ছোট গল্প ||| তবুও ভালোবেসে যাব পর্ব-০৩।
সবাইকে ঈদের শুভেচ্ছা, ঈদ মোবারক।আশা করি সকলেই ঈদের আনন্দকে আরও ভরপুর করার জন্য ঈদের পরের দিন সকলেই পরিবারসহ অনেক আনন্দঘন সময় অতিবাহিত করছেন।আমিও আলহামদুলিল্লাহ অনেক ভালো আছি এবং সুন্দর সময় অতিবাহিত করছি।
আজকে আমি আবারো আপনাদের মাঝে আমার ছোট গল্প "তবুও ভালোবেসে যাবো পর্ব-০৩" নিয়ে হাজির হয়েছি।জানিনা আমার গল্প গুলো কেমন লাগে আপনাদের কাছে। তবে আমি চেষ্টা করে যাচ্ছি যাতে আপনাদের সামনে সুন্দর সুন্দর গল্প উপস্থাপন করতে পারি।চলুন আর কথা না বাড়িয়ে "তবুও ভালোবেসে যাবো পর্ব-০৩" এ কি লিখেছি তা দেখে নেওয়া যাক।
প্রিন্স তার পরিবারের ছিল কলিজার টুকরা।আসলে পরিবারের প্রথম সন্তানকে এতটা ভালোবাসে তা প্রিন্সকে না দেখলে বোঝা যাবে না। মানুষ হিসেবেও যে প্রিন্স ছিল খুব অন্যরকম তা কিন্তু নয় যেমন মিশুক টাইপের ছেলে ছিল তেমনি সকলের সাথে খুব সহজেই সবকিছু মানিয়ে নিতে পারত। একদিন বাসায় যখন প্রিন্স একেবারে চলে এলো তার সব বেডিং পত্র নিয়ে। তখন হঠাৎ করে তার খুব বুকে ব্যথা হচ্ছিল এই নিয়ে প্রিন্সের মা প্রচন্ড টেনশন করে তারও প্রেসার বেড়ে গেল। তখন প্রিন্সের বাবা প্রিন্সকে চিকিৎসার জন্য ডাক্তারের কাছে নিয়ে গেল এবং প্রিন্সের মাকে নিয়ে গেল ডাক্তারের কাছে তার ছোট বোন।
সেই মুহূর্তটা ছিল অন্যরকম একদিকে মার সমস্যা আরেকদিকে ছেলের সমস্যা বিপদ যেন তাদের
পিছু ছাড়ছিল না। তারপরও প্রিন্স ডাক্তারের কাছে যাওয়ার পর সে বারবার তার বাবাকে জিজ্ঞাসা করছিল মার কি অবস্থা কারণ প্রিন্স তার মাকে এতটাই ভালবাসতো যেটা বলে প্রকাশ করা যাবে না।প্রিন্সের মাও প্রিন্সকে প্রচণ্ড ভালোবাসতো। কারণ প্রতিটি মা সন্তানকে এতটা ভালোবাসে যে সন্তানের অসুস্থতার কথা শুনলে মা দের অসুস্থ আরো দ্বিগুণ বেড়ে যায়। এমনিতেই প্রিন্স অসুস্থ তার কোন শারীরিক সমস্যার কথা শুনলেই প্রিন্সের মারও সমস্যা দ্বিগুণ হয়ে যায়।
তারপর প্রিন্স কিছুদিন বেড রেস্টে থেকে সুস্থ হল এবং নিয়ম মাফিক চললো। একদিন তার বাবাকে বলল বাবা আমি আবার পড়ালেখা শুরু করতে চাই আবার কলেজ যাব অনেকদিন রেস্টে ছিলাম।তার বাবা বলল যে ঠিক আছে বাবা তুমি যা ভালো মনে করো। তবে তুমি তোমার শরীরে প্রেসার দিয়ে কিছু করবে না।এই বলে প্রিন্স একদিন কলেজে গেল।এরপর কলেজে রীতিমতো যাওয়া আসা করছিল।এভাবে চার পাঁচ মাস কেটে গেল। প্রিন্স যে কোয়ার্টারে থাকতো সেই কোয়াটারের ভিতরে স্কুলের প্রোগ্রাম হচ্ছিল।প্রিন্সের খুব ইচ্ছা হল সেই প্রোগ্রামে যাবে।
