অনুভূতি ||| আমাদের জাতীয় খেলা কাবাডি ||| ১০% লাজুক শিয়ালের জন্য।
হ্যালো বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন? এই মুহূর্তে যে যেখান থেকে আমার এই পোস্টটি পড়ছেন। আশা করি সকলে নিজ নিজ পরিবার নিয়ে সুস্থ এবং ভালো সময় অতিবাহিত করছেন।
আমি গতকাল আমার বাচ্চাদেরকে নিয়ে স্টেডিয়ামে ঘুরতে গিয়েছিলাম খেলা দেখানোর জন্য।কিন্তু স্টেডিয়ামে এ সময় কোন খেলা চলছিল না তবে বাহিরে যে খেলাটি দেখলাম তা হলো আমাদের বাংলাদেশের জাতীয় খেলা কাবাডি।আমাদের বাংলাদেশের জাতীয় খেলাটি নিয়ে আমার কিছু কথা আজকে আপনাদের সাথে আমি শেয়ার করবো।কারণ আমার ভালো লাগার কিছু অনুভূতি এবং বাস্তব কিছু অভিজ্ঞতা আপনাদের সাথে শেয়ার করব আশা রাখি আপনাদের গল্পটি ভালো লাগবে।
আমি বাচ্চাদেরকে নিয়ে যখন স্টেডিয়ামের গেটে গিয়ে নামলাম। তখন স্টেডিয়ামের গেটে তালা দেখে মনটা খারাপ হয়ে গেল কারণ আজকে ছুটির দিনে বাচ্চা দেরকে নিয়ে একটু ঘুরতে আসলাম আর স্টেডিয়ামের গেটে তালাবদ্ধ এটি আসলে আমার অনেক খারাপ লেগেছে।পরে চিন্তা করলাম যে স্টেডিয়ামের পশ্চিম পাশে ছোট বাচ্চাদের ক্রিকেট খেলার প্রশিক্ষণ দেওয়া হয় সেই বিষয়টি দেখানোর জন্য পিছনের সাইডে গেলাম।কিন্তু সেখানে গিয়ে দেখি ক্রিকেটের প্রশিক্ষণ চলছে না বাচ্চারা অনেক মজা করছে কারণ সেখানে কাবাডি খেলা এইমাত্র শেষ হয়ে গেল।তবে খেলাটি ছিল লিগ পর্যায়ের ফাইনাল খেলা আর সেখানে ফাস্ট প্রাইজ হিসেবে সাত হাজার টাকার একটি চেক উত্তোলন করে দেয়া হচ্ছিল ফাইন টিম দের হাতে।
এই চেক তুলে দেওয়ার মুহূর্তে অনেক সাংবাদিকেরা তাদের ছবি উঠাচ্ছিল। তাদের সাথে আমিও তাদের কিছু ছবি উঠিয়ে নিলাম আর তাদের আনন্দঘন মুহূর্তের কিছু স্মৃতির ভাগীদার হয়ে গেলাম।আমি অনেক দীর্ঘ সময় পর কাবাডি খেলা দেখতে পেয়ে আমার এত ভালো লেগেছে যেটা আসলে আমি আমার ভাষায় প্রকাশ করতে পারছি না।
ছোটবেলায় গ্রামে মাঝেমধ্যে দেখতে পেতাম কাবাডি খেলা।তবে ওই সময় ছেলেদের পাশাপাশি মেয়েদেরও কাবাডি খেলতে দেখেছি।ওই সময়টা ছিল অনেক আনন্দের এবং মজার সময় যে সময়টা মনে হলে অনেক খারাপ লাগে।
কাবাডি খেলা শেষে ও পুরস্কার বিতরণের পরে যে জিনিসটা আমার চোখে পড়ল সেটি হল পাশেই ছোট বাচ্চারা তাদের জুতা দিয়ে লাগ টেনে কাবাডি খেলছে। যেটা কখনও চোখে পরেনি আমার জানিনা আপনারা কখনো এই ধরনের মুহূর্ত অবলোকন করেছেন কি না।
সব মিলিয়ে দিনটি আমাদের অনেক ভালো কেটেছে আর বিশেষ করে আমার বাচচারা অনেক মজা এবং আনন্দ ফিল করেছে।
আমার অনুভূতি আপনাদের সাথে শেয়ার করলাম। জানিনা আপনাদের কতটুকু ভালো লেগেছে বা খারাপ লেগেছে তা কমেন্টের মাধ্যমে লিখে সহযোগিতা করবেন।
আমি মোছাঃ সায়মা আক্তার। আমি একজন ব্লগার, উদ্যোক্তা এবং শিক্ষিকা।রেসিপি তৈরি করতে,কবিতা লিখতে এবং বিভিন্ন ধরনের ডিজাইন তৈরি করতে পছন্দ করি।আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি একটি সহযোগিতামুলক এবং নিরপেক্ষ একটি কমিউনিটি। তাই এই কমিউনিটির একজন সদস্য হতে পেরে নিজেকে গর্বিত মনে করি।
বিষয়ঃ- আমার অনুভূতি "আমাদের জাতীয় খেলা কাবাডি"।
কমিউনিটিঃ- আমার বাংলা ব্লগ।
আমার বাংলা ব্লগ পরিবারের সকলকে জানায় আমার অন্তরের অন্তস্থল থেকে ভালোবাসা.......
