রেসিপি পোস্ট ||| ভাপা পিঠা।
আসসালামু আলাইকুম।আমার বাংলা ব্লগের সকল ভাই ও বোনেরা প্রত্যাশা করছি এই প্রচন্ড শীতের ঋতুতে আশা করছি পরিবারকে নিয়ে সুস্থ ভাবে দিন যাপন করছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় ও সৃষ্টিকর্তার রহমতে বেশ ভালো আছি।
শীতের মাসটি শীত হলেও আমার অনেক পছন্দের একটি মাস।এই মাসে প্রকৃতি দেখতে যেমন ভালো লাগে তেমনি ঘুরে বেড়াতেও অনেক ভালো লাগে।এই শীতের সময় সকালে কুয়াশা ঢাকা পরিবেশ এবং ঘাসের ডগায় শিশির বিন্দুগুলো দেখে যেন মন হৃদয় সব ভরে যায়।আসলে প্রকৃতির অপরূপ সৌন্দর্য আমরা সবাই বিমুগ্ধ হয়ে থাকি।প্রকৃতি তার সুন্দর্য আমাদের মাঝে বিলিয়ে দেয় আর আমরা সেই সৌন্দর্য উপভোগ করি।প্রকৃতির সুন্দর্য দেখে আমাদের মন প্রাণ ভরে যায় তাইতো সেই সুন্দর্য থেকে কত গান কবিতা কত মনীষীদের কথা সৃষ্টি হয়েছে এই বাংলা ভাষায়। আমি আজ আপনাদের মাঝে একটি রেসিপি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি।এপার বাংলা ওপার বাংলা যাই বলেন না কেন ভাপা পিঠা এক নামে সবার পরিচিত এবং শীতের ঐতিহ্যবাহি পিঠা।এই ভাপা পিঠার নাম বললে সকলেই চীনে।
অনেক আগে থেকে এই ভাপা পিঠার প্রচলন চলছে। শীত এলেই ভাপা পিঠার পড়ে যায় ধুম সকলের ঘরে ঘরে।বাঙালি জাতির শীতের মাসটা মনে হয় পিঠাপুলির ধুম পড়ে যায় প্রত্যেকের ঘরে ঘরে চলে আনন্দের ধারা। আমি আপনাদের মাঝে "ভাপা পিঠা" নিয়ে হাজির হয়েছি।চলুন আর কথা না বাড়িয়ে এই "ভাপা পিঠা" রেসিপিটি কিভাবে তৈরি করেছি তার সমস্ত প্রস্তুত প্রণালী দেখে নেওয়া যাক।
উপকরণসমূহঃ-
১। আতপ চালের গুঁড়া।
২। গুড়।
৩। লবণ।
৪। নারিকেল ।
প্রথমে আতপ চালের গুঁড়া,সামান্য পানি ও লবণ দিয়ে ভালো করে মেখে নিয়েছি।
এবার সেই মেখে নেওয়া চালের গুঁড়া ছাকনিতে চেলে নিয়েছি হাত দিয়ে ।
নারকেল কুরানী দিয়ে নারকেল কুড়িয়ে নিয়েছি।
গুড় গুলো ভেঙ্গে ঝুরিঝুরি করে নিয়েছি।
এবার একটি বাটিতে সেই চেলে নেওয়া গুঁড়া গুলো দিয়েছি এবং তার ভিতরে গুড় ও নারকেল দিয়ে আবারও চালের গুঁড়া দিয়ে বাটিটি ভরিয়ে নিয়েছি।
এবার একটি পাতলা কাপড় দিয়ে সেই বাটিটি ঢেকে নিয়েছি।
রাইস কুকারে পানি ফুটিয়ে তার উপর রাইস কুকারের ঢাকনাটি দিয়ে দিয়েছি এবং সেখানে ভাপা পিঠার বাটিটি আস্তে করে রেখে পিঠাটি ভিতরে দিয়ে একটি ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিয়েছি সিদ্ধ হওয়ার জন্য।
কিছুক্ষণ অপেক্ষা করেছি আবারো একটু ঢাকনাটি খুলে হাত দিয়ে দেখে নিয়েছি পিঠাটি হয়েছে কিনা। তারপর যখন বুঝতে পারলাম আমার পিঠাটি হয়ে গিয়েছে তখন সেই কাপড় থেকে পিঠাটি বের করে নামিয়ে নিয়েছি।আর এভাবে হয়ে গেল আমার "ভাপা পিঠা" রেসিপি। এবার এই "ভাপা পিঠা" রেসিপির একটি ছবি আপনাদের সামনে উপস্থাপন করলাম।
আমি মোছাঃ সায়মা আক্তার। আমি একজন ব্লগার, উদ্যোক্তা এবং শিক্ষিকা।কবিতা লিখতে, নতুন কোনো রেসিপি তৈরি করতে এবং নতুন নতুন ডিজাইন সৃষ্টি করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি।সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকতে এবং অবহেলিত মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারলে খুব ভালো লাগে।তাই সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি এবং তাদের সহযোগিতায় নিজেকে সব সময় সম্পৃক্ত রাখি।
বিষয়ঃ- রেসিপি পোস্ট "ভাপা পিঠা"।
কমিউনিটিঃ- আমার বাংলা ব্লগ।
আপনার মূল্যবান সময় নষ্ট করে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ..........
