অনুভূতি পোস্ট ||| শিক্ষক হলো মানুষ গড়ার কারিগর ||| original writing by @saymaakter.
আসসালামু আলাইকুম।আশা করছি সবাই ভালো আছেন? আমিও আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি।আমি আজ আপনাদের মাঝে হাজির হয়েছি একটি জেনারেল রাইটিং নিয়ে।শিক্ষা জাতির মেরুদন্ড আর এই শিক্ষা দিয়ে থাকেন আমাদের শিক্ষকগণ।শিক্ষক দিবসে প্রত্যেকটি শিক্ষকের প্রতি রইলো আমার শ্রদ্ধা।শিক্ষক হচ্ছে মানুষ গড়ার কারিগর।শিক্ষকের মাধ্যমেই ভালোভাবে গড়ে ওঠে প্রতিটি সন্তান।
শিক্ষক আমাদের জ্ঞান বিবেক বুদ্ধি দিয়ে সবকিছু শিখিয়ে কিভাবে আদর্শভাবে চলতে হবে তা বুঝিয়ে দেন।আসলে একজন শিক্ষক আমাদের জীবনে অনেক গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। একটি জাতি আদর্শ ভাবে শিক্ষিত হলে তার পেছনে সব থেকে যার অবদান বেশি সে হচ্ছে শিক্ষক।শিক্ষক আমাদের প্রত্যেকটি বিষয়ে কত কষ্ট করে শিক্ষা দেন তা কখনো ভুলে যাওয়ার মত নয়।এই পৃথিবীতে প্রত্যেকটি মানুষেরই অবদান রয়েছে শিক্ষকের জন্য।
একজন ছাত্র যখন ভুল পথে যায় তাকে বন্ধু শোলভ আচরণ করে সঠিক পথে নিয়ে আসেন শিক্ষক। আমরা একটি দুইটি বাচ্চার দুষ্টমি অনেক সময় সহ্য করতে পারিনা। কিন্তু একটি কথা সবাই মন থেকে ভেবে বলেন তো একটি ক্লাসে ছাত্র-ছাত্রীর সংখ্যা কত থাকে। আর ক্লাসে একটি করে ছাত্র-ছাত্রী যদি একটি করে কথা বলে তাহলে কি পরিমাণ আওয়াজের মধ্যেও শিক্ষক অথবা শিক্ষিকা অনেক সুন্দর ভাবে ম্যানেজ করে নেয়।কিন্তু আমরা বাচ্চাদের দুষ্টুমিতে অতিষ্ঠ হই। তাহলে প্রত্যেকটি ক্লাসে কম করে হলেও ৪৫ থেকে ৫০জন স্টুডেন্টকে কত সুন্দর ভাবে ওই শিক্ষক-শিক্ষিকা ম্যানেজ করে।
মা-বাবার পরে শিক্ষকের স্থান। সন্তানকে যতই বাসায় পড়ানো হোক না কেন স্কুলে না গেলে কোন সন্তান ভালোভাবে কোন বিষয় জানতে পারে না। আর এটার মূলে রয়েছে শিক্ষকগণ। শিক্ষক আমাদের জ্ঞানের আলো দান করে অন্ধকার দূর করে দেয়। আর সেই আলো মনে জেলে আমরা আদর্শভাবে গড়ে উঠি। একটি শিক্ষকের কাছে তার ছোট ছোট বাচ্চাগুলো যেমন প্রিয় তেমনি সেই ছাত্র ছাত্রীর কাছেও শিক্ষক অতুলনীয়।
আজ লিখতে বসে কেন জানি ফেলে আসা দিনগুলোর কথা মনে পড়ে গেল এবং সেই শিক্ষকদের কথা খুব মনে পড়ছিল।আমি আমার শিক্ষকদের সম্মানের সাথে শ্রদ্ধা জানাই। তারা ভাল থাক যুগ যুগ বছর। কারণ তাদের জন্যই আমরা এই ভালো একটি অবস্থানে দাঁড়িয়ে আছি।
তাদের পড়ানো ও শেখানো বিষয় গুলো দিয়ে কিছু লিখতে পারছি। আমি যদি শিক্ষিত না হতাম তাহলে হয়তো বা কিছু লিখতে পারতাম না আমার জীবনটাই অন্যরকম হতো। শিক্ষক আমাদের যে আলো দিয়েছেন সেই আলোয় আলোকিত প্রতিটি ভাল কাজে।
তাই শিক্ষক দিবসে প্রতিটি শিক্ষক ও শিক্ষিকাকে গভির শ্রদ্ধা জানাই কারণ তারাই আমাদের পথ প্রদর্শক। তারাই সঠিক পথে আমাদের পরিচালিত করেছে।
আমার পরিচয়।
