ছোট গল্প |||| মায়াবতী পর্ব-৩।

in আমার বাংলা ব্লগ3 months ago (edited)

হ্যালো বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন? আশা রাখি এই সময় অর্থাৎ ঈদের পরের সময়ে অনেক সুন্দর ভাবে অতিবাহিত করছেন পরিবারসহ।আমিও আপনাদের ভালোবাসায় ও মহান সৃষ্টিকর্তার রহমতে পরিবারসহ অনেক সুন্দর ভাবে সময় অতিবাহিত করছি।

sad-8606905_1280.jpg
source
আজকে আমি আপনাদের মাঝে আমার মায়াবতীর পর্ব-৩ নিয়ে হাজির হয়েছি।গত দুই পর্বে আপনাদের স্বতঃস্ফূর্ত সহযোগিতা এবং সুন্দর সুন্দর মন্তব্য করে উৎসহ দেওয়ার জন্য।গল্পের তৃতীয় পর্বটি লিখতে অনেক উৎসাহ পেলাম আর সেই উৎসাহের কারণে আজকে আপনাদের মাঝে গল্পটি উপস্থাপন করতে চলেছি।আশা করি আবারো আপনাদের স্বতঃস্ফূর্ত সহযোগিতা এবং সুন্দর সুন্দর মন্তব্য পাব।চলুন আর কথা না বাড়িয়ে "মায়াবতী পর্ব-৩" এ কি লিখেছি তা দেখে নেওয়া যাক।

বাসায় এসে রীতিমতো তারা লেখাপড়র দিকে মনোনিবেশ করল।একদিন হঠাৎ মায়ার ফোনে একটি ফোন এলো। ফোনটি বেজেই যাচ্ছিল কিন্তু কেউ ধরছিল না। কারণ মায়া অনেক ভালো একটি মেয়ে ছিল। আননোন নাম্বারে কখনও কোন ফোন এলে সে রিসিভ করতো না। ফোন যখন বেজেই যাচ্ছিল তখন মায়ার মা ফোনটি রিসিভ করল।

ফোনটি রিসিভ করার পর মায়ার মা শুনতে পেল মায়াকে তার এক বন্ধু ফোন করেছে।তারপর সেই ফোন মায়াকে তার মা দিয়ে চলে গেল অন্য রুমে। মায়া ফোনটি হাতে নিতে বলল যে আমাকে চিনতে পারোনি।প্রিয়জন কি কখনো অচেনা হয়। তুমি কি আমাকে ভুলেই গেলে। একটি বারের জন্য আমাকে ফোন দিতে পারতে। মায়া বলল আমি ইচ্ছা করে দেইনি দেখলাম তোমার ভালোবাসা কতটুকু আমার প্রতি।

তখন নিলয় উত্তরে বলল এবার বল কার ভালোবাসা কতটুকু। আমার নাকি তোমার। এভাবে চলতে থাকে তাদের রঙিন স্বপ্নের দিনগুলো। একটি পর্যায়ে মায়া ধরা পড়ে যায় তার মায়ের কাছে। মায়ার মা সব দিকে খোঁজখবর নেয়।ছেলের সঙ্গেও কথা বলে। তারপর একটি সময় মায়ার মা তার বাবাকে সব কিছু জানায়। মায়ার বাবা চিন্তা করে দেখল যে যেহেতু দুজন দুজনকে ভালোবাসে ছেলের অবস্থাও খারাপ না। সবদিক থেকেই ঠিক আছে তো মেয়েরও বিয়ের বয়স হয়ে গেছে বিয়ে দেওয়াই ভালো। তাইতো কিছু দিন যাওয়ার পর তাদের বিয়ের ব্যবস্থা করা হয়।

