রেসিপি পোস্ট |||| মিষ্টি লাউ ফুলের পাকোড়া।
আসসালামু আলাইকুম।আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সকল ভাই ও বোনেরা আশা রাখি সকলে সপরিবারে এই প্রচন্ড ঠান্ডার মধ্যেও সুস্থভাবে দিন যাপন করছেন।মহান সৃষ্টিকর্তার কাছে এই কামনাই সবসময় করি যাতে পুরো মানবজাতিকে হেফাজত করেন।আমিও মহান সৃষ্টিকর্তার কৃপায় ও আপনাদের ভালোবাসায় ভালো আছি আলহামদুলিল্লাহ।
আজকে আমি আপনাদের মাঝে আর একটি নতুন রেসিপি নিয়ে হাজির হতে চলেছি।জানিনা আমার রেসিপিগুলো আপনাদের কাছে কেমন লাগে? তবে আমি চেষ্টা করে যাই সব সময় ব্যতিক্রম কিছু রেসিপি বা ব্যতিক্রম কিছু পেলেই সেটি আপনাদের সামনে উপস্থাপন করার।আমরা প্রতিটি পরিবারের গৃহিণী চেষ্টা করি সব সময় পরিবারকে নিত্য নতুন কিছু তৈরি করে খাওয়ানোর জন্য।যাতে পরিবারের কর্তা এবং পরিবারের সদস্যবৃন্দর ভালোবাসায় সিক্ত হতে পারি।আমি আপনাদের মাঝে বিভিন্ন ধরনের রেসিপি নিয়ে ইতিপূর্বে হাজির হয়েছি কিন্তু আজকের রেসিপিটি আপনাদের কাছে হয়তোবা খুব ইউনিক বা ব্যতিক্রম লাগবে না।তবে আমার কাছে এটি অনেক ব্যতিক্রম একটি রেসিপি কারণ খুব অল্প সময়ে পরিবারের সদস্যদেরকে সন্তুষ্ট করা যায় এই রেসিপি তৈরি করে।আমার আজকের রেসিপি নাম "মিষ্টি লাউ ফুলের পাকোড়া"। চলুন আর কোন আলাপ না করে সরাসরি আমার রেসিপি তৈরির প্রসেস নিয়ে আলোচনা করা যাক।
প্রয়োজনীয় উপকরণসমূহঃ-
১. মিষ্টি লাউ ফুল।
২. বেসন।
৩. হলুদ গুঁড়া।
৪. লবণ।
৫. মরিচ গুঁড়া।
৬. তৈল।
৭. জিরা গুঁড়া।
৮. চালের গুঁড়া।
প্রথমে লাউ ফুলগুলো সুন্দর করে পরিষ্কার করে নিয়েছে এবং পানিতে ধুয়ে নিয়েছি।
এবার একটি বাটিতে বেসন এবং চালের গুঁড়া এক জায়গায় করে নিয়েছি।
এবার এর ভিতরে মরিচের গুঁড়া দিয়ে নিয়েছি।
এবারের মধ্যে হলুদের গুঁড়া দিয়েছি।
এবারের মধ্যে জিরা গুঁড়া দিয়েছি।
এবার এই বাটির মধ্যে পানি দিয়ে পুরা মিশ্রণটিকে মিক্সড করে নিয়েছি।
এবার এই মিশ্রণের মধ্যে লাউ ফুলটিকে সুন্দর করে মিশ্রণ লাগিয়ে নিয়েছি।
এবার কড়াইয়ে তৈল দিয়ে তৈল গরম হলে এই মিষ্টি লাউয়ের ফুলটিকে এপিট ওপিঠ ভেঁজে নিয়েছি।আর এভাবে হয়ে গেল আমার "মিষ্টি লাউ ফুলের পাকোড়া" রেসিপি।এবার এই "মিষ্টি লাউ ফুলের পাকোড়া" এর একটি ছবি আপনাদের সামনে উপস্থাপনা করলাম।
আমি মোছাঃ সায়মা আক্তার। আমি একজন ব্লগার, উদ্যোক্তা এবং শিক্ষিকা।কবিতা লিখতে, নতুন কোনো রেসিপি তৈরি করতে এবং নতুন নতুন ডিজাইন সৃষ্টি করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি।সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকতে এবং অবহেলিত মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারলে খুব ভালো লাগে।তাই সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি এবং তাদের সহযোগিতায় নিজেকে সব সময় সম্পৃক্ত রাখি।
বিষয়ঃ- রেসিপি পোস্ট "মিষ্টি লাউ ফুলের পাকোড়া"।
কমিউনিটিঃ- আমার বাংলা ব্লগ।
আপনার মূল্যবান সময় নষ্ট করে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ..........
