ফটোগ্রাফি পোস্ট ||| গ্রামের ফটোগ্রাফি।
আসসালামু আলাইকুম।আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সকল ভাই ও বোনেরা আশা করি সকলেই মহান আল্লাহ তায়ালার অশেষ কৃপায় সপরিবারে সুস্থ আছেন এবং ভালো আছেন ও সুন্দর সময় অতিবাহিত করছেন।
আজকে আমি আপনাদের মাঝে আমার কিছু গ্রামের প্রকৃতির ফটোগ্রাফি নিয়ে হাজির হতে চলেচ্ছি।জানিনা গ্রামীণ ফটোগ্রাফি গুলো আপনাদের কেমন লাগে?তবে সব সময় গ্রামীণ ফটোগ্রাফি সবার সামনে উপস্থাপন করার জন্য অনেক বেশি আগ্রহী হয়ে থাকি।কারণ গ্রামের প্রকৃতি আমার কাছে অনেক ভালো লাগার একটি বিষয়।আমি মনে প্রাণে বিশ্বাস করি প্রতিটি মানব জাতি গ্রামকে অনেক বেশি ভালোবাসে।গ্রাম সবাই ভালোবাসে কিন্তু রুজি রোজগারের কারণে অনেকেই এই গ্রাম ছেড়ে শহরে পড়ে থাকে শুধু রুজি রোজগারের জন্য।আবার দেখেন একটি মানুষের ছোটবেলা কাটে গ্রামে এবং ঠিক শেষ বেলায় মৃত্যুর আগে আবার সে গ্রামে ফিরে আসে কারণ গ্রাম যে মানবের সবচেয়ে বেশি ভালো লাগার জায়গা।
এই দৃশ্যটি একটি গ্রামের পাশে জমি লাগানো হয়েছে মাত্র। ঠিক গ্রামের পথের সাইড থেকে ছবিটি ধারণ করেছি। জমির পরেই গ্রাম দৃশ্যটি আমার কাছে অপরুপ লাগেছে।আশা করি এই দৃশ্যটি আপনাদের কাছেও অনেক ভালো লাগবে।
পেঁপে আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী একটি সবজি।আবার পেঁপে পেকে গেল অনেক রোগীকে খাওয়ানোর জন্য আমরা মরি হয়ে খুঁজে ফিরি সব জায়গায়। ঠিক সেই পেঁপের এমন একটি বাগান দেখে নিজেকে আর ধরে রাখতে পারলাম না। তাই তার একটি ছবি মোটা ফোনে ধারণ করে আপনাদের সামনে উপস্থাপন করলাম।
বর্তমান সময়ে গরু লালন-পালন করার জন্য এই ঘাসের বিকল্প নেই। আর এই ঘাস এখন গ্রামের লোকজন রাস্তার দুই সাইডে চাষ করছে আর সেই রাস্তার সাইডে লাগানো ঘাসের সবুজ সমারোহ দেখে অনেক ভালো লাগলো তাই এই দৃশ্যটি আপনাদের সামনে তুলে ধরলাম।
অন্য একটি গ্রামের সাইডে যাচ্ছিলাম এমন সময় দেখলাম জমিতে পাট কেটে রেখেছে, পাশে সবুজে ভরা মাঠ এবং তার সাইডে গ্রামের সেই দৃশ্য আমাকে দৃশ্যটি মুগ্ধ করেছে।
আমরা সকলেই শহরে যারা বাস করি তারা প্রতিদিন একটি করে হলেও কলা খেয়ে থাকি।কিন্তু এই কলার বাগানটি আমরা কি কেউ দেখেছি?তাই চোখের সামনে বাগানটি পড়াই বাগানের একটি ছবি মুঠ ফোনে ধারণ করলাম।
এই দৃশ্যটির নাম আমার জানা নেই। তবে গ্রামের মানুষের থেকে শুনেছি এটিকে কলার কান্দা বলে। তাই কলার কান্দা নামে আপনাদের সামনে উপস্থাপন করলাম। একটি গাছে কতগুলো কলা একটি কান্দায় থাকে যেটি আসলে চোখে না দেখলে বোঝার উপায় নাই।
এই বাড়িটি দেখে এত ভালো লেগেছে যে বাড়িটির চার পাশে সবুজ আর সবুজ।আমার মনে হয় এই বাড়িতে ফ্যান বা এসির কোন প্রয়োজন নেই।এত বাতাস যে শরীর জুড়িয়ে আসে বাড়ির পাশে দাঁড়ালে।তাই বাড়িটির পিছন দিক থেকে সবুজ মাঠ সহ একটি দৃশ্য ধারণ করেছি আর সেটা আপনাদের সামনে উপস্থাপন করলাম।
আমি মোছাঃ সায়মা আক্তার। আমি একজন ব্লগার, উদ্যোক্তা এবং শিক্ষিকা।কবিতা লিখতে, নতুন কোনো রেসিপি তৈরি করতে এবং নতুন নতুন ডিজাইন সৃষ্টি করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি।সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকতে এবং অবহেলিত মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারলে খুব ভালো লাগে।তাই সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি এবং তাদের সহযোগিতায় নিজেকে সব সময় সম্পৃক্ত রাখি।
বিষয়ঃ- ফটোগ্রাফি পোস্ট "গ্রামের ফটোগ্রাফি"।
কমিউনিটিঃ- আমার বাংলা ব্লগ।
আপনার মূল্যবান সময় নষ্ট করে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ..........
