রেসিপি পোস্ট |||| শিং মাছের ঝাল ঝাল ভুনা।
আসসালামু আলাইকুম। আমার বাংলা ব্লগের ভাই ও বোনেরা আশা করছি সুস্থভাবে দিন যাপন করছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় ও সৃষ্টিকর্তার রহমতে বেশ ভালো আছি।
আমি আজ আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি একটি রেসিপি পোস্ট নিয়ে। যেকোনো রেসিপি তৈরি করতে অনেক ভালো লাগে এবং রেসিপিতে নতুনত্ব আনতে পারলে আরো বেশি ভালো লাগে।আমি আজ আপনাদের মাঝে নিয়ে এসেছি "শিং মাছের ঝাল ঝাল ভুনা" রেসিপি নিয়ে হাজির হয়েছি।"শিং মাছের ঝাল ঝাল ভুনা" আমার মনে হয় সবাই চেনে।রোগীর খাদ্য হিসেবেও অনেকেই এই মাছটি চিনে থাকে। ডাক্তার কোন রোগীর রক্ত শূন্যতা হলে এই মাছটি প্রচুর পরিমাণে খেতে বলে। রক্ত শূন্যতা বা ঘাটতি হলে এই মাছটি খেলে তা পূরণ হয়। শিং মাছে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন। শিং মাছ আমাদের শরীর স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী। আমাদের সকলেরই এই মাছ খাওয়া উচিত।শিং মাছ বিভিন্ন ভাবে রান্না করা যায়। একেক জন একেক ভাবে রান্না করতে পারে তবে আমি শিং মাছ বেশির ভাগ এভাবেই ভুনা করে খাই আমার অনেক ভালো লাগে।"শিং মাছের ঝাল ঝাল ভুনা" রেসিপিটি কিভাবে তৈরি করেছি তার সমস্ত প্রস্তুত প্রণালী চলুন দেখে নেওয়া যাক।
উপকরণসমূহঃ-
১। শিং মাছ।
২। কাঁচা মরিচ।
৩। পেঁয়াজ।
৪। রসুন।
৫। জিরা গুঁড়ো।
৬। হলুদের গুঁড়ো।
৭।মরিচের গুঁড়ো।
৮। ধনিয়া গুঁড়ো।
৯। লবণ।
১০। তৈল।
প্রথমে শিং মাছগুলো ভালো করে কেটে নিয়েছি।
এবার মাছগুলো বাটনায় ঘসে ঘসে পরিষ্কার করে নিয়েছি।
এবার মালগুলো ছোট ছোট করে টুকরো করে নিয়েছি এবং লবণ পানি দিয়ে আবারও পরিষ্কার করে ধুয়ে নিয়েছি।
কাঁচা মরিচ পরিষ্কার করে রান্নার উপযোগী করে কেটে নিয়েছি ।
পেঁয়াজের খোসা ছাড়িয়ে নিয়ে কুঁচি কুঁচি করে রান্নার উপযোগী করে কেটে নিয়েছি ।
রসুনের খোসা ছাড়িয়ে নিয়ে রসুন বেটে নিয়েছি।
এবার একটি ফ্রাইপ্যানে পেঁয়াজের কুঁচি, মরিচ কুঁচি,তৈল দিয়ে ভালো করে ভেঁজে নিয়েছি।
ভেঁজে নেওয়া পিঁয়াজ ও মরিচের ভিতর হলুদের গুঁড়ো জিরা গুঁড়ো, রসুন বাটা,মরিচ গুঁড়ো,ধনিয়া গুঁড়ো সকল মসলার উপকরণ আবারও সুন্দর করে ভেঁজে নিয়েছি এবং হালকা পানি দিয়ে কষিয়ে নিয়েছি।
এবার কষানো মসলার ভিতর শিং মাছ গুলো দিয়ে কিছুক্ষণ নেড়ে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিয়েছি।
কিছুক্ষণ অপেক্ষা করেছি তারপর সামান্য পানি দিয়ে আবারও ঢেকে দিয়েছি।পানি শুকিয়ে গেলে চুলা থেকে রেসিপিটি নামিয়ে নিয়েছি।আর এই ভাবেই হয়ে গেল আমার "শিং মাছের ঝাল ঝাল ভুনা" রেসিপি।এবার এই "শিং মাছের ঝাল ঝাল ভুনা" রেসিপির একটি ছবি আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করলাম ।
আমি মোছাঃ সায়মা আক্তার। আমি একজন ব্লগার, উদ্যোক্তা এবং শিক্ষিকা।কবিতা লিখতে, নতুন কোনো রেসিপি তৈরি করতে এবং নতুন নতুন ডিজাইন সৃষ্টি করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি।সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকতে এবং অবহেলিত মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারলে খুব ভালো লাগে।তাই সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি এবং তাদের সহযোগিতায় নিজেকে সব সময় সম্পৃক্ত রাখি।
বিষয়ঃ- রেসিপি পোস্ট "শিং মাছের ঝাল ঝাল ভুনা"।
কমিউনিটিঃ- আমার বাংলা ব্লগ।
আপনার মূল্যবান সময় নষ্ট করে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ..........
