"আমার বাংলা ব্লগ" প্রতিযোগিতা - ২৩ || শেয়ার করো তোমার স্কুল জীবনের কোন তিক্ত অভিজ্ঞতার অনুভূতি ।

in আমার বাংলা ব্লগ2 years ago

সবাইকে শুভেচ্ছা আশা করছি সকলে অনেক ভাল আছেন? আমিও আপনাদের দোয়ায় ভাল আছ। আজ আমি আপনাদের মাঝে আমার বাংলা ব্লগ প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছি আমার বাংলা ব্লগ প্রায়ই এই ধরনের প্রতিযোগিতা আয়োজন করে থাকে।সেই আয়োজনে আমরা অংশগ্রহণ করতে পেরে অনেক আনন্দিত হই। আমার বাংলা ব্লগ কে অনেক ধন্যবাদ জানাই শৈশবের স্কুল জীবনের তিক্ত ঘটনার একটি প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছে আমাদের জন্য। সেই সাথে স্মৃতিময় দিন গুলোর কথা মনে করতে পারছি এজন্য অনেক ভালো লাগছে আমরা।আসলে আমাদের ব্যস্ততার কারণে আমাদের শৈশবের স্মৃতি জড়িত ঘটনাগুলো মনে করি না বেশির ভাগ সময়। তবে এই সমস্ত স্মৃতিময় ঘটনাগুলো মনে করলে আসলেই অনেক ভালো লাগে। ফেলে আসা দিনগুলোর কথা মনে করলে আসলেই অনেক ভালো লাগে। যত দিন যাচ্ছে আমরা আমাদের সমাজ ও জগৎটা ধ্বংসের দিকে যাচ্ছে। অনেক কথা লিখে ফেললাম চলুন আর কথা না বাড়িয়ে প্রতিযোগিতায় অংশগ্রহণ করা যাক।

received_662179991761310.jpeg

আমি আমার শৈশবের কথা গুলো আজ মনে করতে পেরে অনেক আনন্দিত আমরা যমুনা সার কারখানা কলোনীতে থাকতাম।আমার বাবা যমুনা সার কারখানায় চাকরি করতো সেই সুবাদে আমরা সেই কোয়াটারে থাকতাম এবং সেই কোয়ার্টারের ভিতরে যারা চাকরি করতো তাদের ছেলেমেয়েদের কেই সেখানে স্কুলে ভর্তির ব্যবস্থা ছিল কিন্তু বাইরের কাউকে বা কোন বাচ্চাকে ভর্তি করানো যেত না সে স্কুলে। আমাদের স্কুলের নাম ছিল যমুনা সার কারখানা স্কুল এন্ড কলেজ আমি সেই স্কুলে শুরু থেকেই ছিলাম।স্কুলে অনেক নিয়ম কানুন ছিল স্যার ম্যাডামরা ও তাদের দায়িত্ব ঠিকমত পালন করতো কোন কাজ অবহেলা করত না। সঠিক সময়ে সঠিক দায়িত্ব পালন করতে হয় এক কথায় অনেক কড়া শাসনে লেখাপড়া ঠিকঠাক ভাবে করতে হতো। সেই স্কুলে কেউ রেজাল্ট খারাপ করলে তার গার্জেন কে ডেকে প্রিন্সিপাল স্যারের সাথে কথোপকথন হতো এবং সেই দিন সেই ছেলে মেয়ের অবস্থা বাসায় বুঝা যেত তার কতটা খারাপ সময় যাচ্ছে।

received_616719080164442.jpeg

আমি যখন সিক্সে পড়ি। তখন আমাদের একটি ইংরেজি টিচার ছিল।সেই টিচার টির নাম আফসার স্যার। আফসার স্যার অনেক রাগী ছিল। তার অনেক রাগছিল, কিন্তু সে ছাত্র-ছাত্রীদের অনেক ভালবাসত।স্যার পড়ার ব্যাপারে অনেক কঠোর ছিল কারণ স্যার চায় তার বাচ্চারা তার কাছ থেকে কিছু শিখুক। একদিন স্যার যখন ক্লাসে এসে পড়াচ্চছিল। তখন সেই মুহূর্তে আমি একটু অমনোযোগী ছিলাম। স্যারের কথাগুলা শুনছিলাম না সবাই মনোযোগ দিয়ে কথা শুনছিল এবং স্যার বেশ কয়েক বার জিজ্ঞাসা করছিল তোমরা সবাই বুঝতে পেরেছ। আমিও সবার তালে তালে স্যারকে বলেছি হ্যাঁ বুঝতে পেরেছি। আবারো জিজ্ঞাসা করলো যেবুঝতে পেড়েছ।

