রেসিপি ||| চিংড়ির সাধে বরবটি ও বেগুন ভাঁজি |||
হ্যালো, আমার বাংলা ব্লগের ভাই ও বোনেরা আশা রাখছি দূর দূরান্ত থেকে সবাই বিধাতার রহমতে ভালো আছেন ও সুস্থভাবে দিন যাপন করছেন।আমি ও আপনাদের দোয়ায় ও আল্লাহর রহমতে ভালো আছি ।
আমার বাংলা ব্লগে মনের ইচ্ছা আবেগ অনুভূতির কথাগুলো সবার মাঝে প্রকাশ করতে আমার অনেক ভালো লাগে। যে কোন কাজ করি না কেন, কোন কাজই ছোট নয়। সঠিক ভাবে সবার মাঝে নিয়মনিতি অনুযায়ী কাজ করতে পারলে সেই কাজের চাহিদা বাড়ে।তাইতো চেষ্টা করছি নিয়ম অনুযায়ী কাজ করার এবং নতুন কিছু আপনাদের মাঝে আমার ভাইবোনদের সাথে শেয়ার করার জন্য। গাছ লাগাতে আমার অনেক ভালো লাগে।আমার ছাদে কিছু গাছ আছে এবং সেই গাছগুলোকে আমি অনেক ভালোবাসি।তাদের অনেক যত্ন নেই। সকাল সন্ধা যতটুকু পারি আমি চেষ্টা করি সেই গাছগুলোর যত্ন নেওয়ার। আস্তে আস্তে আমার গাছগুলো বড় হচ্ছে এবং গাছ গুলো আমাকে ভালোবেসে কিছু ফলও উপহার দিচ্ছে।সেই আনন্দের অনুভূতি আজ আপনাদের সাথে শেয়ার করব। ছাদে মূলত বেগুনের গাছ, বরবটির গাছ, লেবুর গাছ , মাল্টার গাছ, করল্লার গাছ,মরিচ গাছ ও বিভিন রকমের ফুলগাছ আছে।আমার ছাদ বাগানের সবজি দিয়ে আজ একটি রেসিপি আপনাদের মাঝে শেয়ার করতে যাচ্ছি। আমার রেসিপিটির নাম "চিংড়ির সাধে বরবটি ও বেগুন ভাঁজি"।চলুন আর কথা না বাড়িয়ে আমি আপনাদের সামনে যে নতুন রেসিপি নিয়ে এসেছি তার সমস্ত প্রক্রিয়াটি দেখে নেয়া যাক।
উপকরণ সমূহঃ
প্রথমে চিংড়ি মাছগুলো সুন্দর করে ধুয়ে নিয়েছি ।
এবার চিংড়ি মাছের গা থেকে খোসাগুলো ছাড়িয়ে নিয়েছি এবং পরিষ্কার করে একটি বাটিতে নিয়েছি।
কাঁচা মরিচের বোটা ছাড়িয়ে নিয়ে কাঁচা মরিচ গুলো পরিষ্কার পানিতে ধুয়ে রান্নার উপযোগী করে কেটে নিয়েছি।
পেঁয়াজের খোসা ছাড়িয়ে পেঁয়াজ পরিষ্কার পানিতে ধুয়ে কুচি কুচি করে কেটে নিয়েছি ।
রসুনের খোসা ছাড়িয়ে নিয়ে রসুনগুলো শিলদিয়ে থেঁতলে নিয়েছি।
বরবটিগুলো গাছ থেকে উঠিয়ে নিযে এসে পরিষ্কার পানিতে ধুয়ে ছোট ছোট অংশে কেটে নিয়েছি ।
বেগুন গাছ থেকে উঠিয়ে নিয়ে এসে পরিষ্কার পানিতে ধুয়ে ছোট ছোট অংশে টুকরো করে একটি বাটিতে নিয়েছি ।
আলুর খোসা ছাড়িয়ে নিয়ে পরিষ্কার পানিতে ধুয়ে ছোট ছোট অংশে কেটে নিয়েছি ।
এবার ফ্রাইপেনে তৈল দিয়ে চিংড়ি মাছগুলো লবণ দিয়ে ভেজে নিয়েছি।
ভেজে নেওয়া চিংড়ি মাছের ভেতরে পেঁয়াজ কুচি, মরিচ কুচি, রসুন কুচি, হলুদের গুঁড়ো, জিরার গুঁড়ো লবণ দিয়ে চিংড়ি মাছ ভালো করে কষিয়ে নিয়েছি।
কষিয়ে নেওয়া চিংড়ি মাছের ভিতর বরবটি,বেগুন, আলুর টুকরো গুলো দিয়ে ভালো করে নেড়েচেড়ে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিয়েছি এবং কিছুখন অপেক্ষা করেছি সবজিগুলো সিদ্ধ হাওয়ার জন্য। আমি যখন বুঝতে পারলাম সবজি সিদ্ধ হয়ে গেছে এবং ভাজিটি রান্নার উপযোগী হয়েছে তখনই আমি আমার রেসিপি চুলা থেকে নামিয়ে নিয়েছি।আর এভাবে হয়ে গেল আমার "চিংড়ির সাধে বরবটি ও বেগুন ভাঁজি" রেসিপি। এবার এই "চিংড়ির সাধে বরবটি ও বেগুন ভাঁজি" রেসিপি পরিবেশন এর জন্য রেডি করে তার একটি ছবি আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করলাম।
আমি মোছাঃ সায়মা আক্তার। আমি একজন ব্লগার, উদ্যোক্তা এবং শিক্ষিকা।রেসিপি তৈরি করতে,কবিতা লিখতে এবং বিভিন্ন ধরনের ডিজাইন তৈরি করতে পছন্দ করি। যেকোনো বিষয়ে নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি।অবহেলিত মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারলে ভালো লাগে।তাই সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি।
বিষয়ঃ- রেসিপি "চিংড়ির সাধে বরবটি ও বেগুন ভাঁজি"।
কমিউনিটিঃ- আমার বাংলা ব্লগ।
আপনার মূল্যবান সময় নষ্ট করে আমার এই রেসিপি পোস্টটি পড়ার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ.......