গ্রামীন পরিবেশ মানে প্রকৃতির অপরূপ দৃশ্য সামনে থেকে দেখা। এই গ্রামীন পরিবেশের সৌন্দর্য কখনোই শেষ হওয়ার মতো নয়। যতই দেখি ততই ভালো লাগে। আর হ্যাঁ ঠিক বলেছেন ও জীবন নির্বাহের জন্য সবাইকে কাজের তাগিদে গ্রাম থেকে শহরে যেতে হয়। যাই হোক ফটোগ্রাফি গুলোর মধ্যে প্রকৃতির সৌন্দর্য ফুটে উঠেছে।
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু সুন্দর মন্তব্য করে কাজের প্রতি আগ্রহ বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য।
গ্রাম বাংলার প্রকৃতির মুগ্ধকর কিছু ফটোগ্রাফি আজকে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপু। আসলে এ ধরনের পরিবেশে যদি সময় অতিবাহিত করা যায় তাহলে খুবই ভালো লাগে। একটি কাধিতে তো দেখছি প্রচুর পরিমাণে কলা ধরেছে।
জি ভাই এই কলার কান্দা দেখে আমি মুগ্ধ হয়ে গিয়েছিলাম।
গ্রামীন পরিবেশের বেশ দুর্দান্ত ফটোগ্রাফি করেছেন আপু। আপনার ফটোগ্রাফি বেশ অসাধারণ হয়েছে। নিশ্চয় গ্রাম বাংলার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য চমৎকার ভাবে উপভোগ করেছেন। কলার ছড়া দেখে বেশ ভালো লাগলো। এত সুন্দর ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
অনেক অনেক ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করে সহযোগিতা করার জন্য।
সত্যি আপু একজন মানুষের শৈশব হয়তো গ্রামে কাটে। এরপর বিভিন্ন কারণে হয়তো গ্রাম থেকে দূরে থাকতে হয়। আবারও শেষ বয়সের ঠিকানা হয় সেই গ্রাম। গ্রামের সৌন্দর্য সবসময় আমাদের ভালো লাগে। আপু আপনার শেয়ার করা ফটোগ্রাফি গুলো অনেক সুন্দর হয়েছে।
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু।
গ্রাম সব মানুষের গোড়ার একটি জায়গা গ্রামকে ভালোবাসেনা এমন মানুষ আসলেই খুঁজে পাওয়া মুশকিল । গ্রাম আমার কাছেও খুব ভালো লাগে । তবে গ্রামে খুব একটা যাওয়া হয় না । আর গ্রামের এরকম প্রাকৃতিক ছবি দেখতে সত্যি অনেক ভালো লাগে ।আপু আপনি অনেক সুন্দর সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন ।যেগুলো অনেক আগে দেখেছি আজ আবার নতুন করে দেখে নিলাম ।
আপনার সাথে আমি একমত আপু।
গ্রামীণ পরিবেশ আমার খুব ভালো লাগে। শহর থেকে গ্রামে গেলে আর শহরে আসতে ইচ্ছে করে না। শহরের কোলা হলে থাকতে ভালো লাগে না। আপনি খুব সুন্দর হবে গ্রামের প্রাকৃতিক ফটোগ্রাফি করেছেন। ফটোগ্রাফি গুলো দারুন হয়েছে। রুজি রোজগারের জন্য গ্রাম থেকে অনেক মানুষকে শহরে আসতে হয়েছে।
সুন্দর মন্তব্য করে সহযোগিতা করার জন্য ধন্যবাদ ভাই।
গ্রামের অপরূপ সৌন্দর্যময় ফটোগ্রাফি গুলো মুগ্ধ করেছে। এই সৌন্দর্যময় ফটোগ্রাফি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
আমার ফটোগ্রাফি আপনার ভালো লেগেছে, এটি আমার জন্য বড় পাওয়া।
আপু আপনার আজকের গ্রামীণ প্রকৃতির ফটোগ্রাফি দেখে মুগ্ধ হয়ে গেলাম।গ্রামের এই সবুজ গাছ-পালা দেখলে মনটা ভরে উঠে।অনেক বেশি ভালো লাগা কাজ করে মনে।আপনি ফটোগ্রাফির পাশাপাশি সুন্দর বিবরন তুলে ধরেছেন। এজন্য অনেক ধন্যবাদ আপু।
আপনার মন্তব্যটি পড়ে মনটি ভরে গেল।
গ্রামের সবুজ শ্যামলা ফটোগ্রাফি সবাই পছন্দ করে। বিভিন্ন কারণে মানুষ শহরে চলে যায়। যখন শহর থেকে গ্রামে আসে তাদের কাছে গ্রামের পরিবেশ অনেক ভালো লাগে। তবে আজকে আপনার গ্রামের ফটোগ্রাফি গুলো অসাধারণ হয়েছে। সত্যি বলতে আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে আমি মুগ্ধ হয়ে গেলাম। সবগুলো ফটোগ্রাফি সুন্দর বর্ণনা দিয়ে উপস্থাপনা করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
সত্যি কোন কাজ করার পরে যদি সুন্দর মন্তব্য পাওয়া যায় তাহলে সে কাজটি করার সকল কষ্ট ভুলে যাই।