DIY ||| এসো নিজে করি ||| প্রাকৃতিক ভাবে অ্যালোভেরা ও শসা দিয়ে সাবান।
আসসালামু আলাইকুম।আমার বাংলা ব্লগের সকল ভাই ও বোনেরা আশা রাখছি সবাই ভাল আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় ভাল আছি।
আমি আজ আপনাদের মাঝে আরেকটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আমি আজ আপনাদের মাঝে "প্রাকৃতিক ভাবে অ্যালোভেরা ও শসা দিয়ে সাবান" তৈরি করে হাজির হয়েছি। নিজেকে সবার মাঝে সুন্দর ভাবে ফুটিয়ে তুলতে আমরা সবাই চাই। সেটা ছেলে হোক অথবা মেয়ে হোক। নিজের সৌন্দর্য নিজেকে ধরে রাখতে হয়। তাইতো প্রাকৃতিক এভাবে কিছু টিপস যদি আমরা নিজেরা ঘরোয়া ভাবে তৈরি করে ইউজ করি তাহলে আমার মনে হয় মন্দ হয় না। বাইরের ভেজাল পণ্য ইউজ না করে আমরা যদি নিজেরাই হারবাল উপায়ে কিছু প্রোডাক্ট তৈরি করে নিজেরা ব্যবহার করি তাহলে আমাদের স্কিন ভালো থাকবে,ত্বকের উজ্জলতা বৃদ্ধি পাবে। জানিনা আমার কথা আপনারা বিশ্বাস করবেন কিনা তবে আমি যেদিন থেকে "প্রাকৃতিক ভাবে অ্যালোভেরা ও শসা দিয়ে সাবান" তৈরি করা শিখেছি সেদিন থেকেই আমি নিজেই এই প্রোডাক্ট ইউজ করি এবং আমার বাচ্চাদেরও ব্যবহার করাই। যখন যে সমস্যা হয় তখন আমি এভাবেই সাবান একেক রকম করে তৈরি করে ইউজ করি এবং এর সফলতাও পাই।এই "প্রাকৃতিক ভাবে অ্যালোভেরা ও শসা দিয়ে সাবান" ব্যবহার করার পর থেকে ইনশাআল্লাহ আমার মুখে কোন আদার্স কোন সমস্যা হয় না কিন্তু যখনই আমি বাইরের কিছু ইউজ করি তখনই আমার স্কিনে বিভিন্ন রকম সমস্যা হয়। চলুন আর কথা না বাড়িয়ে"প্রাকৃতিক ভাবে অ্যালোভেরা ও শসা দিয়ে সাবান"টি আমি কিভাবে তৈরি করেছি তার সমস্ত প্রস্তুত প্রণালি দেখে নেওয়া যাক।
উপকরণ সমূহ:-
১।কসকো সাবান।
২।অ্যালোভেরা।
৩।শসা।
৪।ভিটামিন ই ক্যাপ।
৫।নারিকেল তেল।
প্রথমে এলোভেরা সুন্দর করে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে নিয়েছি।
এবার এলোভেরার দুই সাইডের কাটা গুলো কেটে নিয়েছি।
এবার এলোভেরার এক সাইডের খোসা উঠিয়ে নিয়ে ভিতরের জেল গুলো বের করে নিয়েছি চিরুনির সাহায্যে।
একটি কসকো সাবান নিয়েছি এবং সেই কসকো সাবান প্রথমে তিনটি অংশে খন্ড করে নিয়েছি ।
সাবানটিকে গলে যাওয়ার সুবিধার্থে আরো ছোট ছোট অংশে টুকরো করে নিয়েছি ।
একটি শসা ছোট ছোট টুকরো করে নিয়েছি।
সেই শসা থেকে শসার রস বের করে নিয়েছি ।
প্রথমে ছোট ছোট টুকরো করা সাবান গুলোকে ছোট একটি বাটিতে নিয়েছি।
এবার একটি বড় কড়াইয়ে পানি ফুটিয়ে নিয়ে সেই ফুটন্ত পানিতে ছোট বাটি দিতে হবে।
সাবান যে পর্যন্ত না গলছে সেই পর্যন্ত চামচ দিয়ে নাড়তে হবে।
সাবান টি যখন তরল আকৃতি হবে তখন তার ভিতরে অ্যালোভেরা জেল গুলো ঢেলে দিয়েছি।
এবার সাবানে শসার রস দিয়ে দিয়েছি।
এবার ই ক্যাপ বাটির ভিতর দিয়ে দিলাম।
এবারে বাটির ভিতর নারিকেলের তেল দিয়ে দিলাম।
