DIY ||| এসো নিজে করি ||| সুন্দর একটি মেহেদির ডিজাইন।
আসসালামু আলাইকুম। আমার বাংলা ব্লগের সকল ভাই ও বোনেরা আশা করছি পরিবারকে নিয়ে সুস্থ ভাবে দিন যাপন করছেন।আমিও আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি।
আমি আজ আপনাদের মাঝে আরেকটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি।মেহেদি পড়তে সবাই ভালোবাসে আর মেহেদি রাঙানো হাতটি দেখতে ছোটদের আরো বেশি ভালো লাগে।ঈদে কেনা মেহেদী বাসায় ছিল। হঠাৎ সেই মেহেদী নিয়ে এসে আমার ছেলে শুরু করে দিল কান্না তার হাতে মেহেদি পড়ানোর জন্য।তারপর আমি তাকে বললাম ছেলেদের মেহেদী পরা যায় না বাবা।তুমি ছেলে তাই মেহেদি পড়লে সবাই পচা বলবে। মেয়েদের মেহেদি পড়তে হয় এবং মেয়েদের সাজুগুজু করতে হয়। কিন্তু সে কোন কথাই শুনছে না আমাকে মেহেদি পরিয়ে দিতেই হবে। তাই ছেলের রিকোয়েস্ট আর ফেলতে পারলাম না।তাই আমার করা একটি ডিজাইন দিয়ে ছেলের হাতে মেহেদি পড়িয়ে দিলাম। মেহেদি পরিয়ে দেওয়ার পর ও অনেক খুশি আর যখন ওর হাতের সেলফিটা নিলাম তখন আরো বেশি খুশি হয়েছে এবং বারবার বলছিল অনেক সুন্দর হয়েছে। আমার ছেলে ছোট মানুষ ওর খুশি দেখে অনেক ভালো লাগলো।সেই মেহেদির সুন্দর ডিজাইনটি আজ আপনাদের মাঝে শেয়ার করব।চলার কথা না বাড়িয়ে ডিজাইনটা কিভাবে করেছি তা দেখে নেওয়া যাক।
উপকারনসমূহঃ-
১ মেহেদী।
প্রথমে হাতের নিচে কয়েলের মত করে একটি ডিজাইন করে নিয়েছি।
এবার সেই ডিজাইনটিতে ছোট ছোট পাতার শেভ দিয়েছি।
এরপর সেই একই ডিজাইন দুই সাইডে আবার দুটো করে নিয়েছি।
এবার তিনটি একই ডিজাইনের উপর পাতা এঁকে নিয়েছি।
পাতার উপর একটি ফুল এঁকে সেই ফুল থেকে একটি ডাল এঁকে নিয়েছি।
সেই ফুলের অপর প্রান্তে আরেকটি ডাল এঁকে নিয়েছি এবং ডিজাইন করে নিয়েছি।
এবার উপর দিকে আরো দুটি ফুল ডিজাইন করে এঁকে নিয়েছি।
মাঝের আঙ্গুলে বাঁকা করে দাগ দিয়ে তার ভেতর ছোট ছোট ডাল দিয়ে গোল ফোটা দিয়ে ডিজাইন করে নিয়েছি।
তার সাইডের আঙ্গুলে বাঁকা করে এঁকে নিয়ে তার ভেতরে পাতার শেভ করে দিয়ে ফুল এঁকে নিয়েছি।
এবার সেই ফুলের ভিতর আরও একটি ছোট পাতা এঁকে নিয়েছে আর এভাবেই হয়ে গেল আমার "সুন্দর একটি মেহেদির ডিজাইন"।এবার এই "সুন্দর একটি মেহেদির ডিজাইন" এর একটি ছবি আপনাদের সামনে উপস্থাপন করলাম।
আমার পরিচয়।
আমি মোছাঃ সায়মা আক্তার। আমি একজন ব্লগার, উদ্যোক্তা।কবিতা লিখতে, নতুন কোনো রেসিপি তৈরি করতে এবং নতুন নতুন ডিজাইন সৃষ্টি করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি।সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকতে এবং অবহেলিত মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারলে খুব ভালো লাগে।তাই সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি এবং তাদের সহযোগিতায় নিজেকে সব সময় সম্পৃক্ত রাখি।
আসলে মায়েদের সব আবদার রাখতে হয়। যাইহোক ছেলের বায়না ধরাতে আপনার চমৎকার একটি মেহেদী আর্ট দেখতে পেলাম। আমার ছেলেকেও দেখেছি সে তার বোনের মতো মেহেদী পরতে চায়। কি আর করা ওর মা মাঝে মাঝেই হাতে মেহেদি পরিয়ে দেয়, ছোট্ট মানুষ বলে কথা। যাইহোক আর্ট কিন্তু বেশ সুন্দর হয়েছে।
সব সময় সুন্দর সুন্দর মন্তব্য করে কাজে উৎসাহ দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ ভাই।
খুব সুন্দর একটা মেহেদী ডিজাইন শেয়ার করেছেন আপনি। দেখতে খুব সুন্দর হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে এতো সুন্দর একটি মেহেদির ডিজাইন আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ।সুন্দর মন্তব্য করে উৎসাহ দেওয়ার জন্য।
তাহলে আপু ছেলের আবদার রেখেছেন। আপনি আপনার ছেলের হাতে খুব সুন্দর মেহেদি ডিজাইন আর্ট করেছেন। তবে মেহেদি ডিজাইন আর্ট এর মধ্যে ছোট ছোট ডিজাইনগুলোর কারণে দেখতে বেশ ভালোই লাগতেছে। তবে আপু ছেলেরা মেহেদী দিলে অনেকে পছন্দ করে না। তবে আপনার ছেলের হাতে মেহেদি লাগানো সুন্দর মেহেদি ডিজাইন আর্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।
সব সময় পাশে থেকে সুন্দর সুন্দর মন্তব্য করে উৎসাহ দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ।
ছোটবেলায় যখন দেখতাম মেয়েরা হাতে মেহেদি পড়তো তখন আমারও ইচ্ছে করতো আপু। আমিও বায়না করতাম বড় আপুদের কাছে। অবশেষে আপনি অনেক সুন্দর করে হাতে মেহেদি পরিয়ে দিয়েছেন দেখে ভালো লাগলো। আশা করছি আপনার ছেলে অনেক খুশি হয়েছে।
জি ভাই আমার ছেলে অনেক খুসি হয়েছিল মেহেদি পরিয়ে দেওয়ার কারণে।
আপনি তো খুব সুন্দর করেন মেহেদি ডিজাইন আর্ট করেছেন আপনার ছেলের হাতে। তবে ছোটবেলা আমরাও হাতে মেহেদি দেওয়ার জন্য অনেক বাইনা করতাম। কারণ মেহেদী দিলে বারবার হাত দেখতাম মেহেদি কেমন হলো। মনে হয় আপনার ছেলে ও মেহেদি হাতে দিয়ে বারবার দেখতেছে। এবং মনে হয় অনেক খুশি হয়েছে মেহেদি দিয়ে।
সব সময় পাশে থেকে সুন্দর সুন্দর মন্তব্য করে উৎসাহ দেয়ার জন্য ধন্যবাদ ভাই।