ডিম দিয়ে কাঁঠালের বিচি ভাঁজি ||| ১০% লাজুক শিয়ালের জন্য।
আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সদস্যদের জানাই এক গুচ্ছ রজনীগন্ধার শুভেচ্ছা।বাংলা ব্লগের সকল ভাই ও বোনেরা কেমন আছেন? বিধাতার দোয়ায় আশা রাখছি সবাই ভাল আছেন । আপনাদের জন্য আবারো আরেকটি নতুন রেসিপি নিয়ে হাজির হয়েছি। ডিম কমবেশি অনেকেই পছন্দ করে। আবার অনেকেই পছন্দ করে না। তবে এই ডিমে প্রচুর ভিটামিন ক্যালসিয়াম ও নানা ধরনের উপাদান বিদ্যামান থাকে। মানুষের শরীরের ঘাটতি বা দুর্বলতা দেখা দিলে ডিম গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকাপালন করে। জি ঠিক ধরেছেন আমার রেসিপি আজ ডিম নিয়ে। তবে ডিম ভুনা নয় "ডিম দিয়ে কাঁঠালের বিচি ভাঁজি"।চলুন আর কথা না বাড়িয়ে এই রেসিপিটি কিভাবে তৈরি করেছি তার সমস্ত প্রস্তুত প্রণালী নিজে দেখে নেওয়া যাক।
উপকরণ সমূহঃ🛒
১।ডিম।
২।কাঠালের বিচি।
৩।কাচা মরিচ।
৪।পেঁয়াজ।
৫।রসুন।
৬।হলুদ গুঁড়ো।
৭।জিরা গুঁড়ো।
৮।লবন।
৯।তৈল।
কাঁঠালের বিচির খোসা গুলো খুব সুন্দর ভাবে পরিষ্কার করে নিয়েছি।
এবার কাঁঠালের বিচি গুলো সুন্দর করে রান্নার উপযোগী করে কেটে নিয়েছি।
পেঁয়াজের খোসা পরিষ্কার করে নিয়ে পেঁয়াজগুলো সুন্দর করে ধুয়ে নিয়েছি।এরপরে রান্নার জন্য কুঁচি কুঁচি করে কেটে নিয়েছি।
রসুনের কোয়ার খোসা গুলো পরিষ্কার করে নিয়েছি রান্নার জন্য।
কাঁচা মরিচের বোটা ফেলে সুন্দর করে পানি দিয়ে পরিষ্কার করে নিয়ে প্রতিটি মরিচের মাঝখান দিয়ে একটি করে চির দিয়ে নিয়েছি।
এরপর ডিমগুলো সিদ্ধ করে নিয়ে ডিমের খোসা গুলো সুন্দর করে পরিষ্কার করে নিয়েছি।
এরপর ফ্রাইপেনে লবণ, হলুদ গুঁড়ো এবং তৈল দিয়ে ডিমগুলো কষিয়ে নিয়ে একটি বাটিতে রেখে দিয়েছি।
এইবার প্রেসার কুকারে পেঁয়াজ কুঁচি,কাঁচা মরিচ,রসুনের কোয়া,জিরা গুঁড়ো ,হলুদ গুঁড়ো , লবণ এবং তৈল দিয়ে সব মসলাগুলো একসঙ্গে কষিয়ে নিয়েছি।
এবার কষানো মসলার মধ্যে কাঁঠালের বিচিগুলো দিয়ে সুন্দর করে হালকা একটু ভেঁজে নিয়েছি।
এবার প্রেসার কুকারে হালকা একটু পানি দিয়ে প্রেসার কুকারটিকে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিয়ে সিদ্ধ করার জন্য রান্না বসিয়ে দিয়েছি।
এবার সব সিদ্ধ হয়ে গেলে একটি ফ্রাইপেনে সবগুলো ঢেলে নিয়ে এর মধ্যে কষানো ডিমগুলো দিয়ে একটু নাড়াচাড়া করলাম আর যখন রস শুকিয়ে গেল তখনই হয়ে গেল আমার "ডিম দিয়ে কাঁঠালের বিচি ভাঁজি"রেসিপি।এবার পরিবেশনের জন্য রেডি করে "ডিম দিয়ে কাঁঠালের বিচি ভাঁজি" রেসিপির একটি ছবি আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করলাম।
আমার পরিচয়। 📎
আমি মোছাঃ সায়মা আক্তার। আমি একজন ব্লগার, উদ্যোক্তা এবং শিক্ষিকা।রেসিপি তৈরি করতে,কবিতা লিখতে এবং বিভিন্ন ধরনের ডিজাইন তৈরি করতে পছন্দ করি। যেকোনো বিষয়ে নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি।অবহেলিত মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারলে ভালো লাগে।তাই সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি।
বিষয়ঃ- রেসিপি "ডিম দিয়ে কাঁঠালের বিচি ভাঁজি"।
কমিউনিটিঃ- আমার বাংলা ব্লগ।
দুটোই আমার পছন্দের খাবার কিন্তু কখনো একসাথে খাওয়া হয়নি আমি আলাদা আলাদা খেয়েছি, খুবই ভালো লাগলো নতুন একটি ইউনিক খাবার সম্পর্কে জানতে পারলাম ডিম এবং কাঁঠালের বিচি একত্রে রান্না করেছেন খুবই চমৎকার ছিল আজকের এই রেসিপিটি।
মন্তব্য করে সহযোগিতা করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
