রেসিপি পোস্ট ||| মসুর ডাল ও পালং শাকের ঝাল পাকোড়া।
আসসালামু আলাইকুম।আমার বাংলা ব্লগের ও বাংলার এপার ওপারের সকল ভাই ও বোনেরা আশা করছি সুস্থভাবে দিন যাপন করছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় সৃষ্টিকর্তার রহমতে বেশ ভালো আছি।
আমি আজ আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি আরেকটি নতুন রেসিপি পোষ্ট নিয়ে।আমাদের শরীর সুস্থ রাখার জন্য শাকের কোন বিকল্প নেই। শাক যদি আমরা প্রতিদিন একবার মেনুতে রাখি তাহলে সেটা আমাদের স্বাস্থ্যের জন্য অনেক ভালো।শীতের সময় পালং শাকের জুরি নেই।পালং শাক একটি সময় শুধু শীতকালে পাওয়া যেত কিন্তু এখন শীত গরম দুই সময়েই পাওয়া যায়।পালং শাকে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ ভিটামিন, মিনারেল, ভিটামিন এ, ভিটামিন বি টু , ভিটামিন বি সিক্স আয়রন ইত্যাদি। এই পালং শাকদিয়ে বিভিন্নরকম রেসিপি করা যায়।যে যেভাবে খেতে পছন্দ করে পালং শাক দিয়ে সেভাবেই রেসিপি তৈরি করলে খেতে অনেক স্বাদ হয়। অনেকে পালং শাকের চচ্চড়ি,পালং শাকের ঝোল, পালং শাকের বড়া ও পালং শাকের পেলকা করে থাকে। তবে আমি আজ চেষ্টা করেছি একটু ভিন্ন রকমের পোস্ট নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হতে। আমি অনেকক্ষণ চিন্তাভাবনা করে দেখলাম এই পালং শাকের কি রেসিপি নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হওয়া যায়। তাইতো মাথায় একটি বুদ্ধি এল নতুন একটি রেসিপি নিয়ে আপনাদের মাঝে হাজির হতে। যেই ভাবনা সেই কাজ তারপরে করে ফেললাম ঝটপট করে "মসুর ডাল ও পালং শাকের ঝাল পাকোড়া"। তবে পাকোড়া এতটা টেস্ট হয়েছিল আপনারা এই রেসিপি তৈরি করে না খেলে আসলে বুঝতে পারবেন না ।
চলছে শীতকাল হাতের কাছেই রয়েছে প্রচুর পালং শাক । পালং শাকের গুনাগুনের কথা বলে শেষ করা যাবে না।পালং শাক ওজন কমায়। পালং শাক মস্তিষ্ক সুস্থ রাখতে সাহায্য করে।স্মৃতিশক্তির জন্য অনেক উপকারী।হাড়ের ক্যালসিয়াম বাড়ানোর জন্য পালং শাক খুব উপকারী। পালং শাকিয়ে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ আয়রন যেটা আমাদের শরীরের জন্য ভিশন দরকার। চলুন আর কথা না বাড়িয়ে "মসুর ডাল ও পালং শাকের ঝাল পাকোড়া" কিভাবে তৈরি করেছি তার সমস্ত প্রস্তুত প্রণালী দেখে নেওয়া যাক।
উপকরণসমূহ
১।পালং শাক।
২।মসুরের ডাল।
৩।কাঁচা মরিচ।
৪।পেঁয়াজ।
৫।হলুদের গুঁড়ো।
৬।জিরা গুঁড়ো।
৭।ধনিয়া গুঁড়ো।
৮।লবণ।
৯।রসুন।
১০।বেসন।
১১।তৈল।
![]() | ![]() |
---|
![]() | ![]() |
---|
![]() | ![]() |
---|
![]() | ![]() |
---|
প্রথমে মসুরের ডাল পানিতে ভিজিয়ে রেখেছি কিছুক্ষণ।
এরপর ডালগুলো নরম হলে পরিষ্কার করে ধুয়ে নিয়ে শিলপাটায় পেস্ট করে নিয়েছি।
এবার সবুজ পালং শাকগুলো পরিষ্কার করে ধুয়ে নিয়েছি।
পরিষ্কার করে ধুয়ে নেওয়ার শাকগুলো কুঁচি কুঁচি করে কেটে নিয়েছি।
কাঁচা মরিচ কুঁচি কুঁচি করে কেটে নিয়েছি।
পেঁয়াজ পরিষ্কার করে রান্নার উপযোগী করে কেটে নিয়েছি।
রসুন পরিষ্কার করে কুঁচি কুঁচি করে কেটে নিয়েছি।
