আমার অনুভূতি ||| ছেলের স্কুলে ভর্তি।
আসসালামু আলাইকুম। আমার বাংলা ব্লগের ও বাংলার এপার ওপারের সকল ভাই ও বোনেরা প্রত্যাশা করছি এই শীতে পরিবারকে নিয়ে সুস্থভাবে ও সুন্দর ভাবে দিনযাপন করছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় ও মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় ভালো আছি।
আমি আজ আপনাদের মাঝে আমার ছেলের ভর্তির অনুভূতির শেয়ার করতে যাচ্ছি।আমরা যখন ছোট ছিলাম আমাদের বাবা-মা আমাদেরকে নিয়ে কত চিন্তা বা টেনশন করত সেটা হয়তোবা আমরা অনেকেই ভুলে গেছি অথবা সেইসময় খেয়াল করতাম না।কিন্তু আজ যখন আমরা গার্জিয়ান হয়েছি এবং আমাদের সন্তানকে একটি ভালো স্কুলে ভালো স্থানে ভালো পরিবেশে কিভাবে রাখব এটা প্রত্যেকটি বাবা-মার একটি টেনশন। এখন ছেলেকে নিয়ে যখন তার সব কাজগুলো করতে যাই তখন মনে পড়ে যায় আমার মার কথা।আবার মা বাবা হয়তো বা আমাদের জন্যও এত কিছু করেছে।এখন দায়িত্ব এসে পড়েছে সবকিছু পালন করতে গেলে মনে পড়ে সেই আগের স্মৃতিময় দিনগুলোর কথা।
সে সময়ও ভর্তির অন্যান্য চার্জ বাবদ অনেক টাকা দিতে হতো কিন্তু বাবার অফিসে যেতেই হবে।অফিস ছুটি নেই সে সময় কাঁদতাম যে বাবাকেই যেতে হবে আর কাউকে গেলে হবে না স্কুলে। কারণ সবাই শুধু বাবাকেই নিয়ে যেত ভর্তির সময়। তাইতো আমিও চেয়েছিলাম আমার বাবাকে নিয়ে ভর্তির সময় যাব কিন্তু আমার বাবা যেতে পারেনি। সেই সময় বড় ভাইকে নিয়ে গিয়েছিলাম ভর্তির জন্য। আজ বাবা নেই কিন্তু কেন জানি ছেলেকে ভর্তি করার সময়টা এই কথাগুলো মনে পড়ল। আমার স্বামী একটু ব্যস্ত ছিল তাই আমাকে যেতে হয়েছিল স্কুলে। তবে এর আগের বার ছেলের ভর্তির ফ্রি দিতে গিয়ে অনেক পেরেশানিতে পড়েছিলাম। সকাল দশটায় গিয়ে বাসায় এসেছিলাম প্রায় দুপুরে।বিশাল লম্বা লাইন ছিল।
কার আগে কে যেতে পারবে সেটাও ছিল এবং ব্যাংক থেকে বুথের লোকজন আসতেও একটু দেরি করেছিল।সবমিলিয়ে অনেক লেট হয়েছিল এর আগের বার চেয়ে এবার স্কুলের পরিবেশটা একটু ভিন্ন ছিল। চারদিকটা নিরিবিলি এবং নিয়ম শৃঙ্খলা ছিল। বেশিক্ষণ স্কুলে আমাকে সময় দিতেও হয়নি। কারণ এবার বেশ কিছু দিন সময় বাড়িয়ে দেওয়া হয়েছিল তাই হয়তো বা অনেক অভিভাবক আগেই ভর্তি ফি প্রদান করে গিয়েছে যার কারণে ভিড় হয়তো কম।আজ ছিল শেষের দিনের আগের দিন।তাইতো দেরি না করে আজই গেলাম কারণ ২৮ তারিখ শেষ দিন।সেই দিন সেই ২০২২ সালের মত হতে পারে তাই ছেলেকে নিয়ে খুব দ্রুত বেরিয়ে গেলাম স্কুলের উদ্দেশ্যে এবং স্কুলের পরিবেশ ও নিয়ম-শৃঙ্খলা দেখে অনেকে ভালো লাগলো খুব দ্রুত কাজ শেষ করে মা ছেলে একটু আনন্দ করে বাসায় চলে এলাম।
আজকের মত এখানেই শেষ করলাম তবে আগামীতে আবারো কোন বিষয় নিয়ে আপনাদের সামনে উপস্থিত হব ইন-সা-আল্লাহ।
আমি মোছাঃ সায়মা আক্তার। আমি একজন ব্লগার, উদ্যোক্তা এবং শিক্ষিকা।কবিতা লিখতে, নতুন কোনো রেসিপি তৈরি করতে এবং নতুন নতুন ডিজাইন সৃষ্টি করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি।সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকতে এবং অবহেলিত মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারলে খুব ভালো লাগে।তাই সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি এবং তাদের সহযোগিতায় নিজেকে সব সময় সম্পৃক্ত রাখি।
বিষয়ঃ- আমার অনুভূতি "ছেলের স্কুলে ভর্তি"।
কমিউনিটিঃ- আমার বাংলা ব্লগ।
আপনার মূল্যবান সময় নষ্ট করে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ..........
