মিষ্টি লাউয়ের খোসা ভর্তা।
হ্যালো বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন?
এই গরমে সবাই একটু অস্বস্তি বোধ করছি।এ সময় বাইরে বের হওয়া আরো কষ্টকর একটি বিষয়। এরপরেও ঈদকে সামনে রেখে আমাদের সবাইকে বাইরে বের হতে হচ্ছে প্রয়োজনে-অপ্রয়োজনে।কারণ কাজের প্রয়োজনে এবং অনেক সময় পরিবারের সবার খুশির জন্য বারবার মার্কেটিং করতে বাইরে বের হচ্ছি আমরা বাধ্য হয়েই।তাই সবাইকে বলব এ সময় নিজের প্রতি যত্ন নিবেন এবং ইফতার ও সেহেরী খাওয়ার সময় অবশ্যই স্বাস্থ্যসম্মত খাবার খাওয়ার চেষ্টা করবেন।
রোজার সময় সেহেরীতে অন্যান্য খাবার এর পাশে যদি একটি ভর্তা না থাকে তাহলে খাবারটি রুচি সম্মত ভাবে খাওয়া সম্পূর্ণ করা সম্ভব হয় না।তাই আমি আজকে আপনাদের মাঝে একটি ব্যতিক্রমধর্মী ভর্তা নিয়ে উপস্থিত হতে যাচ্ছি জানিনা কতটুকু আপনাদের ভালো লাগবে।এই ভর্তা রেসিপি অনেক সুস্বাদু এবং মজাদার একটি রেসিপি যা সেহেরী খাওয়ার সময় অন্যান্য খাবারের সঙ্গে যদি এই রেসিপিটি থাকে তাহলে অবশ্যই খাবারটি রুচি করে খাওয়া সম্ভব হবে আশা রাখি।আজকে আমার রেসিপিটির নাম 🥘 মিষ্টি লাউয়ের খোসা ভর্তা🥘।আর আলোচনা না বাড়িয়ে চলেন এবার রেসিপিটি কিভাবে তৈরি করেছি তা আলোচনা করা যাক।
উপকরণ সমূহঃ-🛒
১। মিষ্টি লাউ।
২। সরিষার তৈল।
৩। কাঁচা মরিচ।
৪। পেঁয়াজ।
৫। রসুন।
৬। লবন।
৭। শুকনা মরিচ।
↩️প্রস্তুত প্রণালী↪️
🍲প্রথম প্রক্রিয়া🍲
কাঁচা মরিচের বোটা গুলো ফেলে কাঁচামরিচ গুলো মাঝখান দিয়ে একটি করে চির দিয়ে নিয়েছি।
🍲দ্বিতীয় প্রক্রিয়া🍲
পেঁয়াজ গুলোর ছাল পরিষ্কার করে পানি দিয়ে সুন্দর করে ধুয়ে নিয়ে রান্না উপযোগী করে কেটে নিয়েছি।
🍲তৃতীয় প্রক্রিয়া🍲
মিষ্টি লাউয়ের খোসা গুলো সুন্দর করে পরিষ্কার করে পানি দিয়ে কয়েকবার ধুয়ে নেওয়ার পরে ছোট ছোট করে কেটে নিয়েছি।
🍲চতুর্থ প্রক্রিয়া🍲
এবার প্রেসার কুকারে মিষ্টি লাউয়ের খোসা,কাঁচা মরিচ, রসুন এবং লবণ দিয়ে সিদ্ধ করে নিয়েছি।
🍲পঞ্চম প্রক্রিয়া🍲
এরপর ফ্রাইপেনে শুকনা মরিচ,পেঁয়াজ এবং তৈল দিয়ে একটু নাড়াচাড়া করে এর মধ্যে এই সিদ্ধ মিষ্টি লাউয়ের খোসা গুলো দিয়ে সুন্দর করে ভেঁজে নিয়েছি।
🍲ষষ্ঠ প্রক্রিয়া🍲
এবার ভাঁজা মিষ্টি লাউয়ের খোসা গুলো পাঠাতে সুন্দর করে বেটে নিয়েছি।
🍲সপ্তম প্রক্রিয়া🍲
এরপর বাটা মিষ্টি লাউয়ের খোসা গুলোতে সরিষার তৈল দিয়ে হাত দিয়ে সুন্দর করে ভর্তা টিকে মেখে নিয়েছি। আর এভাবে হয়ে গেল আমার 🥘 মিষ্টি লাউয়ের খোসা ভর্তা🥘 রেসিপি।এবার 🥘 মিষ্টি লাউয়ের খোসা ভর্তা🥘 রেসিপি পরিবেশনের জন্য রেডি করে তার একটি ছবি আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করলাম।
আমার পরিচয়।
আমি মোছাঃ সায়মা আক্তার। আমি একজন ব্লগার, উদ্যোক্তা এবং শিক্ষিকা।রেসিপি তৈরি করতে,কবিতা লিখতে এবং বিভিন্ন ধরনের ডিজাইন তৈরি করতে পছন্দ করি।অবহেলিত মানুষের মুখে হাসি ফুটাতে পারলে ভালো লাগে।তাই অবহেলিত মানুষের পাশে সব সময় থাকার চেষ্টা করি এবং করবো ইন-সা-আল্লাহ।
বিষয়ঃ- মিষ্টি লাউয়ের খোসা ভর্তা।
কমিউনিটিঃ- আমার বাংলা ব্লগ।
মিষ্টি লাউয়ের খোসা ভর্তা রেসিপি অনেক লোভনীয় হয়েছে আপু। মিষ্টি কুমড়ার ভর্তা খেয়েছে অনেক তবে মিষ্টি কুমড়ার খোসা ভর্তা কখনো খাইনি। আজকে আপনার কাছে নতুন রেসিপি শিখলাম। সুন্দর ভাবে আপনি আপনার রেসিপি তৈরির পদ্ধতি উপস্থাপন করেছেন এজন্য আপনাকে জানাচ্ছি ধন্যবাদ। সেই সাথে আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
আপনার জন্যও অনেক অনেক শুভকামনা রইল ভাই।
ভর্তা থাকলে খাওয়ার রুচি এমনিতেই বেড়ে যায়।
মিষ্টি লাউয়ের খোসা ভর্তা করে খাওয়া যায় এটা আমার জানাই ছিল না। এই ভর্তাটি দেখে অনেক লোভনীয় লাগছে খেতেও মনে হয় অনেক সুস্বাদু হয়েছে। ভর্তার রেসিপি টি আপনি সুন্দর ভাবে গুছিয়ে উপস্থাপন করেছেন এতে করে এই ভর্তাটি তৈরী করতে আমাদের অসুবিধা হবে না। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু।
মিষ্টি লাউয়ের খোসা ভর্তা করে খাওয়া যায় তা আমার জানা ছিল না। খুব ইউনিক একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন আপু। কেননা এই রেসিপিটি আমি কোনদিন কারো কাছে শুনিনি আবার কখনো খাইনি। তবে আপনার তৈরি মিষ্টি লাউয়ের খোসা ভর্তা দেখেই খাওয়ার লোভ ধরে গেল। রেসিপিটি দেখে শিখে নিলাম পরবর্তী সময়ে বাসায় তৈরি করে খাওয়ার চেষ্টা করব। আপনার সুন্দর উপস্থাপনার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
বাসায় তৈরি করে খাবেন আশা করি ভালো লাগবে ভাই।
আর বলিয়েন না আপু কাল থেকে তিনবার মার্কেটে গিয়েছি, এই গরমে মার্কেট যেতে কি যে বিরক্ত লাগে।
সেহরির সময় আসলেই খাওয়ার রুচি টা একটু কমই থাকে। সে সময় একটু ঝাল ঝাল ভর্তা হলে খাওয়ার রুচি টা যেন অনেক গুণে বেড়ে যায়।
আপনার আজকের এই মিষ্টি লাউয়ের খোসা ভর্তা রেসিপিটি আমার কাছে খুবই ইউনিক লাগলো। এর আগে কখনো মিষ্টি লাউয়ের খোসা ভর্তা খাইনি। ভর্তাটি ইউনিক এর পাশাপাশ দেখতে খুবই সুস্বাদু মনে হচ্ছে।
ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করার জন্য।