তারপর সে রীতিমতো সেই প্রোগ্রামে গেল এবং সেখানে গিয়ে সোমাকে দেখে তার অনেক ভালো লাগলো। সেদিন সোমাকে কিছু বলতে পারেনি শুধুমাত্র সোমাকে বারবার দেখছিল। সোমা কোথায় থাকে কোন কোয়ার্টারে থাকে সব ডিটেলস সংগ্রহ করল। একদিন হঠাৎ সোমা যখন রাতে হাঁটতে বের হলো তার মার সঙ্গে। ঠিক সেই মুহূর্তে প্রিন্সও বের হয়েছিল হাঁটার জন্য। প্রিন্স সেদিন সোমাকে দেখে চোখ ফেরাতে পারছিল না। তারপর তার ছোট বোন মিশুর কাছ থেকে সোমার সম্পর্কে অনেক কিছু জানতে চায়। কারণ সোমা তো সেই ছোটবেলা থেকে এই কোয়ার্টার এই ছিল।
সেজন্য জুথি তাকে চিনতে পারবে।জুথি কিছুটা বুঝতে পারছে হয়তো তার বড় ভাইয়া সোমাকে ভালোবেসেছে। কিন্তু জুথি তার ভাইয়াকে কোন প্রশ্ন করল না। একদিন প্রিন্স সোমাকে প্রপোজ করলো।সোমা সেদিন কোন উত্তর দেয়নি। বলেছে পরের দিন সেটার উত্তর দিবে। প্রিন্স সোমার সঙ্গে দেখা করতে চাইলে সোমা তার সঙ্গে দেখা করে।পরে সোমার কেন জানি প্রিন্সের প্রতি দুর্বলতা চলে আসলো। সোমাও প্রিন্সকে ভালোবেসে ফেলেছে। এরপর একদিন দুজন দেখা করলো। এভাবে চলতে থাকে তাদের ভালোবাসা। কিছুদিন যাওয়ার পর সোমা প্রিন্সকে এতটা ভালবাসছে যেটা বলার বাইরে।
আমার পরিচয়।
আমি মোছাঃ সায়মা আক্তার। আমি একজন ব্লগার, উদ্যোক্তা।কবিতা লিখতে, নতুন কোনো রেসিপি তৈরি করতে এবং নতুন নতুন ডিজাইন সৃষ্টি করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি।সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকতে এবং অবহেলিত মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারলে খুব ভালো লাগে।তাই সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি এবং তাদের সহযোগিতায় নিজেকে সব সময় সম্পৃক্ত রাখি।
প্রিন্স এবং প্রিন্সের মা দুজনের অসুস্থতার কথা শুনে সত্যি খুবই খারাপ লেগেছে। আসলে সন্তানের অসুস্থতা দেখলে মায়েরা কখনো ভালো থাকতে পারে না। তেমনি প্রিন্সের অসুস্থতা দেখে প্রিন্সের মা ভালো থাকতে পারেনি, তিনিও অসুস্থ হয়ে গিয়েছিলেন। তাদের একে অপরের প্রতি এত ভালোবাসা দেখে সত্যি অনেক ভালো লেগেছে। শেষে প্রিন্স এবং সোমার ভালোবাসার কথা শুনে অনেক ভালো লেগেছে। তাদের দুজনের ভালোবাসা তো দেখছি বেশ ভালোই চলছে। একে অপরকে দুজন অনেক বেশি ভালোবাসে এটা বুঝতেই পারছি। দেখা যাক এখন তাদের ভালোবাসার কি হয় শেষ পর্যন্ত।
সুন্দর মন্তব্য করে কাজে সহযোগিতা করার জন্য ধন্যবাদ ভাই।
আপনার এই গল্পের প্রথম পর্বটা আমি পড়েছিলাম। পরবর্তী পর্ব দেখা হয়নি। কিন্তু আবারো আজকে তৃতীয় পর্ব দেখার সুযোগ হয়েছে তাই অনেক ভালো লাগলো। খুব সুন্দর একটি গল্প আমাদের মাঝে শেয়ার করছেন আপনি। পড়ে বেশ অনেক কিছু ধারণা পেলাম।
সুন্দর মন্তব্য করে সহযোগিতা করার জন্য ধন্যবাদ ভাই।