আমার বাংলা ব্লগ কনটেস্ট-৯ / দুই স্তরের সূর্যমুখী পিঠা এবং ঝাল পুলি পিঠ।
হ্যালো বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই ভাল আছেন, সুস্থ আছেন।
এখন শীত আশি আশিভাব দেশের বিভিন্ন স্থানে শীত চলে এসেছে কথাও নয় গরম নয় শীত।মোট কথা শীতের আগমনী পর্ব চলছে। আর এই সময়ে বিভিন্ন এলাকা ভিত্তিক অনুষ্ঠান বিভিন্ন সংস্কৃতি, কৃষ্টি কালচার সম্পন্ন করার একটা সময়। তাই আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি বসে নেই আর কমিউনিটির দিকনির্দেশনার স্থানে যারা অধিষ্ঠিত আছেন তারা প্রত্যেককেই কৃষ্টি-কালচার নিয়ে অনেক বেশি চিন্তা করেন। তাই কমিউনিটি শীতের পিঠা নিয়ে একটি অনুষ্ঠান এর ব্যবস্থা করেছেন এতে আমি অনেক আনন্দিত। কারন আমি এই অনুষ্ঠানে প্রতিযোগী হিসেবে অংশগ্রহণ করতে যাচ্ছি। আর এই প্রতিযোগিতায় আমি দুই স্তরের সূর্যমুখী পিঠা ও ঝাল পুলি পিঠা নিয়ে অংশ গ্রহণ করছি।দুই স্তরের সূর্যমুখী পিঠাটি একটু ব্যতিক্রমধর্মী পিঠা আর পিঠাটি অনেক সুস্বাদু এবং মজাদার। এটি আমার কাছে অনেক ভালো লাগে তাই এই পিঠাটি তৈরি করছি। এর সঙ্গে ঝাল পুলি পিঠা একটি সাধারণ আইটেম কিন্তু এটাতে ভেরিয়েন্স এনেছি আমি। এটাও অনেক মজার এবং সুস্বাদু লাগবে আশা করি। তাই আর বেশি কথা না বাড়িয়ে চলেন পিঠা দুইটির প্রসেস সম্পর্কে আপনাদেরকে জানাই।
প্রয়োজনীয় সমুহঃ-
১। চালের গুঁড়ো-----------------৫০০গ্রাম।
২। খাশির মাংস-----------------২৫০গ্রাম।
৩। পিঁয়াজ-----------------------৫পিচ।
৪। কাঁচা মরিচ -----------------------১২পিচ।
৫। আদা--------------------পরিমান মত।
৬। রসুন---------------------পরিমান মত।
৭। জিরা গুঁড়ো ----------------পরিমান মত।
৮। হলুদ-------------------পরিমান মত।
৯। লবণ------------------- পরিমান মত।
১০। তৈল-----------------পরিমান মত।
১১। আলু-----------------------৩পিচ।
১২। গাজর--------------------১পিচ।
১৩। পোটল--------------------২পিচ।
১৪। বেগুন-------------------১পিচ।
------------প্রস্তুত প্রণালী----------
----------------প্রথম ধাপ------------
রান্না করা খাসির মাংস গুলো কিমা করে নিলাম।
-------------------দ্বিতীয় ধাপ---------------
ফ্রাইপ্যান গরম করে পিঁয়াজ,কাঁচা মরিচ, আদা বাটা, রসুন বাটা, জিরা গুঁড়ো, হলুদ গুঁড়ো, লবণ এবং তৈল দিয়ে কষিয়ে নিলাম।
------------------ তৃতীয় ধাপ----------------
কষানোর পর খাসির মাংসের কিমা গুলো ফ্রাই প্যানে ঢেলে ভালোভাবে নাড়াচাড়া করে কয়েক মিনিট রান্না করলাম।এরপর কিমা গুলো সুন্দর ভাবে ভেঁজে নিলাম। এরপর একটি বাটিতে রেখে দিলাম।
----------------------চতুর্থ ধাপ-----------------
গরম কড়াইয়ে কাঁচামরিচ, পিঁয়াজ কুঁচি,জিরা বাটা,লবণ এবং তৈল দিয়ে একটু কষিয়ে নিলাম। এরপর আলু কুঁচি, বেগুন কুঁচি, গাজর কুঁচি, পোটল কুঁচি একসঙ্গে দিয়ে কয়েক মিনিট রান্না করলাম। এভাবে সবজিটি শুকনা শুকনা করে আধা ভাঁজার মতো করে রান্না শেষ করে একটি বাটিতে উঠিয়ে রাখলাম।
----------------------পঞ্চম ধাপ-----------------
একটি সসপ্যানে পানি গরম করে নিলাম। এরপর গরম পানির ভিতরে আটা দিয়ে একটু নাড়াচাড়া করে খুমার তৈরী করে নিলাম।
