DIY ||| এসো নিজে করি ||| নিজের তৈরি শাড়ীর ডিজাইন নং-০৯ 🥻
আসসালামু আলাইকুম। আমার বাংলা ব্লগের সকল সদস্যদেরকে জানাই লাল গোলাপের শুভেচ্ছা।আশা করছি আপনাদের সবার পরিবারকে নিয়ে সুস্থ ও নিরাপদে আছেন।আমি আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি।
আমি আপনাদের সামনে নতুন আরেকটি পোস্ট নিয়ে এসেছি আশা করছি আপনাদের ভালো লাগবে। পোশাক মানুষকে পরিবর্তন করে।কারণ পোশাকের মাধ্যমেই আজকাল মানুষের মূল্যায়ন হয়।যে যেরকম পোশাক পড়ে না কেন তার লুকিং তেমনিই আসবে।তাইতো আমরা যে কোন অনুষ্ঠানে এক মডেলের পোশাক পড়ে যেতে পারিনা।আমাদের সামাজিক বিভিন্ন অনুষ্ঠানে এক এক রকমের পোশাকের ও কালার এর পরিবর্তন রয়েছে। রং বে রংয়ের শাড়ি মনের মাধুযকে ছুঁয়ে য়ায়।শাড়ির ডিজাইন ও কালার যদি লাগে ভালো তবে মনে অনেক আনন্দ লাগে। আমরা রুচি ও মান সম্মত কোন কিছু পেলে নিজেকে ধন্য মনে করি।একটা শাড়ি নারীকে পরিপূর্ণ করে দিতে পারে সুন্দরের দিক থেকে।আমারও শাড়ী অনেক ভালো লাগে। তাইতো চেষ্টা করছি মনের মত করে ডিজাইন দিয়ে সুন্দর কিছু শাড়ী আপনাদের সামনে তুলে ধরতে। আজকে আমি আপনাদের মাঝে "নিজের তৈরি শাড়ীর ডিজাইন নং-০৯" নিয়ে হাজির নয়েছি। আর কথা না বাড়িয়ে আমি আপনাদের জন্য যে"নিজের তৈরি শাড়ীর ডিজাইন নং-০৯" ডিজাইন ও শাড়ী নিয়ে এসেছি তার সমস্ত প্রক্রিয়াটি দেখে নেয়া যাক।
উপকরণসমূহঃ-
১। জলপাই।
২। ডিপ সবুজ।
৩। এন কে।
৪। ব্লক।
৫। ব্রাশ।
৬। ট্রে।
৭। টেবিল।
শাড়িটি টেবিলে বিছিয়ে প্রথমে একটি পাতার ডিজাইন ব্লক দিয়ে জলপাই কালার রং নিয়ে শাড়ীর আচলে এক গজ মেজারমেন্ট করে ডিজাইন করে নিয়েছি।
শাড়ীটির আঁচলের মাঝের ডিজাইনের দুই পাশে এবং পাড়ে খাছ কাটা ডিজাইন ব্লকে জলপাই কালার রং দিয়ে সুন্দর করে ডিজাইন করেছি।
এবার আঁচলের দুই সাইডে এবং নিচ পাড় ও উপরের পাড়ে মোরানো ডিজাইন ব্লকে ডিপ সবুজ কালার রং নিয়ে ডিজাইন করে নিয়েছি।
এবার আঁচলের পরে থেকে পুরো শাড়ীর বডিতে ফুলের ডিজাইনের ব্লকে জলপাই কালার রং নিয়ে সুন্দর করে ডিজাইন করে নিয়েছি পুরো শাড়ীর জমিনটিতে।
এভাবে ডিজাইন করা শেষ হয়ে গেলে শাড়ীটিকে রৌদে দিয়ে ৪/৫ ঘণ্টা শুকিয়ে নিয়েছি।
এবার শাড়ীটি আয়রন টেবিলে নিয়ে ভালো ভাবে আয়রন করে নিয়েছি যাতে ব্লকের রং পাকা হয়ে যায়।
এরপর টেইলারিং সুতা দিয়ে টারসেল তৈরি করে আচলে লাগিয়ে নিয়েছি যাতে শাড়িটির সৌন্দর্য বর্ধন করে আর এই ভাবেই হয়ে গেল আমার "নিজের তৈরি শাড়ীর ডিজাইন নং-০৯"।এবার "নিজের তৈরি শাড়ীর ডিজাইন নং-০৯" এর একটি সম্পন্ন ছবি আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করলাম ।
আমি মোছাঃ সায়মা আক্তার। আমি একজন ব্লগার, উদ্যোক্তা এবং শিক্ষিকা।কবিতা লিখতে, নতুন কোনো রেসিপি তৈরি করতে এবং নতুন নতুন ডিজাইন সৃষ্টি করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি।সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকতে এবং অবহেলিত মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারলে খুব ভালো লাগে।তাই সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি।
বিষয়ঃ- ডাই "নিজের তৈরি শাড়ীর ডিজাইন নং-০৯"।
কমিউনিটিঃ- আমার বাংলা ব্লগ।
আপনার মূল্যবান সময় নষ্ট করে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ..........
