ছোট গল্প ||| রহস্যময়ী শ্যাওলা গাছ পর্ব-০৫ ||| Original story by @saymaakter.
হ্যালো বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন? আশা রাখি এই পরিস্থিতির মধ্যেও সকলে সকলের পরিবার নিয়ে সুস্থ আছেন এবং সুন্দর সময় অতিবাহিত করছেন। আলহামদুলিল্লাহ আমিও আপনাদের দোয়ায় ও মহান সৃষ্টিকর রহমতে বেশ ভালো আছি।
আমি আপনাদের মধ্যে কিছু গল্প লিখে চলেছি।যার প্রত্যেকটি গল্পতে আপনাদের সুন্দর সুন্দর মন্তব্য পেয়ে গল্প লেখার আগ্রহ দিন দিন বেরেই বেড়ে চলেছে।আমি সব সময় আপনাদের মাঝে বাস্তব ঘটে যাওয়া কিছু বিষয় নিয়ে গল্প লেখার চেষ্টা করি। আর সেই বিষয়গুলো নিয়ে লেখা গল্প দেখছি আপনাদের মধ্যে দিন দিন জনপ্রিয়তা পাচ্ছে।তাই গল্প লেখার বিষয়টি সার্বক্ষণিক চালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করছি।আজকে আমি আবারো আপনাদের মাঝে "রহস্যময়ী শ্যাওলা গাছ পর্ব-০৫ "নিয়ে হাজির হয়েছি।চলুন আর কথা না বাড়িবে মুল গল্পে যাওয়া যাক।
এদিকে অজানা মানুষ গুলো সেই শ্যাওলা গাছের নিচ দিয়ে যারা যাতায়াত করতো তাদেরও অনেক ভয়ংকর
ঘটনার সম্মুখীন হতে হয়েছিল। কিন্তু তখন থেকে তারাও জানতে পারলো সেই রাস্তা দিয়ে চলাচল করা তারাও বাদ দিয়ে দিল। রীতিমত এ যেন এলাকায় একটি ভয়ংকর রাস্তা হয়ে গেল।কিন্তু এটা ছিল ম্যানরোড।যখন গাড়ি ও অন্যান্য যানবাহন চলাচল করতো তখন কোন সমস্যা হতো না কারণ আলোর ব্যবস্থা থাকতো। এলাকার লোকজন রাত ৯ টার ভিতরেই তাড়াতাড়ি বাসায় ফিরতো।এরপর একটি সময় সালেহার আর কোন সমস্যা হতে দেখা যায়নি। প্রায় ৫-৬ মাস পরে একদিন সালেহা সন্ধ্যার দিকে একা একা ফিসফিস করে কথা বলছিল।
ঠিক সন্ধ্যার দিকে তার চুলগুলো ছেড়ে প্রচন্ড জোরে চুলকাচ্ছিল আর বলছিল আমাকে ছেড়ে দে আমি চলে যাব।একটি সময় সেই পরিবারের সবাই তাকে দেখে বুঝতে পেরেছিল হয়তো সেই ভূত তার ওপর আবার ভর করেছে। তাই পরিবারের লোকজন সবাই সবার দায়িত্ব-মত নিজের কাজগুলো করে নিল। আর সালেহাকে একটি রুমের মধ্যে আটকে রাখল। কিন্তু রুমের মধ্যে আটকে রেখে লাভ হয়নি।সালেহার শরীরে প্রচন্ড পরিমাণের অদৃশ্য শক্তি ভর করছিল।সেই রুমের দরজা ভেঙে বাইরে চলে এসেছিল। সবাই সেই সময় রাতের খাবার খাচ্ছিল।খাওয়ার মুহূর্তে সালেহা দরজা ভেঙ্গে বাইরে আসে এবং বলে তোরা আমাকে আটকে রেখেছিস লাভ নেই।আমি আজ চলে যাব দেখিস। ওকে খাওয়ার কথা বললেও বলতো আমার অনেক খাবার একটু আগে অনেক খাবার খেয়েছি পেট ভর্তি হয়ে আছে।
তারপর যখন বাইরে যাওয়ার জন্য খুব জোরাজোরি করছিল তখন সেই পরিবারের বড় ছেলে এবং পাশে আরো কয়েক জনকে ডাকলে তারাও চলে আসে।সবাই মিলে সালেহাকে আটকাতে পারছিল না।অনেক জোরাজোরির পর সালেহা নিস্তেজ হয়ে যায়। অনেকেই হলুদ ও মরিচ পোঁড়া দিয়ে তার নাকের সামনে ধরত এবং বলতো কি এখনো চলে যাবি না। কিন্তু এগুলো নাকের সামনে ধরার পরে বলতো আমাকে আর মারিস না আমাকে আর কিছু করিস না আমি চলে যাব। তারপর ওকে আবারো সেই রুমে নেওয়া হল।সবাই ভেবেছে সালেহার হয়তোবা ভুতে ভর করা চলে গেছে এখন স্বাভাবিক অবস্থায় আছে। কিছুক্ষণ পর সেই পরিবারের গৃহ কর্তাকে বলল বুবু আমি একটু বাইরে যাব হাতমুখ ধুতে।তখন সে বলল ঠিক আছে আমিও যাব দাঁড়া। কারণ কোন মুহূর্তে কি হয়ে যায় সেটা সে বুঝতে পেরেছিল এজন্য সালেহার সঙ্গে সেও গেল।
আমার পরিচয়।
আমি মোছাঃ সায়মা আক্তার।আমি একজন ব্লগার, উদ্যোক্তা।কবিতা লিখতে, নতুন কোনো রেসিপি তৈরি করতে এবং নতুন নতুন ডিজাইন সৃষ্টি করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি।সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকতে এবং অবহেলিত মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারলে খুব ভালো লাগে।তাই সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি এবং তাদের সহযোগিতায় নিজেকে সব সময় সম্পৃক্ত রাখি।
আপনার লেখা গল্পটি পড়ে বেশ ভয় পেয়ে গিয়েছিলাম।মনে হচ্ছিল আমি যেনো গল্পের প্রতিচ্ছবি দেখছি।এই ধরনের গল্প পড়তে খুবই ভালো লাগে আবার বেশ ভয় ও লাগে।আপনি খুবই সুন্দর ভাবে গুছিয়ে প্রতিটা লাইন উপস্থাপন করেছেন আপু। ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
এ ধরনের গল্প পড়তে এবং লিখতে ভয় লাগে। মনে হয় বাস্তবের ভেতর আছি।