রেসিপি ||| জাম্বুরা মাখা ||| ১০% লাজুক শিয়ালের জন্য।
হ্যালো বন্ধুরা,
আসসালামু আলাইকুম। বাংলার এপার-ওপারের সকল ভাই ও বোনেরা বিধাতার রহমতে সুস্থ ভাবে দিন যাপন করছেন আশা রাখি। আমিও আপনাদের দোয়ায় ও বিধাতার রহমতে ভালো আছি।
আমি আজ আপনাদের জন্য আরেকটি নতুন রেসিপি নিয়ে হাজির হয়েছি।আজ দুইদিন থেকে প্রচন্ড ঠান্ডা। এই ঠান্ডা আবহাওয়ার কারণে ছোট বড় সবার শারীরিক একটু সমস্যা দেখা দিচ্ছে।শরীর ব্যথা, সর্দি, হাঁচি,কাঁশি আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে এই রোগগুলো আমাদের হচ্ছে। আমরা বড়রা একটু হলেও অসুস্থতা সামলিয়ে নিতে পারি।কিন্তু ছোটরা অসুস্থ হলে সব সময় অস্থিরতার মধ্যে থাকে এবং কোনো কিছুতেই মনে হয় ওদের শান্তি লাগেনা, তাই ওরা খুব বিরক্ত করে,খেতেও চায় না।সর্দি ঠান্ডা জ্বর হলে কোন কিছু খেতেও ইচ্ছে করেনা খাবারের প্রতিও একটা অরুচি চলে আসে।এই অসুস্থতায় আমরা যদি ঘরোয়া ভাবে কিছু ব্যবহার করি তাহলে অনেক রোগ হতে অব্যাহতি পেতে পারি সব।সময় ওষুধের উপরে নির্ভরশীল হওয়া ঠিক না।আমরা ভিটামিন সি জাতীয় খাবার যদি একটু বেশি পরিমাণে খাই তাহলে আমাদের ঠান্ডায় শরীর ভালো থাকে। তাই আমি ও চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি ঘরোয়া টোটকার মাধ্যমে আমার অসুস্থতার মুক্তি পেতে। ভিটামিন সি জাতীয় খাবার খেয়ে এবং বিভিন্ন রকমের ঘরোয়া কিছু টোটকার নিয়মও ব্যাবহার করে আমি মোটামুটি একটু সুস্থ ঠান্ডা ও সর্দি থেকে। আরেকটি জিনিস আমি আপনাদের মাঝে আজ "জাম্বুরা মাখা" নিয়ে হাজির হয়েছি। জ্বর ঠান্ডা হলে এই জাতীয় খাবার গুলো খেলে মনে হয় মুখে একটু বেশি মজা লাগে।তাই আজ আপনাদের মাঝে "জাম্বুরা মাখা" র কিছু উপকারিতার বিষয় নিয়ে হাজির হয়েছি।আর কথা না বাড়িয়ে চলুন দেখি কিভাবে "জাম্বুরা মাখা" তৈরি করেছি তার সমস্ত প্রস্তুত প্রণালি দেখে নেওয়া যাক।
উপকরণ সমূহঃ🛒
১।জাম্বুরা।
২।কাঁচা মরিচ।
৩।শুকনা মরিচ
৪।চিনি।
৫।সরিষার তেল।
৬।লবণ।
প্রথমে জাম্বুরা গুলো ভালো করে ধুয়ে নিয়েছি।
জাম্বুরাটির উপরের অংশ কেটে নিয়েছি।
জাম্বুরাটির সাইডে বটি দিয়ে চিরচির করে কেটে নিয়েছি এবং জাম্বুরার খোসা আস্তে আস্তে করে তুলে নিয়েছি।
জাম্বুরার খোসাটি পরিষ্কার করে ভিতর থেকে আস্ত জাম্বুরাটি বের করে নিয়েছি।
আস্ত জাম্বুরা টিকে কেটে ছোট ছোট অংশে কেটে নিয়েছি ভিতরের জাম্বুরার কোয়া গুলো বের করার জন্য ।
সুন্দর করে জাম্বুরার কোয়াগুলো বের করে নিয়েছি এবং বিচি ফেলে দিয়েছি।
এবার জাম্বুরার কোয়াগুলোর ভিতরে কাঁচা মরিচ, শুকনা মরিচ, লবণ, চিনি এবং সরিষার তৈল দিয়ে ভাল করে মেখে নিয়েছি। আর এভাবেই হয়ে গেল আমার "জাম্বুরা মাখা"।এবার এই "জাম্বুরা মাখা"* পরিবেশনের জন্য রেডি করে তার একটি ছবি আপনাদের সামনে উপস্থাপন করলাম।
আমি মোছাঃ সায়মা আক্তার। আমি একজন ব্লগার, উদ্যোক্তা এবং শিক্ষিকা।রেসিপি তৈরি করতে,কবিতা লিখতে এবং বিভিন্ন ধরনের ডিজাইন তৈরি করতে পছন্দ করি।আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি একটি সহযোগিতামুলক এবং নিরপেক্ষ একটি কমিউনিটি। তাই এই কমিউনিটির একজন সদস্য হতে পেরে নিজেকে গর্বিত মনে করি।
বিষয়ঃ- রেসিপি " জাম্বুরা মাখা"।
কমিউনিটিঃ- আমার বাংলা ব্লগ।
আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সদস্য ও সকলের পরিবারের সদস্যের সুস্থতা এবং দীর্ঘায়ু কামনা করছি.......
জাম্বুরা বরাবর খেতেই অনেক মজা লাগে।
যখন সবাই মিলে একসঙ্গে হই তখন যদি হঠাৎ করে এই জাম্বুরা চোখে পড়ে তাহলে ওইখানে নিয়ে ওই অবস্থায় খেয়ে নেই। আর পাশে আপুদের সাথে খেলে সাধারণত জম্বুড়া সুন্দর হবে আপনার মত করে খাই।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপু
এটা তো অনেক মজার বিষয় ভাই।
আমাদের এদিকে তো জাম্বুরা শেষ বলা চলে। অনেক দিন পরে জাম্বুরা মাখা দেখলাম আপু।খুব ভাল লাগছে আপনার রেসিপি টা দেখে ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
জি ভাই এখানেও শেষ, হঠাৎ পেয়েছিলাম ভাই।
আবহাওয়া পরিবর্তনের কারণে এখন কম বেশি সবাই অসুস্থ হচ্ছে। আর আবহাওয়াটাও আস্তে আস্তে ঠান্ডা হচ্ছে। জাম্বুরা আমার খুব একটা ভালো লাগে না। তবে এভাবে মেখে খেতে ভালো লাগে। আপনার জাম্বুরার কালার টা খুব সুন্দর। খেতেও নিশ্চয়ই অনেক সুস্বাদু। আর এভাবে মাখলে তো সুস্বাদু হওয়ারই কথা।
জি আপু অনেক মজাদার ছিল।
এই সময় ছোট বড় সবাই অসুস্থ হচ্ছে। জ্বর, ঠান্ডা, সর্দি সবকিছু যেন লেগেই আছে। এই সময় সবাইকে যেমন সতর্ক থাকতে হবে তেমনি ভিটামিন সি জাতীয় খাবার খেতে হবে। ভিটামিন সি আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী। জাম্বুরা শরীরে পুষ্টি ঘাটতি পূরণ করে। সময় উপযোগী একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন। আপু আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাচ্ছি এই রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
আপনার মন্তব্যের সাথে একমত আমি আপু।
আপনি ঠিক বলেছেন আপু এ সময় সবাইকে একটু সতর্ক থাকতে হবে এবং ভিটামিন সি জাতীয় খাবার বেশি বেশি বেশি খেতে হবে। আর জ্বর হলে টক জাতীয় খাবার খেতে খুব ভালই লাগে। আপনার জাম্বুরা মাখা দেখে আমার ও খুবই খেতে ইচ্ছে করছে। জাম্বুরা মাখা খেতে আমার খুবই ভালো লাগে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
সুন্দর মন্তব্য করে উৎসহ দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ আপু।
জাম্বুরা ফল আমার খুব প্রিয়। আপনার জাম্বুরা রেসিপি দেখে আমার ছোট কালের কথা মনে পড়ে গেলো। শৈশবে অন্য লোকদের গাছ থেকে জাম্বুরা পেড়ে খেতাম। কয়দিন আগেও আব্বু আমাদের জন্য বড় দেখে দুটি জাম্বুরা এনেছে । ঠিক আপনার মতন করে আম্মু মেখে দিয়েছে। খেতে খুবই ভালো লাগলো। সুন্দর পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই।
আমার রেসিপি আপনার পছন্দ হয়েছে শুনে অনেক ভালো লাগলো ভাই।
জাম্বুরা মাখা দেখেইতো জিভে জল চলে এসেছে আপু। জাম্বুরা ফলটিতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি রয়েছে। এটি সত্যি আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। আর এই ফলটি এভাবে মাখিয়ে খেতে দারুন লাগে। সত্যি বলতে আমাদের বাসায় জাম্বুরা আনলেই আম্মু এভাবে মাখিয়ে দেয়।এরপর আমরা সবাই এক নিমিষেই খেয়ে ফেলি।
আবহাওয়া পরিবর্তনের কারনে অনেকের এই সমস্যা হচ্ছে।আমার ও মাঝে সর্দি,কাশি হয়েছিল।যাইহোক ছোটরা অসুস্থ হলে ভারী মুশকিল।মুখে রুচি আনতে দারুণ স্বাদের রেসিপি তৈরি করেছেন আপু।জিভে জল চলে এলো,ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ দিদি।
একদম ঠিক বলেছো আপু মনি আবহাওয়া পরিবর্তনের সাথে সাথে আমাদের অনেকেরই সর্দি কাশি জ্বর ঠান্ডা লেগেই আছে। বড়রা কোনরকম সামলিয়ে নিতে পারলেও। ছোটদের নিয়ে টেনশন ফিল করতে হয়। অনেক সুন্দর হয়েছে আপনার জাম্বুরা মাখা। জাম্বুরা মাখায় দেখেই জিভে জল গড়িয়ে পড়ছে। খুব খেতে ইচ্ছে করছে। এত সুন্দর লোভনীয় জাম্বুরা মাখা অনেকদিন হল খাইনা।♥♥
আপনার ভালো লেগেছে এটাই আমার বড় পাওয়া আপু।
আমার কাছে জাম্বুরা খেতে একদম ভালো লাগে না। আপনার জাম্বুরা মাখানো দেখে মনে হচ্ছে এভাবে খেলে হয়তো ভালো লাগবে। গরমের মধ্যে বসে এই জাম্বুরা মাখা খেতে অনেক ভালো লাগে। ধাপগুলো খুব সুন্দরভাবে বর্ণনা করেছেন। ধন্যবাদ মজাদার রেসিপি শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
সুন্দর মন্তব্য করে সহযোগিতা করার জন্য ধন্যবাদ আপু।