দুইটা ফেভারিট খাবারের রেসিপি একসাথে দেখতে পেলাম জিম খুব ফেভারেট কাঁঠালের বিচির খুব ভালো লাগে খেতে হবে। চমৎকারভাবে রেসিপিটি উপস্থাপন করেছেন শুভকামনা রইল আপনার জন্য
রেসিপিটি আপনার পছন্দের শুনে ভালো লাগলো।
ডিম দিয়ে আপনি অনেক চমৎকার ভাবে কাঁঠালের বিচি ভাজি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন যদিও আপনার মত করে এরকম ভাবে কখনো ডিম দিয়ে কাঁঠালের বিচি ভাজি করে খাওয়া হয়নি। শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
মন্তব্য করে সহযোগিতা করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই।
ডিম দিয়ে আলু ভাজা খাওয়া হয়েছে। কিন্তু কখনো ডিম দিয়ে কাঁঠালের বিচি ভাজা খাওয়া হয়নি। আজকে প্রথম আপনার মাধ্যমে রেসিপিটি দেখতে পেলাম। দেখে মনে হচ্ছে খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছে। এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
সুন্দর মন্তব্য করে সহযোগিতা করার জন্য ধন্যবাদ।
ডিম দিয়ে কাঁঠালের বিচি রেসিপি দেখে একটু অন্যরকম লাগলো আপু। ডিম ভুনা অনেক খেয়েছি এবং কাঁঠালের বিচির অনেক রেসিপি খেয়েছি তবে একসাথে দুটো কখনো এভাবে রান্না করে খাওয়া হয়নি। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর রেসিপি বানিয়ে আমাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য। দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে অনেক ভালো হয়েছে।
জি আপু রেসিপিটি অনেক মজার ছিল।
ওয়াও অনেক সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের সামনে উপস্থাপনা করেছেন। বিশেষ করে আমার কাছে কাঁঠালের বিচি টা অনেক মজাদার মনে হয়। ডিম এবং কাঁঠালের বিচি একসাথে কখনো খাওয়া হয়নি। আমার কাছে মনে হয় খুব সুস্বাদু হবে এই রেসিপিটি। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
জি আপু অনেক মজার এবং সুস্বাদু ছিল।
ঠিকই বলেছেন আপু ডিম অনেক উপকারী কিন্তু অনেকেই পছন্দ করে না। যেমন আমার বাচ্চাকে আমি কিছুতেই ডিম খাওয়াতে পারি না। আমার কাছে ডিম খেতে অনেক ভালো লাগে। আপনি ডিম দিয়ে কাঁঠালের বিচির দারুন একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন। আপনি কত সুন্দর প্রেসার কুকারে রান্না করেন এতে রান্না মনে হয় তাড়াতাড়ি হয় ভালোই লাগলো আপনার রেসিপিটি।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
ডিম ভুনা অনেক খেয়েছি। আর সেই ডিম ভুনা হয়তো কখনো আলুর সাথে অথবা বেগুনের সাথে খেয়েছি। কিন্তু কখনও ডিম দিয়ে কাঁঠালের বিচি ভাজি খাওয়া হয়নি। খুবই নতুন একটি রেসিপি দেখতে পেয়ে ভালো লাগলো। আপনার রন্ধনপ্রণালীর প্রতিটি ধাপ সুন্দর উপস্থাপনার মাধ্যমে তুলে ধরেছেন এ জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
ডিম দিয়ে আমি কখনোই কাঁঠালের বিচি ভাজি করে খাইনি। তাই এই রেসিপিটি আমার কাছে বেশ ইউনিক লাগছে। ইউনিক এর পাশাপাশি রেসিপিটি দেখে মনে হচ্ছে খেতে বেশ ভালোই হবে। অবশ্যই আমি বাসায় এই রেসিপিটি ট্রাই করে দেখব। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি ইউনিক রেসিপি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য
আমার রেসিপি আপনার পছন্দ হয়েছে শুনে অনেক ভালো লাগলো।
কাঁঠালের বিচির যেকোনো রেসিপি খেতে আমার খুব ভালো লাগে। তবে ডিম দিয়ে এভাবে কখনো কাঁঠালের বিচি ভাজি করে খাওয়া হয়নি। একদিন খেয়ে দেখব। আপনার মাধ্যমে নতুন একটি রেসিপি শিখতে পারলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।
অনেক অনেক মজার ছিল রেসিপিটি।