জেনারেল রাইটিং পোস্ট ||| মহামারী ডেঙ্গু থেকে রক্ষা ||| original writing by @saymaakter.
আসসালামু আলাইকু।আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সকল ভাই ও বেনেরা সকলেই পরিবারের সকল সদস্য নিয়ে সুস্থ আছেন এবং সুন্দর সময় অতিবাহিত করছেন।আমিও আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের ভালোবাসায় ও মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে বেশ ভালো আছি এবং পরিবারসহ সুন্দর সময় অতিবাহিত করছেন।
আজকে আমি আপনাদের মাঝে আবারও একটি জেনারেল রাইটিং নিয়ে উপস্থিত হতে যাচ্ছি। জানিনা আমার জেনারেল রাইটিং গুলো আপনাদের কাছে কেমন লাগে? তবে আমি চেষ্টা করে যাই আমার সর্বোচ্চ দিয়ে সুন্দর কিছু বিষয় আপনাদের সামনে উপস্থাপন করার।আজকেও তার ব্যতিক্রম নয় আবারও সুন্দর একটি বিষয় নিয়ে আপনাদের মাঝে উপস্থিত হলাম। চলুন আর কথা না বাড়িয়ে মূল বিষয়ে যাওয়া যাক।
বর্তমান সময়টা অনেক খারাপ একটি সময় যাচ্ছে। এ সময় ডেঙ্গুর প্রকোপ বেড়ে গিয়েছে। তাই এই ডেঙ্গু থেকে আমাদের সকলকেই নিরাপদে থাকতে হবে। এজন্য আমরা এব্যাপারে সকলকে সচেতন করবো এবং বাসাবাড়িতে যেন কোন ধরনের মশার উপদ্রব না থাকে সে ব্যাপারে ব্যবস্থা নিব।এতে আমরা ডেঙ্গু থেকে রক্ষা পাবো যেমন তেমনি আমরা সুস্থ থাকতে পারবো।
আমরা বাসাবাড়ির আশেপাশে কোথাও নোংরা পানি ফেলবো না এবং পানি জমে আছে এমন কোন পাত্র রাখবো না। এগুলো সব সময় পরিষ্কার রাখবো, এতে ডেঙ্গু মশার সংক্রামন কমে যাবে।যদি ডেঙ্গু মশা বিস্তার লাভ না করতে পারে তাহলে অনেক অংশে ডেঙ্গুর উপদ্রব কমে যাবে।আর ডেঙ্গু অনেক ভয়ঙ্কর একটি রোগ। এতে দেখা যায় যে খুব দ্রুত একটি মানব নিস্তেজ হয়ে পরে এবং মৃত্যুর আশঙ্কা থাকে অনেকাংশে।তাই এটি আমাদের জীবনের জন্য অনেক বড় হুমকি স্বরূপ।
শহরের লোকজন অনেকটাই সচেতন ডেঙ্গু থেকে, তবে আমাদের গ্রামের লোকজন ডেঙ্গুকে নিয়ে ভয় পায় না বললেই চলে। তাই আমাদের সকলের উচিত গ্রামের লোকজনদের ডেঙ্গু সম্পর্কে সচেতন করে তোলা।এতে দেখা যাবে গ্রামের অনেক অসহায় মানুষ এবং অসচেতন মানুষ এই রোগ থেকে রেহাই পাবে ও অকাল মৃত্যু থেকে রক্ষা পাবে।তাই আমরা সবাই সবাইকে সচেতন করবো ডেঙ্গু মহামারী থেকে দেশ এবং আমরা সবাই রক্ষা পাব।
আর আমাদের যদি কারো জ্বর এবং শরীর ব্যথা হয় তাহলে অবশ্যই ডাক্তারের শরণাপন্ন হবো এবং ডেঙ্গু সবার আগে পরীক্ষা করাব। এতে দেখা যাবে যে আমাদের যদি ডেঙ্গু হয়েও থাকে তবে সচেতন থাকলে অনেকটাই এই রোগ থেকেও রক্ষা পাওয়া সম্ভব।
পরিশেষে সকলের কাছে একটি অনুরোধ,সেটি হল আমাদের অসচেতন মানুষগুলোকে সচেতন করে তোলায় আমাদের সচেতন মানুষদের দায়িত্ব ও কর্তব্য হয়ে উঠুক।
আমার পরিচয়।
আমি মোছাঃ সায়মা আক্তার।আমি একজন ব্লগার, উদ্যোক্তা।কবিতা লিখতে, নতুন কোনো রেসিপি তৈরি করতে এবং নতুন নতুন ডিজাইন সৃষ্টি করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি।আমি উদ্যোক্তা জীবনে সব সময় গ্রামের অবহেলিত মহিলাদের নিয়ে কাজ করি।আর এই অবহেলিত মহিলাদের কাজ নিয়ে দেশের স্বনামধন্য কিছু প্রতিষ্ঠানে প্রোভাইড করি এবং দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বর্তমানে বিদেশেও রপ্তানি করছি।আর এসব কিছুর পিছনে আমার এই অবহেলিত মহিলাদের উৎসহ এবং উদ্দীপনায় সম্ভব হয়েছে।তাই সব সময় আমি অবহেলিত মানুষের পাশে থাকতে এবং অবহেলিত মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারলে খুব ভালো লাগে।এজন্যই সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি এবং তাদের সহযোগিতায় নিজেকে সব সময় সম্পৃক্ত রাখি।