সাবানে নারকেল তেল দিয়ে দিয়েছি।আর এভাবেই হয়ে গেল আমার "প্রাকৃতিক ভাবে অ্যালোভেরা ও শসা দিয়ে সাবান"।এই সাবানের গুনাগুন বলে শেষ করা যাবে না। এই সাবানে কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই। তবে স্কিন অনেক সুন্দর হয় এবং স্কিনে এই সাবান ব্যবহার করলে ব্রণ ও ঘামাচি বিভিন্ন রকমের দাগ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়।এবার এই "প্রাকৃতিক ভাবে অ্যালোভেরা ও শসা দিয়ে সাবান" এর একটি ছবি আপনাদের সামনে উপস্থাপন করলাম।
আমি মোছাঃ সায়মা আক্তার। আমি একজন ব্লগার, উদ্যোক্তা এবং শিক্ষিকা।কবিতা লিখতে, নতুন কোনো রেসিপি তৈরি করতে এবং নতুন নতুন ডিজাইন সৃষ্টি করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি।সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকতে এবং অবহেলিত মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারলে খুব ভালো লাগে।তাই সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি।
বিষয়ঃ- ডাই পোস্ট "প্রাকৃতিক ভাবে অ্যালোভেরা ও শসা দিয়ে সাবান"।
কমিউনিটিঃ- আমার বাংলা ব্লগ।
আপনার মূল্যবান সময় নষ্ট করে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ..........
আসলে আমিও আপনার সঙ্গে একমত পোষণ করছি বাহিরের ভেজাল যুক্ত পণ্য ব্যবহার না করে নিজে থেকে নতুন কিছু তৈরি করা যায় তাহলে ব্যাপারটা মন্দ হয় না। অ্যালোভেরা এবং শসা দিয়ে আপনি সাবান তৈরি করেছেন এটা দেখে খুবই ভালো লাগলো এবং ব্যাপারটা আমার কাছে একদম নতুন লেগেছে। খুবই চমৎকারভাবে প্রতিটি ধাপ আপনি আমাদের মাঝে তুলে ধরেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে এত চমৎকার একটি শিক্ষনীয় পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
আপনার মন্তব্য পড়ে অনেক ভালো লাগলো ভাই।
প্রাকৃতিকভাবে রূপচর্চা করার জন্য সাবান তৈরি করেছেন দেখি সত্যি খুব ভালো লাগলো। অ্যালোভেরা ও শসা দিয়ে সাবান তৈরি করেছেন বেশ দুর্দান্ত হয়েছে। আপনি সম্পূর্ণ ইউনিক পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। সাবান তৈরির প্রক্রিয়া সুন্দর করে আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
চেষ্টা করে যাচ্ছি ভাই জানিনা ভালো কিছু করতে পারছি কি না।
অ্যালোভেরা এবং শসা দিয়ে খুব সুন্দর ভাবে সাবান তৈরি করেছেন। সাবান তৈরি করা আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। নিজে তৈরি করে কোন কিছু ব্যবহার করার মজাটাই আলাদা। তৈরি করার দাপ গুলো খুব সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। ইউনিক একটি পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
জি আপু আপনি ঠিক বলেছেন নিজের তৈরি করা জিনিস ব্যবহার করে যে প্রশান্তি পাওয়া যায় সেটা অন্য কোন জিনিসে পাওয়া যায় না।
বাহিরের ভেজালমুক্ত জিনিস ব্যবহার না করে আমাদের এমন প্রাকৃতিক জিনিস ব্যবহার করাই ভালো হবে। এগুলো আমাদের স্কিনের জন্য ভালো হবে। আমিও কিছুদিন আগে এলোভেরা দিয়ে সাবান তৈরির একটি প্রক্রিয়া শেয়ার করেছিলাম। তবে আমি শশা দেইনি ,আপনার কাছে নতুনভাবে শিখতে পেরে খুবই ভালো লাগলো।
