ছোট গল্প ||| একজন করিম মিয়া পর্ব-০৪।
আসসালামু আলাইকুম।আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সকল ভাই ও বোনেরা আশা রাখি সৃষ্টিকর্তার রহমতে পরিবারসহ সুস্থ আছেন এবং সুন্দর সময় অতিবাহিত করছেন।আমিও আপনাদের দোয়ায় ও মহান সৃষ্টিকর্তার করুণায় পরিবারসহ সুস্থ আছি এবং ভালো সময় অতিবাহিত করছি।
আজকে আমি আপনাদের মাঝে ছোট গল্পের চতুর্থ পর্ব নিয়ে হাজির হতে চলেছি।জানিনা আপনাদের কাছে আমার লেখা ছোট গল্পের প্রতিটি পর্ব কেমন লেগেছে? তবে আপনাদের সুন্দর সুন্দর কমেন্ট পেয়ে আমার গল্প লেখার আগ্রহ অনেক গুণ বেড়ে গিয়েছে।চলুন আর কথা না বাড়িয়ে ছোট গল্প "একজন করিম মিয়ার পর্ব-০৪" গল্পে কি লিখেছি তা দেখে নেওয়া যাক।
করিম মিয়া তার দালানকোটার কাজ সম্পূর্ণ করলেন এবং দালানকোটার প্রকার সকল কাজকর্ম তার ইঞ্জিনিয়ার সাহেব খুব দ্রুততার সঙ্গে সম্পূর্ণ করলেন।এবার সময় চলে এলো তাদের সেই দালানকোঠায় ওঠার মহেন্দ্রক্ষণ।কিন্তু এই মহেন্দ্র ক্ষণে এসেই তার পরিবারের সবচেয়ে বড় ধরনের সমস্যার সৃষ্টি হল যেটা করিম মিয়া কোনভাবেই সমাধান করতে পারলেন না।
করিম মিয়ার স্ত্রীর কথা যে এই দালান কোটায় সে আর কাউকে থাক দিতে চান না অর্থাৎ তার শাশুড়ি এবং ননদকে তারে দালানকোটার কোথাও জায়গা দিবেনা এটি তার স্ত্রীর মূল কথা।আর এই কথার সাথে করিম মিয়া কোনভাবেই একমত পোষণ করতে পারছিলেন না।এই নিয়ে তার স্ত্রীর সঙ্গে অনেক বড় আকারের সমস্যার সৃষ্টি হল এবং একসময় দেখা গেল তার স্ত্রী বলেই ফেলল তাহলে তুমি তোমার মা এবং বোনকে নিয়ে সংসার করো এবং এ দালান কোটায় থাকো আর আমি তোমার এই স্বর্ণের বলের কথা সবাইকে বলে দেব।দেখি তুমি কিভাবে তোমার এই সমস্যার সমাধান করতে পারো।
তখন করিম মিয়া অনেক চিন্তার মধ্যে পড়ে গেলেন।কারণ সে সোনার বলের কথা সে কারো সঙ্গে শেয়ার করেননি। আর মা-বোন কেউ তো এই সোনার বলের কথা বলেননি শুধু তার স্ত্রী ছাড়া আর কেউ এ বিষয়টি জানেন না।তখন করিম মিয়া ভেবেচিন্তে ঠিক করল।যে তার স্ত্রীর কথা মতই তাকে চলতে হবে না হলে তার সবকিছু তার হাত থেকে হাতছাড়া হয়ে যাবে এটা সে কোনভাবেই রাজি না।কারণ সে জীবনে অনেক কষ্ট এবং সংগ্রাম করে আজকে সে একটি ভালো দিনে এবং ভালো সময় অতিবাহিত করতে পারছে সে কোনভাবেই এই ভালো সময়টাকে হাতছাড়া করতে পারবে না।
তাই সে নিজে নিজে সিদ্ধান্ত নিল তার স্ত্রী যা বলবে ঠিক সেই ভাবে সে বাকী জীবনটা অতিবাহিত করবে।তখন তার স্ত্রীকে করিম মিয়া বলল যে তুমি যেভাবে চাও আমি সেভাবেই চলবো। এরপরেও তুমি সোনার বলের কথা কারো সঙ্গে শেয়ার করো না। কারণ এই বলের কথা অন্যকারও সঙ্গে শেয়ার করলে তোমারও ক্ষতি হবে এবং আমারও ক্ষতি হবে তখন আমরা ভালোভাবে বাকি জীবনটা অতিবাহিত করতে পারবো না।তখন করিম মিয়ার স্ত্রী বললেন তাহলে তুমি তোমার মা বোনকে এখন থেকে ত্যাগ কর এবং তাদের সঙ্গে তোমার আর কোন সম্পর্ক থাকবে না।