received_818918469537315.jpeg

আমি এখন তোমাদের প্রশ্ন করব তোমরা কি বুঝতে পেরেছো।স্যার বলল একেক করে বোর্ডে ডাকবো এবং একেক করে লিখে যাবে।আর এক এক করে সবাই কে ডাকছে এবং বোর্ডে লিখতে দিচ্ছে। প্রথম দুইজনের প্রশ্ন একই রকম ছিল এবং তৃতীয় জনের প্রশ্ন টা একটু চেঞ্জ ছিল। আমি ভেবেছি আমাকেও একই প্রশ্ন ধরা হবে তাই হাতে লিখে নিয়ে গিয়েছিলাম। বোর্ডের কাছে যখন যাই স্যার আমাকে প্রশ্নটা করে।সেই প্রশ্নটি একটু ব্যতিক্রম করেছিল কিন্তু আমি প্রথম ও দ্বিতীয় জনের প্রশ্নের উত্তর হাতে লিখেছিলাম। উত্তর টি দেখে দেখে বোর্ডে লিখে ফেলি এবং স্যার আমাকে বলল লেখা হয়েছে কি না আমি রীতিমত বললাম জ্বী স্যার। তারপরে বোর্ডের এক সাইডে দাঁড়িয়ে ছিলাম তখন স্যার বলল এটা তুমি কি লিখেছ। আমি স্যারকে বললাম স্যার যেটা বলেছেন সেটার উত্তর। সার সবাইকে জিজ্ঞাসা করলো এটার উত্তর এটা হয়েছে কি। সবাই বলল না স্যার।

received_601921081674801.jpeg

আমি রীতিমত সেই জায়গায় অনেকক্ষন লজ্জায় দাড়িয়ে থেকে এবং হাতে একটি বেতের বাড়ি খেয়ে চলে আসি এবং আমার জায়গায় বসি। অনেকক্ষণ সেই ক্লাসের কারোর দিকে তাকাতে পারেনি কারণ অনেক লজ্জা লেগেছিল। সেই মুহূর্তটা আসলে ক্লাসে যদি একটু মনোযোগী হওয়া যেত তাহলে আর এ ঘটনা ঘটতোনা। স্কুলে মনোযোগী হলে স্কুলের পড়াটা অর্ধেকটাই ক্লাসে কমপ্লিট করা সম্ভব হয় আমি মনে করি।

আমার পরিচয়। 📎

আমি মোছাঃ সায়মা আক্তার। আমি একজন ব্লগার, উদ্যোক্তা এবং শিক্ষিকা।রেসিপি তৈরি করতে,কবিতা লিখতে এবং বিভিন্ন ধরনের ডিজাইন তৈরি করতে পছন্দ করি। যেকোনো বিষয়ে নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি।অবহেলিত মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারলে ভালো লাগে।তাই সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি।

বিষয়ঃ- "আমার বাংলা ব্লগ" প্রতিযোগিতা - ২৩।

কমিউনিটিঃ- আমার বাংলা ব্লগ।

আপনার মূল্যবান সময় নষ্ট করে আমার পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ.......

Sort:  
 2 years ago 

আপু মজার ছিল আপনার স্কুলের তিক্ত অভিজ্ঞতার কথাটা । আসলে এটা শুধু আপনার ক্ষেত্রে না প্রায় স্টুডেন্টদের ক্ষেত্রে ঠিক হয়ে থাকে, এমনকি আমার ক্ষেত্রেও অনেকবার হয়েছে, কোন কিছু না বুঝলেও সবার সাথে হ্যাঁ বলে দেওয়া 😁। যদিও পরে জিজ্ঞেস করলে না পারলে লজ্জা লাগে।

 2 years ago 

সুন্দর মন্তব্য করে সহযোগিতা করার জন্য ধন্যবাদ আপু।

 2 years ago 

প্রতিটা মানুষের স্কুল লাইফে কোন না কোন অভিজ্ঞতা রয়েছে, তবে আজকে আমি আপনার এই অভিজ্ঞতা সম্পর্কে জানতে পেরে মোটামুটি ভালো লাগলো। হয়তো বিষয়টা অন্যরকম তারপরেও নতুন কিছু জানতে পারলাম। তবে এমন একটি ঘটনা আমার লাইফে রয়েছে যাহা আপনাদের মাঝে শেয়ার করব।

 2 years ago 

আপনার অভিজ্ঞতা পড়ার জন্য অপেক্ষায় রইলাম।

 2 years ago 

আসলে আপনার মতো এরকম আমারও একবার হয়েছিল। ক্লাসে অমনোযোগী থাকার কারণে স্যার জিজ্ঞেস করাতে পড়া পারিনি। তারপর মাইর খাওয়াটা আসলেই অনেক লজ্জার বিষয়। আপনার অভিজ্ঞতা পড়ে ভীষণ ভালো লাগলো।

 2 years ago 

সব সময় পাশে থেকে সুন্দর সুন্দর মন্তব্য করে উৎসহ দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ আপু।

 2 years ago 

আপনার ঘটনার সাথে আমার ঘটনার অনেকাংশই মিল রয়েছে এমন আমার সাথে অনেকবার ঘটেছে।। বিশেষ করে একদিন ইসলাম শিক্ষা ক্লাসে খুব লজ্জা পেয়েছিলাম স্যার একটা বিষয় নিয়ে পড়া ছিল আমি অন্যমনস্ক হয়েছিলাম হঠাৎ করে স্যার আমাকে বলে তুমি কি কিছু বুঝেছ আমি বলেছি স্যার।। কিছু সময় পরে স্যার যখন বলে কি বুঝেছ এবার বল আমি তো হতাশ।।

যাহোক অনেক ভালো লাগলো আপনার গল্পটি পড়ে আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল

 2 years ago 

আপনার জন্যও শুভকামনা রইল ভাই।

Coin Marketplace

STEEM 0.17
TRX 0.14
JST 0.028
BTC 59264.94
ETH 2604.33
USDT 1.00
SBD 2.38