পাকা আমের জুস ||| ১০% লাজুক শিয়ালের জন্য।
আসসালামু আলাইকুম। আমার বাংলা ব্লগের পরিবারের সকল ভাই ও বোনদেরকে জানাই লাল গোলাপের শুভেচ্ছা। আজ যখন সকালে স্কুলে গিয়েছিলাম তখন আবহাওয়াটা বেশি গরমও ছিল না আবার বৃষ্টিও ছিল না । কিন্তু যখন স্কুল শেষ করে বাসায় ফিরছিলাম তখন আমার মনে হচ্ছিল অতিরিক্ত রোদের তাপে আমার গা পুরে যাচ্ছে এবংশরীরের ভিতরেও অস্থিরতা অনুভব হচ্ছে। তারপর বাসায় এসে আগে আমার নিজের শরীরের যত্ন নিলাম কারণ শরীর ভালো না থাকলে মন ভালো থাকে না কোন কাজে উৎসাহ জাগে না । তখন ভাবলাম আমার নিজের বাগানের হাঁড়ি ভাংগা ক্যামিক্যালমুক্ত কিছু পাকা আম দিয়ে একটু জুস বানিয়ে খেয়ে দেখি শরীরে কোন সতেজতা ভাব আসে কিনা । যেই ভাবা সেই কাজ সাথে সাথে আমি "পাকা আমের জুস" বানিয়ে ফেললাম।সব থেকে মজার ব্যাপার কি জানেন পাকা আমের জুস খাওয়ার পর আমার প্রাণে সতেজতা ফিরে এলো এবং ক্লান্ত ভাবটা কাটিয়ে উঠতে পারলাম।চলুন আর কথা না বাড়িয়ে "পাকা আমের জুস" কিভাবে তৈরি করেছি তার সমস্ত প্রক্রিয়াটি দেখে নেয়া যাক।
উপকরণ সমূহঃ-
১। পাকা আম।
২। বিট লবণ।
৩। চিনি।
৪। কাঁচা মরিচ।
![]() | ![]() |
---|
প্রথমে আমের খোসা সুন্দর করে পরিষ্কার করে নিয়েছি জুস তৈরির জন্য।
এবার এই আমগুলোকে সুন্দর করে জুস তৈরির উপযোগী করে কেটে নিয়েছি।
কাঁচা মরিচের বোটা ছাড়িয়ে নিয়ে সেই কাঁচামরিচ গুলো পানিতে ধুয়ে নিয়ে কুঁচি কুঁচি করে কেটে নিয়েছি।
বাসায় বিট লবণ তৈরি করে নিয়েছি।
এবার আমের টুকরোগুলো ব্লেন্ডারে নিয়ে নিলাম।
![]() | ![]() |
---|
এবার ব্লেন্ডারের ভেতর বিট লবণ, চিনি এবং হালকা একটু পানি দিয়ে নিলাম।
এবার ব্লেন্ডারে সবকিছু এক্ষত্রে ব্লান্ড করে নিলাম আর এইভাবে হয়ে গেল আমার "পাকা আমের জুস" রেসিপি।এবার "পাকা আমের জুস" রেসিপি পরিবেশনের জন্য রেডি করে তার একটি ছবি আপনাদের মাঝে উপস্থাপন করলাম।
আমার পরিচয়। 📎
আমি মোছাঃ সায়মা আক্তার। আমি একজন ব্লগার, উদ্যোক্তা এবং শিক্ষিকা।রেসিপি তৈরি করতে,কবিতা লিখতে এবং বিভিন্ন ধরনের ডিজাইন তৈরি করতে পছন্দ করি। যেকোনো বিষয়ে নিরপেক্ষতা বজায় রাখতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি।অবহেলিত মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারলে ভালো লাগে।তাই সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি।
বিষয়ঃ-রেসিপি"পাকা আমের জুস"।
কমিউনিটিঃ- আমার বাংলা ব্লগ।
পাকা আমের জুস অনেক মজাদার হয়। তবে পাকা আমের সাথে কাঁচা মরিচের কম্বিনেশন কেমন হবে সে সম্পর্কে কোন ধারণা নেই তবে হালকা চিনি দিয়ে পাকা আমের জুস তৈরি করে খেয়েছিলাম অনেক সুস্বাদু হয়েছিল। কাঁচা মরিচের সম্বন্বয় পাকা আমের জুস খাওয়া টা ভিন্নধরনের একটি অভিজ্ঞতা অর্জন করা হবে।
অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই।
