ঢেঁড়স রুইয়ের চরচ্চড়ি।
কমিউনিটির সবাইকে জানাই অন্তরের অন্তস্থল থেকে শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন। এখন আমাদের বাংলা ব্লগ কমিউনিটি তিন নাম্বার স্থান দখল করেছে।অতএব আমাদের কমিউনিটি আস্তে আস্তে অভীষ্ট লক্ষ্যে পৌঁছানোর দ্বারপ্রান্তে। আমি আশা করি খুব শীঘ্রই আমরা প্রথম স্থান দখল করবো। তাই এখন আমাদের ওপর অনেক বড় দায়িত্ব। সবাইকে সুন্দর সুন্দর পোস্ট করতে হবে।ইউনিক এবং ব্যতিক্রম কিছু পোস্ট করতে হবে যাতে আমাদের কমিউনিটি আরো সমৃদ্ধশালী হয়। কারন আমার বাংলা ব্লগ আমাদের সবার একটি কমিউনিটি এবং আমাদের একটি পরিবার ।
আমি আজকে চিন্তা করছি যে কি পোস্ট করা যায় হঠাৎ একটি বিষয় মাথায় নাড়া দিল। কারণ আমরা সব সময় গতানুগতিক বিভিন্ন ধরনের রেসিপি নিয়ে কাজ করি এবং বিভিন্ন ধরনের রেসিপি তৈরি করে খেয়ে থাকি।তাই আমার মাথায় একটি আইডিয়া আসলো যে ব্যতিক্রম কোন রেসিপি তৈরি করা যায় কি না। এরপর রান্না ঘরে ঢুকে দেখি যে টাটকা কিছু ঢেঁড়স আছে এবং ফ্রিজে আছে রুই মাছ। তখন চিন্তা করলাম ঢেঁড়স এবং রুই মাছ দিয়ে কোন রেসিপি তৈরি করা যায় কি না যেই চিন্তা সেই কাজ।আর রেসিপি তৈরি করা শুরু করে দিলাম "ঢেঁড়স রুইয়ের চরচ্চড়ি"।এবার চলেন কিভাবে "ঢেঁড়স রুইয়ের চরচ্চড়ি" তৈরি করলাম তার পুরো প্রসেসটি আপনাদের জানাই।
উপকরন সমুহঃ-
১। রুই মাছ।
২। ঢেঁড়স।
৩। পিঁয়াজ।
৪। কাঁচা মরিচ।
৫। রসুন।
৬। জিরা গুঁড়ো।
৭। হলুদ গুঁড়ো।
৮। তৈল।
৯। লবণ।
------------প্রস্তুত প্রণালী-----------
-----------------প্রথম ধাপ-------------------
মাছগুলো সুন্দর করে পরিষ্কার করে নিলাম এবং লবন পানিতে মাছ আবার ধুয়ে নিলাম।
------------------দ্বিতীয় ধাপ----------------
এবার মাছগুলোকে হলুদ গুঁড়ো, মরিচ গুঁড়া, লবণ এবং জিরা গুঁড়ো দিয়ে মেখে নিলাম।
----------------তৃতীয় ধাপ------------------
এইবার ঢেঁড়সগুলি পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে নিয়ে রান্নার উপযোগি করে কেটে নিয়েছি।
----------------- চতুর্থ ধাপ---------------
পিঁয়াজের খোসা ছাড়িয়ে পরিষ্কার পানি দিয়ে ধুয়ে নিয়ে কুচি কুচি করে কেটে নিয়েছি।
----------------- পঞ্চম ধাপ-----------------
কাঁচামরিচ গুলো পানি দিয়ে ধুয়ে নিয়ে মাঝখান দিয়ে একটি করে চিড় দিয়ে নিয়েছি।
-----------------ষষ্ঠ ধাপ---------------
এইবার ফ্রাইপ্যান গরম করে তৈল দিয়ে মাছ গুলি ফ্রাইপ্যানে ভেঁজে আলাদা একটি বাটিতে রেখে দিলাম।
--------------------সপ্তম ধাপ-------------------
এইবার গরম ফ্রাইপ্যানে পিঁয়াজ কুচি,কাঁচা মরিচ, লবণ, হলুদ গুঁড়ো, জিরা গুঁড়ো এবং তৈল দিয়ে একটু কষিয়ে নিলাম।
-------------------অষ্টম ধাপ-------------------
কষানো শেষে কাটা ঢেঁড়সগুলো ফ্রাইপ্যানে দিয়ে একটু নাড়াচাড়া করে ঢাকনা দিয়ে ঢেকে দিলাম। এভাবে ২/৩ মিনিট রান্না বসিয়ে রাখলাম।
----------------নবম ধাপ----------------
এভাবে ঢেঁড়সগুলো সিদ্ধ হওয়ার পর ঢাকনা উঠিয়ে ভাজা মাছগুলো ঢেঁড়সের উপর দিয়ে কিছু সময় রান্না করলাম। আর এভাবেই হয়ে গেল আমার "ঢেঁড়স রুইয়ের চরচ্চড়ি" রেসিপি এবার পরিবেশন করলাম।
আমি মোছাঃ সায়মা আক্তার। আমি একজন স্কুল শিক্ষিকা। আমি বাঙালি হিসেবে নিজেকে পরিচয় দিতে এবং বাংলা ব্লগার হিসেবে পরিচয় দিতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি। আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটি এমন একটি পরিবার যে পরিবারের সকল সদস্য একে অপরকে অনেক ভালোবাসে এবং সম্মান করেন। আর আমি এই বাংলা ব্লগ কমিউনিটির একজন সদস্য হতে পেরে নিজেকে অনেক ধন্য মনে করি। বাংলা ব্লগ আমাকে এমন একটি প্লাটফরম দিয়েছে। যেখানে আমি আমার মতামত স্বাধীন ভাবে উপস্থাপন করতে পারি। তাই আমার অন্তরের অন্তরস্থল থেকে অসংখ্য ধন্যবাদ ও অভিনন্দন আমার বাংলা ব্লগকে।
ঢেঁড়স রুইয়ের চচ্চড়ি এর আগে আমার কখনো খাওয়া হয়নি,কিন্তু কি দারুন লাগছে আপনার এই রেসিপিটি দেখতে।খেতে খুবই সুস্বাদু হয়েছিল বোঝাই যাচ্ছে।একদম ইউনিক রান্নাটি আমার কাছে। এবং রান্নার প্রত্যেকটি ধাপ খুব সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন যা দেখে সবাই খুব সহজেই রান্নাটি করতে পারবে।অনেক ধন্যবাদ আপনাকে অনেক শুভকামনা রইল আপনার জন্য
জি আপু। রেসিপিটি অনেক মজাদার ছিল। মুল্যবান মন্তব্য করে সহযোগিতা করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
ঢেঁড়স রুই মাছের চচ্চড়ি সম্পূর্ণ নতুন ধরনের রেসিপি আমার কাছে। আপনার রেসিপি দেখে আমার খুবই খেতে ইচ্ছে জাগলো। প্রতিটি ধাপ আপনি খুবই সুন্দর ভাবে আলোকপাত করেছেন সেই সাথে সুন্দরভাবে উপস্থাপন করেছেন। আপনার রেসিপি দেখে আমি সম্পূর্ণ রেসিপি তৈরি কলা কৌশল সম্বন্ধে জানতে পারলাম। এই সম্পূর্ণ রেসিপিটা আমি পুনরায় তৈরি করতে পারব আপনার রেসিপি দেখে। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
ধন্যবাদ ভাই। আপনার মল্যবান মন্তব্য করার জন্য।
ঢেঁড়স এবং রুই মাছ কখনো এক হতে পারে খাওয়া হয়নি। তবে আপনার রেসিপির ছবি দেখে মনে হচ্ছে খুব সুস্বাদু হয়েছিল এই খাবার। আপনার আজকের পোষ্টের মাধ্যমে নতুন একটি রেসিপি সম্পর্কে জানতে পারলাম। ধন্যবাদ আপনাকে।
জি ভাই। অনেক মজাদার রেসিপি ছিল। ধন্যবাদ ভাই সুন্দর মতামত দেওয়ার জন্য।