আমি এবং আমাদের মহারাজা মিলে আমরা এই দালানকোঠায় থাকবো এবং বাকী সময়টা অনেক আনন্দে ও আরাম আয়েশে কাটাব।তখন থেকে করিম মিয়া তার স্ত্রী তাকে যা বলে তাই শুনে এবং একটি তারিখ ফিক্স হলো যে আগামী মাসের রোজার প্রথম দিনে তারা তাদের পরিবারসহ এই দালান কোটায় উঠবেন।ঠিক তাই হলো রমজানের প্রথম দিনে তারা এই দালান কোটায় উঠলেন আর তার মা বোনকে করিম মিয়া বললেন যে তোমরা কোথায় থাকবা এটা আমি জানি না।কারণ আমার পরিশ্রম দিয়ে আমি টাকা ইনকাম করে দালান কোটা তৈরি করেছি এখানে আমার পরিবারই শুধু থাকবে তোমরা আমার পরিবারের কেউ না।
আমি মোছাঃ সায়মা আক্তার। আমি একজন ব্লগার, উদ্যোক্তা এবং শিক্ষিকা।কবিতা লিখতে, নতুন কোনো রেসিপি তৈরি করতে এবং নতুন নতুন ডিজাইন সৃষ্টি করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি।সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকতে এবং অবহেলিত মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারলে খুব ভালো লাগে।তাই সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি এবং তাদের সহযোগিতায় নিজেকে সব সময় সম্পৃক্ত রাখি।
বিষয়ঃ- ছোট গল্প "একজন করিম মিয়া পর্ব-০৪"।
কমিউনিটিঃ- আমার বাংলা ব্লগ।
আপনার মূল্যবান সময় নষ্ট করে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ..........
একজন করিম মিয়া ছোট গল্পটার প্রথম পর্বগুলো আমার পড়া হয়েছিল। আর এই গল্পের চতুর্থ পর্বের জন্য এমনিতেই অপেক্ষায় ছিলাম। আজকে আপনি এই গল্পের চতুর্থ পর্ব শেয়ার করেছেন দেখে খুব ভালো লাগলো। এই পর্বে তো দেখছি করিম মিয়ার স্ত্রী তার শাশুড়ি এবং ননদকে বের করে দেওয়ার কথা বলেছে। আবার করিম মিয়াকে ব্ল্যাকমেইল করেছে স্বর্ণের বলের কথা বলে। যার কারনে করিম মিয়া তার প্রত্যেকটা কথায় রাজি হয়েছে দেখলাম। এখন দেখা যাক এই গল্পের পরবর্তীতে কি হয়।
গল্পটি মনোযোগের সহিত পড়ার জন্য ধন্যবাদ আপু।
আমি তো দেখছি করিম মিয়ার বউ অনেক বেশি লোভী হয়ে গিয়েছে দালানকোঠা তৈরি করার পর থেকে। যদিও করিম মিয়া চেয়েছিল তার মা এবং তার বোন তাদের এই দালানকোঠায় থাকবে। কিন্তু করিম মিয়ার বউ তো আর তাদেরকে থাকতে দিল না। করিম মিয়াকে ব্ল্যাকমেইল করে তাদেরকে থাকার জন্য নিষেধ করার জন্য বলে দিয়েছিল। গরিব মিয়ার স্ত্রীর এই ব্যবহারটা আমার কাছে একেবারেই ভালো লাগেনি। গরিব মিয়া গল্পটার পঞ্চম পর্ব পড়ার অপেক্ষায় থাকলাম।
আপনি ঠিক বলেছেন ভাই করিম মিয়ার স্ত্রীর এই ব্যবহারটি আমারও ভালো লাগেনি।