ছোট গল্প ||| একজন করিম মিয়া।
আসসালামু আলাইকুম।আমার বাংলা ব্লগ কমিউনিটির সকল ভাই ও বোনেরা আশা করি সকলে সুস্থ আছেন এবং সুন্দরভাবে দিন যাপন করছেন।আমিও আপনাদের দোয়ায় সুস্থ আছি।
আমি আপনাদের মাঝে বেশ কয়েকটি গল্প উপস্থাপন করেছিলাম আর আপনারা আমার প্রতিটি গল্প অনেক মনোযোগ সহকারে পড়েছেন এবং আপনাদের সুচিন্তিত মতামত প্রদান করে আমাকে সহযোগিতা করেছেন।ঠিক তারই ধারাবাহিকতায় আজকে আরেকটি নতুন গল্প নিয়ে হাজির হতে চলেছি আপনাদের মাঝে। আজকের আমার গল্পের নাম "একজন করিম মিয়া'।চলুন আর কথা না বাড়িয়ে গল্পটিতে কি লিখেছি দেখে নেওয়া যাক।
এ পৃথিবীতে অনেক অনেক প্রজাতির জীব জন্তুর বসবাস। ঠিক তার মধ্যে মানুষ জাতি সর্বোত্তম এবং সর্বোৎকৃষ্ট।এই মানুষ জাতিকে মহান সৃষ্টিকর্তা সামাজিক জীব হিসাবে সৃষ্টি করেছেন।সমাজবদ্ধ জীব সবসময় সমাজকে প্রাধান্য দিয়েই চলতে হয়।এ সমাজে কেউ থাকে অট্টালিকায় আর কেউবা থাকে কুড়ো ঘরে।এর এর মধ্যে অনেকে করেন চাকরি আর কেউ বাসায় কাজ করেন আবার কেউবা করেন ব্যবসা-বাণিজ্য।
প্রতিটি মানুষের একটি চিন্তা সেটি হল নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করা এবং সবার উপরে নিজেকে দাঁড় করানো।কিন্তু অনেকেই চাকরি করে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন এবং সু-উচ্চ স্থানে নিজেকে অবতীর্ণ করেন আবার কেউ ব্যবসা-বাণিজ্য করে প্রতিষ্ঠিত হন এবং সু-উচ্চ স্থানে নিজেকে অবতীর্ণ করেন।ঠিক এই দুইটির মধ্যবর্তী পেশা অন্যের বাসায় কাজ করা আর করিম মিয়া সে অন্যের বাসায় কাজ করতো দৈনিক হাজিরা হিসেবে।দৈনিক হাজিরা হিসেবে তার ছিল প্রতিদিন ১২৫টাকা থেকে ১৭৫টাকা পর্যন্ত।আর এই ইনকাম দিয়েই করিম মিয়া তার পরিবার-পরিজন নিয়ে সময় অতিবাহিত করছিলেন অনেক ভালোভাবেই।
করিমের সংসার বলতে তার মা,এক বোন এবং তার স্ত্রী।করিম মিয়া মা,বোন এবং স্ত্রীকে নিয়ে খুব সুখেই সময় গুলো উপভোগ করছিল।যদিও অনেক কষ্ট করে দৈনিক হাজিরা হিসেবে টাকা ইনকাম করা ছিল তার পেশা।এভাবে করিম মিয়ার দিন রাত চলছিল এবং প্রফুলতার সঙ্গে করিম মিয়া আজকে এর বাড়ি, কালকে ওর বাড়ি কাজ করে টাকা ইনকাম করে যাচ্ছিলেন।এভাবে কাজ করতে করতে একদিন সে ১০/১৫ জন লেবারের সর্দার হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করলেন।
যখন নিজেকে সরদার হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করলেন তখন দেখা যেত সে বিভিন্ন জায়গায় কাজ ধরত এবং এই লোকদের দিয়ে সেই কাজগুলো করিয়ে নিত এবং তাদেরকে তাদের প্রাপ্য বুঝিয়ে দেওয়ার পরে তার মোটামুটি আগের থেকে কয়েকগুন ইনকাম বেড়ে গেল।এ সময় তাদের এলাকায় ম্যাক্সিমাম জায়গায় পুকুর কাটা হত।মানে মাটি কেটে পুকুর তৈরি করার কাজটি বেশি চলছিল আর করিম মিয়া এই পুকুর কাটার কাজগুলো বিভিন্ন জায়গা থেকে সংগ্রহ করত এবং এগুলো তার লোক জন দিয়ে কাটা শুরু করলো। এভাবে তার লোকজন আস্তে আস্তে বেড়ে গেল।