সত্যি কথা বলতে আপু। আমার ঢেঁড়স ভাজি খেতে খুবই ভালো লাগে এবং আম্মু যখন ভাত রান্না করে আর ঢেঁড়স ভাজে তাহলে আমার অন্য কোন তরকারির প্রয়োজন হয়না এবং ঢেঁড়সে ঝোল করে রান্না করে খেতে অনেক ভালো লাগে। তারপরও আপনি ঢেঁড়স রুইয়ের চচ্চড়ি তৈরি করেছেন। বাহ অনেক সুন্দর আইডিয়া।অনেক সুন্দর ভাবে প্রতিটি ধাপ আমাদের মাঝে উপস্থাপনা করেছেন। আপনারা রান্নার ধরনটি বেশ ভালো
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই। আপনার সুন্দর মন্তব্য করার জন্য।
হ্যা আপু,আমিও চাই আমার প্রিয় 💖আমার বাংলা ব্লগ 💖যেন প্রথম স্থানে চলে আসতে পারে। রুই মাছ ঢেঁড়সের চচ্চড়ি আমি একদম নতুন দেখছি।কখনো আমি এই রেসিপিটি তৈরী করে খেয়ে দেখিনি। তবে আপনার রান্না করা রুই মাছ ঢেঁড়শের চচ্চড়ি রান্না দেখে মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। কালার টা খুব সুন্দর হয়েছে।আপু,রান্না করার প্রতিটি ধাপ বর্ণনাসহ করে আমাদের মাঝে উপস্থাপন করেছেন।ধন্যবাদ এতো সুস্বাদু এবং নতুন একটি রেসিপি আমাদের মাঝে শেয়ার করেছেন।
জি আপু। রেসিপি অনেক মজাদার ছিল। এতো সুন্দর মন্তব্য করে সহযোগিতা করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
ঢেঁড়শ ও রুই মাছ দিয়ে দারুন একটি রেসিপি তৈরি করেছেন আপু। ঢেঁড়স আমার খুবই প্রিয়। মাছ দিয়ে ঢেঁড়স খেতে আমি খুব পছন্দ করি। আপনার রেসিপি দেখে মনে হচ্ছে খেতে খুবই ভাল হয়েছে। ধন্যবাদ আপনাকে মজাদার একটি রেসিপি শেয়ার করার জন্য।
জি ভাই। অনেক মজাদার ছিল। অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই।
ঢেঁড়স দিয়ে রুই মাছ এভাবে কখনো খাওয়া হয়নি কিন্তু আপনি আপনার রান্না দেখে মনে হচ্ছে যে রান্নাটা অনেক মজার হবে। তাই অবশ্যই একদিন রান্না করে খেয়ে দেখতে হবে.
অসংখ্য ধন্যবাদ ভাই। মুল্যবান মন্তব্য করে সহযোগিতা করেছেন।
ওয়াও অসাধারন একটি ইউনিক রেসিপি। আপনার রেসিপি দেখে ও কালার দেখে মনে হচ্ছে অনেক সুস্বাদু হয়েছে। আমি এর আগে ঢেঁড়স দিয়ে রুই মাছের তরকারি আগে খাইনি। কিন্তু দেখি অনেক সুস্বাদু এবং লোভনীয় লাগছে যা খেতে অনেক মজাদার হয়। ধন্যবাদ এত সুন্দর সুন্দর পোস্ট আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য আপনাকে এবং শুভকামনা রইল আপনার প্রতি।
অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই।
আপু আপনার ঢেঁড়স রুই চচ্চড়ি দেখতে খুবই সুন্দর হয়েছে। দেখে মনে হচ্ছে খুবই সুস্বাদু হয়েছে। খুব সুন্দর করে প্রতিটি ধাপে ধাপে উপস্থাপন করেছেন। এত সুন্দর একটি রেসিপি আমাদের সাথে শেয়ার করার জন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ আপনার জন্য শুভকামনা রইল।
সুন্দর মন্তব্য করে সহযোগিতা করার জন্য ধন্যবাদ আপু।
আপনি ইউনিক একটি রেসিপি শেয়ার করেছেন। এবং প্রত্যেকটা ধাপ খুব সুন্দর ভাবে আমাদের মাঝে দেখিয়েছেন। এজন্য আপনাকে অসংখ্য ধন্যবাদ।
অনেক অনেক ধন্যবাদ ভাই।