ফটোগ্রাফি ||| কাঁসার পাত্রের ফটোগ্রাফি।

in আমার বাংলা ব্লগlast year

আসসালামু আলাইকুম। আমার বাংলা ব্লগের সকল ভাই ও বোনদেরকে জানাই লাল গোলাপের শুভেচ্ছা। আশা করি সবাই ভাল আছেন।আমিও আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি।

আমি আজ আপনাদের মাঝে ভিন্ন ধরণের একটি পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি। কয়েকদিন হলো প্রচণ্ড গরম এই গরমে মন শরীর কোনটাই ভাল নেই। বাসায় কোন কাজেও স্বস্তি পাচ্ছিলাম না।তাই ভাবলাম একটু চেঞ্জ এর দরকার। তাই চলে গেলাম আমার আত্মীয় বাসায়। আত্মীয় বলতে মূলত আমার বোনের বাসায়। বোনের বাসায় গিয়ে দেখি আমার বোন আগের দিনের কিছু কাঁসার জিনিসপত্র গোছাচ্ছে। আমার সেই জিনিস গুলো দেখে অনেক ভালো লাগলো। একটি একটি করে সেই কাসার জিনিসপত্রের নাম জিজ্ঞাসা করলাম এবং সে আমাকে বলল সেই জিনিস গুলোর নাম। আমাদের বাঙ্গালীদের ঐতিহ্য কাঁসার বাসন পত্র। আমি যতোটুকু জেনেছি কাঁসার জিনিসপত্র বাসনে খাওয়া-দাওয়া করলে কোন শারীরিক সমস্যা হয় না। বর্তমান সময়ে কাঁসার বাসন জিনিস পত্রের বা হাঁড়ি পাতিলের প্রচন্ড দাম।আমি আমার বোনকে জিজ্ঞাসা করলাম বাসন গুলো একটু কালচে হয়ে গেছে তখন সে আমাকে বলল কাঁসার জিনিসপত্র ব্যবহার না করলে এধরনের সমস্যা হয়। আমি আমার বোনকে জিজ্ঞাসা করলাম এগুলো ব্যবহার করোনি কেন?আমার বোন বলল তার শশুরের মায়ের হাতের স্মৃতি খুব যত্নে একটি বাক্সে রেখে দিয়েছিল। যখন সেই আঙ্কেলের মায়ের কথা মনে পড়তো তখন সেই বাক্সটি খুলে দেখতো এবং কান্না করত।মায়ের হাতের সব ধরনের জিনিসপত্র সেই বাক্সে ছিল।মাকে এতটা বেশি ভালোবাসে সেটা তাকে দেখেই বুঝে ছিলাম।আঙ্কেলের মৃত্যুর আগে তখন সেই জিনিস গুলো আমার বোনের হাতে দিয়ে গেছে এবং সংরক্ষণ করে রাখতে বলেছে।আমার কাছে এই জিনিসগুলো অনেক ভালো লেগেছে এবং আনকমন লেগেছে এই ধরনের জিনিস আসলে এর আগে সেভাবে দেখা হয়নি। আমি সেই পুরনো দিনের জিনিসপত্রগুলোর ফটো গ্রাফি আপনাদের মাঝে শেয়ার করলাম।

received_232393439514175.jpeg

পাতিল

বর্তমান সময়ে আমরা রাইস কুকার,কারি কুকার অথবা সীসার পাতিলে রান্না করে থাকি কিন্তু একটি সময় ছিল সেই পুরনো দিনে এই ধরণের কাঁসার পাতিলে রান্না করতো।

received_216311517877613.jpeg

বাসন

রান্না শেষে আমরা যখন খেতে বসি তখন মেলামাইন সিরামিকস স্টিল জাতীয় বাসনে খেয়ে থাকি । কিন্তু সেই আগের দিনে তারা কাসার প্লেটে ভাত খেতো।সেই কাঁসার প্লেট এর একটি ফটোগ্রাফি আপনাদের মাঝে তুলে ধরলাম।

