রেসিপি ||| ওষি ভাজি ||| ১০% লাজুক শিয়ালের জন্য।
আসসালামু আলাইকুম।আমার বাংলা ব্লগের সকল ভাই ও বোনেরা আশা রাখছি দূর দুরান্ত থেকে সকলে সকলের পরিবারকে নিয়ে সুস্থ ভাবে দিন যাপন করছেন। আমিও আপনাদের দোয়ায় ও বিধাতার রহমতে ভালো আছি।আমি আজ আরেকটি নতুন পোস্ট নিয়ে হাজির হয়েছি।আমি সবজির বাজারে গিয়েছিলাম শীতের কিছু কিন বো বলে। শীতের সব সবজির সাথে পরিচিত কিন্তু একটি সবজি আমার কাছে একটু ব্যতিক্রম মনে হলো। তাই সেই সবজিটি
কিনলাম সঙ্গে আরো কিছু শীতের সবজি ছিল। আমি যেহেতু এই সবজিটির সাথে পরিচিত না তাই তাদের কে জিজ্ঞাসা করলাম এই সবজিটির নাম কি আবার অনেক সবজির অনেক নাম থাকতে পারে। ভাবলাম এই সবজিতে কিভাবে রান্না করতে হবে আমি ঠিক বুঝতে পারছিলাম না। তাই এই সবজিটি আমি আমার মত করে একটি রেসিপি করেছি। সবজিটির নাম ওষি। এই ওষি সবজিকে ভাজি করেছি আলু দিয়ে।ভাব ছিলাম খেতে মনে হয় অতটা টেস্টি হবে না কিন্তু এই "ওষি ভাজি" এতটাই টেস্ট তা এই সবজিটি না খেলে আমি বুঝতে পারতাম না।"ওষি ভাজি"টি কিভাবে করেছি তার সমস্ত প্রস্তুত প্রণালী নিচে দেখে নেওয়া যাক ।
উপকরণ সমূহঃ
১।ওষি।
২।আলু।
৩।কাচা মরিচ।
৪।পেঁয়াজ।
৫।হলুদ গুড়ো।
৬।জিরা গুড়ো।
৭।রসুন।
৮।লবণ
৯।তৈল।
প্রথমে ওষি গুলোকে সুন্দর করে ধুয়ে একটি বাটিতে নিয়েছি।
এবার ওষি সবজি গুলোকে দুই সাইডের মুখ কেটে নিয়েছি।
এখন এই সবজিটিকে ছোট ছোট অংশে কেটে নিয়েছি।
আলুর খোসা ছিলে পরিষ্কার করে একটি বাটিতে নিয়েছি ।
এবার আলু গুলোকে ছোট ছোট অংশে কেটে নিয়েছি।
পেঁয়াজের খোসা ছাড়িয়ে নিয়ে পরিষ্কার পানিতে ধুয়ে পেঁয়াজগুলোকে কুচি কুচি করে কেটে নিয়েছি ।
কাঁচা মরিচের বোটা ছাড়িয়ে নিয়ে পরিষ্কার পানিতে ধুয়ে কাঁচা মরিচ গুলোকে মাঝখান কেটে নিয়েছি।
রসুনের খোসা ছাড়িয়ে নিয়ে রসুনগুলোকে পরিষ্কার করে নিয়েছি।
এবার প্রেসার কুকারে হলুদের গুঁড়ো, জিরা গুঁড়ো, রসুন কুচি, পেঁয়াজ কুঁচি, মরিচ কুঁচি, লবন ও তৈল দিয়ে মসলার উপকরণগুলো ভেজে নিয়েছি।
এবার ভেজে নেওয়া মসলার উপকরণ এর ভিতরে ওষি ও আলুর টুকরো গুলো দিয়ে ভালো করে নেড়ে চেড়ে কসিয়ে নিয়েছি এবং প্রেসার কুকারের মুখ ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিয়েছি সিদ্ধ হওয়ার জন্য।কিছুক্ষণ অপেক্ষার পর যখন বুঝতে পারলাম আমার "ওষি ভাজি"* হয়ে গেছে তখন আমি চুলা থেকে নামিয়ে নিয়েছি।এবার এই "ওষি ভাজি" রেসিপির সম্পূর্ণ একটি ছবি আপনাদের সামনে উপস্থাপন করলাম।