একদম ঠিক বলেছেন আপু গ্রামের লোকজন ডেঙ্গু নিয়ে খুব কমই ভয় পাই। এইতো কয়েকদিন আগে আমাদের গ্রামে মহামারী ডেঙ্গু জ্বর নিয়ে মাইকিংয়ের মাধ্যেমে সতর্কতা বার্তা দিয়ে গেল। আপনি খুবই সুন্দর ভাবে ডেঙ্গু প্রতিরোধের বিষয়টা আমাদের সাথে তুলে ধরেছেন। ধন্যবাদ আপু।
আপু আপনাদের গ্রামের লোক তাহলে দেখছি অনেক সচেতন।
বর্তমানে অনেকেই ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছে। আমাদের মহল্লার এক পরিচিত বড় ভাই ডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হয়ে বেশ কিছুদিন যাবৎ ভুগছেন। উনার শরীর একেবারে দুর্বল হয়ে গিয়েছে। তাই আমাদের সবার উচিত এই ব্যাপারে সতর্কতা অবলম্বন করা। যাইহোক এমন সচেতনতামূলক একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
সব সময় পাশে থেকে সুন্দর সুন্দর মন্তব্য করে উৎসাহ দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ ভাই।
মশার বংশবিস্তারের জন্য সবচেয়ে বড় দায়ী আমরা নিজেই। আমরা যদি আমাদের বাড়ির আশপাশের আবর্জনা কোন জলাশয় পানিবদ্ধ কোন জিনিস দূর করে যদি রাখি তাহলে অবশ্যই মশার উপদ্রব কমে। কিন্তু দেখা যায় আমাদের চারপাশে এতটাই নোংরা যেগুলো আমরা দেখেও না দেখার ভান করি যেখানে সেখানে বৃষ্টির পানি জমে মশা বংশ আবিষ্কার করছে সেদিকে লক্ষ্য রাখিনা। এই সমস্ত কারণেই তো আজ ডেঙ্গু জ্বরের সমস্যা বেশি। তাই এ বিষয়ে আমাদের সবারই সজাগ ও সচেতন হতে হবে।
আপনার সঙ্গে সম্পূর্ণ একমত ভাই।
ডেঙ্গু প্রতিরোধের অনেক বিষয় বইয়ের পাতায় পড়েছি। তবে অনেকদিন পর আবার সেই জিনিসগুলো আপনার পোষ্টের মাধ্যমে জানতে পারলাম। তাছাড়া এটা ঠিক কথা যে, গ্রামের লোকদের ডেঙ্গু প্রতিরোধে সবার আগে সচেতন করা উচিত। কারণ তারা এই বিষয়ে অনেকটাই অজ্ঞ।
সুন্দর মন্তব্য করে উৎসাহ দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ দাদা।
আসলে এই ডেঙ্গু থেকে বাঁচতে হলে আমাদের নিজেদেরকেই বিভিন্ন ধরনের পদ্ধতি অবলম্বন করতে হবে। কেননা এই ডেঙ্গু মশার জন্য আমরা নিজেরাই কিন্তু দায়ী। কেননা মানুষ যেভাবে যেখানে সেখানে নোংরা আবর্জনার ফেলে এতে করে কিন্তু ডেঙ্গু মশার প্রাদুর্ভাব বেড়ে যাবে। এছাড়াও আপনি প্রত্যেকটা কথা একদম ঠিকঠাক বলেছেন আপনার এই পোস্টে। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটা পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
সব সময় সুন্দর সুন্দর মন্তব্য করে কাজে উৎসাহ দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ দাদা।
গ্রামর লোকেরা ডেঙ্গু নিয়ে কম সচেতন কথাটা ঠিক। কিন্তু গ্রামে ডেঙ্গুর প্রভাবও কিন্তু শহরের চেয়ে অনেক কম। শহরে এই প্রকোপ সবসময়ই বেশি। তবে এই সময় টা আমাদের সাবধান সচেতন এবং পরিষ্কার থাকা উচিত। বেশ চমৎকার লাগল আপনার লেখাটা। ধন্যবাদ আমাদের সাথে শেয়ার করে নেওয়ার জন্য।।
মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ ভাই।
আসলে এই ডেঙ্গু মশার উৎপত্তির জন্য আমরা মানুষরাই দায়ী৷ কারণ আমাদের অসচেতনতার কারণে এই মশা জন্ম হয়ে থাকে৷ এই মশার কারণে আমাদের অনেক ধরনের রোগের সৃষ্টি হয় এবং এর ফলে আমরা অনেক সমস্যার সম্মুখীন হয়ে থাকে৷ এই সমস্যা যখন অনেকটাই বড় পরিসরে সৃষ্টি হয় তখন আমরা আর কিছুই করে উঠতে পারে না৷ তাই আমাদের উচিত প্রথম থেকে সবকিছু ঠিক রাখা৷ ধন্যবাদ এরকম সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য৷
অনেক সুন্দর করে ও গুছিয়ে মন্তব্য করে উৎসাহ দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।