received_109143998856253.jpeg

জগ

সেই পুরনো দিনের সময়টায় পানি রাখার জন্য তারা কাসার জগ ব্যবহার করত এবং সেই জগের একটি ফটোগ্রাফি আপনাদের মাঝে তুলে ধরলাম।

received_187320227257843.jpeg

কলসি

বর্তমান সময়ে কলসির নামটা বললে হয়তো বা সবাই চিনবে কিন্তু সেই কলসিতে পানি রেখে অনেকেই হয়তোবা খায়নি। কিন্তু একটি সময় ছিল কলসিতে পানি রাখাটাই প্রধান ছিল।পুরনো দিনের নিয়ম-কানুন সবই আমরা হারিয়ে ফেলেছি। তাইতো চলে যাচ্ছি সেই হারানো দিনের হারানো জিনিস পত্রে।তারই একটি ফটোগ্রাফি আপনাদের মাঝে তুলে ধরলাম।

received_1278408582767707.jpeg

গ্লাস

জগে ও কলসিতে পানি রাখার পর গ্লাসে করে পানি খাওয়ার একটি নিয়ম আজও চলে আসছে। তাইতো সেই পুরনো দিনের মডেলের একটি গ্লাসের ফটোগ্রাফি আপনাদের মাঝে তুলে ধরলাম।

received_798475505281999.jpeg

received_628742825803694.jpeg

আগরবাতির স্ট্যান্ড

আগের দিনে মীলাদ-মাহফিল বা ঘরে সুগন্ধ ব্যবহার করার জন্য আগরবাতি ব্যবহার করা হতো আর সেই আগরবাতি রাখার একটি স্ট্যান্ডের ফটোগ্রাফি আপনাদের মাঝে তুলে ধরলাম।

JvFFVmatwWHRfvmtd53nmEJ94xpKydwmbSC5H5svBACH7xbS7ungTbMjNMsQ7fPnm8uUBT2bU8Azf8zCDQrq3tkzHjjCFyraxJQeY79tPTN45w8XxU9wtvaFmWRaLhgHSy5GYKQ6bg.png

আমি মোছাঃ সায়মা আক্তার। আমি একজন ব্লগার, উদ্যোক্তা এবং শিক্ষিকা।কবিতা লিখতে, নতুন কোনো রেসিপি তৈরি করতে এবং নতুন নতুন ডিজাইন সৃষ্টি করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি।সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকতে এবং অবহেলিত মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারলে খুব ভালো লাগে।তাই সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি।

বিষয়ঃ- ফটোগ্রাফি পোস্ট "কাঁসার পাত্রের ফটোগ্রাফি"।

কমিউনিটিঃ- আমার বাংলা ব্লগ।

আপনার মূল্যবান সময় নষ্ট করে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ..........

🇧🇩🇧🇩ধন্যবাদ🇧🇩🇧🇩

Logo.png

3YjRMKgsieLsXiWgm2BURfogkWe5CerTXVyUc6H4gicdRPjMLWAPDc8TQfbQMpevJaRM8b853ASfY3Fy59zPDyE89RAL2BFqLiv9bv5yE4...PPf9WUWkTPCzmfjeHWX7j87gNvY36XYQpYX3R6mhKmC2eWKFyzdMBMYmXsTy6WjxNHTpR6e3HVLQajeKf55MBmP5XCLxiWnEgJA6cyp4NQD5MEsACG9iJKFfbj.gif

C3TZR1g81UNaPs7vzNXHueW5ZM76DSHWEY7onmfLxcK2iNzq2MSXKSji21JRspt4nqpkXPR5ea7deLzvmJtuzVBwdLJUpBqtgAZ5gHtHPbaqqWL4b5UwttE.png

