রেসিপি পোস্ট ||| ইয়াম্মি পটেটো ফ্রেন্ডস ফ্রাই।
আসসালামু আলাইকুম। আমার বাংলা ব্লগের বাংলার এপার ওপারের সকল ভাই ও বোনেরা আশা করছি পরিবারকে নিয়ে সুস্থভাবে দিন যাপন করছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় ও সৃষ্টিকর্তার রহমতে বেশ ভালো আছি।
আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি এমন একটি কমিউনিটি যেখানে কাজ করে নিজেকে অনেক সম্মানিত মনে করি।চার অক্ষরের লেখা ভালোবাসা। এই ভালোবাসা এমন একটি জিনিস যা কখনো জোর করে হয় না। সবকিছুর উপর জোর চলে কিন্তু মনের উপর জোর চলে না। আর ভালোবাসার প্রতিদানে ভালোবাসা মেলে এ কথাটি আমি মনে প্রাণে বিশ্বাস করি। আমার বাংলা ব্লগকে আমি অনেক ভালোবাসি হয়তো বা আমার এই ভালোবাসা ও কাজের নিয়ম নীতির জন্য কমিউনিটি আমাকে ভালোবাসে। কারণ ভালোবাসি বিধায় আজও আমার বাংলা ব্লগের পাশে থেকে কাজ করে যাচ্ছি জীবনের শেষ পর্যন্ত কাজ করে যাব। আমার বাংলা ব্লগ এমন একটি কমিউনিটি আমরা সবাই একজন আরেক জনের বিপদে পাশে পাই।আর আমাদের বট বৃক্ষ যার তুলনা নেই। তার ছায়ার তলে আমরা দাঁড়িয়ে আছি। যাকে কেন্দ্র করে আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি গড়ে উঠেছে সব সময় দোয়া থাকবে আমার প্রিয় @rme দাদার জন্য এবং তার পরিবার যেন ভালো থাকে সুস্থ থাকে।অনেক কথা লিখে ফেললাম ভুলত্রুটি হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন। আমি আজ আপনাদের মাঝে আরেকটি নতুন রেসিপি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি।আমার রেসিপির নাম "ইয়াম্মি পটেটো ফ্রেন্ডস ফ্রাই"। এই রেসিপিটি আমার বাচ্চাদের অনেক প্রিয় আমারও অনেক ভালো লাগে। এই রেসিপিটি খেতে অনেক ভালো লাগে। অতি অল্প সময়ে রেসিপিটি তৈরি করাও সম্ভব। চলুন আর কথা না বলে রেসিপিটি কিভাবে তৈরি করেছি তার সমস্ত প্রস্তুত প্রণালী দেখে নেয়া যাক।
উপকরণসমূহঃ-
১।আলু।
২।হলুদের গুঁড়া।
৩।মরিচের গুঁড়া।
৪।ব্রেড কাম।
৫।সামান্য রোস্ট মসলা।
৬।লবণ।
৭।তৈল।
প্রথমে আলুগুলোর খোসা ছাড়িয়ে নিয়েছি।
এবার খোসা ছাড়ানো আলুগুলোর মাঝখানে ছোট ছোট বা আঙ্গুলের সাইজ করে কেটে নিয়েছি।
এবার সেই কেটে নেওয়া আলু গুলো গরম পানিতে সামান্য ভাঁপ দিয়ে নিয়েছি।
এবার ভাঁপে দেয়া আলু গুলো ঠান্ডা পানিতে ধুয়ে ছাকনিতে উঠিয়ে পানি ঝরিয়ে নিয়েছি।
এবার সেই আলুতে সকল মসলার উপকরণ দিয়ে দিয়েছি।
এবার মসলা দিয়ে আলু গুলো ভালো করে মেখে নিয়েছি এবং কিছুক্ষণ রেখেছি।
এবার একটি ফ্রাই প্যানে তৈল গরম করে তার ভিতরে আলুগুলো দিয়ে মুচমুচপ করে ভেঁজে নিয়েছি।
একসাইড ভাঁজা হয়ে গেলে অপর সাইড উল্টে দিয়েছি।
আর এভাবে হয়ে গেল আমার "ইয়াম্মি পটেটো ফ্রেন্ডস ফ্রাই" রেসিপি।এবার এই "ইয়াম্মি পটেটো ফ্রেন্ডস ফ্রাই" রেসিপির একটি ছবি আপনাদের সামনে উপস্থাপন করলাম।
আমি মোছাঃ সায়মা আক্তার। আমি একজন ব্লগার, উদ্যোক্তা এবং শিক্ষিকা।কবিতা লিখতে, নতুন কোনো রেসিপি তৈরি করতে এবং নতুন নতুন ডিজাইন সৃষ্টি করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি।সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকতে এবং অবহেলিত মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারলে খুব ভালো লাগে।তাই সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি এবং তাদের সহযোগিতায় নিজেকে সব সময় সম্পৃক্ত রাখি।
বিষয়ঃ- রেসিপি পোস্ট "ইয়াম্মি পটেটো ফ্রেন্ডস ফ্রাই"।
কমিউনিটিঃ- আমার বাংলা ব্লগ।
আপনার মূল্যবান সময় নষ্ট করে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ..........