আমি মোছাঃ সায়মা আক্তার।আমি একজন ব্লগার, উদ্যোক্তা।কবিতা লিখতে, নতুন কোনো রেসিপি তৈরি করতে এবং নতুন নতুন ডিজাইন সৃষ্টি করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি।আমি উদ্যোক্তা জীবনে সব সময় গ্রামের অবহেলিত মহিলাদের নিয়ে কাজ করি।আর এই অবহেলিত মহিলাদের কাজ নিয়ে দেশের স্বনামধন্য কিছু প্রতিষ্ঠানে প্রোভাইড করি এবং দেশের গণ্ডি পেরিয়ে বর্তমানে বিদেশেও রপ্তানি করছি।আর এসব কিছুর পিছনে আমার এই অবহেলিত মহিলাদের উৎসহ এবং উদ্দীপনায় সম্ভব হয়েছে।তাই সব সময় আমি অবহেলিত মানুষের পাশে থাকতে এবং অবহেলিত মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারলে খুব ভালো লাগে।এজন্যই সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি এবং তাদের সহযোগিতায় নিজেকে সব সময় সম্পৃক্ত রাখি।
আপু আপনার পোস্ট পড়ে আমার স্কুল, কলেজ ও বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষকদের কথা মনে পড়ছে। কত শত স্মৃতি শ্রদ্ধেয় শিক্ষকদের ঘিরে! গতকাল ছিল শিক্ষক দিবস । আমার শিক্ষকসহ সকল শিক্ষকদের প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা। পোস্টটি অনেক ভালো লেগেছে। শিক্ষক দিবস উপলক্ষে পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক ধন্যবাদ।
আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করে উৎসাহ দেওয়ার জন্য।
ঠিক বলেছেন আপু শিক্ষক হলো মানুষ গড়ার কারিগর।বাবা-মার পরেই শিক্ষকের স্থান।বাসায় সন্তানকে যতই পড়াশোনা করানো হোক না কেন কিন্তু শিক্ষক ছাড়া একজন পরিপূর্ণ মানুষ হওয়া কখনোই সম্ভব নয়।শিক্ষকই পারে ছোট থেকে হাতে কলমে শিক্ষা দিয়ে একজন আদর্শ মানুষ হিসেবে গড়ে তুলতে।খুব সুন্দর কিছু কথা তুলে ধরেছেন আপু। পড়ে খুবই ভালো লাগলো।ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
সুন্দর ভাবে মন্তব্যটি করে উৎসাহ দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।
একদম ঠিক বলেছেন আপু শিক্ষক এর অবস্থান মা-বাবার পরে। কিন্তু বর্তমান সময়ে শিক্ষকদেরকে তেমন একটা মর্যাদা দেওয়া হয় না। এর জন্য সবার আরো অধঃপতন হচ্ছে দিন দিন। আপনার পোস্টটি পড়ে ছোটবেলার স্কুল-কলেজের শিক্ষকদের কথা মনে পড়ে গেল। যাইহোক ভালো লাগলো আপু।
সব সময় পাশে থেকে সুন্দর সুন্দর মন্তব্য করে উৎসাহ দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ আপু।
অবশ্যই শিক্ষক হচ্ছে মানুষ গড়ার কারিগর। একজন শিক্ষক বা শিক্ষিকা চাইলে একজন স্টুডেন্টকে ভালোভাবে গড়ে তুলতে পারে। যদি সেই স্টুডেন্ট তাদের দিক নির্দেশনা মেনে চলে। কিন্তু এখনকার বেশিরভাগ স্টুডেন্টরা টিচারদের কথা শুনতেই চায় না। বরং টিচারদেরকে অসম্মান করে। কিন্তু তারা জীবনেও সফল হতে পারে না। যাইহোক পোস্টটি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
গঠনমূলক মন্তব্য করার জন্য ধন্যবাদ ভাই।