পাকা আমের জুস ওয়াও কি দেখালেন আপু যে কোনো ফলের জুস আমার কাছে খেতে অনেক ভালো লাগে। পাকা আমের জুস আপনি অনেক সুন্দর ভাবে তৈরি করেছেন । এই জুস আমার ছোট ভাইয়ের কাছে খেতে অনেক মজা লাগে। তাই এই সময় চেষ্টা করি জুস বানিয়ে ছোট ভাইকে খাওয়ানো জন্য
জি আপু অনেক মজার ছিল।
পাকা আমের লোভনীয় জুস প্রস্তুত করেছেন দেখে খুব লোভ হচ্ছে খেতেও নিশ্চয় খুব মজা হয়েছিল সুন্দরভাবে তুলে ধরেছেন প্রস্তুত প্রণালি শুভেচ্ছা রইল আপনার জন্য
জি ভাই অনেক মজার ছিল।
ওয়াও আপু খুব চমৎকার পাকা আমের জুস এরকম এক গ্লাস জুস হলে একেবারে প্রাণটা জুড়িয়ে যাবে। খুব গরমে যখন এরকম এক গ্লাস জুস পাব তখন তৃষ্ণা মিটে যাবে। অনেক চমৎকার ভাবে জুস বানিয়ে দেখিয়েছেন আমরা সবাই শিখে নিলাম।
চেষ্টা করেছি আপু।
বাহ এরকম আমের জুস দেখে খুব লোভ লেগে গেলো। আমের জুসের কালার টা বেশ সুন্দর ছিল। আপনি সুন্দর করে উপস্থাপন করেছেন। অসংখ্য ধন্যবাদ আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য। আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
আপনার মন্তব্য পড়ে অনেক ভালো লাগলো আপু।
আজ সারাটা দিন প্রচন্ড গরম শরীরটাকে যেন বারবার অস্থির করে তুলছিল। আর এই গরমে বরফ কুচি দিয়ে আপনার তৈরীর মত পাকা আমের জুস খেতে পারলে সত্যিই প্রাণটা জুড়িয়ে যেতো। প্রচন্ড এই গরমে বিভিন্ন ধরনের ফলের জুস শরীরটাকে অনেক ঠান্ডা করে তোলে এবং সেইসাথে ক্লান্তি দূর করে ফেলে। আপনার তৈরি পাকা আমের জুস শরীরের জন্য খুবই কার্যকরী। আর এই পাকা আমের জুস খেতে আমার কাছে খুবই ভালো লাগে। ভালোলাগার সুস্বাদু এই জুস আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ।
আপনি ঠিক বলেছেন ভাই তবে আমি বরফের টুকরো দেইনি।
আমার পছন্দের একটি ফল আম, কাঁচা আম তেমনটা পছন্দ করিনা তবে পাকা আম আমার খুব ভালো লাগে, আপনি সেই পাকা আমের জুস তৈরি করেছেন এবং তার পদ্ধতি উপস্থাপন করেছেন, আপনার জন্য অনেক অনেক শুভকামনা।
আপনার ভালো লেগেছে আমার তৈরি জুস এটাই বড় পাওয়া ভাই।
আম খেতে আমার ভীষণ ভালো লাগে।আপনি খুব সুন্দর করে পাকা আমের জুসের রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন। দেখে যেন প্রাণ জুড়িয়ে গেল। খুব সুন্দর করে সবকিছু এর উপস্থাপনা করেছেন আপনি। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
আপনার ভালো লেগেছে শুনে অনেক ভালো লাগলো ভাই।
এই গরমে পাকা আমের জুস খেতে অনেক ভালো লাগে। গরম বেশি পড়ার সাথে সাথেই আমরা বিভিন্ন রকমের জুস খেতে পছন্দ করি। বিশেষ করে পাকা আমের জুস খেতে আমার অনেক বেশি ভালো লাগে। আপু আপনি অনেক সুন্দর ভাবে পাকা আমের জুস রেসিপি তৈরির পদ্ধতি উপস্থাপন করেছেন এজন্য আপনাকে জানাচ্ছি ধন্যবাদ।
সব সময় পাশে থেকে সুন্দর সুন্দর মন্তব্য করে সহযোগিতা করার জন্য ধন্যবাদ ভাই।
ভালোই হলো আপু নিজের বাগানের ক্যামিক্যালমুক্ত আম দিয়ে জুস তৈরি করে পেলেছেন। যাক আপনার শরীর এর সতেজতা ফিরে পেয়েছেন। আর রেসিপি টিও দেখতে খুবই সুন্দর লেগেছে৷
শেয়ার করার জন্য অনেক অনেক ধন্যবাদ আপু।
অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।