এবার কেটে নেওয়া পালং শাকগুলোর ভেতরে মসুর ডালের পেস্ট ও অন্যান্য সকল উপকরণ দিয়ে হাত দিয়ে ভালো করে মেখে নিয়েছি।
মেখে নেওয়া পালং শাকে সামান্য পরিমাণ বেসন দিয়ে নিয়েছি।
![]() | ![]() |
---|
এবার একটি ফ্রাই প্যানে তেল গরম করে পালং শাকগুলো ছোট ছোট আকৃতি করে ভেঁজে নিয়েছি। এক সাইড মুচমুচে হলে অপর সাইডে ভালো করে ভেঁজে নিয়েছি আর এভাবেই হয়ে গেল আমার "মসুর ডাল ও পালং শাকের ঝাল পাকোড়া" রেসিপি।এবার এই "মসুর ডাল ও পালং শাকের ঝাল পাকোড়া" এর রেসিপির একটি ছবি আপনাদের সামনে উপস্থাপন করলাম।
আমি মোছাঃ সায়মা আক্তার। আমি একজন ব্লগার, উদ্যোক্তা এবং শিক্ষিকা।কবিতা লিখতে, নতুন কোনো রেসিপি তৈরি করতে এবং নতুন নতুন ডিজাইন সৃষ্টি করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি।সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকতে এবং অবহেলিত মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারলে খুব ভালো লাগে।তাই সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি এবং তাদের সহযোগিতায় নিজেকে সব সময় সম্পৃক্ত রাখি।
বিষয়ঃ- রেসিপি পোস্ট "মসুর ডাল ও পালং শাকের ঝাল পাকোড়া"।
কমিউনিটিঃ- আমার বাংলা ব্লগ।
আপনার মূল্যবান সময় নষ্ট করে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ..........
শীতের সময় বিভিন্ন ধরনের রেসিপি দেখা হয় এবং তৈরি করা হয়ে থাকে৷ আজকে যেভাবে আপনি পকোড়া রেসিপি তৈরি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন এটিকে একদমই লোভনীয় মনে হচ্ছে৷ এরকম একটি শেয়ার করার মাধ্যমে পকোড়া খাওয়ার প্রতি ভালোবাসা আরও একটু বৃদ্ধি করে দিলেন।
আপনার সুন্দর মন্তব্যের জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই।
পালং শাক ভীষণ পুষ্টিকর এবং খেতেও দারুন লাগে। আপনি পালং শাক এবং মসুর ডাল দিয়ে লোভনীয় স্বাদের ঝাল পাকোড়া তৈরি করেছেন। এটা নিঃসন্দেহে সুস্বাদু হবে খেতে আর সবশেষে চমৎকার উপস্থাপনার মাধ্যমে পরিবেশন করেছেন। নতুন একটি রেসিপি দেখলাম আপু, অনেক ধন্যবাদ চমৎকার রেসিপি আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য।
জি ভাই খেতে অনেক সুস্বাদু ও মজাদার ছিল।
মজাদার একটি রেসিপি শেয়ার করার পাশাপাশি আপনি চমৎকার কিছু কথা আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন আপনার এই পোস্ট পড়ে খুবই ভালো লাগলো। পালং শাক যে আমাদের এত দিক থেকে উপকার করে সেটা খুব একটা বেশি জানা ছিল না তবে পালং শাক বড়াবড়ি আমার অনেক বেশি পছন্দের। মসুরের ডাল ও পালং শাকের ঝাল পাকোড়া রেসিপি দেখেই বোঝা যাচ্ছে অনেক বেশি সুস্বাদু ছিল। শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
আমার রেসিপিটি আপনার পছন্দ হয়েছে এটি আমার জন্য বড় পাওয়া।
পালং শাকে অনেক ভিটামিন ও আয়রন রয়েছে।আপনি এই পুষ্টিকর শাক দিয়ে মজাদার পাকড়া রেসিপি করেছেন।দেখতে যেমন লোভনীয় হয়েছে খেতে নিশ্চয়ই অনেক সুস্বাদু হয়েছে। ধাপে ধাপে খুব সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন রেসিপিটি। সব মিলিয়ে অসাধারণ সুন্দর রেসিপিটি। ধন্যবান সুন্দর ও মজাদার রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।
