আত্ম কাহিনী ||| আড়ং বুটিকস-৩।
হ্যালো বন্ধুরা সবাই ভালো আছেন আশা করি?এই মুহূর্তে যে যেখান থেকে আমার এই পোস্টটি পড়ছেন। আশা করি সকলে সুস্থ আছেন এবং সুন্দরভাবে জীবন অতিবাহিত করছেন? আমিও আপনাদের ভালোবাসা ও আল্লাহর রহমতে পরিবারসহ অনেক সুন্দর সময় অতিবাহিত করছি এবং কর্মময় জীবনে অনেক ব্যস্ততার মধ্য দিয়ে সময় অতিবাহিত করছি।
বর্তমান সময়টি এমন একটি সময় আমরা যে যার কাজে ব্যস্ত।কখনো কারো খবর নেওয়ার মতো সময় আমাদের নেই হক সে রক্তের আত্মীয় বা পাড়া প্রতিবেশী।
আমিও অনেক সময় আমার আত্মীয়-স্বজনের সঙ্গে সেভাবে সময় দিতে পারি না।তবে বেশির সময় আমার আড়ং বুটিক্সের কর্মীদের সঙ্গে সময় দিতে গিয়ে তাদের অনেক সুন্দর অভিজ্ঞতা এবং তাদের অনেক কষ্টের কথা শুনে আমার অনেক সময় মনটা অন্যরকম হয়ে যায়।মাঝে মাঝে চিন্তা করি এত কষ্ট এত টেনশন এত অভাব অনাটনের মধ্যে মানুষ কিভাবে বেঁচে থাকে।
একদিন আমার এক সাব-অফিসে গিয়ে বেশ সময় অতিবাহিত করেছি কারণ বিভিন্ন ডিজাইন নিয়ে কাজ করি তাই অনেক সময় অনেক ডিজাইনের যখন সমস্যা হয়ে যায় সেই সমস্যার সমাধান করতে সাব-অফিসে অনেক সময় দিতে হয়।এক আপা বলছে তার দুই মেয়ে পড়াশোনা করে এবং সে পরিবার পরিচালনা করে।তার স্বামী পরিবারকে অত সময় দিতে পারেনা কিন্তু তার ব্যাকগ্রাউন্ড শুনে আমি অবাক হয়ে গেলাম যে সে একজন প্রাক্তন চেয়ারম্যানের মেয়ে।
এ আপার বাবা যখন চেয়ারম্যান ছিল তখন অস্ত্র এলাকায় তারা অনেক দাপটের সহিত চলাফেরা করেছেন এবং অনেক বিলাসিতা জীবন যাপন করেছেন। কিন্তু বর্তমানে তাদের এমন একটি অবস্থা যেটি আসলে সবার সামনে প্রকাশ করার মত না।আপা এখন আমার সাব-অফিসে কাজ করে এবং অনেক সময় তার বাচ্চাদের স্কুলে কাজ নিয়ে যায় ও সেখানে কাজটি করে।
আমি অবশ্য সাব-অফিসের বাহিরে কখনো কাজ নিয়ে যাওয়ার অনুমতি দেই না।কারণ বিভিন্ন জায়গায় কাজ করলে কাজের কোয়ালিটি এবং ডিজাইন এর অনেক এদিক সেদিক হয় যেগুলো আসলে আমাদের বায়ার মেনে নিতে চায় না।তাই কর্মীদের বলি যতটুকু সময় পাবেন আপনারা সাব-অফিসে বসে কাজ করার করবেন।কিন্তু যখন এই আপার এইরকম পরিস্থিতির কথা শুনলাম তখন আমি আপাকে বাহিরে কাজ নিয়ে যাওয়ার জন্য উৎসাহ প্রদান করেছি এবং ওনাকে বলেছি আপনি কাজ নিয়ে বাহিরে করতে পারবেন আর যত বেশি কাজ লাগে আমি আপনাকে সেই কাজের ব্যবস্থা করে দিব ইন-সা-আল্লাহ।
আমি এভাবে আড়ং বুটিক্সের মাধ্যমে যতটুকু পারা যায় মহিলাদের সুযোগ সৃষ্টি করে দেওয়ার ব্যবস্থা করছি। দোয়া করবেন আমাদের আড়ং বুটিকসের জন্য যেন আমরা সাবলম্বী হতে পারি এবং আমাদের সঙ্গে সম্পৃক্ত সকল আপারা স্বাবলম্বী হতে পারে।
আমি মোছাঃ সায়মা আক্তার। আমি একজন ব্লগার, উদ্যোক্তা এবং শিক্ষিকা।কবিতা লিখতে, নতুন কোনো রেসিপি তৈরি করতে এবং নতুন নতুন ডিজাইন সৃষ্টি করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি।সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকতে এবং অবহেলিত মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারলে খুব ভালো লাগে।তাই সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি এবং তাদের সহযোগিতায় নিজেকে সব সময় সম্পৃক্ত রাখি।
বিষয়ঃ- আত্মকাহিনী "আড়ং বুটিকস-৩"।
কমিউনিটিঃ- আমার বাংলা ব্লগ।
আপনার মূল্যবান সময় নষ্ট করে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ..........
আপু,মেয়েদেরকে সাবলম্বী করে তোলার জন্য আপনি যেভাবে উৎসাহ যোগিয়ে কাজের ব্যবস্থা করে দিচ্ছেন তা নিঃসন্দেহে প্রশংসার দাবিদার। মানুষের দুঃখ কষ্ট কে বুঝে তাদের পাশে দাঁড়ানোই হচ্ছে মানবতার পরিচয়। আর সে ক্ষেত্রে আপনি ওই আপার কাজ করার জন্য সকল সুযোগ সুবিধা দিয়ে তাকে সহযোগিতা করেছেন। যার কারণে ওই আপার কর্মসংস্থানের ব্যবস্থা হয়েছে।আপনার লেখা আত্মকাহিনী পড়ে খুব ভালো লাগলো আপু।
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই যে আমার পোস্টটি সম্পর্কে আপনার মূল্যবান মতামত দিয়েছেন।
আপনি প্রতিনিয়ত মানুষের কর্মসংস্থানের ব্যাবস্থা করে চলেছেন। আপনার মতো উদ্যোক্তা ঘরে ঘরে দরকার। যার কথা ওখানে উল্লেখ করলেন, একসময় তাদের আর্থিক অবস্থা ভালো ছিল কিন্তু এখন পরিস্থিতির চাপে পরে আপনার এখানে কাজ করতে হচ্ছে জেনে খারাপ লাগছিলো। যাইহোক তিনি খারাপ পরিস্থিতি কাটিয়ে উঠুন এবং আপনিও এগিয়ে যান এই কামনা করছি।
দোয়া করবেন ভাই আমাদের আড়ং বুটিকস পরিবারের জন্য যেন আমরা সবাই সাবলম্বী হতে পারি।