রেসিপি পোস্ট ||| মুচমুচে মজার খুরমা।
হ্যালো বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন? আশা করছি আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সকল সদস্যের ভাইবোনেরা পরিবারকে নিয়ে সুস্থ ও সুন্দরভাবে দিন যাপন করছেন।আমিও আপনাদের দোয়ায় ও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি।
আমি আজ আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি একটি রেসিপি পোস্ট নিয়ে।নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করতে যেমন ভালো লাগে। তেমনি পরিবার-পরিজন ও অতিথিকে নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করে আপ্যায়ন করতে পারলে অনেক আনন্দ লাগে।যখনি নতুন রেসিপি তৈরি করি মনের ভেতর সবসময় ঘুরপাক খায় কখন আমি আমার বাংলা ব্লগে পোস্টটি শেয়ার করব।
আমার বাংলা ব্লগের সঙ্গে অনেকদিন হলো জড়িয়ে আছি যার কারণে তার প্রতি একটি ভালোবাসা সৃষ্টি হয়েছে।তাইতো সব সময় চেষ্টা করি ইউনিক পোস্ট নিয়ে বাংলা ব্লগে হাজির হতে। ছোটবেলায় একটি সময় আমরা একটি খাবার খেয়েছিলাম। এই খাবারটি আমার মনে হয় সবাই চেনে। তবে আমাদের এলাকায় এই খাবারটিকে খুরমা বলে চেনে।
আসলে যে কোন রেসিপি প্রথমবার তৈরি করতে গেলে মনের ভেতর সাহস না থাকলে সেই রেসিপিটি তৈরি করা হয় না। তাইতো আজ মনে অনেক সাহস নিয়ে রেসিপিটি তৈরি করে ফেললাম এবং প্রথমবার তৈরি করেই এত পারফেক্ট হবে তা কল্পনাও করিনি।
তাই চলে আসলাম পারফেক্ট একটি রেসিপি নিয়ে আপনাদের মাঝে। আমার রেসিপির নাম মুচমুচে মজার খুরমা। চলুন আর কথা না বাড়িয়ে এই মুচমুচে মজার খুরমার রেসিপি কিভাবে তৈরি করেছি দেখে নেয়া যাক ।
উপকরণসমূহ
১।ময়দা।
২।কালিজিরা।
৩।চিনি।
৪।লবণ।
৫।সয়াবিন তৈল।
প্রথমে এক কাপ পরিমাণ ময়দা একটি বাটিতে নিয়েছি।
এবার ময়দায় কালোজিরা দিয়ে দিয়েছি।
সামান্য পরিমাণ লবণ ও সয়াবিন তেল দিয়ে নিয়েছি।
এবার একটি বাটিতে পানি গরম করে নিয়েছি ।
সেই গরম পানি দিয়ে ময়দার সমস্ত উপকরণ মেখে একটি খুমার করে নিয়েছি।
এবার ময়দার সেই খুমারটি বড় করে একটি রুটি বানিয়ে নিয়েছি ।
সেই রুটিটি একটি চাকুর সাহায্যে ছোট ছোট করে পিস করে কেটে নিয়েছি।
এবার একটি ফ্রাই প্যানে তেল গরম করে পিস করা টুকরো গুলো মুচমুচে করে ভেঁজে নিয়েছি।
ফ্রাই প্যানে চিনি দিয়ে এবং সাথে সামান্য পানি দিয়ে চিনির শিরা তৈরি করে নিয়েছি।
যখন চিনির শিরাটি ঘন হয়ে এসেছে তখন মুচমুচে খুরমা গুলো তার মধ্যে দিয়ে অনেকক্ষণ নেরেছি। যতক্ষণ পর্যন্ত চিনিগুলো শুকনো হয় এবং খুরমার গায়ে চিনি লেগে যায় ততক্ষণ পর্যন্ত চুলায় হালকা আচে রেখেছি।যখন চিনিগুলো পারফেক্ট ভাবে খুরমার গায়ে লেগেছে তখন চুলা থেকে নামিয়ে নিয়েছি। এভাবেই হয়ে গেল আমার "মুচমুচে মজার খুরমা"।এবার এই "মুচ মুচে মজার খুরমা" রেসিপির একটি ছবি আপনাদের সামনে উপস্থাপন করলাম।
আমার পরিচয়।
আমি মোছাঃ সায়মা আক্তার।আমি একজন ব্লগার, উদ্যোক্তা।কবিতা লিখতে, নতুন কোনো রেসিপি তৈরি করতে এবং নতুন নতুন ডিজাইন সৃষ্টি করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি।আমি উদ্যোক্তা জীবনে সব সময় গ্রামের অবহেলিত মহিলাদের নিয়ে কাজ করি।আর এই অবহেলিত মহিলাদের কাজ নিয়ে দেশের স্বনামধন্য কিছু প্রতিষ্ঠানে প্রোভাইড করি এবং দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বর্তমানে বিদেশেও রপ্তানি করছি।আর এসব কিছুর পিছনে আমার এই অবহেলিত মহিলাদের উৎসহ এবং উদ্দীপনায় সম্ভব হয়েছে।তাই সব সময় আমি অবহেলিত মানুষের পাশে থাকতে এবং অবহেলিত মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারলে খুব ভালো লাগে।এজন্যই সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি এবং তাদের সহযোগিতায় নিজেকে সব সময় সম্পৃক্ত রাখি।
