রেসিপি পোস্ট ||| সুস্বাদু কচি নারিকেল মাখা।
আসসালামু আলাইকুম।কেমন আছেন সবাই? আমার বাংলা ব্লগের সকল ভাই ও বোনেরা আশা করছি পরিবারকে নিয়ে সুস্থ ও সুন্দরভাবে দিন যাপন করছেন।আমিও আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায় ও সৃষ্টিকর্তার রহমতে বেশ ভালো আছি।
আমি আজ আপনাদের মাঝে আরেকটি রেসিপি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। আমি প্রাণপণ চেষ্টা করে যাচ্ছি আপনাদের মাঝে ইউনিক কিছু রেসিপি উপহার দিতে। তাই রেসিপির মাঝে নতুনত্ব অ্যাড করে নতুনভাবে আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করতে আরও বেশি ভালো লাগে। আমি আজ আপনাদের মাঝে ঠিক তেমনি "সুস্বাদু কচি নারিকেল মাখা" নিয়ে হাজির হয়েছি। আশা করছি আমার রেসিপিটি আপনাদের ভালো লাগবে। ডাব আমাদের শরীর স্বাস্থ্যের জন্য অনেক উপকারী।ডাবের পানি আমাদের শরীরের বিভিন্ন সমস্যা দূর করে।ডাবে রয়েছে প্রচুর পরিমাণ পটাশিয়াম, ক্যালসিয়াম ইত্যাদি। ডাব নানান রকমের ভিটামিন বিদ্যা মান থাকে।ডাব যখন কচি নারিকেল হয়,তখন তা আরও আমাদের শরীরের জন্য অনেক উপকারী।আমরা মূলত ডাব খেয়ে এই ডাবের ভিতরে কচি নারকেলটি খেতে সবাই পছন্দ করি। আমারও সেই ডাবের ভিতরের কচি নারকেল খেতে অনেক বেশি ভালো লাগে। তাই সেই নারকেল দিয়ে কিভাবে একটি নতুন রেসিপি তৈরি করা যায়, রেসিপিটি কেমন মুখরোচক হবে, সেটি চিন্তা ভাবনা করেই তারপর রেসিপিটি তৈরি করেছি। রেসিপিটি খেতে অনেক মজাদার ছিল। তাই সেই মজাদার রেসিপিটি নিয়ে এবং রেসিপিটি কিভাবে তৈরি করেছি তার সমস্ত প্রস্তুত প্রণালী নিয়ে আপনাদের সাথে আলোচনা করা যাক।
উপকরণসমূহঃ-
১। ডাব।
২। মরিচের গুঁড়ো।
৩। লবণ।
৪। সরিষার তৈল।
↩️প্রস্তুত প্রণালী↪️
প্রথমেই ডাবটির পানি বের করে নিয়ে ডাবটিকে দা দিয়ে দুই ভাগে বিভক্ত করে দিয়েছি।
এবার ডাবের বিভক্ত করা দুইটি অংশের প্রত্যেক অংশটির মাঝখান দিয়ে দা দিয়ে একটি দাগ টেনে নিয়েছি।
এবার দা দিয়ে এই বিভক্ত করা দুইটি অংশের কচি নারিকেল সুন্দর করে উঠিয়ে নিয়েছি।উঠিয়ে নেওয়া কচি নারিকেল গুলো সুন্দর করে পানি দিয়ে ধুয়ে নিয়েছি।
এরপর পরিষ্কার নারিকেলে গুলো দা দিয়ে সুন্দর করে ছোট ছোট করে কেটে নিয়েছি।
এরপর একটি প্রিজে লবণ, মরিচের গুঁড়ো এবং সরিষার তৈল দিয়ে সুন্দর করে চাটনি বানিয়ে নিয়েছি।
নারিকেলের ছোট ছোট টুকরো গুলো সেই চাটনির মধ্যে নিয়ে নিয়েছি।
এরপর মরিচের চাটনির মধ্যে নেওয়া নারিকেলের ছোট ছোট টুকরা গুলো নিয়ে সুন্দর করে হাত দিয়ে মেখে নিয়েছি। আর এভাবে হয়ে গেল আমার "সুস্বাদু কচি নারিকেল মাখা" রেসিপি। এবার এই "সুস্বাদু কচি নারিকেল মাখা" রেসিপির একটি ছবি আপনাদের সামনে উপস্থাপন করলাম।
আমার পরিচয়।
আমি মোছাঃ সায়মা আক্তার। আমি একজন ব্লগার, উদ্যোক্তা।কবিতা লিখতে, নতুন কোনো রেসিপি তৈরি করতে এবং নতুন নতুন ডিজাইন সৃষ্টি করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি।সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকতে এবং অবহেলিত মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারলে খুব ভালো লাগে।তাই সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি এবং তাদের সহযোগিতায় নিজেকে সব সময় সম্পৃক্ত রাখি।
ডাব খেতে আমার খুবই ভালো লাগে। তবে এভাবে কখনো কচি নারকেল মাখা খাওয়া হয়নি। আজকে প্রথমবার আপনার রেসিপি দেখে এই সম্পর্কে জানতে পারলাম আপু। ভিন্ন ধরনের একটি রেসিপি আমাদের সবার মাঝে শেয়ার করেছেন দেখে ভালো লাগলো।
সব সময় আমি একটু রেসিপিতে ব্যতিক্রম আনার চেষ্টা করি।তবে রেসিপিটি খেতে অনেক মজার ছিল।