---------------------ষষ্ঠ ধাপ -------------------
খুমার গুলোকে ছোট ছোট অংশে বিভক্ত করে। বড় একটি রুটি বানিয়ে নিলাম এবং সেটিকে গোল গ্লাস দিয়ে ছোট ছোট করে কেটে নিলাম।
----------------------সপ্তম ধাপ------------------
ছোট্ট গোল রুটির উপর প্রথমে খাসির মাংসের কিমা গুলো দিয়ে নিলাম।
-----------------------অষ্টম ধাপ----------------
খাসির মাংসের কিমার উপর আরেকটি ছোট রুটি দিলাম। এর পরে সবজি আধা ভাঁজাগুলো দিয়ে এরপর আরেকটি রুটি দিলাম।
----------------------নবম ধাপ------------------
এবার দুই স্তরের পিঠার সাইডটা হাতের দুই আঙ্গুল দিয়ে আস্তে আস্তে মুরে একটু সূর্যমুখী ডিজাইন করে নিলাম। এইভাবে সূর্যমুখী ডিজাইন করে পিঠাগুলো একটি বাটিতে রেখে দিলাম।
---------------------দশম ধাপ------------------
এবার দুই স্তরের সূর্যমুখী পিঠাগুলো গরম ডুবোতৈলে আস্তে আস্তে সুন্দর করে ভেজে নিলাম যাতে করে খুলে না যায়।
---------------এগারো তম ধাপ -----------------
এইভাবে আমার দুই স্তরের সূর্যমুখী পিঠা ভাঁজা সম্পন্ন হলো এবং পরিবেশনের জন্য তৈরী করলাম।
----------------বারো তম ধাপ------------------
এবার খুমারগুলো ছোট্ট ছোট্ট করে নিলাম।ছোট্ট খুমারগুলো দিয়ে রুটি বানিয়ে গ্লাস দিয়ে ছোট ছোট করে কেটে নিলাম।
----------------- তেরো তম ধাপ ---------------
গ্লাস দিয়ে ছোট ছোট করে কেটে নেওয়া রুটি গুলোর ভিতরে খাসির মাংসের কিমা দিয়ে দুই সাইড একত্রিত করে হাতের আঙ্গুল দিয়ে একটু ডিজাইন করে নিলাম।এরপর একটি একটি করে এগুলো বাটিতে রাখলাম।
---------------চৌদ্দ তম ধাপ ------------------
এবার গরম কড়াইয়ে তেল দিয়ে গরম ডুবোতেলে এই ঝাল পুলি পিঠা গুলো দিয়ে আলতোভাবে নেড়েচেড়ে ভেঁজে নিলাম।
---------------পনেরো তম ধাপ ----------------
এভাবে পুলি পিঠাগুলো ভাঁজা শেষ হয়ে গেলে পরিবেশনার জন্য রেডি করলাম।
-------------- শেষ ধাপ----------------
এভাবেই আমার দুই স্তরের সূর্যমুখী পিঠা এবং ঝাল পুলি পিঠা তৈরি শেষ হলো।
আমি মোছাঃ সায়মা আক্তার। নতুন নতুন রেসিপি তৈরি করে খেতে অনেক স্বাচ্ছন্দ বোধকরি।একজন বাংলা ব্লগার হিসেবে নিজেকে পরিচয় দিতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। আমার দুই স্তরের সূর্যমুখী পিঠা এবং ঝাল পুলি পিঠা অনেক মজাদার এবং সুস্বাদু হয়েছে। আশা করি আপনাদেরও ভালো লাগবে রেসিপি দুইটি সময় পেলে অবশ্যই তৈরি করার চেষ্টা করবেন।
ঝাল পুলি পিঠা আমার খুবই প্রিয়। ঝাল পিঠা খেতে আমি খুব পছন্দ করি। আপনার পিঠা তৈরির ধাপ গুলো দারুন হয়েছে। দেখেই বোঝা যাচ্ছে খেতে খুবই মজা হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর পিঠা তৈরীর রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
জি ভাই। দুই স্তরে সূর্যমুখী পিঠা এবং ঝাল পুলি পিঠা খুবই মজার হয়েছে।
ওয়াও আপু অন্যরকম একটা রেসিপি দেখলাম মাংস দিয়ে পুলি পিঠা তৈরি। আমি আগে কখনো দেখিনি পুলি পিঠা দেখেছি কিন্তু মাংস দিয়ে কখনো খাইনি। আপনার রেসিপিটি প্রথম থেকে শেষ পর্যন্ত দেখার মত ছিল প্রতিটি ধাপ আপনি খুব সুন্দর ভাবে দেখিয়েছেন। মনে হচ্ছে পিঠাটি খুবই মজা হয়েছে। অনেক ধন্যবাদ আপু মজার একটি পিঠার রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
মুল্যবান মন্তব্য করে সহযোগিতা করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
আপনি অনেক সুন্দর পিঠা তৈরি করে আমাদের মাঝে উপহার দিলেন। সূর্যমুখী পিঠা আগে কখনো খাওয়া হয়নি। আপনার পিঠা তৈরি দেখে তো মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু হবে খেতে। শুভকামনা রইল আপনার জন্য আপু। ❤️❤️
জি ভাই। দুই স্তরের সূর্যমুখী পিঠা এবং ঝাল পুলি পিঠা খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছে।
অনেক সুন্দর করে ডিজাইনিং পিঠা তৈরি করেছেন আপনি। সূর্যমুখী ও ঝাল পিঠা। এটা দেখে সত্যি অনেক ভালো লাগলো। আর মনে হলো কত না টেস্টি হয়েছে খেতে। শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন রইল।
জি ভাই। খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। সুন্দর মন্তব্য করে সহযোগিতা করার জন্য ধন্যবাদ ভাই।
ওয়াও আপু আপনার পিঠা তৈরি খুবই সুন্দর হয়েছে। দেখে মনে হচ্ছে খুবই সুস্বাদু হয়েছে। আমার কাছে ভালো লেগেছে আপনার রেসিপিটি। প্রতিটি ধাপ আপনি খুব সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
মুল্যবান মন্তব্য করে সহযোগিতা করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
দুই স্তরের সূর্যমুখী পিঠা এবং ঝাল পুলি পিঠর প্রস্তুত প্রণালি আপনি খুব সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন আপনার প্রস্তুত প্রণালি পরে বুঝতে পারলাম যে আপনার পিঠা তৈরি খেতে খুবই সুস্বাদু
সুন্দর মন্তব্য করে সহযোগিতা করার জন্য ধন্যবাদ।
আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে আপনার দুই স্তরের সূর্যমুখী পিঠা এবং ঝাল পুলি পিঠ। সূর্যমুখী পিঠাটি আমার কাছে একেবারে আনকমন লেগেছে, কখনো এ ধরনের পিঠা বানানো দেখিনি।অনেক ভালো লাগলো আপনার পোস্টটি দেখে, শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
দুই স্তরের সূর্যমুখী পিঠা ব্যতিক্রম ঠিক বলেছেন আপু। পিঠাটি তৈরি করতে অনেক সময় লেগেছে। তবে খেতে অনেক সুস্বাদু হয়েছে।
পুলি পিঠা তৈরিতে এই প্রথম মাংস দিতে দেখলাম কাউকে। যদিও এই ধরনের পিঠাটি আমি জীবনে কোনদিন খায়নি। এবার অবশ্য বাড়িতে তৈরি করতে চেষ্টা করব। আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা রইল।
মুল্যবান মন্তব্য করে সহযোগিতা করার জন্য ধন্যবাদ।
আপু অনেক সুন্দর ভাবে দুই স্তরের সূর্যমুখী পিঠা এবং ঝাল পুলি পিঠা তৈরি করছেন।আপু একবারে আলাদা এটা ইউনিক পিঠা উপহার দিয়েছেন।সব মিলে চমৎকার হয়েছে।এতে সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য অনেক ধন্যবাদ।
জি ভাই চেষ্টা করেছি।সুন্দর মন্তব্য পড়ে খুব ভালো লেগেছে। ধন্যবাদ ভাই।
দুই স্তরের সূর্যমুখী পিঠা এবং ঝাল পুলি পিঠা অনেক সুন্দর ভাবে তৈরি করেছেন। দেখে খুবই ভালো লাগলো। প্রতিটি ধাপ খুব সুন্দর হবে আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। এগুলো খেতে খুবই ভালো লাগে। অত্যন্ত সুস্বাদু। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
জি ভাই অনেক মজার পিঠা।সুন্দর মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ।