আমার অনুভূতির গল্প ||| বইয়ের এপিট ওপিট ||| ১০% লাজুক শিয়ালের জন্য।
হ্যালো বন্ধুরা সবাই কেমন আছেন? আশা করি সবাই পরিবারসহ সুস্থ আছেন এবং সুন্দরভাবে সময় অতি বাহিত করছেন? আমিও আল্লাহ তায়ালার কৃপায় ও আপনাদের ভালোবাসায় পরিবারসহ সুস্থ আছি এবং ভালো সময় অতিবাহিত করছি।
আজকে আমি আপনাদের সঙ্গে একটি ব্যতিক্রম বিষয় নিয়ে হাজির হতে যাচ্ছি।জানিনা আমার এ বিষয়টি আপনারা কিভাবে দেখবেন? হয় তো বা আপনাদের কাছে বিষয়টি ভালো নাও লাগতে পারে। তবে আমার কাছে মনে হয়েছে যে বিষয়টি সবার সঙ্গে শেয়ার করা দরকার এতে হয়তোবা একটু হলেও আমরা মান বিকতার দিকে ধাবিত হতে সহযোগিতা করবে।
আমরা প্রত্যেককেই চিন্তা করি আমাদের ছেলে মেয়েদের কে ডাক্তার,ইঞ্জিনিয়ার,পাইলোট এবং আরো বড় কিছু করে গড়ে তোলার।আর সেই চিন্তা ধারা গুলোকে সফলভাবে সম্পূর্ণ করার জন্য বাচ্চাদের বিভিন্ন ধরনের বই এবং তাদের পিছনে যত প্রকার খরচ দরকার তা করে থাকি।
বাচ্চাদের পিছনের সকল সমস্যা সমাধান করার পর এবং সকল চাহিদা পূর্ণ করার পরেও দেখা যায় তারা হয়তো বা শেষ অবধি ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার পাইলট হতে পারে না।এর মধ্যে অনেক বাচ্চাই ভিন্ন নেশায় যুক্ত হয় এবং বিভিন্ন খারাপ কাজের সঙ্গে সম্পৃক্ত হয়ে থাকে।
ঠিক সেই মুহূর্তে ওই বাচ্চাদের বাবা-মার যে কেমন অবস্থা হয় ঠিক ঐ বাবা মা ছাড়া অন্যরা অনুধাবন করতে পারা অনেক কঠিন।
আজকে আমি এমন একটি ব্যবসায়িক প্রতিষ্ঠানে গিয়েছিলাম।যেখানে বিভিন্ন ধরনের বই পুস্তক পেপার বাই বিক্রয় হয়ে থাকে।এখানে কাজ করছে অনেক শ্রমজীবী মহিলা এবং তাদের বাচ্চারা যারা স্কুলে লেখাপড়া করে পাশাপাশি তারা এখানে কাজ করে তাদের পরিবারকে সহযোগিতা করে ছাত্র অবস্থায়।
এই বাচ্চাদের মধ্যে দুইটি বাচ্চার মায়ের সঙ্গে কথা বলেছিলাম। যে তাদের বাচ্চাকে তারা কি হিসাবে দেখতে চাই।তখন ঐ মা-দের একটি লক্ষ্যর কথায় বলেছিলেন তা হলো তাদের বাচ্চাকে তারা অফিসার হিসেবে দেখতে চাই।আর এজন্যই মা-ছেলে এখানে কাজ করে বাচ্চার পড়াশোনার খরচ উপার্জন করছেন।
পরিশেষে একটি কথাই বলতে চাই যে বাবা মা-র বাচ্চারা ডাক্তার ইঞ্জিনিয়ার পাইলোট হবার লক্ষ্য নিয়ে সকল সমস্যা কে পিছনে ফেলে শুধু পড়াশোনা করছেন।আর অন্য দিকে তাদেরই বই ক্রয়-বিক্রয় করে কিছু বাচ্চা পড়ালেখার খরচ সংগ্রহ করছেন এবং তারাও স্বপ্ন দেখছেন লক্ষ্যে পৌঁছার জন্য।
আসুন আমরা সবাই এই বাচ্চাদের পাশে দাঁড়ায় এবং মেধাবী বাচ্চাদের সামনে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সহযোগিতা করি।
আমি মোছাঃ সায়মা আক্তার। আমি একজন ব্লগার ও উদ্যোক্তা।কবিতা লিখতে, নতুন কোনো রেসিপি তৈরি করতে এবং নতুন নতুন ডিজাইন তৈরি করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির একজন সদস্য হতে পেরে নিজেকে অনেক গর্বিত মনে করি। কারণ নিজের সকল প্রতিভা সবার সামনে উপস্থাপন করার সুযোগ এবং ব্যবস্থা করেছে।আর সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকতে এবং অবহেলিত মানুষের মুখে হাসি দেখতে পেলে খুব ভালো লাগে।তাই সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি।
বিষয়ঃ- আমার অনুভূতির গল্প "বইয়ের এপিট ওপিট"।
কমিউনিটিঃ- আমার বাংলা ব্লগ।
আপনার মূল্যবান সময় থেকে একটু সময় বেড় করে পোস্টটি পড়ে সুন্দর করে গুছিয়ে মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ..........
আসলে আমাদের সমাজে এরকম অসংখ্য মেধাবী শিক্ষার্থী রয়েছে যারা পরিশ্রম করে নিজের পড়াশোনার খরচ এবং সংসার চালিয়ে যাচ্ছে। তাছাড়াও এমন অগণিত পিতা-মাতা রয়েছে যারা সন্তানের জন্য পরিশ্রম করে চলেছেন। সত্যিই যদি সম্ভব হয় তাহলে তাদের সহযোগীতা করা উচিত। ভালো একটি বিষয় নিয়ে লিখেছেন।
সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই।
আমাদের আশেপাশে এমন অনেক মেধাবী শিক্ষার্থী আছে যারা নিজেদের পড়াশোনার খরচ নিজেরায় চালিয়ে যায় পাশাপাশি বাবা-মাকেও সাহায্য করার চেষ্টা করে। আজকের পোস্টটি অনেক ভাল ছিল আপু। ধন্যবাদ দারুন একটি বিষয়ে আমাদের সাথে আলোচনা করার জন্য।
সব সময় পাশে থেকে সুন্দর সুন্দর মন্তব্য করে উৎসহ দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ আপু।
আমাদের চারপাশে এরকম অনেক বাচ্চা রয়েছে যারা নিজেরা পরিশ্রম করে তাদের পড়াশোনার খরচ চালাচ্ছে। আপনার কথার সাথে আমি পুরোপুরি একমত। আসলে আমাদের সবারই উচিত এরকম বাচ্চাদের পাশে দাঁড়ানোর এবং মেধাবী বাচ্চাদের সামনের দিকে এগিয়ে নিয়ে যাওয়ার জন্য সহযোগিতা করা। এই সন্তানদের মায়েরা সবসময় চায় তাদের এবং তাদের সন্তানদের এই পরিশ্রম যেন একদিন সাফল্যে পৌঁছায়। খুবই ভালো একটি টপিক নিয়ে আজকের পোস্ট লিখলেন পড়ে কিন্তু ভীষণ ভালো লেগেছে।
আমার পোস্টটি আপনার ভালো লেগেছে শুনে অনেক ভালো লাগলো আপু।