ফটোগ্রাফিতে পোস্ট |||| ভালো লাগা কিছু ফটোগ্রাফি।
আসসালামু আলাইকুম।আমার বাংলা ব্লগের এবং বাংলা এপার ওপারের সকল ভাই ও বোনেরা প্রত্যাশা করছি সুস্থভাবে দিন যাপন করছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় ও সৃষ্টিকর্তার কৃপায় বেশ ভালো আছি।
আমি আজ আপনাদের মাঝে আরেকটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। গ্রাম বাংলার প্রাকৃতিক সৌন্দর্য সবার মনকে আকৃষ্ট করে। গ্রামের সবুজ মাঠ সবুজ ঘাস ও হলুদ সরিষা ফুল দেখে মন ভরে যায়।সোনালী ধানের ক্ষেত , হলুদ বিশাল মাঠ, প্রকৃতির অপরূপ সুন্দর্য্যের কিছু ফটোগ্রাফি আজ আপনাদের মাঝে তুলে ধরলাম। হঠাৎ করে গিয়েছিলাম গ্রামের বাড়ি।সেই গ্রামের বাড়ি ঘুরতে গিয়ে বেশ আনন্দ করলাম।
সকালটায় বের হয়েছিলাম সরিষা ক্ষেত এবং নিজের কিছু জমা জমি দেখার জন্য। আসলে দায়িত্ব বিশাল কিছু। বর্তমান সময় নিজের জিনিসপত্র যদি নিজে দেখাশোনা না করা হয় তাহলে এগুলো নিজের হাত থেকে প্রতারকরা ছিনিয়ে নিতে পারে। কারণ আমরা বর্তমানে এমন একটি সমাজে বসবাস করি কাকে কে মেরে কে খেতে পারবে সেই বুদ্ধি টাই বেশির ভাগ মানুষের কাজ।
কিন্তু একটু সৎ পথে পরিশ্রম করে খেলে সেই পয়সাটাও হালাল ভাবে খাওয়া যায় এবং নিজের জন্য ভালো। কিন্তু কিছু প্রতারক মানুষ সেটি না করে কিভাবে অলস ভাবে অন্যের জিনিস ভোগ করা যায় সেই বুদ্ধিটি তারা মাথায় নিয়ে আসে।এভাবে সে যেমন অপরাধী হচ্ছে অন্যের কাছে।
তো আসল কথায় আসা যাক এবার আমি চেষ্টা করি গ্রামে গিয়ে গ্রামীন কিছু ফটোগ্রাফি আপনাদের মাঝে তুলে ধরার জন্য।যে ফটোগ্রাফি গুলো আমার ভালো লাগে সেই ফটোগ্রাফি আপনাদের মাঝে আমি তুলে ধরি।সকালে গিয়েছিলাম খেতে এবং সেই খেতে চারদিকটা শুধু হলুদ বিশাল মাঠ দেখে এত ভালো লেগেছিল একটি ছবি আপনাদের মাঝে তুলে ধরলাম। এখন যেইদিকেই তাকাই শুধু চার সাইটটা হলুদে হলুদে একাকার।আর এই সরিষা ক্ষেত দেখলেও মনটা ভালো হয়ে যায়। প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য আমাদের মাঝে বিলিয়ে দেন। আর সেই সৌন্দর্য আমরা উপভোগ করি এবং আমাদের মনটিও আনন্দে ভরপুর হয়।
ইট পাথরের দেয়ালে থাকতে থাকতে প্রতিটি মানুষের মন একসময় হাঁপিয়ে ওঠে মন চায় একটু সবুজের সতেচতা। আসলে এই শহরে অবস্থান করে এবং ব্যস্ততায় জীবন-যাপন কাটিয়ে হঠাৎ মনটাও ক্লান্ত হয়ে যায়।সেই ক্লান্ত মন অবসান পাওয়ার জন্য আমি মনে করি গ্রামের নিরিবিলি পরিবেশ মনকে সহজ সরল মানুষের সান্নিধ্য পেয়ে বেশ ভালো লাগে।
আমার গ্রামের সবকিছুই কেন জানি খুব ভালো লাগে। গ্রামের মানুষের কথা চলাফেরা সবকিছুই অন্যরকম লাগে। কারণ গ্রামের মানুষরা একটু সহজ সরল হয়ে থাকে। আর যাই করুক তারা মানুষকে ঠকিয়ে কিছু করতে চায় না। আমি সেই গ্রামের কিছু সৌন্দর্য আপনাদের মাঝে তুলে ধরলাম আশা করি আপনাদের ভালো লাগবে।