সুন্দর মন্তব্য করে সহযোগিতা করার জন্য ধন্যবাদ ভাই।
সত্যি আপু আপনার রেসিপিটি খুবই ইউনিক ছিল। মিষ্টি কুমড়ার চামড়া দিয়ে এভাবে ভর্তা বানিয়ে খাওয়া যায় আমার জানাই ছিল না। আপনার রেসিপি দেখে খুবই লোভনীয় মনে হচ্ছে, খেতেও নিশ্চয়ই অনেক সুস্বাদু হয়েছে। আমি অবশ্যই আপনার রেসিপিটির ধাপ গুলো দেখে বাসায় তৈরি করব ইনশাআল্লাহ। অসংখ্য ধন্যবাদ আমাদের মাঝে ইউনিক একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
খাবারের সময় যে কোন প্রকার একটা ভর্তা হলে খাওয়ার রুচীটা অনেক বেড়ে যায়। যদি সে ভর্তাটি হয় ইউনিক কোন কিছু। মিষ্টি কুমড়ার খোসা ভর্তা আমার কাছে খুব ভালো লাগে। আমি কিছুদিন আগে রুই মাছ দিয়ে মিষ্টি কুমড়া ভর্তা রেসিপি করেছিলাম। যাইহোক আমরা খুব চমৎকার করে মিষ্টি কুমড়ার খোসা ভর্তা রেসিপি আমাদের মধ্যে শেয়ার করেছেন। আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ
মন্তব্য করে উৎসহ দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ ভাই।
আমরা অনেকেই জানি না লাউএর খোসা ভেজে খাওয়া যায়। তবে আপনার এত সুন্দর পোষ্ট দেখে অনেকে জেনে যাবে। যাইহোক খুব সুন্দর ভাবে আপনি বুঝতে ভুল করেছেন, খুব সুন্দর করে ছানার কাজ সম্পন্ন করে আমাদের মাঝে শেয়ার করলেন। দারুন একটি অভিজ্ঞতা দেখে আমার খুবই ভালো লেগেছে। আশাকরি খুবই সাধের হয়েছিল।
অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই।
সত্যি বলতে সেহরির সময় আর ভালো তরকারি খাইতেই ইচ্ছে করে না, জোর করে খেতে তবে সত্যি যদি এরকম ভর্তা থাকে তাহলে সেহরির খারার টা মজা করেই খাওয়া যাবে, সত্যি আপনি অনেক সুন্দর একটি ভর্তার রেসিপি শেয়ার করেছেন, শুভকামনা রইলো আপনার জন্য।
মন্তব্য করে সহযোগিতা করার জন্য ধন্যবাদ ভাই।
লাউয়ের খোসা ভর্তা রেসিপি খেয়েছি কিন্তু মিষ্টি কুমড়ার খোসা ভর্তা কখনো খাওয়া হয়নি। আপনার ভর্তা রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে খুবই ভালো হবে। ভর্তা খেতে এমনিতেই অনেক ভালো লাগে। ধন্যবাদ সুস্বাদু ভর্তা রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
আপু এই রেসিপিও অনেক মজার।
আপনার মিষ্টি লাউয়ের খোসা ভর্তা রেসিপি বেশ চমৎকার হয়েছে। তবে আপনি যেটি কে লাউ বলেন সেটা কে আমরা কুমড়ো বলে থাকি। বেশ ভালো ছিল রেসিপিটি। ধন্যবাদ আপনাকে আমাদের সঙ্গে এরকম একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
এলাক ভিত্তিক নামকরণ এক এক ধরনের হয় আপু।