আপু আমাদের জাতীয় খেলা কাবাডি হলেও আমাদের দেশে কাবাডি খেলা তেমন একটা হয় না। তাই কালের বিবর্তনে হারিয়ে যাচ্ছে কাবাডি খেলা। আপনাদের বগুড়াতে কাবাডি লীগের আয়োজন দেখে ভালই লাগলো। অনেক ছোট সময় আমি কাবাডি খেলা দেখেছিলাম। বড় হয়ে আর দেখি নাই। এখন তো সবাই ফুটবল আর ক্রিকেট খেলা নিয়ে ব্যাস্ত। যায়হোক আপনি আর আপনার বাচ্ছারা ভালই আনন্দ করেছেন। ধন্যবাদ আপু।
অনেক ধন্যবাদ ভাই সুন্দর মন্তব্য করে উৎসাহ দেওয়ার জন্য।
বাহ,খুব ভালো একটি বিষয় উপস্থাপন করেছেন।কাবাডি খেলা খুবই মজার, ছোটবেলায় আমরাও খেলতাম।তবে আপনাদের ওখানে লিগ পর্যায়ের ফাইনাল কাবাডি খেলা হয়েছে জেনে খুশি হলাম।যেহেতু কাবাডি খেলা শেষ হয়ে গিয়েছিল সেহেতু বাচ্চারা অনেক মজা করতে পেরেছে নিশ্চয়ই।ধন্যবাদ আপু।
জ্বী আপু অনেক মজা করতে পারতাম কিন্তু যাওয়ার আগে খেলা শেষ হয়ে গেছে শুধু পুরস্কার বিতরণ টা দেখতে পেয়েছি।
আপু আপনি আজকে আমাদের মাঝে আমাদের জাতীয় খেলা কাবাডি অনেক সুন্দর ভাবে অনুষ্ঠানের পুরো অংশ শেয়ার করেছেন। আপু আমিও কিছুদিন আগে কাবাডি খেলা দেখতে গিয়েছিলাম আমাদের গ্রামের পাশে কাবাডি খেলা ছেড়েছিল। আসলে পুরস্কার বিতরণের পরে আপনার চোখে যেটা অদ্ভুত লেগেছিল। ছোট ছেলেরা তাদের জুতো পা থেকে খুলে কাবাডি খেলার কোট তৈরি করে খেলছিল । এই বিষয়টি আমার কাছে অনেক ভালো লেগেছে।
জি ভাই আমারও খুব ভালো লেগেছে বিষয়টি।
কাবাডি যে এখনো বেচে আছে এবং জাতীয় পর্যায়ে খেলা হচ্ছে এটা দেখেই অনেক ভাল লাগল।আমরা ছোট বেলায় খেলেছি এমন অনেক খেলাই এখন বিলুপ্ত প্রায়।বর্তমান প্রজন্ম এসব খেলার নাম ও জানে না অনেকে খেলা তো দুরের কথা।ধন্যবাদ আপু আমাদের জাতীয় খেলার প্রতিযোগীতার বিজয়ী দলের উদযাপন তুলে ধরার জন্য।
অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই।
আপু আমাদের জাতীয় খেলা কাবাডি এখন কিন্তু আর খুব একটা খেলতে দেখা যায় না। আসলে পোস্ট দেখেই বোঝা যাচ্ছে যে আপনার বাচ্চারা খুব ইনজয় করছে। আপনি ছুটির দিনে বাচ্চাদেরকে নিয়ে খুব সুন্দর একটি সময় কাটিয়েছে। আসলে সকলের উচিত বাচ্চাদের একটু সময় দেওয়া মাঝে মাঝে বাহিরে ঘুরাতে নিয়ে যাওয়া।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
বাচ্চার ঘুরে বেড়াতে পছন্দ করে। তবে প্রথমে খারাপ লেগেছিল যে আপনি স্টুডেন্ট ঢুকতে পারছিলেন না। আর লেখা শেষে সবচেয়ে ভালো লাগলো যে আপনি ঢুকেছেন এবং সুন্দর সুন্দর কিছু ফটোগ্রাফি করেছে।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।