বেশ ধুমধাম করেই চলে তাদের দিয়ের অনুষ্ঠান। দুই পক্ষ অনেক মজা করে আনন্দের সাথে তাদের অনুষ্ঠান পালন করল। মায়ারও আর অনার্স ফাইনাল ইয়ারের পরীক্ষা দেওয়া হলো না এর ভিতরেই তার বিয়ে হয়ে গেল।অনেক সুখে দিন কাটছিল তাদের। বিয়ের চার পাঁচ মাস যেতে না যেতেই নিলয়ের আসল রূপ বেরিয়ে এলো।নিলয় ছিল নেশাগ্রস্ত একটি ছেলে। প্রচন্ড নেশা করত সে এবং বন্ধু-বান্ধব নিয়ে মেতে থাকতো।কিন্তু মায়াকে দেখে কিছুদিন সে এগুলো বন্ধ রেখেছিল। তার পরিবারও বলেনি যে তার ছেলে এমন।

আসলে মানুষের উপরেরটা দেখে ভেতরেরটা বোঝা অনেক কঠিন। মায়ার প্রেমে পড়ে সে এগুলো কিছুদিন ধামাচাপা রেখেছিল। কিন্তু একটি সময় তার আসল রূপ ঠিক বেরিয়ে গেল। কেননা একদিন নিলয় অনেক দেরিতে বাসায় ফিরছিল। তখন তাকে জিজ্ঞাসা করল মায়া এত দেরিতে বাসায় ফিরলা কেন কোথায় গিয়েছিলে। তার কোন প্রশ্নের উত্তর না দিয়ে সে সরাসরি ঘুমিয়ে পড়ল। সেদিন নীলা বুঝতে পারেনি।ঠিক একই কাজ রীতিমতো সে করছে। এখন আর নীলার বুঝতে দেরি হল না। কারণ একজন শিক্ষিত মেয়ে সব বুঝতে পারে।

আরেক দিন যখন মায়া জোরপূর্বক নিলয় কে জিজ্ঞাসা করতে লাগলো তুমি প্রতিদিন এত দেরি করে আসো, কোথায় যাও আজ তোমাকে বলতেই হবে।তখন নিলয় প্রচন্ড মারধর শুরু করে মায়াকে। মায়া কান্নাকাটি করে শুয়ে পড়ে। পরের দিন তার শাশুড়ি ও দেবরকে জিজ্ঞাসা করলে তারা কোন উত্তর দিচ্ছিল না। যখন অনেক কান্নাকাটি করে তার শাশুড়ির হাত চেপে ধরে বলে তখন তার শাশুড়ি তাকে বলে আমার ছেলে নেশাগ্রস্ত।আমি ভাবছিলাম যে বিয়ে হলে সব ঠিক হয়ে যাবে। মা তুমি ওকে ঠিকভাবে নতুন করে গড়ে নাও।

3V3rr4S3jU49uJ7YGXMfCAW8jdBAMcLpwKuDWQd3Wy8m3RekHFxfRPKJioki9L8rkjapja4Mb7D94eECZLrGjWymqaiFuhAafHyafmaKCx...Z4KvPeHqd9WSyKYLr5cUgCWeoXKYC3uzU9AG7XZCibPhjqYMguNySRGiZ2aW4KTPVTUwZ5Bo3KXN55z6Nx7BC37jdk1bfRWUEMC329RvYSZTX11rQcnAHN9idk.png

আমি মোছাঃ সায়মা আক্তার। আমি একজন ব্লগার, উদ্যোক্তা এবং শিক্ষিকা।কবিতা লিখতে, নতুন কোনো রেসিপি তৈরি করতে এবং নতুন নতুন ডিজাইন সৃষ্টি করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি।সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকতে এবং অবহেলিত মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারলে খুব ভালো লাগে।তাই সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি এবং তাদের সহযোগিতায় নিজেকে সব সময় সম্পৃক্ত রাখি।

বিষয়ঃ- ছোট গল্প "মায়াবতী পর্ব-৩"।

কমিউনিটিঃ- আমার বাংলা ব্লগ।

আপনার মূল্যবান সময় নষ্ট করে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ..........