চিংড়ি দিয়ে যেকোনো জিনিস রান্না বা, ভাজি করলে খেতে খুব ভালো লাগে। আপনি খুব সুন্দর করে চিংড়ির সাধে বরবটি ও বেগুন ভাঁজি করেছেন। বরবটি আমার খুব প্রিয়। খেতে খুব ইচ্ছে করতেছে। আসলে আপনার রন্ধন প্রক্রিয়া দুর্দান্ত হয়েছে । এত অসাধারণ রেসিপি পোস্ট শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ জানাই।
অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই।
আপনি দেখছি বৃক্ষ প্রেমী মানুষ ।আমিও গাছ লাগাতে খুব ভালোবাসি। আমার ছাদ বাগানেও অনেক ধরনের সবজি ও ফুলগাছ রয়েছে। আর আপনি চিংড়ি দিয়ে বরবটি ও বেগুন আলুর তরকারি রান্না করেছেন দেখি খুবই ভালো লাগছে। নিজের গাছের সবজি রান্না করার মজাই আলাদা। আর চিংড়ি দিয়ে রান্না করলে তো মজা বেশি বেড়ে যায়।
মন্তব্য করে উৎসহ দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ আপু।
চিংড়ি মাছ এমন একটি মাছ যা দিয়ে যে কোন সবজি রান্না করলে অনেক মজা লাগে। তবে বরবটি ও বেগুন দিয়ে কখনো চিংড়ি মাছ রান্না করা হয়নি। আপনার থেকে রেসিপিটি প্রথম দেখলাম।রেসিপির কালার দেখে মনে হচ্ছে খেতে ও সুস্বাদু হয়েছিল। অনেক ধন্যবাদ আপু সুন্দর রেসিপি টি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
সুন্দর মন্তব্য করে সহযোগিতা করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
গাছ লাগাতে আমিও খুব ভালোবাসি।তাছাড়া নিজের হাতে লাগানো গাছের সবজি খাওয়ার মজাটাই আলাদা।আপনি আপনার ছাদে অনেক সবজি গাছ লাগিয়েছেন।এটা খুবই পুষ্টিকর খাবার।যদিও আমি বেগুন ও বরবটি আলাদা করে ভাজি খেয়েছি।যাইহোক সুন্দর রেসিপি শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
আপনি ঠিক বলেছেন দিদি।
চিংড়ির সাধে বরবটি ও বেগুন ভাঁজি,, রেসিপিটি খুব সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন। আমার কাছে দারুন লেগেছে গাছের বেগুন এর ছবি। তবে আপনি ঠিকই বলেছেন আপু।। কোন কাজেই ছোট নয়,, যদি সেই কাজটি মনোযোগ সহকারে করা যায়♥♥
আপনার মন্তব্য পড়ে অনেক ভালো লাগলো আপু।
আপু আপনার চিংড়ি মাছ বেগুন আর বরবটি মিশ্রিত রেসিপিটি অনেক সুস্বাদু হয়েছে দেখেই বুঝা যায়। আমার তো দেখে খুবই খেতে মন চাচ্ছে। আপনি অনেক সুন্দর করে ধাপে ধাপে রেসিপিটি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। ধন্যবাদ আপু আপনাকে এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
আপু, আমিও গাছ লাগাতে খুবই পছন্দ করি। বিভিন্ন রকমের সবজি ফল এবং ফুলের গাছ আমিও লাগিয়েছি আর এগুলোকে যত্ন নিয়ে থাকি। শুনে খুব ভালো লেগেছে নিজের গাছের রবটি শিম, বেগুন এবং আলু দিয়ে সুস্বাদু রেসিপিটি তৈরি করেছেন।যে সবজিগুলো আমরা সচরাচর বাজার থেকে কিনে খাই সেগুলোতে প্রচুর পরিমাণে কীটনাশক ব্যবহার করে, তাই যদি বাড়ির আঙ্গিনা অথবা ছাদের মধ্যে গাছ লাগিয়ে সে সবজি খাওয়া হয় তাহলে কিন্তু সুস্বাদ এবং পুষ্টিকর হয়ে থাকে।আপু, আপনার রান্না করার রেসিপিটা আমার কাছে খুবই খুবই ভালো লেগেছে।রেসিপির প্রতিটি ধাপ আপনি খুব সুন্দর ভাবে উপস্থাপন করেছেন। আপু,ধন্যবাদ আপনাকে।।
আমার রেসিপি আপনার ভালো লেগেছে শুনে অনেক ভালো লাগলো আপু।
আমার রেসিপি আপনার পছন্দ হয়েছে শুনে অনেক ভালো লাগলো আপু।
অনেক ধন্যবাদ ভাই।