আপনার সাথে একমত আপু।
এক কথায় দারুন একটা পোস্ট শেয়ার করেছেন আপু। আসলে এভাবে যদি সবাই প্রাকৃতিক জিনিসগুলো ব্যবহার করে তাহলে আর্থিকভাবে সাশ্রয়ীও হবে তার পাশাপাশি ত্বক ভালো থাকবে। আর আপনি আজকে যে প্রসেসিং দেখালেন সেটা দেখে তো আমার ভালই লাগলো। এভাবে কিন্তু আমরা নিজেরাও তৈরি করতে পারবো। এজন্যই আপনার এই পোস্টটি রিস্টিম করে রাখলাম। ধন্যবাদ আপু দারুন একটা বিষয় নিয়ে আমাদের মাঝে পোস্ট করেছেন।
এত সুন্দর একটি ফিডব্যাক পেলে কার না ভালো লাগে।
আপু আপনার এই আইডিয়া আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে। আপনার অ্যালোভেরা ও শসা দিয়ে সাবান খুবই সুন্দর হয়েছে। এভাবে ঘরোয়া পদ্ধতিতে যদি আমরা আমাদের রূপচর্চা করি তাহলে ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা খুব কম থাকে। প্রাকৃতিক জিনিস সব সময় আমাদের জন্য খুবই উপকারী। আপনি ঘরে প্রাকৃতিক জিনিস দিয়ে খুব সুন্দর ভাবে সাবান তৈরীর পদ্ধতি ধাপে ধাপে বর্ণনা করেছেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত ইউনিক একটি ডাই প্রজেক্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
আমার ডাই পোস্টটি আপনার ভালো লেগেছে এটাই আমার বড় পাওয়া।
অনেক ধন্যবাদ আপু চমৎকারভাবে আমাদের সাবান তৈরি করে দেখানোর জন্য। এই সাবান সত্যিই ত্বকের জন্য বেশ উপকারী হবে। আমি শিখে নিলাম আপু, খুব তাড়াতাড়ি তৈরি করবো ইনশাআল্লাহ।
ধাপগুলো সুন্দরভাবে দেখানোর জন্য ধন্যবাদ জানাই।
আমার পোস্ট আপনার ভালো লেগেছে এটি আমার জন্য অনেক বড় পাওয়া।
প্রথমবারের মতো আমি সাবান প্রস্তুত করা দেখলাম অনেক সুন্দর ভাবে আপনি এলোভেরা এবং শসার মাধ্যমে সাবান প্রস্তুত করে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন।।
পদ্ধতিটা খুবই ভালো লাগলো আমার কাছে ত্বকের সৌন্দর্য বৃদ্ধিতে সত্যি অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।।
মন্তব্য করে সহযোগিতা করার জন্য ধন্যবাদ ভাই।
সম্পূর্ণ ভিন্ন ধরনের একটা পোস্ট আছে আপনি আমাদের মাঝে শেয়ার করলেন আপু। আপনি চমৎকার ভাবে দেখালেন কিভাবে প্রাকৃতিক উপায়ে সাবান তৈরি করতে হয়। এর আগে আমি কোনদিন এই ধরনের পদ্ধতি দেখেছিলাম না।
সুন্দর মন্তব্য করে উৎসহ দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ ভাই।
প্রাকৃতিক ভাবে অ্যালোভেরা ও শসা দিয়ে তৈরি সাবান দেখে তো ভীষণ ভালো লাগলো। আমার তো মনে হচ্ছে এটি খুবই ভালোই হবে যেহেতু প্রাকৃতিকভাবে নিজের হাতে তৈরি করেছেন। নিজের হাতে এইভাবে যেকোনো জিনিস তৈরি করে ব্যবহার করার মধ্যে অন্যরকম একটা ভালো লাগা কাজ করে। ভালোই ছিল ধাপগুলো দেখে যে কেউ খুবই সহজে তৈরি করতে পারবে।
আমার ডাই পোস্টটি আপনার ভালো লেগেছে শুনে অনেক ভালো লাগলো আপু।