![3GcRe1vqX2dJk1W2xoFiu1CmPKLbXg5xF9NQ7aeyMdZG9WCnFCoaf77HnnjtGbxvtcZCVRGcMv32JELn7yGd7yduEbShNRxvckSFu5qxWm...4DBE7bSVB6BMULGX4TiDD37LfoKG4LDay4BF3jrUv6vvtoQgQ4ehXkDbqeAwyZ67B7q88vWNYwYe5K84y94JWzcu4Af3kiuQQ3akwFfHeiCdAEkfAf6qBTacXg.png](https://steemitimages.com/640x0/https://cdn.steemitimages.com/DQmUrZ96HrPS8RqdXHkCYz9cg6iicE9mTtyTegUJ4kD1J5T/3GcRe1vqX2dJk1W2xoFiu1CmPKLbXg5xF9NQ7aeyMdZG9WCnFCoaf77HnnjtGbxvtcZCVRGcMv32JELn7yGd7yduEbShNRxvckSFu5qxWm...4DBE7bSVB6BMULGX4TiDD37LfoKG4LDay4BF3jrUv6vvtoQgQ4ehXkDbqeAwyZ67B7q88vWNYwYe5K84y94JWzcu4Af3kiuQQ3akwFfHeiCdAEkfAf6qBTacXg.png)
বাবারা চাইলেও অনেক সময় বিভিন্ন কাজের চাপে সময় দিতে পারে না। যাইহোক আপনার ছেলেকে ভর্তি করতে গিয়ে আপনার ছেলেবেলার কথাও মনে পরে গেছে।
আপনার ছেলেকে ভালো স্কুলে ভর্তি করতে পেরেছেন জেনে ভীষণ খুশি হলাম। তাছাড়াও স্কুলের পরিবেশ দেখে আপনি সন্তুষ্ট জেনে ভালো লাগলো।
জি ভাই স্কুলের পরিবেশটি দেখে আসলেই আমার অনেক ভালো লেগেছে।
হ্যাঁ এখন স্কুলে ভর্তি করাতে গেলেও পর্যায়ক্রমে সিরিয়াল দিতে হয়। তবে শহরের স্কুলগুলোতে ভর্তির সময় একটু বেশি ভোগান্তি পোহাতে হয়। আর যদি আপনার কথা বলি তাহলে সব সময় মেয়েরা বাবাকে বেশি ভালোবাসে এজন্যই হয়তো আপনি ছোটবেলায় ভর্তির সময় বাবার সাথে যেতে চেয়েছিলেন। দোয়া করি আল্লাহ তায়ালা উনাকে জান্নাতুল ফেরদাউস দান করুক আমিন।
অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই।
আবারো নতুন বছরের আগমন,কয়েক দিনের মধ্যে আমরা ২০২৪ সালে পদার্পণ করতে চলেছি। আর এরই মধ্যে যাদের বাচ্চা রয়েছে তারা ব্যস্ত হয়ে পড়েছে বিভিন্ন ভালো প্রতিষ্ঠানে ভর্তি করানোর জন্য। ঠিক তেমনি আজকে আপনি আপনার বাচ্চার ভর্তি করার অনুভূতি শেয়ার করেছেন এই পোস্টের মাঝে। যেখানে দেখা গেল অনেক মানুষের আগমন, তাদের সন্তানদের ভর্তি করানোর জন্য। তাই খুবই ভালো লাগলো সুন্দর এই অনুভূতিমূলক পোস্ট শেয়ার করেছেন দেখে।
সুন্দর মন্তব্য করে উৎসহ দেওয়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
প্রতিটি বাবা চায় সন্তানদের সব ধরনের দায়িত্ব পালন করতে। কিন্তু সবসময় সেটা সম্ভব হয় না। কারণ একজন বাবা চাকরি করুক কিংবা ব্যবসা,প্রচুর পরিমাণে ব্যস্ত থাকতে হয়। হয়তো ছোটবেলা আমরা সেটা বুঝতাম না,কিন্তু এখন সবকিছুই বুঝি। কারণ আমরা এখন এসবকিছুর সাথে একেবারে ওতপ্রোতভাবে জড়িত হয়ে গিয়েছি। যাইহোক ছেলেকে ঠিকঠাক মতো ভর্তি করতে সক্ষম হয়েছেন,এটা জেনে ভীষণ ভালো লাগলো আপু। এতো চমৎকার একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।