🇧🇩🇧🇩ধন্যবাদ🇧🇩🇧🇩

RNFetchBlobTmp_d7sd0l62i0nkgaessdb8aj.jpg

3W72119s5BjVs3Hye1oHX44R9EcpQD5C9xXzj68nJaq3CeSsa63mzHQexuvWRDgxAQmHZjMKhFaYGe2ubQmiC33SnsVy3TGA7BbZJiqfXWxLCKhiShcGVU.png

RNFetchBlobTmp_03d29u40mvnu59lndy9o3r.jpg

3GcRe1vqX2dJk1W2xoFiu1CmPKLbXg5xF9NQ7aeyMdZG9WCnFCoaf77HnnjtGbxvtcZCVRGcMv32JELn7yGd7yduEbShNRxvckSFu5qxWm...4DBE7bSVB6BMULGX4TiDD37LfoKG4LDay4BF3jrUv6vvtoQgQ4ehXkDbqeAwyZ67B7q88vWNYwYe5K84y94JWzcu4Af3kiuQQ3akwFfHeiCdAEkfAf6qBTacXg.png

3GcRe1vqX2dJk1W2xoFiu1CmPKLbXg5xF9NQ7aeyMdZG9WQ9FoKXR6nY3eBXCyiFUDJvfgKpLEANiBKgd7Bwzjx9dLbdyUgWA6hMA3ras9...mvabhXst56JJLqJrLgEkFMJYL2J1JjkehZ8JdUmrkYeqnLKEkC7h5MKoXUDJeoguKyAx72Ktc9j7XvAJLo3LCEogU2ZQ8wTyLQ76aXSY1SdKekLiuM5iKZAWwp.png

RNFetchBlobTmp_6b5vs617qihlmxkafsl3f.jpg

3YjRMKgsieLsXiWgm2BURfogkWe5CerTXVyUc6H4gicdRPbqYxJcZK9JtriFPdqZV3xXxtdk9yPisUeRGZ8ozrvr2rnUXs5cagAakwsFpC...WFaaJHmXrxi5zwucUeo3mURWYKXw8Yzqstr8dvh3M1JDWxyrhGVnz8hWdG4EzTnPiDJSxmAXjGFzUJooULrkd8xDqMXzapJE9ubMNuVesQbzQucb8ksjRR8kdT.gif

Sort:  
 3 months ago 

আসলে অনেক মানুষ খোবে পড়ে নেশাগ্রস্ত হয়। আবার অনেকে সংঘ দোষে নেশাগ্রস্ত হয়। তবে জানা নেই নিলয় কেন এমন নেশাগ্রস্ত হয়েছে তবে মায়ার প্রতি ভালোবাসা জাগ্রত করে পিছু লেগে থেকে এরপর বিয়ে। কিন্তু পরবর্তীতে দেখা গেল তার সাথে খারাপ আচরণ রাত করে বাড়িতে ফেরা। এরপর মায়া এ বিষয়ে জানতে চাওয়ায় তার সাথে খারাপ আচরণ ও মারধর। সত্যি মানুষের জীবন পথে অদ্ভুত। তবে বেশ সুন্দর একটা গল্প কিন্তু জানতে পারলাম।

 3 months ago 

সুন্দর মন্তব্য করে সহযোগিতা করার জন্য ধন্যবাদ ভাই।

 3 months ago 

আসলে মানুষের উপরটা দেখে ভেতরটা বিবেচনা করা খুবই কষ্টকর। আর এটা কেউই বুঝতে পারে না একটা মানুষের ভেতরটা কি রকম। মানুষের আসল রূপ তো আস্তে আস্তে সবার সামনে আসে। আর ঠিক তেমনি ভাবে বিয়ের পরে নিলয়ের আসল রূপটা মায়ার সামনে এসেছিল। নিলয়তো দেখছি নেশাগ্রস্ত একজন ছেলে। তবে এটা ভাবতেছি মায়া কি পারবে নিলয় কে নতুন করে গড়ে তুলতে আর ভালো মানুষ করতে। কিন্তু নিলয় মায়া কে মারধর করেছিল অনেক বেশি বিষয়টা অনেক খারাপ লেগেছে। যাইহোক এই গল্পের পরবর্তী পর্বটা পড়ার অপেক্ষায় থাকলাম।

 3 months ago 

সুন্দর মন্তব্য করে সহযোগিতা করার জন্য ধন্যবাদ।

Coin Marketplace

STEEM 0.20
TRX 0.13
JST 0.030
BTC 63270.29
ETH 3464.65
USDT 1.00
SBD 2.51