রেসিপি পোস্ট ||| মাছের মাথা ও লাউ শাকের ডগায় চচ্চড়ি।
আসসালামু আলাইকুম।আমার বাংলা ব্লগের সকল ভাই ও বোনেরা আশা রাখছি সকলে ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি।
আমি আজ আপনাদের মাঝে রেসিপি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি।বর্তমান সময়টা পড়েছে প্রচন্ড গরম।এই গরমে মানুষের জীবন একদম অতিষ্ঠ হয়ে পড়েছে।এর মধ্যেও বেড়েছে লোডশেডিং। যার কারনে শরীর ঘেমে মানুষ অসুস্থ হয়ে পড়ছে নানান রকম রোগে। প্রতিটি পরিবারে অসুস্থতার বাসা বাঁধছে।তাইতো আমাদের কে সব দিকে নজর রেখে সবার সুস্থতার জন্য বিভিন্ন রকম কৌশল অবলম্বন করতে হয়। আর এই সুস্থতা ও বিভিন্ন রকমের কৌশল অবলম্বন করতে হয় নারীদের। একটি নারীকে তার সবদিকে নজর রাখতে হয়। সকালে ঘুম থেকে উঠে রাত বারোটার আগ পর্যন্ত তাকে সার্ভিস দিতে হয় পরিবারের জন্য। যিনি পরিবারের জন্য এত খেয়াল করেন তিনি নিজের যত্ন কি কখনো করেন? বা নিজের খেয়াল নিজেই কি রাখেন?আসলে আমাদের সমাজে এমনও অনেক নারী আছে যে পরিবারের কথা চিন্তা করতে করতে নিজের প্রতি নিজের অযত্নশীল হয়ে ওঠেন।নিজের প্রতি টেক কেয়ার না করলে যে সুস্থভাবে পরিবারের অন্যান্য সদস্যরাও থাকতে পারবে না এটা অনেকের মাথায় আসে না। তাইতো দিনরাত অক্লান্ত পরিশ্রম করে নিজের প্রতিও যত্নশীল হওয়া উচিত বলে আমি মনে করি। কারণ আমি ভালো থাকলে আমার পরিবার ভালো থাকবে এবং তাদের প্রতি যত্নশীল হতে পারবো আমি।অনেক কথাই লিখে ফেললাম। যদিও কথাগুলো যুক্তি সঙ্গত মনে হয়েছে আমার।তবে ভুল ত্রুটি হলে ক্ষমার দৃষ্টিতে দেখবেন এবং এই কথাগুলো অনেকের পছন্দ নাও হতে পারে।আমি আপনাদের মাঝে রেসিপি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আমার রেসিপির নাম "মাছের মাথা ও লাউ শাকের ডগায় চচ্চড়ি"। চলুন আর কথা না বাড়িয়ে রেসিপিটি কিভাবে তৈরি করেছি তার সমস্ত প্রস্তুত প্রণালী দেখে নেওয়া যাক।
উপকরণসমূহঃ-
১।বড় মাছের মাথা।
২।লাউ শাকের ডগা।
৩।কাঁচামরিচ।
৪।পেঁয়াজ।
৫।রসুন।
৬।হলুদের গুঁড়ো।
৭।জিরা গুঁড়ো।
৮।ধনিয়া গুড়ো।
৯।লবণ
১০।তৈল।
প্রথমে মাছের মাথা টিকে সুন্দর করে পরিষ্কার করে নিয়েছি।
এবার মাছের মাথা লবণ দিয়ে ভালো করে ঘষে আবার পরিষ্কার করে পানিতে ভিজিয়ে নিয়েছি।
লাউ শাক সুন্দর করে কেটে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে নিয়েছি।
কাঁচা মরিচের বোটা ছাড়িয়ে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে রান্নার উপযোগী করে কেটে নিয়েছি ।
পেঁয়াজের খোসা ছাড়িয়ে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে রান্নার উপযোগী করে কেটে নিয়েছি।
রসুনের খোসা ছাড়িয়ে থেতলে নিয়েছি।
এবার পরিষ্কার করা মাছের মাথাগুলোতে হলুদের গুঁড়া, মরিচের গুঁড়া এবং লবণ দিয়ে ভালো করে মেখে নিয়েছি।
মেখে নেওয়া মাছের মাথা গুলো কড়াইয়ে তৈল দিয়ে ভেঁজে নিয়েছি
