ছোট গল্প ||| রহস্যময়ী শ্যাওলা গাছ।
আসসালামু আলাইকুম।আমার বাংলা ব্লগের সকল ভাই ও বোনেরা প্রত্যাশা করছি সুস্থভাবে দিন যাপন করছেন।আমি আপনাদের দোয়ায় মোটামুটি ভালো আছি।তবে সম্পূর্ণ সুস্থ না। তারপরও কাজের ধারাবাহিকতা বজায় রেখে আমি আপনাদের পাশে থেকে কাজ করে যাচ্ছি। কারণ প্রতিটি কাজে নিয়ম রয়েছে। আর সেই নিয়ম মাফিক প্রতিটি কাজ আমাদের করতে হয়।আজকের কাজ আগামী দিনের জন্য ফেলে রাখা মানেই এক পা পিছিয়ে থাকা। সৃষ্টিকর্তার কাছে একটি প্রার্থনা করি সৃষ্টিকর্তা আমাকে যেন সুস্থ রেখে আপনাদের পাশে থেকে ধারাবাহিকভাবে কাজ করার জন্য তৌফিক দান করেন।
আমি আপনাদের মাঝে সব সময় সপ্তাহে একটি করে কবিতা নিয়ে হাজির।আজ কবিতা নয় আজ এসেছি আপনাদের মাঝে একটি ভিন্ন ধরনের গল্প নিয়ে। "রহস্যময়ী শ্যাওলা গাছ" এর গল্প। আপনাদের মাঝে গল্প লিখে অনেক সাড়া পেয়েছি যার কারণে গল্প লিখতে উৎসাহ আরও বেশি পাচ্ছি। যে কোন কাজে যদি উৎসাহ পাওয়া যায় অটোমেটিক সেই কাজ করতে আরও বেশি ভালো লাগে।আর কথা না বাড়িয়ে গল্পের মূল পর্বে যাওয়া যাক।
এই পৃথিবীটা অনেক সুন্দর। পৃথিবীর সবকিছু সৃষ্টিকর্তা আমাদের সুবিধার জন্য সবকিছু সৃষ্টি করে দিয়েছেন। আর সৃষ্টিকর্তার প্রতিটি জিনিস অসাধারণ।প্রাকৃতিক সুন্দর্য্য যেমন আমাদের কে মুগ্ধ করে।তেমনি প্রকৃতি থেকে আমরা অনেক কিছু পেয়েও থাকি। এই পৃথিবীর প্রতিটি গাছ আমাদের কোন না কোন উপকারের জন্য সৃষ্টিকর্তা আমাদের মাঝে দান করেছেন।আজ আমি আপনাদের মাঝে "রহস্যময়ী শ্যাওলা গাছ" এর গল্পের মূল পর্বে চলে এসেছি।এই পৃথিবীতে প্রত্যেকটি মানুষের আর্থিক অবস্থা সমান যায় না কেউ থাকে ধনী কেও মধ্যবিত্ত আবার অনেকেই হতদরিদ্র।কিন্তু তারপরও সৃষ্টিকর্তা প্রত্যকের দিন কোন না কোন ভাবে কোন উসিলায় পার করে।কারো জন্য কারো জীবন থেমে থাকে না। একভাবে না একভাবে চলেই যায়।
একটি এলাকায় এক পরিবারের নাম ছিল মিয়া বাড়ি। অত্র এলাকার কোথাও গেলে সেই মিয়া বাড়ির নাম বললে রিকশাওয়ালা এবং নামিদামি ব্যক্তিরা ঐ এলাকা চিনতো। কারণ ওই এলাকার যে লোকটির নাম মিয়া ছিল সে খুব বিখ্যাত ছিল।একটি মানুষের ভালো অথবা খারাপ দিকের জন্যই মানুষ বিখ্যাত হয়। কেউ খারাপ কাজ করে জোরপূর্বক এলাকার দাপট দেখায়। আবার অনেকেই হতদরিদ্র অসহায় মানুষদের মাঝে নিজেকে বিলিয়ে দিয়ে কাজ করে তাদের পাশে থেকে কাজ করে যাওয়ার জন্য বিখ্যাত হয়।মিয়া ছিল অনেক সৎ একজন মানুষ। আশেপাশে লোকজনের কোন খারাপ পরিস্থিতি হলে বা কারো কোন বিচার হলে তার কাছে চলে আসতো এলাকার লোকজন।
তারপর মিয়া সে বিচার তার নিজের জ্ঞান বুদ্ধি খাটিয়ে সঠিকভাবে করতো।মিয়ারা ছিল তিন ভাই। তিন ভাইয়েরই পরিবার ছিল। মোটকথা মিয়ার বাবা-মা অনেক আগেই মারা গেছে তারপর থেকে তিন ভাই অনেক কষ্টে লেখাপড়া শিখে বড় হয়েছে। আর তিন ভাই নিজের যোগ্যতায় চাকরি পেয়ে বেশ সুখে দিন যাপন করছিল।মিয়ার ছোট ভাই সানু চাকরির জন্য বাইরে থাকতো আর তার পরিবার গ্রামের বাড়িতে থাকতো।যেদিন অফিস বন্ধ থাকতো সেদিন চলে আসতো তার পরিবারের কাছে।
আমার পরিচয়।
আমি মোছাঃ সায়মা আক্তার।আমি একজন ব্লগার, উদ্যোক্তা।কবিতা লিখতে, নতুন কোনো রেসিপি তৈরি করতে এবং নতুন নতুন ডিজাইন সৃষ্টি করতে স্বাচ্ছন্দ্য বোধ করি।সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকতে এবং অবহেলিত মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারলে খুব ভালো লাগে।তাই সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি এবং তাদের সহযোগিতায় নিজেকে সব সময় সম্পৃক্ত রাখি।
ঠিক বলেছেন আপু। আজকের কাজ আগামী দিনের জন্য ফেলে রাখা মানেই হলো পিছিয়ে থাকা। তাই আমি আপনার জন্য দোয়া করছি 🤲🤲সব সময় যেন আপনি সুস্থ থেকে আমাদের মাঝে ভালো ভালো কাজ করতে পারেন।আসলে আপু কোন কোন মানুষ আছে যারা জোড় আর ক্ষমতার জোরে এলাকায় প্রভাবশালী। আবার কোন কোন মানুষ আছে নিঃস্বার্থে অন্যের কাজে বিলিয়ে দিয়ে এলাকার মধ্যে প্রভাবশালী। যাইহোক আপনার রহস্যময়ী শ্যাওলা গাছের গল্পটি মনে হচ্ছে অনেক রহস্যময় হবে। পরবর্তী গল্প পড়ার অপেক্ষায় রইলাম। ভালো থাকবেন আপু।
আপনার সাথে একমত আপু।
ঠিক বলেছেন আপু কেউবা উচ্চবিত্ত কেউ বা মধ্যবিত্ত কেউ বা হতদরিদ্র হলেও সবার দিন চলে যায় কোন না কোন ভাবে। আপনি চমৎকার একটি গল্প আমাদের সঙ্গে ভাগ করে নিয়েছেন। ঠিক বলেছেন আপনি বিখ্যাত এবং কুখ্যাত দুটি কাজের জন্য মানুষেকে চেনে মানুষ। ধন্যবাদ আপনাকে সুন্দর গল্পটি ভাগ করে নেয়ার জন্য।
জি দিদি ঠিক বলেছেন এই দুটি কারণে মানুষকে মানুষ চেনে।