আজকে এখানে শেষ করছি তবে আবারও অন্য কোন বিষয় ও ফটোগ্রাফি নিয়ে হাজির হবো ইন-সা-আল্লাহ।
আমি মোছাঃ সায়মা আক্তার। আমি একজন ব্লগার, উদ্যোক্তা এবং শিক্ষিকা।কবিতা লিখতে, নতুন কোনো রেসিপি তৈরি করতে এবং নতুন নতুন ডিজাইন সৃষ্টি করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি।সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকতে এবং অবহেলিত মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারলে খুব ভালো লাগে।তাই সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি এবং তাদের সহযোগিতায় নিজেকে সব সময় সম্পৃক্ত রাখি।
বিষয়ঃ- ফটোগ্রাফিতে পোস্ট "ভালো লাগা কিছু ফটোগ্রাফি"।
কমিউনিটিঃ- আমার বাংলা ব্লগ।
আপনার মূল্যবান সময় নষ্ট করে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ..........
এত সুন্দর করে সবগুলো ফটোগ্রাফি করেছেন দেখেই ভালো লাগলো। সরিষার ক্ষেত এখন প্রত্যেকটা জায়গায় দেখা যাচ্ছে, আর এটা দেখতেও অনেক বেশি ভালো লাগে। আর সরিষার ক্ষেতের ফটোগ্রাফি করলেও অনেক বেশি সুন্দর হয়, যা দেখলে মনটা একেবারে ভালো হয়ে যায়। সবগুলো ফটোগ্রাফির থেকে আমার কাছে সরিষার ক্ষেতের এই সৌন্দর্যের ফটোগ্রাফি টা বেশি ভালো লেগেছে। গ্রামের সবকিছু আমার নিজের কাছেও অনেক বেশি ভালো লাগে। রাস্তার এই ফটোগ্রাফিটা ও কিন্তু অসম্ভব ভালো ছিল। বিশেষ করে রাস্তার দুই পাশে গাছ হওয়ার কারণে বেশি সুন্দর লাগছে।
সরিষা ফুলের ক্ষেত দেখে আমার অনেক ভালো লেগেছে আপু।
আমার খুব ইচ্ছে সরিষা খেতে যাওয়ার। হলুদ ফুল গুলোর মাঝখানে কিছু ফটোগ্রাফি করার। কিন্তু সেই সৌভাগ্য আর পাবো কই। ইট পাথরের দেওয়ালের মাঝে ডুবে থাকলে আমারে নিঃশ্বাস বন্ধ হয়ে যায়। শহরের থেকেও গ্রামের সবুজ প্রকৃতির মাঝে সতেজ বাতাসে বসবাস করা অনেক সৌভাগ্যের ব্যাপার। যাইহোক সবগুলো ফটোগ্রাফি দারুন ছিল আপু।
আমার ফটোগ্রাফি গুলো আপনার ভালো লেগেছে এটা আমার জন্য অনেক বড় পাওয়া।
সরিষা ফুলের দেশ চমৎকার ফটোগ্রাফি আজকে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। পাশাপাশি গ্রামের দৃশ্য গৃহপালিত পাখির দৃশ্য সহ অনেক কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন আপনি। বেশ ভালো লাগলো প্রত্যেকটা ফটোগ্রাফি দেখে।
সুন্দর সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ ভাই।
একদম ঠিক বলছেন আপু নিজের জায়গা জমি গুলোতে নিজেকে সময় দিতে হয়। একদম যদি দেখাশোনা না করা হয় তাহলে দ্বিতীয় পক্ষ সেখানে দখল করতে সুযোগ পায়। বেশ সুন্দর সুন্দর ফটোগ্রাফি শেয়ার করলেন গ্রাম বাংলার। সরিষা ক্ষেতের ফটোগ্রাফি গুলো দেখতে খুবই সুন্দর হয়েছে।
সুন্দর মন্তব্য করে উৎসাহ দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ আপু।
প্রাকৃতিক দৃশ্যের চমৎকার কিছু ফটোগ্রাফি আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন আপু। এই ধরনের পরিবেশে সময় অতিবাহিত করতে পারলে আসলেই অনেক ভালো লাগে। বিশেষ করে সরিষা ফুলের জমিতে ভ্রমণ করতে পারলে সব থেকে বেশি ভালো লাগে আমার কাছে।
মন্তব্য করে কাজের গতি বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।
আপনি সত্যিই প্রকৃতির কিছু সুন্দর ছবি শেয়ার করেছেন. আপনার প্রতিটি ছবি সত্যিই ভাল ছিল। খুব কাছ থেকে সরিষা ক্ষেত দেখা হয়নি যতটুক দেখে যে ছবি তেই এবং আপনার ছবিটাও ভালো লেগেছে এবং দেয়ালে একটা এটা নকশার মতন দেখলাম সেটা ভালো ছিল।
আমার ফটোগ্রাফি গুলো আপনার ভালো লেগেছে জেনে অনেক ভালো লাগলো।
একদমই অসাধারণ কিছু ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন। সবগুলো ফটোগ্রাফি একটি থেকে একটি অসাধারণ দেখা যাচ্ছে৷ সবগুলো ফটোগ্রাফির দিকে তাকিয়ে থাকতে ইচ্ছা করছে৷ এর মধ্যে প্রথমেই আপনি যে ফুলের ফটোগ্রাফি শেয়ার করেছেন সেটি আমার অনেক বেশি পরিমাণে পছন্দ হয়েছে৷
মন্তব্য করে উৎস দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ ভাই।
বেশ কিছু সুন্দর সুন্দর প্রাকৃতিক দৃশ্যের ফটোগ্রাফি আপনি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। আপনার প্রতিটি ফটোগ্রাফি বেশ ভাল ছিল।
সুন্দর মন্তব্য করে উৎসাহ দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।
উৎসাহিত করাই আমার কাজ।
আপু এটা ঠিক বলেছেন সমাজের কিছু মানুষ থাকে কিভাবে অন্য কারো জিনিস মেরে খাওয়া যায়! তবে যায়হোক, গ্রামীণ পরিবেশ বরাবরই আমার কাছে ভালো লাগে। সরিষা ক্ষেতের ফটোগ্রাফি দেখে ভালো লাগলো আপু 🌼
মন্তব্য করে সহযোগিতা করার জন্য ধন্যবাদ ভাই।
আপনার এই ফটোগ্রাফিমূলক পোস্টে গ্রামীণ কিছু ফটোগ্রাফি বেশ সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন যা দেখে ভালো লাগলো আপু। গ্রামীণ এরকম দৃশ্য দেখতে বেশ ভালই লাগে। গ্রামের বাড়ির উঠোনে হাঁস গুলো যখন ঘুরে বেড়ায় তা দেখতে খুব ভালো লাগে। বাংলাদেশে ঘুরতে গিয়ে এরকম দৃশ্য দেখার সুযোগ হয়েছিল আমার কিছুদিন আগে। আমার কাছেও গ্রামের সবকিছু ভালো লাগে। গ্রামের মানুষের চলাফেরা, সহজ সরলতা থেকে শুরু করে গ্রামের প্রকৃতি সবই আমার প্রিয়।
সব সময় সুন্দর সুন্দর মন্তব্য করে উৎসহ দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ দাদা।