এসময় করিম মিয়ার সঙ্গে প্রায় ৫০ থেকে ৬৫ জন লেবার কাজ করতো।আর বুঝতেই পারছেন ৫০/৬০ জন লেবার কাজ করানো মানে তার প্রতিদিনের ইনকাম প্রায় আরো কয়েকগুণ বেড়ে গেল যেটা দিয়ে ভালো একটি বাড়িতে থাকা শুরু করলেন।আর তখন তার পরিবারের চলাফেরা এবং খাওয়া-দাওয়ার মানও অনেক গুন বেড়ে গেল, যাতে তার মা বোন এবং স্ত্রী সকলেই অনেক আনন্দে সময় কাটাতে শুরু করলো।আর এসময় তার স্ত্রীর কোল জুড়ে এলো এক রাজ কুমার।করিম মিয়া যখন তার স্ত্রীর গর্বে রাজকুমার এসেছে সংবাদ শোনার পরে অনেক আনন্দিত হয়ে তার লেবাদের মধ্যে মিষ্টি বিতরণ করল এবং তার স্ত্রীকে অনেক আনন্দে রাখার জন্য ও কোন কাজকর্ম যাতে না করতে হয় এজন্য ভুয়া রেখে দিলেন।
আমি মোছাঃ সায়মা আক্তার। আমি একজন ব্লগার, উদ্যোক্তা এবং শিক্ষিকা।কবিতা লিখতে, নতুন কোনো রেসিপি তৈরি করতে এবং নতুন নতুন ডিজাইন সৃষ্টি করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি।সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকতে এবং অবহেলিত মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারলে খুব ভালো লাগে।তাই সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি এবং তাদের সহযোগিতায় নিজেকে সব সময় সম্পৃক্ত রাখি।
বিষয়ঃ- ছোট গল্প "একজন করিম মিয়া"।
কমিউনিটিঃ- আমার বাংলা ব্লগ।
আপনার মূল্যবান সময় নষ্ট করে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ..........
জীবনে ভালো কিছু করতে হলে যেকোনো কাজে সৎভাবে লেগে থাকতে হয়। করিম মিয়াও তাই করেছে। এজন্য সে শেষ অবধি বাড়ি গাড়ি পেয়েছে। সন্তানের কথা শুনে সে কাজের লোকেরও ব্যবস্থা করেছে ৃভালো ছিল আপু গল্পটা 🌼
সুন্দর মন্তব্য করে সহযোগিতা করার জন্য ধন্যবাদ ভাই।
মানুষের জীবন এক ব্যতিক্রম। যে মানুষ এক সময় গরিব থাকে সেই মানুষ একসময় বড়লোক হয়ে যায়। করিম মিয়া ডেইলি হিসেবে কাজ করতেন এবং সে মজুরি দিয়ে তার ফ্যামিলি চালাতেন। অতএব তার সততা এবং দক্ষতার কারণে সে আস্তে আস্তে কাজের লোকের সর্দার হয়ে গেল। এবং আস্তে আস্তে তার আন্ডারে অনেক লোক কাজ করতেছে। আসলে তার দক্ষতার কারণে সে সামনের দিকে এগিয়ে গেল। এবং তার মন অনেক বড় সেই কারণে তার ওয়াইফের গর্বে বাচ্চা হওয়ার পর সবাইকে মিষ্টি খাওয়ালেন এবং ওয়াইফের জন্য কাজের লোক রাখলেন। সত্যি আপনার পোষ্টটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো। সুন্দর করে পোস্টটি আমাদের মাঝে শেয়ার করার জন্য ধন্যবাদ আপনাকে।
মন্তব্যটি পড়ে অনেক ভালো লাগলো আপু।