বেশ স্বাদের কিছু মনে হয়েছে, আইডিয়াটাও আমার কাছে ভালো লেগেছে। নতুন কিছু শিখলাম। অনেক ধন্যবাদ
আপনার কাছে আমার রেসিপিটি ভালো লেগেছে, তার মানে আমার রেসিপিটি তৈরি করা সার্থক। সুন্দর মন্তব্য করে উৎসহ দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ ভাই।
ঠিক বলেছেন আপু নতুন নতুন যে কোন রেসিপি তৈরি করতে আমার কাছেও ভালো লাগে। আবার কাউকে খাওয়াতে পারলে আরো বেশি ভালো লাগা কাজ করে। খুরমা সবসময় কিনে খাওয়া হয়। খুব সহজেই আপনি বাসায় তৈরি করেছেন রেসিপিটি। শিখে নিলাম পরবর্তীতে কাজে লাগবে।
সব সময় উৎসহমুলক মন্তব্য করে কাজের গতি বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ আপু।
মিষ্টি জাতীয় রেসিপির মধ্যে আমার বেশ ফেভারিট খুরমা। তবে আমি চিনি দিয়ে তৈরি খুরমার চেয়ে, গুড় দিয়ে তৈরি খুরমা গুলো বেশি পছন্দ করি। যাহোক আপনি অনেক সুন্দর ভাবে তৈরি করে দেখানোর চেষ্টা করেছেন। আশা করি খেতে খুবই ভালো লেগেছে আপনার চমৎকার এই খুরমা রেসিপি।
জি আপু রেসিপিটি খেতে অনেক মজাদার ও টেস্টি ছিল।
আপু আপনি ঠিক বলেছেন মনে সাহস থাকলে সব কিছু করা সম্ভব। আর নতুন রেসিপি তৈরি করলে শেয়ার না করা পর্যন্ত আর ভালো লাগে না। যাইহোক আপু খুরমা বানানো শিখে নিলাম একদিন অবশ্যই তৈরি করবো।ধন্যবাদ আপনাকে সুস্বাদু একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
অবশ্যই আপু বাসায় তৈরি করে দেখেন অনেক মজা লাগবে।
খুরমা আমার খুব পছন্দের। আসলে আপু খুরমা খাওয়ার অনুভূতি অন্যরকম হয়ে থাকে। মুচমুচে মজাদার খুরমা দেখে খেতে খুব ইচ্ছে করতেছে। খুরমা তৈরি প্রক্রিয়া আপনি খুব সুন্দর করে আমাদের মাঝে ধাপে ধাপে উপস্থাপন করেছেন। কালোজিরা দেওয়াতে খেতে বেশ মজাদার হবে। ধন্যবাদ আপনাকে এতো অসাধারণ রেসিপি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ। সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
মুচমুচে মজার খুরমা রেসিপি দেখে ছোট বেলায় স্মৃতি মনে পড়ে গেলো। মেলায় গেলে খুরমা কিনে নিয়ে আসতাম। অনেক দিন হয়ে গেলো খুরমা খাওয়া হয়নি। আপনার রেসিপি দেখে তৈরি করার চেষ্টা করবো। অনেক ধন্যবাদ আপনাকে আপু।
সব সময় সুন্দর সুন্দর মন্তব্য করে উৎসাহ দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ ভাই।
অনেক পছন্দের একটি রেসিপি শেয়ার করলেন আপু আপনি। এই খাবারগুলোকে আমরা গজা বলে থাকি আপনারা খুরমা বলে থাকেন। তবে যে নামে চিনুক না কেন এই খাবার তো দেখছি প্রায় সব মানুষেরই প্রিয়। ঘরে তৈরি করতে পারলে আরো অনেক ভালো হয়। সুস্বাদু রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য ভালো লাগলো।
সুন্দর মন্তব্য করে উৎসাহ দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ আপু।
ঠিক বলেছেন আপু আমার বাংলা ব্লগে সবাই চেষ্টা করে ইউনিক কিছু শেয়ার করতে। আপনার খোরমা তৈরির পদ্ধতি আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে । দেখেই মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছে খেতে। ধন্যবাদ আপনাকে।
জি আপু খেতে অনেক সুস্বাদু ছিল।
মুচমুচে মজার খুরমা তৈরি করেছেন দেখে আমার তো অনেক পছন্দ হয়েছে। খুরমা খেতে আমি নিজেও পছন্দ করি। তবে একেবারে মিষ্টি খুরমা খেতে আমার খুব একটা ভালো লাগে না। এত মজাদার ভাবে এই খুরমা তৈরি করেছেন। এটা দেখলে সবার কাছেই ভালো লাগবে বলে আমার মনে হয়। মজাদার খুরমা তৈরি আপনার কাছ থেকে শিখতে পেরে ভালো লাগছে।
সুন্দর মন্তব্য করে কাজে উৎসাহ দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ আপু।
আপু মুচমুচে মজার খুরমা খেতে দারুণ লাগে আমার কাছে। আপনার এই মজার রেসিপি দেখে খুব খেতে ইচ্ছে করছে।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু। সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।