রেসিপি ||| গছি মাছের ভুনা।
হ্যালো বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন? আশা করছি আমার বাংলা ব্লগের সকল ভাই ও বোনেরা সুস্থভাবে দিন যাপন করছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় আল্লাহর রহমতে সুস্থ হয়ে উঠছি।
আমি আজ আপনাদের মাঝে নতুন আরেকটি রেসিপি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। মাছে ভাতে আমরা বাঙালি।তাইতো বাঙালি হিসেবে আমরা নানান রকমের রেসিপির আয়োজন করে থাকি। আমাদের পরিবারের ভালো মন্দর দিকটা আমাদেরকে বেছে নিতে হয়।পরিবার কিসে ভালো থাকবে, পরিবার কি খেলে ভালো থাকবে,সেই খাবারটি স্বাস্থ্যসম্মত কিনা।সব দিকেই আমাদের নারীদের নজর দিতে হয়।আমরা খাওয়ার টেবিলে যদি একি রকম রেসিপি তৈরি করে রাখি সে খাবারের প্রতি আমাদের পরিবার অনীহা বোধ করবে তাইতো আমাদের সেদিকটাও নজর রাখতে হয় । সব সময় ঝোল তরকারি করে খেতে যেমন ভালো লাগে না তেমনি ভোনা খেতেও ভালো লাগেনা । দুটোর সমন্বয়ে রেখেই আমাদেরকে পরিবারের দায়িত্ব নিয়ে কাজ করতে হয়। আমি আজ আপনাদের মাঝে "গছি মাছের ভুনা" নিয়ে হাজির হয়েছি। আমাদের এলাকায় এই মাছটিকে গছি মাছ বলে। জানিনা আপনাদের এলাকায় এই মাছের নাম কি?আমি যেটা জানি সেটাই লিখলাম। চলুন আর কথা না বাড়িয়ে এই "গছি মাছের ভুনা" কিভাবে তৈরি করেছি তার সমস্ত প্রস্তুত প্রণালী দেখে নেওয়া যাক ।
উপকরণসমূহঃ-
১।গছি মাছ।
২।আলু।
৩।কাঁচা মরিচ।
৪।পেঁয়াজ।
৫।রসুন
৬।হলুদের গুঁড়ো।
৭।মরিচের গুঁড়ো।
৮।জিরা গুঁড়ো।
৯।লবণ।
১০।তৈল।
প্রথমে গছি মাছ গুলো পরিষ্কার করে লবণ দিয়ে মেখে রেখেছি ।
লবণ পানি দিয়ে মেখে রাখা মাছগুলো পানি দিয়ে সুন্দর করে পরিষ্কার করে আবারও পানিতে ভিজিয়ে রেখেছি ।
এবার মাছগুলো ছোট ছোট অংশে কেটে নিয়েছি এবং পানি দিয়ে আবার সুন্দর করে ধুয়ে নিয়েছি।
আলুর খোসা ছাড়িয়ে নিয়ে সুন্দর করে ছোট ছোট অংশে কেটে একটি বাটিতে নিয়েছি।
পেঁয়াজের খোসা ছাড়িয়ে পরিষ্কার করে রান্নার উপযোগী করে কেটে নিয়েছি।
কাঁচামরিচ পরিষ্কার করে রান্নার উপযোগী করে কেটে নিয়েছি।
আলুর খোসা ছাড়িয়ে নিয়ে কুঁচি কুঁচি করে কেটে নিয়েছি।
এবার ফ্রাইপেনে কাঁচামরিচ কুঁচি,পেঁয়াজ কুঁচি, রসুন কুঁচি,হলুদের গুড়া, মরিচের গুঁড়ো, জিরার গুঁড়ো, লবন ও তৈল দিয়ে মসলার উপকরণ গুলো ভেঁজে নিয়েছি।
ভেঁজে নেওয়া মসলায় আলুগুলো দিয়ে ভেঁজে নিয়েছি।
ভেঁজে নেওয়া আলুতে সেই গছি মাছ গুলো দিয়ে আবারো নেড়েচেড়ে ভেঁজে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিয়েছি।
এবার ঢাকনা খুলে সামান্য পরিমাণ পানি দিয়ে আবারো কষিয়ে নিয়ে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিয়েছে। পানি শুকিয়ে যাওয়া পর্যন্ত অপেক্ষা করেছি। যখন পানি শুকিয়ে গিয়েছে তখন বুঝতে পেরেছি আমার "গছি মাছের ভুনা"রেসিপি হয়ে গিয়েছে।এবার এই "গছি মাছের ভুনা" রেসিপির একটি ছবি আপনাদের সামনে উপস্থাপন করলাম।
আমি মোছাঃ সায়মা আক্তার। আমি একজন ব্লগার, উদ্যোক্তা এবং শিক্ষিকা।কবিতা লিখতে, নতুন কোনো রেসিপি তৈরি করতে এবং নতুন নতুন ডিজাইন সৃষ্টি করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি।সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকতে এবং অবহেলিত মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারলে খুব ভালো লাগে।তাই সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি।
বিষয়ঃ- রেসিপি পোস্ট "গছি মাছের ভুনা"।
কমিউনিটিঃ- আমার বাংলা ব্লগ।
আপনার মূল্যবান সময় নষ্ট করে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ..........
