছেন। আর বর্ষার সময় কৈ মাছগুলো অনেক পাওয়া যায়। তবে অনেক সময় কৈ মাছ দিয়ে গরম ভাত এবং গরম ডাল দিয়ে খেতে অনেক মজাই লাগে। সত্যি বলতে আপনার রেসিপিটি দেখে আমার জিভে জল এসে গেল। যদিও পেঁয়াজ গুলো এভাবে ভাজি করে দেওয়া হয় তাহলে মাছের স্বাদ আরো বেড়ে যায়। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর করে রেসিপিটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।

 last year 

সব সময় পাশে থেকে সুন্দর সুন্দর মন্তব্যে উৎসাহ দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ আপু।

 last year 

বৃষ্টির সময় গরম ভাত এবং গরম ঢালের সাথে কৈ মাছ ভাজি খেতে অনেক ভালো লাগে। তবে কৈ মাছ আমার অনেক প্রিয়। কৈ মাছ যেই ভাবে রান্না করা হয় খেতে অনেক ভালোই লাগে। তবে এখন বর্ষাকাল তাজা কৈ মাছ বাজারে পাওয়া যায়। সত্যি বলতে আপনার রেসিপিটি দেখে আমার জিভে জল এসে গেল। এবং খুব সুন্দর করে রেসিপি আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করেছেন।

 last year 

আপনার ঠিক বলেছেন গরম ভাত এবং গরম ডালের সাথে কৈ মাছ ভাঁজি অনেক মজাদার।

 last year 

কৈ মাছের মুচমুচে ভাজি খেতে আমার কাছে খুবই ভালই লাগে। আর যদি এই কৈ মাছের মুচমুচে ভাজির সাথে নরম নরম খিচুড়ি খাওয়া যায় তাহলে তা খেতে খুবই স্বাদের হয়। অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু, মুখরোচক এই রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।

 last year 

সুন্দর মন্তব্য করে সহযোগিতা করার জন্য ধন্যবাদ ভাই।

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.14
JST 0.028
BTC 58551.09
ETH 2617.32
USDT 1.00
SBD 2.44