জি দিদি খেতে অনেক মজাদার ও টেস্টি ছিল।
কালার ডাউলের সাথে পালং শাকের ঘন্ট আমার কাছে অসাধারণ লাগে।
তবে মুসুরের ডাল আর পালং শাক দিয়ে এত মজাদার পাকোড়া প্রস্তুত করা যায় আসলে আমার জানা ছিল না।
আপনার প্রস্তুত করা মুচমুচে খাবারের ফটোগ্রাফি দেখেই লোভ হচ্ছে ইচ্ছে করছে তুলে খেতে শুরু করি।
রন্ধনশৈলি খুব সুন্দর ভাবে ফটোগ্রাফির সাথে উপস্থাপনা করেছেন শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য।
উঠিয়ে নিয়ে খেয়ে ফেলেন ভাই খাওয়ার জন্য তো এত সুন্দর একটি ছবি উপস্থাপন করেছি।
ইউনিক একটি পাকোড়া রেসিপি শেয়ার করেছেন আপু। মুচমুচে পাকোড়া গুলো খেতে কাছে খুবই ভালো লাগে। মসুর ডাল দিয়ে পালং শাকের ঝাল পাঁকড়া আগে কখনো খাওয়া হয়নি। আপনার রেসিপিটি দেখে শিখে নিলাম ।বাসায় একদিন তৈরি করে দেখব। খেতে নিশ্চয়ই খুবই সুস্বাদু হবে । প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দরভাবে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। সুস্বাদু একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
সব সময় পাশে থেকে সুন্দর সুন্দর মন্তব্য করে উৎসাহ দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ আপু।
শাক আমাদের শরীরের জন্য যেমন উপকারী তেমনি মসুর ডালও খুবই পুষ্টিকর।আপনার ইউনিক রেসিপিটি দেখে ভালো লাগলো।আসলে পালং শাকের পাকোড়া আমি খেয়েছি তবে ডালের সঙ্গে খাওয়া হয়নি।রেসিপিটি সুন্দর হয়েছে, ধন্যবাদ আপু।
আমার রেসিপিটি আপনার ভালো লেগেছে শুনে অনেক ভালো লাগলো দিদি।
শীতকালে বিকেলবেলা পাকোড়া হলে আর কি লাগে। পাকোড়া খেতে আমি অনেক বেশি পছন্দ করি যদিও অনেকদিন ধরেই খাওয়া হয়নি। আপনারে পাকোড়াগুলো দেখে খুব খেতে ইচ্ছে করছে। মসুর ডাল দিয়ে পালং শাকের পাকোড়া তৈরি করার প্রতিটি ধাপ খুবই সুন্দরভাবে আপনি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। তাছাড়া ডেকোরেশনটা অনেক বেশি ভালো লেগেছে আমার কাছে।
ঠিক বলেছেন আপু শীতের সময় বিকেলবেলা এই ধরনের পাকুড়া খেতে অনেক মজা লাগে।
পালং শাক অনেক পুষ্টিকর একটি সবজি। আপনি অনেক সুন্দর করে মসুর ডাল ও পালং শাকের ঝাল পকোড়া বানিয়েছেন। তবে আমি বিভিন্ন সবজি দিয়ে পকোড়া বানিয়ে খেয়েছি কখনো পালং শাক দিয়ে পকোড়া বানিয়ে খাই নাই। আপনার ঝাল পকোড়া দেখে সত্যি আমার খেতে মন চাইতেছে। আমাদের পালং শাক আছে আমি চেষ্টা করব এভাবে পকোড়া বানিয়ে খাওয়ার জন্য। সত্যি বলতে আপনার পকোড়া দেখে আমার খেতে খুব ইচ্ছে করতেছে। ধন্যবাদ আপনাকে পকোড়ার রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
অবশ্যই আপু বাসায় তৈরি করবেন দেখবেন খেতে অনেক মজাদার ও টেস্টি লাগবে।
পালং শাক প্রচুর পরিমাণে পুষ্টিগুণী বিদ্যমান। যা আমাদের দেহের জন্য খুবই উপকারী ও দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে এটি।
রেসিপিটি একদম ইউনিক ছিল একদিন ট্রাই করবো।
সুন্দর মন্তব্য করে উৎসহ দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ আপু।