আজকে ইউনিক একটি রেসিপি দেখতে পেলাম। কখনো ভাবি নি লাউ ফুল দিয়ে এই ধরনের পকোড়া রেসিপি তৈরি করা যায়। আজকে দারুন একটা রেসিপি তৈরি করেছেন । সত্যিই ভালো লাগলো এমনিতেই ভাজি জাতীয় খাবার আমার খুবই প্রিয় । শীতকালীন সময়ে যেটা সবচেয়ে বেশি পছন্দ করে খেতে। অনেক ভালো লেগেছে এত সুন্দর একটা রেসিপি তৈরি করে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
You've got a free upvote from witness fuli.
Peace & Love!
এটা ঠিকই বলেছেন আপু, কিছু ধরনের রেসিপি আছে যেগুলো ইউনিক না হলেও সেগুলো তৈরি করে পরিবারের সদস্যদের খুশি করা যায় সেটাই বড় কথা ।আর এই ধরনের পাকোড়া গুলো খেতে খুবই ভালো লাগে অনেক আগে খেয়েছি । আবার আপনারটা দেখে কিন্তু খেতে মন চাইছে । সুন্দর হয়েছে দেখেই বোঝা যাচ্ছে খেতে মজা হয়েছিল ।
সব সময় সুন্দর সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ।
আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটিতে কাজ করার পর থেকে এত ইউনিক ইউনিকরেসিপি দেখেছি। আমার কাছে মিষ্টি কুমড়া ফুলের পাকোড়া রেসিপিটি খুব ভালো লাগে। যা আপনাদের মাধ্যমে দেখতেছি প্রতিনিয়ত। কিন্তু এখনো তৈরি করে খাওয়া হয়নি। তবে একদিন তৈরি করে করার ইচ্ছে আছে আমার।
একদিন বাসায় তৈরি করে খেয়ে দেখেন আপু অনেক মজা লাগবে।
বেশ মজার খেতে মিস্টি কুমড়া ফুলের পাকোড়া। আর বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি পরিবারের সদস্যদের খাওয়াতে রাধুনীরা পছন্দ করে। বেশ লোভ লাগছে পাকোড়া দেখে। ধন্যবাদ ধাপে ধাপে পাকোড়া তৈরির ধাপ শেয়ার করার জন্য।
ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করে উৎসাহ দেওয়ার জন্য।
আমাদের দিকে আপু এটাকে বড়া বলে। মিষ্টি লাউয়ের বড়াও খেতে মজা হয়। গরম গরম খেতে পারলে ভালো লাগে বেশি। আপনি সুন্দর করে দেখিয়েছেন
জি ভাই এলাকাভিত্তিক বিভিন্ন নাম হয়ে থাকে।
আমি শুনেছি মিষ্টি লাউ ফুলের পাকোড়া তৈরি করা যায়, রেসিপিটা খুব দারুণ তবে আমি কখনো ফুলের পাকোড়া খাইনি। এটা আমার কাছে একদম ইউনিক ছিল আশা করি খেতে খুব ভালো হবে।
জি ভাই খেতে অনেক মজাদার এবং টেস্টি।
মিষ্টি কুমড়া ফুলের পাকোড়া খেতে ভীষণ সুস্বাদু লাগে।মিষ্টি কুমড়ো ফুলের নিচের শক্ত অংশটি মিষ্টি মিষ্টি লাগে খেতে।ভীষণ লোভ লেগে গেলো আপনার ফুলের পাকোড়া গুলো দেখে।ধাপে ধাপে তৈরি পদ্ধতি দারুণ সুন্দর করে তুলে ধরেছেন। ধন্যবাদ সুন্দর পাকোড়া রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য।
ঠিক বলেছেন দিদি তাই তো খেতে অনেক মজা।
আসলে আপু আপনি প্রতিবারই ইউনিক রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেন। আপনার এই রেসিপি দেখে সত্যি খুবই ভালো লাগে। এই ফুলের রেসিপি দেখেই মজাদার মনে হচ্ছে। কখনো এরকম রেসিপি তৈরি করা হয়নি। তাই আপনার রেসিপির পরিবেশন দেখে শিখে নিলাম।
জি ভাই খেতে অনেক মজাদার এবং মুখরোচক ছিল।
সত্যি বলতে নিজে কখনো লাউ ফুলের পাকোড়া তৈরি করে খায়নি তবে কমিউনিটিতে পোস্ট দেখেছি। রেসিপিটাকে ইউনিক বলা যেতে পারে যেহেতু নিজে এখনো খাইনি তবে পরিবেশন দেখে তো বেশ লোভনীয় মনে হচ্ছে।
একদিন বাসায় তৈরি করে খেয়ে দেখেন ভাই অনেক মজা লাগবে।