Sort:  
 last year 

ছোট্টবেলায় বাড়িতে কাঁসার থালা দেখতে পেতাম। সময়ের সাথে সাথে সব কিছুর এমন একটি পরিবর্তন হয়েছে এখন অনেক কিছুই চাইলে দেখতে পারি না । যেমনটা আপনি খুব সুন্দর ফটোগ্রাফি করেছেন যেটার মধ্যে আলাদা একটা স্মৃতি খুঁজে পেলাম।

 last year 

ঠিক বলেছেন ভাই আসলেই কাঁসার জিনিসপত্র হারিয়ে যাচ্ছে।

 last year 

কাঁসার পাত্রের বর্তমানে খুব একটা প্রচলন নেই ।তবে আপনার ফটোগ্রাফি গুলো দেখে পুরোনো দিনের অনেক স্মৃতি মনে পড়ে যাচ্ছে। যখন ছোট ছিলাম তখন আমাদের বাড়িতেও এ ধরনের কাঁসার পাত্রের ব্যবহার করা হতো। আপনার ফটোগ্রাফি গুলো চমৎকার হয়েছে আপু।

 last year 

চেষ্টা করেছি একটু ব্যতিক্রমধর্মী ফটোগ্রাফি উপহার দেওয়ার জন্য।

 last year 

সত্যিই অসাধারণ হয়েছিলো।

 last year 

কাসার পাত্র গুলো একসময় খুবই জনপ্রিয় ছিল। আগেকার দিনের মানুষ তো এগুলোই ব্যবহার করত। এখন তেমন একটা দেখা যায় না। আপনি সেই কাসার পাত্রের ইউনিক কিছু ফটোগ্রাফি আমাদের সঙ্গে শেয়ার করেছেন। অনেকদিন পর কাসার জিনিসপত্র গুলো একসঙ্গে দেখতে পেলাম খুব ভালো লাগলো আপু। ধন্যবাদ আপনাকে শেয়ার করার জন্য।

 last year 

সব সময় পাশে থেকে সুন্দর সুন্দর মন্তব্য করে কাজে সহযোগিতা করার জন্য ধন্যবাদ আপু।

 last year 

কাঁসার পাত্রের ফটোগ্রাফি গুলো দেখে অনেক পুরনো স্মৃতি মনে পড়ে গেল আপু। একসময় কাঁসার পাত্রের জনপ্রিয়তা ছিল অনেক। তবে এখন তো এগুলো দেখাই যায় না। অনেকদিন পর একসাথে এতগুলো কাঁসার পাত্র দেখে সত্যিই খুব ভালো লাগলো আপু। যাইহোক এমন ইউনিক ফটোগ্রাফি গুলো আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ আপনাকে।

 last year 

ঠিক বলেছেন ভাই এগুলো জিনিসপত্র এখন হারিয়ে যাচ্ছে তাই দেখতে পেয়ে সঙ্গে সঙ্গে ছবি তুলতে ভুলে যায়নি।

 last year 

আপনি তো দেখতেছি পুরনো দিনের কাঁসার পাত্রের ফটোগ্রাফি করেছেন। বোনের বাসায় গিয়ে এই পুরনো জিনিসপত্র গুলোর ফটোগ্রাফি করলেন। আপনার বোন ঠিক বলেছে এই জিনিসপত্রগুলো ব্যবহার না করলে কালসা হয়ে যায়। আসলে এতগুলো পুরনো জিনিস একসাথে দেখা ভাগ্যের ব্যাপার। আপনার সে ভাগ্যটা ছিল। কারো কারো স্মৃতি ধরে পুরনো জিনিসগুলো এখনো অনেক মানুষ রেখে দিয়েছে। আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ কাঁসার পাত্রের পুরনো জিনিসগুলো আমাদের দেখার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য।

 last year 

আপনাকে অনেক অনেক ধন্যবাদ সুন্দর মন্তব্য করে সহযোগিতা করার জন্য।

Coin Marketplace

STEEM 0.20
TRX 0.18
JST 0.032
BTC 87062.66
ETH 3289.09
USDT 1.00
SBD 2.95