নতুন একটি রেসিপি সম্পর্কে ধারণা অর্জন করতে পারলাম আপনার এই সুন্দর পোস্ট এর মধ্য দিয়ে। আজকে আপনি আলু দিয়ে অনেক সুন্দর একটা রেসিপি তৈরি করেছেন জা পর্যায়ক্রমে তুলে ধরেছেন, আর খুব সহজেই নতুন একটা রেসিপি সম্পর্কে ধারণা অর্জন করার সৌভাগ্য হলো আমার।
সুন্দর মন্তব্য করে উৎসাহ দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ ভাই।
ইয়াম্মি পটেটো ফ্রেন্ডস ফ্রাই রেসিপি দেখে সুস্বাদু মনে হচ্ছে তাই খেতে ইচ্ছা করছে। এতো মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
মন্তব্য করে সহযোগিতা করার জন্য ধন্যবাদ ভাই।
পটেটো ফ্রেঞ্চ ফ্রাই খেতে আমি অনেক পছন্দ করি।বিশেষ করে টমেটো সস দিয়ে এই পটেটো ফ্রেঞ্চ ফ্রাই খেতে খুবই মজা।আজকে আপনি খুব সুন্দর ভাবে ফ্রেঞ্চ ফ্রাই তৈরির পদ্ধতি আমাদের শিখিয়ে দিলেন।এর রেসিপি পোস্টটি দেখে আমরা খুব সহজে বাসায় বসে ফ্রেন্স ফ্রাই তৈরি করে খেতে পারব।ধন্যবাদ জানাচ্ছি মজাদার একটি রেসিপি আমাদের মাঝে এত সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করার জন্য।
মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ ভাই। তবে মন্তব্য লেখার পরে একবার পড়ে দেখা উচিত।
আলু দিয়ে তৈরি এই নতুন রেসিপি দেখতে পেরে খুবই ভালো লাগলো। আর খুবই সুন্দরভাবে আপনি এই রেসিপি তৈরির প্রক্রিয়াগুলো শেয়ার করেছেন৷ আর এটি দেখে এখনি খেয়ে ফেলতে ইচ্ছে করছে৷
সুন্দর মন্তব্য করে সহযোগিতা করার জন্য ধন্যবাদ ভাই।
আপনার শেয়ার করা এই রেসিপিটি আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে আপু। এই পটেটো ফ্রেন্ডস ফ্রাই রেসিপিটি আমি বাড়িতে কয়েকবার করে খেয়েছি। সন্ধ্যার সময় হালকা নাস্তা হিসাবে এই রেসিপিটি খেতে বেশ ভালো লাগে। খুব একটা কঠিন না বাড়িতে এই রেসিপিটি করা। এই রেসিপিটি সিম্পল এবং কম ব্যয়বহুল হওয়া সত্ত্বেও রেস্টুরেন্ট থেকে কিনে খেতে কিন্তু আবার অনেক বেশি টাকা নিয়ে নেয়।
জি দাদা আপনার সঙ্গে আমি একমত। এটি খুব কম সময়ে অল্প খরচে তৈরি করে খাওয়া যায়।
শীতের মৌসুমে আলু অনেক সস্তায় পাওয়া যাবে তখন অনেক বেশি করে খাওয়া যাবে রেসিপিটি।
যাই হোক আপনি খুবই মজাদার রেসিপি শেয়ার করেছেন। পটেটো ফ্রেঞ্চ ফ্রাই খেতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আমার ছেলের অনেক পছন্দ এই ফ্রেঞ্চ ফ্রাই। তারজন্য মাঝে মাঝেই তৈরি করা হয়। আপনি ফ্রেঞ্চ তৈরির পদ্ধতি খুব সুন্দর ভাবে বর্ণনা করেছেন। ধন্যবাদ আপু মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
সুন্দর মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ আপু। তবে আপু আপনি যে বানানটি লিখেছেন তার অর্থ কি এবং আমি যেটা লিখেছি তার অর্থ কি একটু মিলাবেন প্লিজ।