আমার অনুভূতি ||| আড়ং বুটিকস্।
আসসালামু আলাইকুম।আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সকল ভাই ও বোনেরা আশা রাখি সকলেই সুস্থ এবং সুন্দরভাবে নিজেদের সময়গুলো অতিবাহিত করছেন।আমিও আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের ভালোবাসায় ও মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে বেশ ভাল আছি এবং সুন্দর সময় অতিবাহিত করছি।
আজকে আমি আপনাদের মাঝে আমার নিজের উদ্যোগের কিছু বিষয় নিয়ে আলাপ-আলোচনা করব। আগে আপনাদের মাঝে আমি জানিয়ে ছিলাম আমার উদ্যোগের নাম।আর সেই "আড়ং বুটিকস্" নিয়ে আজকে আবারো দুটি কথা আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করতে চাচ্ছি।জানিনা আমার কথাগুলোকে আপনাদের কতটুকু দৃষ্টি আকর্ষণ করে।তবে আমি চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি যে আমার উদ্যোগের সফলতা ও ব্যর্থতার বিষয়গুলো আপনাদের সাথে সব সময় উপস্থাপন করার জন্য।কারন আমার এই উদ্যোগের উপস্থাপনা গুলো থেকে যদি কারো কোন একটু হলেও কাজে আসে তাহলে আমার লেখালেখি টাই সার্থকতা পাব।
বেশ কিছুদিন হলো আমার উদ্যোগের বিষয় নিয়ে তেমন লেখালেখি করতে পারিনি।কারণ উদ্যোগের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে এত ব্যস্ততার মধ্যে সময় গেছে।যে আমার এ বিষয়গুলো আপনাদের সামনে উপস্থাপন করতে পারেনি।আজকে যখন শাড়িগুলো গোছাইতে ছিলাম এবং রেডি করতে ছিলাম বায়ারের জন্য।তখন মনে হল একটি পিক উঠিয়ে নিয় এবং এই শাড়ি নিয়ে দুটি কথা আপনাদের সঙ্গে শেয়ার করি।
মাস খানিক হলো প্রায় দশটি ডিজাইন নিয়ে শাড়ির কাজ করছি একটি বাইরের জন্য এবং সেই দশটি ডিজাইনের শাড়ি রেডি হয়ে আমার হাতে এসেছে এগুলো এখন গুছিয়ে নিচ্ছি যাতে বায়ারকে দিতে পারি সময়ের মধ্যে।আপনাদের দোয়ায় এবং মহান সৃষ্টি কর্তার রহমতে এখন আলহামদুলিল্লাহ অনেক ভালোভাবে কর্মীদের মাঝে কাজ পারিচালনা করতে পারছি। তবে আমার কর্মীদের কিছু সমস্যা আছে যে সমস্যাগুলো আসলে আমি একাই সমাধান করতে সক্ষম হচ্ছি না।
আমার এই উদ্যোগের সাথে যত জন আপা জড়িত আছেন। প্রত্যেককেই দেখা যায় তাদের স্বামীর ইনকাম এবং নিজের ইনকাম দিয়ে তাদের সংসার পরিচালনা করেন কিন্তু তাদের ছেলেমেয়েদের লেখাপড়ার খরচ সেভাবে পরিচালনা করতে পারছেন না। এই কারণে তাদের ছেলেমেয়েদের কেউ দেখা যায় বিভিন্ন কাজের সাথে সম্পৃক্ত করার আগ্রহটা তাদের মধ্যে অনেক বেশি। এক্ষেত্রে আমি তাদেরকে সবসময় অনুৎসাহিত করি যাতে বাচ্চাদের কাজের সাথে সম্পৃক্ত না করেন।কিন্তু তাদের কথা হলো যেভাবে সবকিছু জিনিসের দাম ঊর্ধ্বমুখী এতে সংসার পরিচালনা করে বাচ্চাদের লেখাপড়ার খরচ চালানো তাদের জন্য অনেক কঠিন হয়ে পড়েছে।
এই এজন্য আমি নিজে একটি উদ্যোগ নিয়েছি যে তাদের বাচ্চাদের স্কুলের খরচের মধ্যে খাতা পত্রে যে খরচটা এটি আমার আড়ং বুটিকস্ থেকে বহন করব। তার পরেও যেন তাদের বাচ্চারা স্কুলে যাওয়ার প্রতি আগ্রহ না হারিয়ে ফেলে।
