কুমড়া দিয়ে রুই মাছের ঝোল।

‌

আমাদের দৈনন্দিন জীবনে খাবারের মেনুতে একই রকম খাবার খেতে অনিহা এসে যায়। তাই খাওয়ার মেনুটা যদি একেক দিন একেক রকম হয় তাহলে খাওয়ায় রুচি চলে আসে। প্রতিদিন যদি আমরা ভাজি, ভুনা খাই তাহলে স্বাস্থ্যের পক্ষে অনেক ক্ষতিকর। তাহলে আমরা যদি মাঝেমধ্যে ঝোল তরকারি মেনুতে রাখি তাহলে স্বাস্থ্যের জন্য খুব ভালো। তাই স্বাস্থ্যের কথা ভেবেই আমি আজকে আপনাদের সামনে "কুমড়া দিয়ে রুই মাছের ঝোল" রেসিপি উপস্থাপন করলাম।

প্রস্তুত প্রণালীঃ-

১। চাল কুমড়া-------------------------১টি।

২। রুই মাছ----------------------------৪পিচ।

৩। পেঁয়াজ ---------------------------৪টি।

৪। কাঁচা মরিচ------------------------৮টি।

৫। হলুদ গুড়ো -------------------পরিমান মত।

৬। মরিচ গুঁড়ো -------------------পরিমান মত।

৭। জিরা গুড়ো --------------------পরিমান মত।

৮। লবন ------------------------------স্বাদ মত।

৯। রসুন --------------------------পরিমান মত।

১০। তৈল-----------------------------স্বাদ মত।

------------------প্রথম ধাপ ---------------------
‌প্রথমে কুমড়ো টি ভালো করে কেটে নিলাম। কেটে নেওয়ার পরে এই কুমড়ো টুকরো গুলো সুন্দর করে পরিষ্কার করে নিলাম।এরপর কুমড়ো টুকরোগুলো ২/৩মিনিট ভাব দিলাম।ভাব দেওয়ার পর কুমড়ো টুকরোগুলো সাজিতে রেখে পানি ঝরালাম।

--------------------দ্বিতীয় ধাপ-------------------

‌রুই মাছ টি সুন্দর করে কেটে নিলাম। কেটে নেওয়ার পরে মাছগুলো সুন্দর করে পানিতে পরিষ্কার করলাম এবং একটু লবণ দিয়ে মাছগুলো ঘষে ঘষে পরিষ্কার করে নিয়ে নিলাম। এরপর লবণ, মরিচ গুঁড়া, মসলার গুঁড়া, হলুদ গুড়ো এবং লবণ দিয়ে মাছটাকে ভাল করে মেখে নিলাম। এরপর ফ্রাই পেনে হালকা করে মাছগুলো ভেজে নিলাম।

---------------------তৃতীয় ধাপ-------------------

‌কম সময়ে রান্না সম্পন্ন করার জন্য আমি প্রেসার কুকারে দিয়ে রান্নাটি করেছি।প্রেসার কুকারে পেঁয়াজ কুচি, মরিচ কুচি, হলুদ গুঁড়ো, জিরা গুঁড়ো,রসুন কুচি এবং তৈল দিয়ে ভালো করে কষিয়ে নিয়ে তার ভিতরে কুমড়ো টুকরোগুলো দিয়ে আবার কষিয়ে নিয়েছি কিছুক্ষণ।

------------------শেষ ধাপ ----------------------

‌কুমড়োর টুকরোগুলো প্রেসার কুকারে কষিয়ে নিয়ে। দুই কাপ পরিমাণ পানি এই প্রেসার কুকারে দেওয়ার পর কিছুক্ষণ রান্না করার পরে যখন পানি কমে আসবে। তখন রুই মাছের টুকরোগুলো এই প্রেসার কুকারে দিয়ে দিয়েছি। এরপর কিছু সময় রান্না করার পরে প্রেসার কুকার টি নামিয়ে খাবারের জন্য পরিবেশন করা হয়।

‌আমি মোছাঃ সায়মা আক্তার।অনেক অনেক ধন্যবাদ আমার বাংলা ব্লগকে কারণ এই বাংলা ব্লগে এসে অনেক লেখার সুযোগ পেয়েছি। রেসিপি, কবিতা এং গল্প অন্য কোথাও লেখার বা উপস্থাপনের সুযোগ কখনো পায় নাই। তাই চির কৃতজ্ঞ বাংলা ব্লগের কাছে। আজকের এই রেসিপিটি যদি আপনাদের ভালো লেগে থাকে তাহলে অবশ্যই কমেন্ট করতে ভুলবেন না।

-------------------ধন্যবাদ ----------------------