আমাদের গ্রাম্য ভাষায় এই মাছকে আমরা গতা মাছ বলি। এই মাছগুলো খেতে অনেক সুস্বাদু। ঝাল ঝাল ভুনা করলে খেতে যেমন ভালো লাগে তেমনি আলু দিয়ে রান্না করলেও খেতে অনেক মজার হয়। আপু আপনি দারুন লোভনীয় একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন।
জি আপু এই মাছকে বিভিন্ন এলাকায় বিভিন্ন নামে বলে থাকেন।
আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন গছি মাছের ভুনা। আপনার তৈরি রেসিপি দেখে রমজান মাসের কথা মনে পড়ে গেল। রমজান মাসে বেশ কয়েকদিন এই রেসিপি খেয়েছিলাম তারপরে আর খাওয়া হয়নি। তবে এই রেসিপি খেতে বেশ সুস্বাদু লাগে। ধন্যবাদ এত সুন্দর ভাবে পোস্ট তৈরি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
জি ভাই এ রেসিপি খেতে অনেক মজার এবং টেস্টি।
এই মাছকে আমরা বাইম মাছ বলি। এ মাছ খেতে খুবই সুস্বাদু হয়ে থাকে। তবে বেশ কয়েকদিন এই মাছটি খাওয়া হয়নি। দেখে বোঝা যাচ্ছে রেসিপি খেতে খুবই মজা হয়েছে। সুস্বাদুও মজাদার একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
সুন্দর মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।
আপু অনেকদিন পরে গছি মাছ দেখলাম। যদিও এক সময় খালে বিলে প্রচুর পরিমাণে এই মাছ দেখা যেতো। আমরা নিজেই খালে বিলে প্রচুর পরিমাণে এই মাছ ধরে নিয়ে এসেছি। কিন্তু এখন আর এই মাছ সেভাবে দেখা যায় না। যাহোক আপনি গছি মাছের ভুনা করেছেন আপনার রান্না দেখে বোঝা যাচ্ছে রান্নাটি কতটা সুস্বাদু হয়েছে। এত সুন্দর একটা রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
আপনাকেও ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করে কাজের গতি বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য।
আসলে একেক জায়গায় একেক রকম ভাষায় ডাকা হয় এই মাছগুলোকে। তবে এই মাছগুলো আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। খুব চমৎকারভাবে বলে তৈরি করেছেন দেখেই মনে হচ্ছে অনেক মজা হয়েছে।
মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
এই মাছটি আমি বাইম মাছ নামে চিনি। বাইম মাছ ভুনা খেতে দারুণ লাগে। তবে বড় সাইজের বাইম মাছ ভুনা আরো বেশি সুস্বাদু লাগে। বাইম মাছ ভুনা করে উপর দিয়ে জিরার গুঁড়া দিলে আরো বেশি ইয়াম্মি লাগে খেতে। আপনার রেসিপিটা দেখতে বেশ লোভনীয় লাগছে আপু। খেতেও মনে হচ্ছে খুব মজা হয়েছে। যাইহোক ধাপে ধাপে এতো মজাদার একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনি ঠিক বলেছেন ভাই বড় মাছের রেসিপি আরও বেশি মজার হয়।