আমার কাছে নারিকেল সাধারণভাবে খেতেই অনেক বেশি ভালো লাগে। তবে নারিকেল মাখা আমার তেমন একটা পছন্দের না। আজকে আপনি দেখছি বেশ কয়েকটি উপকরণের সংমিশ্রণে খুবই সুন্দর ভাবে নারিকেল মাখা রেসিপি তৈরি করেছেন। আপনার তৈরি করা নারিকেল মাখা রেসিপি টি দেখে আমার খেতে ইচ্ছে করছে আপু।
এভাবে রেসিপিটি তৈরি করে খেয়ে দেখবেন অনেক মজা লাগবে।
কতো কি মাখাই তো খেলাম তবে এতো লোভনীয় কচি ডাবের ভিতরের কচি নারিকেল মাখা তো কখনো খাওয়া হয়নি।চমৎকার লোভনীয় হয়েছে দেখেই তো খেতে মন চাচ্ছে। ধাপে ধাপে কচি নারিকেল মাখা পদ্ধতি চমৎকার সুন্দর করে আমাদের সাথে ভাগ করে নিয়েছেন। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর রেসিপিটি ভাগ করে নেয়ার জন্য ।
সুন্দর মন্তব্য করে উৎসহ দেওয়ার জন্য দিদি।
কচি নারিকেল মাখা এভাবে কখনো খাওয়া হয়নি। আপনার কাছ থেকে রেসিপিটা শিখে নিলাম। আসলে এভাবে একদিন খেয়ে দেখব কেমন মজাদার হয়।
জি ভাই একদিন খেয়ে দেখেন অনেক মজা ও টেস্টি লাগবে।
একটা সময় ছিল নারিকেল গাছে উঠতে পারতাম কিন্তু এখন আর পারিনা। তাই ডাব অথবা নারিকেল কোনটাই খাওয়া হয় না সেভাবে। তবে নরম নারিকেল খেতে ভীষণ ভালো লাগে মজাও অনেক। আর আপনি যেভাবে তৈরি করেছেন এভাবে আমি কখনোই তৈরি করে খাইনি। তবে কোন একদিনএভাবে তৈরি করে খাওয়ার চেষ্টা করবো। ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য।
অবশ্যই ভাই একদিন তৈরি করে খেয়ে দেখেন ভালো লাগবে।
আজকে আপনার কাছ থেকে নতুন একটা খাবার তৈরি শিখতে পারলাম। কচি নারিকেল এরকম ভাবে যে মাখা যায়, এটা আমার জানাই ছিল না একেবারে। আপনি দেখছি ইউনিক ভাবে এটা তৈরি করেছেন। দেখেই তো আমার এখন খেতে ইচ্ছে করতেছে। আপনার কাছ থেকে যেহেতু এটি আজকে শিখে নিলাম, আমি তো ভাবতেছি কচি নারিকেল ফেলে এরকমভাবে এটা অবশ্যই তৈরি করে খেয়ে দেখবো। নতুন কিছু তৈরি করে খেতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। আশা করছি এটা খেতে অনেক ভালো লাগবে।
অবশ্যই আপু এভাবে তৈরি করে খেয়ে দেখেন অনেক মজা লাগবে।
নারিকেল মাখা রিসিপি আজকে প্রথমবারের মতো দেখেছি আমি। যার কারণে এটা আমার কাছে অনেক বেশি ইউনিক লেগেছে। এরকমভাবে যে নারিকেল মাখা তৈরি করা যায়, এটা তো আমি প্রথমবারের মতো জানলাম আজকে। ডাব এবং নারিকেল দুটোই আমি অনেক পছন্দ করে খেতে। আর যদি হয় কচি তাহলে তো কোনো কথাই নেই। আপনার কচি নারিকেল মাখা দেখে তো লোভ সামলাতে পারছিনা। এখনই ইচ্ছে করছে খেয়ে একটু টেস্ট করি।
রেসিপিটি অনেক লোভনীয় এই জন্য যে কারো খেতে ইচ্ছা করবে।
কচি ডাবের যে নারিকেল হয়ে থাকে সেটা বেশ মিষ্টি হয়। আমি সাধারণত ঐভাবেই খেয়ে থাকি। কিন্তু সত্যি বলতে এইরকম সরিষার তেল মরিচ দিয়ে মাখিয়ে কখনও খাইনি। এটা বেশ ইউনিক ছিল। তবে এটার স্বাদ কেমন হবে সেটা দেখার বিষয়। চমৎকার ছিল আপনার নারিকেল মাখা রেসিপি টা।
আমার রেসিপিটি আপনার ভালো লেগেছে জেনে অনেক ভালো লাগলো ভাই।
আজকে আপনি খুবই সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করেছেন। আসলে এরকম কিছু আমি আগে কখনো দেখিনি৷ আপনার কাছ থেকে এই প্রথম আমি এরকম একটি জিনিস দেখতে পেলাম৷ কচি নারিকেল যেভাবে আপনি এখানে মাখিয়েছেন তা বেশ সুস্বাদু হয়েছে বলে মনে হয় এবং এটিকে দেখে এতটা সুস্বাদু মনে হচ্ছে যে এটিকে এখনই খেয়ে ফেলতে ইচ্ছে করছে৷
জি ভাই খেতে অনেক মজাদার ছিল।
বাহ্! বেশ ইউনিক একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন আপু। কচি নারিকেল খেতে বেশ ভালোই লাগে। তবে এভাবে কখনো খাওয়া হয়নি। সত্যি বলতে এই ধরনের রেসিপি প্রথম দেখলাম। ভাবছি এই রেসিপিটা বাসায় তৈরি করে খেয়ে দেখবো। কারণ দেখে মনে হচ্ছে খেতে দারুণ লেগেছিল। যাইহোক এতো লোভনীয় একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।
সুন্দর মন্তব্য করে সহযোগিতা করার জন্য ধন্যবাদ ভাই।