আমি মোছাঃ সায়মা আক্তার। আমি একজন ব্লগার, উদ্যোক্তা এবং শিক্ষিকা।কবিতা লিখতে, নতুন কোনো রেসিপি তৈরি করতে এবং নতুন নতুন ডিজাইন সৃষ্টি করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি।সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকতে এবং অবহেলিত মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারলে খুব ভালো লাগে।তাই সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি।
বিষয়ঃ- রেসিপি "ওষি ভাজি"।
কমিউনিটিঃ- আমার বাংলা ব্লগ।
***আপনার মূল্যবান সময় নষ্ট করে পোস্টে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ..........****
এইতো অনেক লম্বা লম্বা সীম আপু।এগুলো আপনি কোথায় পেলেন?এগুলো তো আমাদের দেশের নাই।এই সবজি দেখে বুঝা যাচ্ছে এটা হাইব্রিড জাতীয় উন্নত মানের একটা সীমের জাত।তবে সবজিটি দেখে মনে হচ্ছে খেতে অনেক মজার হবে।আর আপনার রান্নার প্রসেস অনেক সুন্দর ছিল।আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ নতুন একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য।
জি আপু ঠিক বলেছেন। এটা বাজারে চোখে পড়েছিল বলে নিতে পেরেছি।
আপনি খুব সুন্দর ভাবে শিম আলু ভাজি করে দেখিয়েছেন।খুব সুন্দর ভাবে আপনি আপনার রান্নার ধাপগুলো উপস্থাপন করেছেন।দেখে মনে hocch খেতে সুস্বাদু ছিল রেসিপিটি।আপনাকে অনেক ধন্যবাদ আপু সুন্দর রেসিপিটি শেয়ার করার জন্যে।
আপনাকেও অসংখ্য ধন্যবাদ আপু।
ওষি সবজিটা আমার কাছেও অপরিচিত। তবে এই সবজিটি মনে হয় কোন সময় দেখেছিলাম। দেখতে অনেকটা শিমের মত। কিন্তু কখনো খাইনি। এটা যে খাওয়া যায় তাও জানতাম না। সম্ভবত গাছে দেখেছিলাম। যাইহোক আপু নতুন একটি সবজির রেসিপি শিখে ভালোই লাগলো।
আমার কাছেও অপরিচিত ছিল কিন্তু আমি আমার বড় আপুর কাছে থেকে নামটি শুনে নিয়েছি এবং যার থেকে কিনেছি তার থেকেও নামটা শুনেছিলাম।
আপনার মত আমিও তো এই সবজির সাথে পরিচিত নয়। ওষি সবজি আমি কখনো দেখেছি বলে মনে হয় না। কিন্তু দেখে মনে হচ্ছে সবজিগুলো সিমের মত, জ অনেক লম্বা কিন্তু। আসলে বাজারে গেলে নতুন কিছু দেখলেই কিনতে ভালো লাগে। আর শীতকালে নতুন নতুন সবজি বের হয়। যদিও আপনি কনফিউজড ছিলেন এগুলো ভাজা করলে কি রকম হবে খেতে। আপনার কথা শুনে আমার নিজেরই তো খেতে ইচ্ছে করছে। আমিও চেষ্টা করব এই সবজিটা এনে রান্না করার ট্রাই করার।
জি আপু আপনি ঠিক বলেছেন এই ওষির বিচি গুলো সিমের বিচির মত কিন্তু সিমের বিচির চাইতে অনেক বড়।
আমি ওষি সিম গুলো আজকে প্রথম দেখলাম। আমি এটি কখনো রান্না বা বাজি করে খাইনি ও কখনো সামনে থেকেও দেখিনি।ওষি ভাজি করে খেতে মনে হয় অনেক সুস্বাদু হয়েছে। অনেক সুন্দর করে আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করেছেন। ধন্যবাদ আপনাকে খুব সুন্দর করে শেয়ার করার জন্য।
আমিও জীবনের প্রথম দেখেছি জন্যই আমার বাংলা ব্লগে পোস্ট করেছি যাতে সবাই সবজিটির সাথে পরিচিত হয়।