আপু আপনি ঠিক বলেছেন সারে নারীকে পরিপূর্ণ রূপ দিতে পারে। শাড়ির সৌন্দর্য অনেক। তাই আমরা যখন কোথাও ঘুরতে যাই বিভিন্ন আচার অনুষ্ঠানে যাই সে অনুষ্ঠানের সাথে মিলিয়ে ড্রেস পরে যাই। যাই হোক আপনি খুব সুন্দর ব্লক ডিজাইন করেছেন শাড়ি। শাড়ি গুলো আমার কাছে খুব ভালো লাগে। খুব সুন্দর আপনার হাতের কাজ।
ভালো কিছু উপস্থাপন করার জন্য সব সময় চেষ্টা করি আপু।
আপনার পুরো পোস্ট দেখে অনেক অনেক ভালো লাগলো। আসলে নিজের তৈরি ডিজাইনের শাড়ি পড়তে খুব ভালো লাগবে নিশ্চয়ই আপনার। আপনি ধাপে ধাপে আমাদের মাঝে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন। আপনার ডিজাইন খুব সুন্দর হয়েছে। এত সুন্দর পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ জানাই।
গঠনমূলক মন্তব্য করে সহযোগিতা করার জন্য ধন্যবাদ ভাই।
একটা শাড়ি নারীকে পরিপূর্ণ রূপ দিতে পারে। সুন্দরের দিক থেকে আপনার এই কথাটি আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। আর নিজের হাতে শাড়ির ডিজাইন করে শাড়ি পরার মজাটাই আলাদা। শাড়িতে এই ডিজাইনগুলো করা সামনাসামনি কখনো দেখিনি। আপনার পোস্টের মাধ্যমে দেখতে পেয়ে খুবই ভালো লাগলো অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে এত সুন্দর একটি শাড়ির ডিজাইন আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ।
আপনার ভালো লেগেছে এটাই আমার বড় পাওয়া।
একদম ঠিক বলেছেন আপু আজকাল পোশাকের উপরেই মানুষের মূল্যায়ন করা হয়। হয়তো এটা আমাদের মানসিকতার সাথে গেঁথে গেছে। তাই আমরা যেখানেই যাই না কেন সেখানেই হয়তো পোশাকের উপর নির্ভর করে আমাদের নিজেদের মূল্যায়ন করা হয়। যাই হোক আপনার করা শাড়ি সব সময় অনেক সুন্দর হয়। এই শাড়িটি আমার কাছে সবচেয়ে বেশি ভালো লেগেছে। বিশেষ করে শাড়ির কালার কম্বিনেশন দারুন ছিল।
চেষ্টা করছি আপু দোয়া করবেন আমার জন্য।
আপু আপনার ব্লগের ডিজাইন এর শাড়িটা দেখে খুবই ভালো লাগছে। আপনার পোস্টটি পড়ে ভালো লাগলো যে আপনি ব্লক শিল্প কাজ জানেন। এক সময় আমার বোনও ব্লকের কাজ করতো।
আপনার ভালো লেগেছে শুনে ভালো লাগলো আপু।
নারীরা যত সাজুগুজু করুক না কেন শাড়ি পরলেই নারীদেরকে পরিপূর্ণ দেখায়।আপনি যে শাড়িতে ডিজাইন করেছেন এটা অনেক সুন্দর একটি কালার।জলপাই কালারটাও আমার বেশ ভালো লাগে।শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত ধাপে ধাপে আপনি পুরো কাজটি আমাদের সাথে শেয়ার করেছেন।আপু আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ।
আপনাকেও অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু।
কি বলবো আপু। এক কথায় অসাধারন। এতো সুন্দর কারুকাজ পারেন আপনি আগে জানতাম না। দূর্ভাগ্য বসতো শাড়ির ডিজাইন এর আগের পর্ব গুলো হয়তো আমার চোখে পরেনি। আমি অবাক হয়ে গেলাম আপনার করা এই ডিজাইন দেখে। অনেক সুন্দর হয়েছে। শুভেচ্ছা রইলো আপু।
চেষ্টা করছি ভালো কিছু উপস্থাপন করার জন্য ধন্যবাদ ভাই।
এটা কিন্তু ঠিক বলেছেন আপু পোশাক মানুষকে পরিবর্তন। পোশাকে মানুষের পরিচয়। এটাও কিন্তু ঠিক আপু একটা শাড়ি নারীকে পরিপূর্ণ রূপ দিতে পারে। আপনার পোস্টটি পড়ে খুব ভালো লাগলো। আর আগেও আপনার শাড়ির ডিজাইন গুলো দেখেছি আপনি সব সময় খুব ভালো ডিজাইন করেন। আজকের শাড়ির ডিজাইন টা আমার কাছে খুবই ভালো লেগেছে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ এত সুন্দর একটি পোস্ট আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
শাড়ির ডিজাইন করতে অনেক সময় লাগে তার পরও চেষ্টা করি আপু।
সত্যি বলেছেন আপু পোশাক মানুষকে পরিবর্তন করে।কারণ পোশাকের মাধ্যমেই আজকাল মানুষের মূল্যায়ন হয়।আপনার মতো আমারও শাড়ি পড়তে ভালো লাগে তবে নিজে পড়তে পারি না।যাই হোক আপনার শাড়ির মধ্যে নিজের হাতে করা ডিজাইন দেখতে আমার অনেক ভালো লাগে। আপনি আজও খুব সুন্দর একটি শাড়ির ডিজাইন শেয়ার করেছেন। ধন্যবাদ এত ইউনিক পোস্ট শেয়ার করার জন্য।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
এখন পোশকই ব্যক্তিত্বের মানদন্ড হয়ে গেছে।লোকে পোশাক দেখেই সব বিচার করে নেয়,সেই শেক্সপিয়ারের খাবার পকেটে রাখারা গল্পের মত।আমি জানতাম না শাড়ি এভাবে ডিজাইন করা হয়।শাড়ির মাঝে ডিজাইন গুলো সুন্দরভাবে ফুটে উঠেছে।ধন্যবাদ আপু এমন ক্রিয়টিভ কাজ শেয়ার করার জন্য।
জি ভাই আপনি ঠিক বলেছেন।