শিং মাছের ভুনা খেতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। এটি আয়রন সমৃদ্ধ একটি মাছ এই মাছ খেলে শরীরে অনেক আয়রন বৃদ্ধি পায়। সব থেকে প্রিয় একটি মাছ আমার শিং মাছ। রেসিপির প্রতিটি ধাপ চমৎকার ভাবে ফুটিয়ে তুলেছেন দেখে বোঝা যাচ্ছে অনেক সুস্বাদু এবং লোভনীয় ছিল ধন্যবাদ।
সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ ভাই।
আপু শিং মাছ আমার বেশ প্রিয় একটি মাছ। আর আজ আপনার শিং মাছের এমন একটি লোভনীয় রেসিপি দেখে তো আর চোখ ফেরাতে পারছি না। ;আমার কাছে আপনার আজকের রেসিপিটি দারুন লেগেছে। দেখতেই মনে হচ্ছে যে বেশ সু স্বাদু হয়েছিল। বেশ সুন্দর করে আপনি উপস্থাপনাও করেছেন। ধন্যবাদ আপু এমন সুন্দর একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।যে আমার রেসিপিটি আপনার অনেক পছন্দের।
বেশ কয়েকটি উপকরণের সংমিশ্রণে শিং মাছের ঝাল ঝাল ভুনা রেসিপি তৈরি করেছেন। শিং মাছ আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। তবে ভুনা করলে একটু বেশি ভালো লাগে। আপনি খুবই সুন্দর করে শিং মাছের ঝাল ভুনা রেসিপি তৈরি করেছেন। আপনি ধারাবাহিক ভাবে প্রতিটি ধাপ আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন এবং তা বর্ণনা করেছেন।এটা দেখে আমার কাছে বেশ ভালোই লাগলো।
শিং মাছের রেসিপি অনেকেরই পছন্দ তবে আপনার যে পছন্দের রেসিপি তা শুনে অনেক ভালো লাগলো।
রোগীর খাদ্য হিসেবে শিং মাছের জুড়ি নেই।আপনি শিং মাছের দারুণ একটা রেসিপি শেয়ার করেছেন।রেসিপির কালর দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে খুব মজা হয়েছে।অনেক ধন্যবাদ আপু চমৎকার একটা রেসিপি শেয়ার করার জন্য। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
ঠিক বলেছেন আপু শিং মাছ রোগীদের জন্য অনেক ভালো।
আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন শিং মাছের রেসিপি তৈরি। আপনার তৈরি রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে খেতে বেশ সুস্বাদু হবে। আসলে আমি অনেক ধরনের মাছ খেয়েছি কিন্তু শিং মাছ কখনো আমার খাওয়া হয়নি। আসলে আমাদের এলাকায় নদীর মাছ খুব কম পাওয়া যায়। তবে চেষ্টা করব এই মাছ কিনে ওদের দ্রুত খাওয়ার জন্য। ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ ভাই।
শিং মাছ আমাদের শরীরের জন্য অত্যন্ত উপকারী। শিং মাছে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে আয়রন।খুবই চমৎকার একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন আপু। আপনার রেসিপিটি দেখতে বেশ লোভনীয় হয়েছে। দেখে মনে হচ্ছে খেতে ভীষণ মজাদার হয়েছে। খুবই সুস্বাদু একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন আপু। প্রতিটা ধাপ সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন।ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
জি আপু রেসিপিটি খেতে অনেক মজাদার ও টেস্টি ছিল।
ঠিক বলেছেন আপু শিং মাছ রোগিদের উপযুক্ত খাবার।এই মাছে প্রচুর আয়রন থাকার কারণে মানুষের শরীরে ভীষণ উপকারী। কাটা কম হওয়াতে বাচ্চাদের খেতে অনেক সুবিধা। আপনি ঝাল ঝাল করে এই সুস্বাদু মাছটির ভুনা করেছেন। দেখেই তো লোভ লেগে গেলো।লোভনীয় রেসিপির রন্ধন প্রনালী চমৎকার ভাবে আমাদের সাথে ভাগ করে নেয়ার জন্য ধন্যবাদ।
সুন্দর মন্তব্য করে কাজে উৎসাহ দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ দিদি।
শিং মাছের এরকম ভুনা রেসিপি খেতে অসাধারণ সুস্বাদু লাগে। খুবই চমৎকার প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে আপনি শিং মাছের ভুনা রেসিপি তৈরি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। আপনার এই রেসিপি তৈরিতে কাঁচা মরিচের ব্যবহার আমার কাছে সব থেকে বেশি ভালো লেগেছে। অত্যন্ত লোভনীয় একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
সব সময় পাশে থেকে সুন্দর সুন্দর মন্তব্য করে উৎসাহ দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।
মজাদার একটা রেসিপি পাশাপাশি আপনি দারুণ কিছু কথা আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন যে কথাগুলো আমাদের সকলের জানা উচিত। রক্তশূন্যতা হলে যে এই শিং মাছ বেশি বেশি খেতে হয় সেটা জানা ছিল না আপনার পোস্টের মাধ্যমে জানতে পেরে বেশ ভালো লাগলো আপু। শিং মাছ আমার কাছে অনেক বেশি সুস্বাদু লাগে, ঝাল ঝাল ভুনা এই রেসিপিটি দেখেই বোঝা যাচ্ছে অনেক বেশি লোভনীয় ছিল। শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
সব সময় সুন্দর সুন্দর মন্তব্য করে উৎসাহ দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।
ঠিক বলেছেন আপু একধরনের রেসিপি খেতে সবসময় ভালো লাগে না। তাছাড়া শিং মাছ আমাদের জন্য খুবই উপকারী। আজকে খুব সুস্বাদু করে শিং মাছ রান্না করেছেন। যেকোনো রেসিপিতে ঝাল বেশি দিলে খেতে ভালো লাগে। রেসিপিটি দেখতেও লোভনীয় লাগছে। ধন্যবাদ আপু শেয়ার করার জন্য।
সব সময় পাশে থেকে সুন্দর সুন্দর মন্তব্য করে উৎসাহ দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ আপু।