ভাপা পিঠা আমার খুবই পছন্দের। শীতকালে তো প্রায় সময় এই ভাপা পিঠা খাওয়া হয়। গুড়ের তৈরি করা ভাপা পিঠাগুলো খেতে আমার কাছে বেশি মজা লাগে। গরম গরম ভাপা পিঠা হাতে নিয়ে দু'ভাগ করলে এবং গলানো গুড় খেতে অসাধারণ তৃপ্তি লাগে। আপনি আজকের রেসিপিটা দিয়ে তো লোভ লাগিয়ে দিলেন আপু।
আপনার সাথে একমত আপু। আমারও ভাপা পিঠা দু'ভাগ করলে ভেতরের গলানো গুড় খেতে অনেক ভালো লাগে।
শীতের সকালে গরম গরম ভাপা পিঠা খাওয়ার অনুভূতি বেশ দুর্দান্ত হয়ে থাকে। আমার যে কোন ধরনের পিঠা খেতে বেশ ভালো লাগে। আসলে ভাপা পিঠার মধ্যে নারিকেল এবং খেজুরের গুড় দিলে খেতে বেশ মজাদার এবং সুস্বাদু হয়ে থাকে । আপনার ভাপা পিঠা তৈরি অনেক দুর্দান্ত হয়েছে । আমাদের মাঝে ধাপে ধাপে উপস্থাপন করেছেন। এত সুন্দর রেসিপি পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
আপনি ঠিক বলেছেন আমারও সব ধরনের পিঠাই পছন্দ।
শীতের পিঠার মধ্যে আমার কাছে ভাপা পিঠা সবচেয়ে বেশি ভালো লাগে তাই বলাই যায় আজকে আপনি আমার প্রিয় রেসিপি টা শেয়ার করেছেন। আপু সত্যি বলতে প্রিয় রেসিপি টা দেখে লোভ লেগে গেল এক পিস দেওয়া যাবে হি হি হি।
এক পিস কেন ভাই পুরোটাই নিয়ে খেয়ে ফেলেন। খাওয়ার জন্যই তো এত সুন্দর একটি ছবি আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করেছি।
এই শীতের সময় ভাপা পিঠা খাওয়ার মজাই আলাদা৷ ভাপা পিঠা যখন খাওয়া হয় তখন খুবই ভালো লাগে৷ আজকে আপনি খুবই সুন্দরভাবে ভাপা পিঠার রেসিপি শেয়ার করেছেন। এরকম একটি রেসিপি দেখতে পেরে খুবই ভালো লাগলো। কিছুদিন আগে আমি ভাপা পিঠা খেয়েছিলাম। আজকের আপনার তৈরি এই ভাপা পিঠা দেখেও অনেক সুস্বাদু মনে হচ্ছে৷
সুন্দর মন্তব্য করে পাশে থাকার জন্য ধন্যবাদ ভাই।
শীতকালে ভাপা পিঠার মজাই আলাদা। ভাপা পিঠা আমার অনেক প্রিয়।আজকে আপনি খুব চমৎকারভাবে ভাপা পিঠার রেসিপি আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। আর সেটা সুন্দর ধাপে ধাপে।অনেক অনেক ধন্যবাদ আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
শীতের সময় ভাপা পিঠা খেতে পছন্দ করে না এরকম মানুষ অনেক বেশি কম রয়েছে। শীতের সময় ঐতিহ্যবাহী একটা পিঠা হচ্ছে ভাপা পিঠা। ছোট বড় সবাই এই পিঠা খেতে ভালোবাসে। বেশ কয়েকদিন আগে আমাদের বাড়িতেও ভাপা পিঠা তৈরি করা হয়েছিল। আর তখন অনেক বেশি মজা করে ভাপা পিঠা খেয়েছিলাম। আপু আমাকে কি একটা দেওয়া যাবে😜। না মানে আপনার কাছে দেখে একটু বেশি খেতে ইচ্ছে করছিল আর কি 🤤😋।
সব সময় পাশে থেকে সুন্দর সুন্দর মন্তব্য করে সহযোগিতা করার জন্য ধন্যবাদ ভাই।
আমার পছন্দের একটি পিঠা! তবে এখন তেমন খাওয়া হয় না। বলতে গেলে আম্মা তেমন তৈরিও করে না। তবে আপনি সুন্দর করে দেখিয়েছেন 😍
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
শীতকাল মানে বিভিন্ন ধরনের পিঠা সমারোহ। শীতকালীন পিঠাগুলো খেতে আমার কাছে অনেক বেশি ভালো লাগে। তার মধ্যে ভাপা পিঠা একটা খুবই বেশি খাওয়া হয়। ভাপা পিঠা খেতে অনেক বেশি ভালো লাগে। গরম গরম ভাপা পিঠা খাওয়ার মজাই আলাদা। তবে এ বছর এখন পর্যন্ত ভাপা পিঠা খাওয়া হয়নি। আপনার তৈরি করা ভাপা পিঠাগুলো দেখে খুবই খেতে ইচ্ছে করছে।
আমার রেসিপি আপনার কাছে পছন্দের শুনে অনেক ভালো লাগলো।