ছোট গল্প |||| মায়াবতী পর্ব-৪।
আজকে আবারো আপনাদের মাঝে "মায়াবতী পর্ব-৪" নিয়ে হাজির হইলাম।গত পর্বগুলোতে আপনাদের স্বতঃস্ফূর্ত সহযোগিতা ও সুন্দর সুন্দর মন্তব্য পেয়ে লেখার প্রতি আগ্রহ অনেক গুণ বেড়ে গিয়েছে।চেষ্টা করব আগামীতে আরও এ ধরনের নতুন নতুন ছোট গল্প নিয়ে হাজির হতে।চলুন আর কথা না বাড়িয়ে "মায়াবতী পর্ব-৪"এ মায়াবতীর কি অবস্থা হল তা দেখে নেওয়া যাক।
কারণ ভুলটা তো মায়ার সে নিজেই পছন্দ করে বিয়ে করেছে। এদিকে নিলয়ের লোভ দ্বিগুণ পরিমাণ বেড়ে যাচ্ছে। মায়াকে নিলয় ২০ লাখ টাকা নিয়ে আসার জন্য প্রচন্ড চাপ দিচ্ছে। ২০ লাখ টাকা তার দরকার ব্যবসার কাজে লাগবে তার এখন ক্যাশ নেই। তাইতো মায়াকে বাপের বাড়ি থেকে নিয়ে আসতে বলছে । কিন্তু মায়া যখন তার কথা মত কাজ করছিল না তখন তাকে প্রতি রাতে নির্যাতন করা হতো।
এভাবে চলে মায়ার নির্যাতন। কিন্তু মায়ার শশুর শাশুড়ি অনেক ভাল ছিল। যখন নির্যাতন করত তখন তাকে বাঁচাতে গেলে তাদের রুমের দরজা বন্ধ করে দিত। একটি সময় তাকে এতটা নির্যাতন করা হত যা মায়া আর শরীরে নিতে পারত না । হঠাৎ মায়া আবারো প্রেগনেট হয়। তার সেই অসুস্থতার সময় তার ওপর এমন নির্যাতন হত। কোন স্বাভাবিক মানুষ এরকম কাজ করতে পারেনা। আসলেই নেশাগ্রস্ত মানুষগুলো অস্বাভাবিক।
মায়াকে সেই অসুস্থ শরীরে অনেক নির্যাতন সহ্য করতে হতো এবং তার বাবা-মার সঙ্গেও তাকে আর যোগাযোগ করতে দিত না নিলয়। কারণ মায়ার একটি দোষ সেটা হচ্ছে সে তার বাবা-মার কাছ থেকে এতগুলো টাকা নিয়ে এসে তার স্বামীকে দেয়নি। আর এজন্যই তাকে প্রতি রাতে নির্যাতন সহ্য করতে হতো। আর মায়াও ছিল অনেক স্পষ্টবাদী মেয়ে। সে ভাবতো আজ টাকা এনে দিব কাল আবার চাবে,কাল শেষ হলে আবার সে চাবে। তাইতো মুখ বুঝে সব সহ্য করে যেত।
আমি মোছাঃ সায়মা আক্তার। আমি একজন ব্লগার, উদ্যোক্তা এবং শিক্ষিকা।কবিতা লিখতে, নতুন কোনো রেসিপি তৈরি করতে এবং নতুন নতুন ডিজাইন সৃষ্টি করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি।সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকতে এবং অবহেলিত মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারলে খুব ভালো লাগে।তাই সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি এবং তাদের সহযোগিতায় নিজেকে সব সময় সম্পৃক্ত রাখি।বিষয়ঃ- ছোট গল্প "মায়াবতী পর্ব-৪"।
কমিউনিটিঃ- আমার বাংলা ব্লগ।
আপনার মূল্যবান সময় নষ্ট করে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ..........
মায়াবতী গল্পটার প্রত্যেকটা পর্ব আমার পড়া হয়েছে। আজকে চতুর্থ পর্ব পড়ে তো অনেক বেশি খারাপ লেগেছে। মায়া নিজেই পছন্দ করে নিলয়কে বিয়ে করেছে তার ফ্যামিলি ও রাজি হয়েছে। কিন্তু বিয়ের পর যে একটা মানুষের রূপ পরিবর্তন হবে এটা তো সে ভাবতে পারেনি। ভালোবাসার মানুষ যদি এরকম আচরণ করে, আসলেই অনেক বেশি কষ্ট হয়। কিন্তু মায়ার উপর অনেক বেশি অত্যাচার করতেছে। মায়া তো সবকিছু মুখ বুঝে সহ্য করতেছে, শুধুমাত্র সে তাকে পছন্দ করে বিয়ে করেছে এজন্য। কোন কিছু বললে তার বাবা-মা ও বলবে নিজের পছন্দ অনুযায়ী বিয়ে করেছ তুমি। ছোট্ট বাচ্চা মেয়েটাও মায়ের কষ্ট বুঝেছে। আবারো প্রেগন্যান্ট হয়েছে সে, আর এই অসুস্থ শরীরেও তাকে এত বেশি অত্যাচার করে, ভাবতেই কষ্ট হচ্ছে। দেখা যাক শেষ পর্যন্ত কি হয়।
আমার গল্পটি মনোযোগ দিয়ে পড়ার জন্য অনেক ধন্যবাদ আপু।
মায়াবতী গল্পটার প্রথম পর্ব গুলো অনেক বেশি ভালো লেগেছিল। কিন্তু এই পর্বটা অনেক বেশি খারাপ লেগেছে। মায়ার উপর এত বেশি অত্যাচার করতেছে তার হাজবেন্ড, এটা ভাবতেই তো খারাপ লাগতেছে। তারা দুজন পছন্দ করে বিয়ে করেছিল, কিন্তু বিয়ের কয়েক মাসের মধ্যেই তার স্বামীর আসল রূপটা তার সামনে এসেছে। আগে যদি বিষয়গুলো জানতো, হয়তো মায়া নিলয়কে বিয়ে করত না। কিন্তু মায়ার শশুর শাশুড়ি ভালো শুনে ভালো লাগলো। মায়া তো পারছে না নিলয় কে ভালো করতে। নিলয় তো আরো বেশি খারাপের দিকে চলে যাচ্ছে।
গঠনমূলক মন্তব্য করে উৎসাহ দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ ভাই।