এবার কড়াইয়ে কাঁচামরিচ কুঁচি,পেঁয়াজ কুঁচি এবং তৈল দিয়ে ভেঁজে নিয়েছি।
ভেঁজে নেওয়া পেঁয়াজ মরিচ কুঁচির ভিতরে বাকি মসলার উপকরণ দিয়ে হালকা পানি দিয়ে কষিয়ে নিয়েছি।
কষানো মসলার ভেতরে লাউ শাকের ডাগাগুলো দিয়ে একটু নেড়েচেড়ে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিয়েছি।
লাউ শাকের ভেতরে ভেঁজে নেওয়া মাছগুলো দিয়ে সামান্য পরিমাণ পানি দিয়ে আবারো ঢেকে দিয়েছি।
কিছুক্ষণ পর যখন পানি শুকিয়ে গিয়েছে তখন চুলা থেকে কড়াই নামিয়ে নিয়েছি আর তখনই আমার হয়ে গেল "মাছের মাথা ও লাউ শাকের ডগায় চচ্চড়ি" রেসিপি।এবার এই ****"মাছের মাথা ও লাউ শাকের ডগায় চচ্চড়ি"*** রেসিপির একটি ছবি আপনাদের সামনে উপস্থাপন করলাম।
আমি মোছাঃ সায়মা আক্তার। আমি একজন ব্লগার, উদ্যোক্তা এবং শিক্ষিকা।কবিতা লিখতে, নতুন কোনো রেসিপি তৈরি করতে এবং নতুন নতুন ডিজাইন সৃষ্টি করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি।সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকতে এবং অবহেলিত মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারলে খুব ভালো লাগে।তাই সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি এবং তাদের সহযোগিতায় নিজেকে সব সময় সম্পৃক্ত রাখি।
বিষয়ঃ- রেসিপি পোস্ট "মাছের মাথা ও লাউ শাকের ডগায় চচ্চড়ি"।
কমিউনিটিঃ- আমার বাংলা ব্লগ।
আপনার মূল্যবান সময় নষ্ট করে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ..........
ইদানিং অনেকটাই ডায়েট করছি তাই এই ধরনের সবজি জাতীয় রেসিপি খুব খাওয়া হচ্ছে। দেখেই বোঝা যাচ্ছে অনেক মজা হয়েছে আপু। তবে মাছের মাথার কারণে এই সবজি রেসিপিটার টেস্ট আরো বেশি হবে। সত্যি বলতে সকালবেলা দেখেই খেতে ইচ্ছে করছে। অনেক অনেক লোভনীয় ছিল।
জি ভাই রেসিপিটি অনেক মজার ছিল।
মাছের মাথা ও লাউ শাকের ডগায় চচ্চড়ি রেসিপি তৈরি করেছেন।দেখতে খু্ব সুস্বাদু মনে হচ্ছে। আমার কাছে ভীষণ ভালো লেগেছে। আপনার জন্য অনেক শুভেচ্ছা ও শুভকামনা রইল।
জি ভাই খেতেও অনেক সুন্দর ছিল।
মাছের মাথা ও লাউ শাকের ডগায় চচ্চড়ি রেসিপি দেখে সুস্বাদু মনে হচ্ছে। এতো মজাদার রেসিপি ধাপে ধাপে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
প্রথমে বলে আপু লাউয়ের শাক আমার খুবই প্রিয়। যতটুকু জানে লাল সাথে প্রচুর পরিমাণে আয়রন রয়েছে। যেটা আমাদের দেহের জন্য খুবই উপকার। তবে লাউ শাক আমার কখনো মাছ দিয়ে চচ্চড়ি করে খাওয়া হয়নি। সাধারণত লাউ শাক ভাজি করে খেয়েছি। আর এভাবেই খেতে আমার বেশি ভালো লাগে। আপনি খুব চমৎকার ভাবে মাছের মাথা দিয়ে লাউয়ের চচ্চড়ি করেছেন। খেতে তো নিশ্চয়ই দারুন হয়েছে। এত চমৎকার একটা রেসিপি তৈরি করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ।
সুন্দর করে গুছিয়ে মন্তব্য করে উৎসাহ দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ ভাই।
আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন মাছের মাথা ও লাউ শাকের ডগায় চচ্চড়ি রেসিপি। আপনার তৈরি রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে খেতে বেশ সুস্বাদু হবে। আসলে মাছ দিয়ে যে কোন সবজি রান্না করলে খেতে বেশ মজাই লাগে। ধন্যবাদ আপু এত সুন্দর একটি রেসিপি তৈরীর পদ্ধতি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর করে মন্তব্য করার জন্য।
আসলে এমন মানুষ অনেক আছে যারা ফ্যামিলিকে সময় দিতে দিতে নিজেকে সময় দেওয়ার কথাটা একদমই ভুলে যায়। নিজেরও একটা নিজস্ব সময় দেওয়া প্রয়োজন বলে আমি মনে করি কিন্তু ও ফ্যামিলিকে আমরা এত গভীরভাবে ভালোবাসি যার কারণে হয়তোবা তেমন একটা সময় দেওয়া হয়ে ওঠে না। যাইহোক মাছের মাথা এবং লাউয়ের শাকের ডগার চচ্চড়ির রেসিপি দেখেই বোঝা যাচ্ছে অনেক বেশি সুস্বাদু এবং লোভনীয় ছিল। মজাদার এই রেসিপিটি দেখে জিভে জল এসে গেল শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
সুন্দর করে গুছিয়ে মন্তব্য করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই।
লাউয়ের শাক আমার খুবই পছন্দের। লাউ শাক যেভাবে রান্না করা হোক না কেন খেতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। মাছের মাথা দিয়ে লাউ শাকের রেসিপি দেখে বোঝা যাচ্ছে খেতে খুবই মজা হয়েছে। সুস্বাদু ও মজাদার একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে ধন্যবাদ।
আমার রেসিপিটি আপনার পছন্দ হয়েছে শুনে ভালো লাগলো।
খুব সুন্দর এবং গুরুত্বপূর্ণ কথা গুলো বললেন আপু অনেক ভালো লেগেছে। কারণ পরিবারের কথা চিন্তা করতে গেলে প্রথমে নিজেকে সুস্থ রাখা খুবই দরকার। নিজে যদি সুস্থ না থাকি তাহলে অন্যদেরকে ভালো কিভাবে রাখবো। তাই আগে নিজের টেক কেয়ার করা আমাদের প্রত্যেক নারীর উচিত। আপনি বেশ মজার করে বড় মাছের মাথা দিয়ে লাউ শাকের ডগা রান্না করলেন দেখে বেশ মজার মনে হচ্ছে।
গুছিয়ে মন্তব্য করে উৎসাহ দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ আপু।
লাউ শাক খেতে আমার কাছে অনেক ভালো লাগে। আপনি মাছের মাথা দিয়ে খুব সুন্দর করে লাউ শাকের ডগায় চচ্চড়ি রেসিপি করেছেন। আপনার রেসিপি দেখে আমার খেতে খুব ইচ্ছে করতেছে। যদিও মাছের মাথার মধ্যে কাটা থাকে তাই একটু সাবধানে খেতে হয়। অনেক সুন্দর করে রেসিপিটি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
মাছের মাথা ও লাউ শাকের ডগার রেসিপিটা চমৎকার হয়েছে আপু। লাউ শাকের ডগা খেতে দারুণ লাগে। লাউ শাকের ডগার ভাজি অথবা শিং মাছ বা টেংরা মাছ দিয়ে ঝোল করলে খেতে খুব সুস্বাদু লাগে। আপনার রেসিপিটা দেখেই বুঝা যাচ্ছে খেতে খুব ইয়াম্মি লেগেছে। রেসিপির উপস্থাপনা এবং পরিবেশনাও খুব সুন্দর হয়েছে। ধাপে ধাপে রেসিপিটা শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
আমার এই রেসিপিটি আপনার পছন্দের শুনে অনেক ভালো লাগলো।