রেসিপি ||| কাঁকরোলের ভর্তা ||| ১০% লাজুক শিয়ালের জন্য।
আসসালামু আলাইকুম। আমার বাংলা ব্লগের সকল ভাই ও বোনদেরকে জানাই বেলি ফুলের শুভেচ্ছা। আশা করি সকলে ভালো আছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় ও বিধাতার রহমতে ভালো আছি। আমি আপনাদের মাঝে আজ আরেকটি নতুন রেসিপি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি । আমি যখনই কোন নতুন রেসিপি তৈরি করে থাকি তখনই আমার মন অস্থির হয়ে থাকে কখন আমি আমার বাংলা ব্লগে সেটা পোস্ট করতে পারব। বাংলা ব্লগকে ভালোবাসি বিধায় নতুন কিছু সৃষ্টি করে বাংলা ব্লগের মাঝে হাজির করি।আমি আমার বাংলা ব্লগকে অনেক ভালোবাসি। এই ভালোবাসার মাঝে হয়তো আমি ব্লগে আমার ক্রিটিভিটি গুলো তুলে ধরতে পারি। সব সময় কি সব কিছু খেতে ভালো লাগে মেনু যদি একটু চেঞ্জ করে খাই আর গরম ভাতের সাথে যদি একটু ভর্তা হয় তাহলে তো কথাই নেই। তাইতো আমি আজ আপনাদের মাঝে "কাঁকরোলের ভর্তা" নিয়ে হাজির হয়েছি। চলুন আর কথা না বাড়িয়ে এই সবজি "কাঁকরোলের ভর্তা" কিভাবে ভর্তা করেছি তার সমস্ত প্রস্তুত প্রণালি দেখে নেওয়া যাক।
🛒উপকরণ সমূহঃ
১।কাঁকরোল।
২।কাঁচা মরিচ।
৩।শুকনা মরিচ।
৪।পেঁয়াজ।
৫।রসুন।
৬।লবন।
৭।তৈল।
পেঁয়াজের খোসা পরিষ্কার করে নিয়ে পেঁয়াজগুলোকে পানিতে ধুয়ে নিয়েছি এবং সুন্দর করে কুঁচি কুঁচি করে রান্নার উপযোগী কেটে নিয়েছি।
এবার কাঁচা মরিচের বোটা ফেলে কাঁচামরিচ গুলো পানি দিয়ে পরিষ্কার করে নিয়ে কাঁচামরিচ গুলো সুন্দর করে কেটে নিয়েছি।
প্রথমে কাঁকরোল গুলো পরিষ্কার করে একটি বাটিতে নিয়েছি।
সেই কাঁকরোল গুলোর গা থেকে কাঁটাগুলো বটি দিয়ে সুন্দর করে ছিলে নিয়েছি এবং ধুয়ে নিয়েছি।
কাঁকরোল গুলো ছোট ছোট টুকরো করে কেটে একটি বাটিতে নিয়েছি।
এবার পেশার কুকারে কাঁকরোল গুলো সিদ্ধ করে নিয়েছি।
সিদ্ধ করা কাঁকরোল গুলো একটি কড়াইয়ে পেঁয়াজ কুঁচি, মরিচ কুঁচি, রসুন কুচি দিয়ে ভাল করে ভেজে নিয়েছি ।
ভেজে নেওয়া কাঁকরোল গুলো শিলপাটায় নিয়ে সুন্দর করে পিষে ভর্তা বানিয়ে একটি বাটিতে উঠিয়ে নিয়েছি।আর এভাবেই হয়ে গেল আমার "কাঁকরোলের ভর্তা" রেসিপি। এবার এই "কাঁকরোলের ভর্তা" রেসিপির একটি ছবি আপনাদের সামনে উপস্থাপন করলাম।
আমি মোছাঃ সায়মা আক্তার। আমি একজন ব্লগার, উদ্যোক্তা এবং শিক্ষিকা।রেসিপি তৈরি করতে,কবিতা লিখতে এবং বিভিন্ন ধরনের ডিজাইন তৈরি করতে পছন্দ করি। যেকোনো বিষয়ে নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি।অবহেলিত মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারলে ভালো লাগে।তাই সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করছি।
বিষয়ঃ- রেসিপি "কাঁকরোলের ভর্তা"।
কমিউনিটিঃ- আমার বাংলা ব্লগ।
আপনার মূল্যবান সময় নষ্ট করে আমার রেসিপি পোস্টটি দেখার জন্য ও পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ.......
কাকরোল এভাবে ভর্তা করে খাওয়া যায় এ বিষয়টা আমার পূর্বে জানা ছিল না। তাই খুব মনোযোগ সহকারে বোঝার চেষ্টা করলাম আপনার পোস্ট দেখে। পরিবার গৃহিণীদের শেখানো যাবে।
জি ভাই আর অনেক মজার খাবার।
আপু ভর্তা আমার খুব প্রিয়।তবে আপনার রেসিপিটি আমার কাছে নতুন মনে হচ্ছে। এভাবে ভর্তা করে একবার খায় না।আমি ও বাসায় চেষ্টা করে দেখব। অনেক ধন্যবাদ আপু এই রেসিপির আমাদের সাথে শেয়ার করাব জন্য । আপনার রেসিপি শেয়ার করার ফলে আমার নতুন একটা রেসিপি শেখা হল।
সুন্দর মন্তব্য করে সহযোগিতা করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
তরকারির চেয়ে ভর্তা খেতে বেশি মজা লাগে, কাকরোল ঝোল ভাজি খেয়েছি কিন্তু কখনো ভর্তা করে খাওয়া হয়নি, আপনি খুব সুন্দর ভাবে কাকরোল সিদ্ধ করে ভেজে নিয়ে শিল পাটায় বেঁটে নিয়েছেন, শিল পাটায় বেটে ভর্তা খুবই সুস্বাদু হয়। খুব সুন্দর ভাবে ভর্তা রেসিপি টি শেয়ার করার জন্য আপু আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
জি দিদি অনেক মজার ছিল।
খুব সুন্দর করে আপনি কাঁকরোলের ভর্তা রেসিপি করেছেন। খুব লোভনীয় পোস্ট। এসব ধরনের ভর্তা খেতে আমার খুব ভালো লাগে। মন চাইতেছে এখনি সবগুলো আমি খেয়ে ফেলি। খুব সুন্দর করে আমাদের মাঝে সাজিয়ে উপস্থাপনা করেছেন। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ শেয়ার করার জন্য।
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু।
আপনার তৈরি করা কাঁকরোল ভর্তা রেসিপি দেখতে অনেক সুন্দর হয়েছে। আপনি অনেক সুন্দর ভাবে তৈরি করা পাশাপাশি ধাপগুলো অনেক সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন।
আপনার জন্য শুভকামনা রইল ।
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।