তবে আপাদের নিয়ে এই কাজটি পরিচালনা করাই আমার অনেক বেশি ভালো লাগে।কারণ যে তারা অনেক কষ্টের মধ্যে দেখা যায় তাদের সংসারের সবকিছু কাজ সম্পন্ন করে।আমার এই প্রতিষ্ঠানের কাজ করেন এবং এই কাজ করে তারা একটা এক্সট্রা ইনকাম করে যেটা দিয়ে তাদের স্বামীর হাতকে শক্তিশালী করেন।আর আমার নিজেকে বেশি উৎসাহিত মনে হয় যে আমি এই আপাদের একটা কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা করতে পেরেছি।যেটাতে আমি নারী জাতিকে একটু হলেও সামনের দিকে এগিয়ে যাওয়ার পথে নিজেকে সম্পৃক্ত করতে পেরেছি।
আজকে এখানে শেষ করছি তবে আবার কোন বিষয় নিয়ে খুব শীঘ্রই আপনাদের মাঝে উপস্থিত হব সে পর্যন্ত আপনাদের কাছে থেকে বিদায় নিচ্ছি।
আমার পরিচয়।
আমি মোছাঃ সায়মা আক্তার। আমি একজন ব্লগার, উদ্যোক্তা।কবিতা লিখতে, নতুন কোনো রেসিপি তৈরি করতে এবং নতুন নতুন ডিজাইন সৃষ্টি করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি।সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকতে এবং অবহেলিত মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারলে খুব ভালো লাগে।তাই সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি এবং তাদের সহযোগিতায় নিজেকে সব সময় সম্পৃক্ত রাখি।
আপনার পোস্ট পড়ে অনেক ভালো লাগলো। আসলে আপু নিজে কিছু করতে পারলে সত্যি অনেক ভালো লাগে। আপনি আড়ং বুটিকস থেকে বাচ্চাদের খাতা কলম দিবেন জেনে অনেক ভালো লাগলো। সত্যি বর্তমান সব কিছুর যেহারে দাম তাতে সবার সংসার চালানো হিমসিম খেতে হচ্ছে। আর আমাদের সবার উচিত আত্ম কর্মসংস্থান সৃষ্টি করা। চাকরির আশা না করে নিজেই উদ্যোক্তা হওয়া। ধন্যবাদ আপু আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
সুন্দর মন্তব্য করে সহযোগিতা করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
বেশ চমৎকার উদ্যোগ গ্রহণ করেছেন আপু এর মাধ্যমে কর্মসংস্থানের সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে। আসলে নিজে কিছু করতে পারলে বেশ ভালো লাগে। নিজে উদ্যোগ গ্রহণ করে কোন কিছু করতে পারাটাই উত্তম। আপনি আড়ং বুটিকস্ করেছেন বেশ ভালো হয়েছে। আপনার পোস্ট পড়ে অনেক ভালো লাগলো । ধন্যবাদ আপনাকে পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই। সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য।
আপনার লেখাটি পড়ে খুব ভালো লেগেছে। আসলে বাস্তবতা হচ্ছে যারা গার্মেন্টসে কাজ করে তাদের ছেলেমেয়েদের লেখাপড়ার খরচ চালানো তাদের পক্ষে অনেক কঠিন হয়ে যায়। তাই তারা তাদের ছেলেমেয়েদেরকে বিভিন্ন কাজে ইনভলভ করার চেষ্টা করে। যদি আমরা একটু সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিই তাহলে অনেক কচি কোমল ছেলে-মেয়ে পড়াশোনা করতে পারবে। অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে এমন একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।