আমার অনুভূতির গল্প ||| মরণ ফাঁদ ||| ১০% লাজুক শিয়ালের জন্য।
হ্যালো বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন?যে যেখান থেকে এই মুহূর্তে আমার এই পোস্টটি পড়ছেন আশা করি সবাই সুস্থ আছেন এবং পরিবারকে নিয়ে অনেক আনন্দে সময় অতিবাহিত করছেন।আমিও আলহামদুলিল্লাহ আপনাদের দোয়ায় ও মহান সৃষ্টিকর্তার করুনায় ভালো আছি,সুস্থ আছি এবং ভালো সময় অতিবাহিত করছি পরিবারের সঙ্গে।
আজকে আমি আপনাদের মাঝে রেসিপি,কবিতা,ডাই পোস্ট নিয়ে কোন কথা বলবো না। তবে প্রতিটি মানুষের একটি ব্যক্তিগত সত্তা ও অনুভূতি আছে, ঠিক সেই অনুভূতি তারায় তাড়িত হয়ে সামনের দিকে অগ্রসর হই।ঠিক সেই অনুভূতির তারায় তাড়িত হয়ে আজকে আমি আপনাদের মাঝে ব্যক্তিগত একটি অনুভূতির গল্প আপনাদের মাঝে শেয়ার করব। জানিনা আমার এই গল্পটি আপনাদের কাছে কতটুকু গ্রহণযোগ্যতা পাবে তবে নিজের কিছু অনুভূতি সবার সাথে শেয়ার করার জন্য গল্পটি লিখতে বসলাম। আজকের গল্পটির নাম দিয়েছি "মরণ ফাঁদ"।
আমরা প্রতিটি মানুষ সব সময় পরিবারে বিভিন্নভাবে বিভিন্ন বন্ধনে আবদ্ধ হয়ে চলাফেরা করি এবং বসবাস করি।বসবাসের সময় কেউ সহজ সরল ভাবে বসবাস করি এবং কেউ একটু ক্রিটিক্যাল ভাবে চলাফেরা করি।কিন্তু প্রতিটি মানুষের উচিত সহজ সরলভাবে সবাইকে বোঝা এবং সবার সঙ্গে মিলেমিশে সমাজে বসবাস করা।
কিন্তু বিভিন্ন সময়ে আমি সমাজে দেখেছি যারা অন্যকে বিপদে ফেলার জন্য ফাঁদ ফেলে, ঠিক সেই বিপদে নিজেই পরবর্তীতে পরে এবং তার দুর্ভোগ পোহাতে হচ্ছে।অপরদিকে যারা সমাজের সহজ সরল ভাবে চলে,ঠিকই তারা জীবনের বাকি সময় অতিবাহিত করে সুন্দর ভাবে এবং পরিবারের সবাইকে নিয়ে জীবন পরিচালিত করে।
গত কয়েকদিন আগে আমার একটি হ্যান্ড এমব্রয়ডারি কাজের জন্য একটি অজ পাড়া গাঁয়ে যেতে হয়, যেখানে আমার কর্মীরা কাজ করছিল।সেখানে বেশ কিছু কারেন্ট জাল রোদে শুকাতে দেওয়া দেখে, কারেন্ট জালগুলোট কিছু ছবি ফোনে ক্যামেরাবন্দি করলাম।আর মনে মনে ভাবলাম এই জাল দিয়ে বিলে ও নদীতে ছোট ছোট কিছু মাছ ধরার জন্য জালগুলো বুনানো হয়েছে। কারণ এই জালে যে মাছ ঢুকবে সে মাছ আর এ জাল থেকে বেরোতে পারবে না।
কিন্তু কখনো কি আমরা ভেবে দেখেছি এই জালে যখন মা মাছটি ধরা পড়ে তখন তার বাচ্চাদের কি পরিস্থিতি হয়।আমরা কখনো এ ধরনের ভাবনা আমাদের মাথায় নিয়েই আসি না।
ঠিক তেমনি যখন কোন গুরুতর অসুস্থ রোগীকে হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়, তখন দেখা যায় সেই মানুষ রুপি ডাক্তার, নার্স এবং মালিক তাদের সাথে কসাইয়ের মত আচরণ করতেও দ্বিধাবোধ করে না।পক্ষান্তরে দেখা যায় ওই ডাক্তার, নার্স এবং মালিক প্রতিদিনে অসুস্থতার জন্য যে টাকা খরচ করছে আর এই রোগীর মাসেও সে টাকা খরচ হচ্ছে না।
আমি মোছাঃ সায়মা আক্তার। আমি একজন ব্লগার, উদ্যোক্তা এবং শিক্ষিকা।রেসিপি তৈরি করতে,কবিতা লিখতে এবং বিভিন্ন ধরনের ডিজাইন তৈরি করতে পছন্দ করি। যেকোনো বিষয়ে নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি।অবহেলিত মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারলে ভালো লাগে।তাই সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি।
বিষয়ঃ- আমার অনুভূতির গল্প "মরণ ফাঁদ"।
কমিউনিটিঃ- আমার বাংলা ব্লগ।
আপনার মূল্যবান সময় নষ্ট করে আমার এই পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ.......
কথায় তো আছে অন্যর জন্য গর্ত করলে নিজেকেই পরতে হয়।আপু কিছু কিছু কথা বেশ ভালো লেগেছে।সত্যি তো মা মাছ ধরা পরলে, আমরা চিন্তা করি না, বাচ্চা মাছদের কি হবে।আমরা আরো ডিম ওয়ালা মাছ খেতে পছন্দ করি।কিন্তু এতে নিজেরা নিজেদেরকে ক্ষতি মুখে ফেলে দিচ্ছি । ডাক্তারের কথা নাই বা বললাম।
অনেক ধন্যবাদ আপু।
আপু সত্যি আপনার পোস্ট টা আমার কাছে খুব ভালো লেগেছে। খুব সুন্দর করে উদাহরণ সরূপ ভাবে দারুণ করে পোস্ট সাজিয়েছেন।আসলেই আপু কারও ক্ষতি করে মানুষের যতটা না ক্ষতি হয় তার চেয়ে বেশি হয় তাদের যারা মানুষের ক্ষতি করে। এখন ডাক্তারদের ডাক্তার নয় কসাই বললে কম হবে।
ধন্যবাদ আপু সুন্দর একটি পোস্ট শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য অনেক শুভকামনা রইল আপু।
গঠনমূলক মন্তব্য করে উৎসহ দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ আপু।
আপনি আজকে খুব বাস্তবসম্মত একটি বিষয় আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। আসলে আপনার গল্পটি পড়ে খুব ভালো লাগলো। মানুষের মাঝে আজ মনুষত্ব হারিয়ে ফেলেছে। মানুষ শুধু টাকার পেছনে দৌড়ায়। একজন রোগী ডাক্তারের কাছে গেলে ডাক্তার রোগীর চিন্তা না করে সেই টাকার ধান্দা করতে লেগে যায়। এইটা আমাদের সবচেয়ে দুর্ভাগ্যজনক ঘটনা। এত সুন্দর পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
আপু আপনি সুন্দর একটা পোস্ট দিয়েছেন। সত্য বলতে আমাদের সমাজে এখন পরোপকারী লোকের সংখ্যা কমে গেছে। আমরা তো শুধু নিজেদেরকে নিয়ে ব্যস্ত থাকি। আর কিসের পরের অনুষ্ঠানে তাই নিয়ে উৎসব প্রকাশ করি।
অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু।