ছোট গল্প |||| মায়াবতী শেষ পর্ব।
source
আজকে আমি আপনাদের মাঝে "মায়াবতী শেষ পর্ব" নিয়ে হাজির হতে চলেছি।এর আগের পর্বগুলোয় আপনাদের স্বতঃস্ফূর্ত উৎসাহমূলক মন্তব্য পেয়ে।গল্প লেখার আগ্রহ অনেকগুন বেড়ে গিয়েছে।আপনাদের অনেক সুন্দর সুন্দর মন্তব্য পেয়ে এবং মন্তব্যগুলো পড়ে অনেক ভালো লেগেছে আমার।কোন কাজ করে যদি সুন্দর সুন্দর মন্তব্য পাওয়া যায় তাহলে সেই কাজ করার প্রতি যে কারো আগ্রহ বেড়ে যাবে এটাই স্বাভাবিক।চলুন আর কথা না বাড়িয়ে "মায়াবতী শেষ পর্ব" এ কি লিখেছি এবং কি হয়েছে পুরো ব্যাপারটি জেনে নেওয়া যাক।
মায়াকে দেখল এবং মায়ার সেন্স ফিরে এলো।এর পর কিছু টেস্ট করার জন্য দেওয়া হল।মায়ার বাবা ও মা ছিল সেখানে। মায়ার মা-বাবার সঙ্গে মায়া দুটো কথা বলেছিল। মা তোমরা সাথীকে তোমাদের পছন্দের ছেলের সঙ্গে দেখে শুনে বুঝে বিয়ে দিবে।আর আমার মেয়েটিকে তোমরা একটু দেখো। পারলে আমাকে তোমরা ক্ষমা করে দিও আমি মনে হয় আর বাঁচবো না। এ জীবনে বেঁচে থাকার চেয়ে মরে যাওয়াই ভালো। তার কথাগুলো শুনে বাবা মা রীতিমতো কাঁদতে লাগল।
মায়ার বাবা মায়াকে বলল মা তোর কিচ্ছু হবে না আমি আছি তোর পাশে। তুই কোন চিন্তা করিস না মা। আমরা সুস্থ হয়ে আবার বাড়ি ফিরে যাব। কিন্তু মায়া তো তার বাবা মাকে কিছুই বলেনি ভেবেছে তার সন্তান অনেক সুখে আছে। যখন টেস্ট করানো হচ্ছিল ঠিক তার এক ঘণ্টা পরে মায়া এই পৃথিবী ছেড়ে চলে গেছে।হয়তো তার জীবনটা আগেই চলে যেতে পারতো।
তার মনের কিছু কষ্টের কথাগুলো তার বাবা-মার সঙ্গে শেয়ার করবে জন্যই সৃষ্টিকর্তা তাকে কিছু সময় এই পৃথিবীতে রেখেছিল। মায়ার মেয়ে তাকে ধরে শুধু চিৎকার করে কাঁদছে আর বলছে মা তুমি কথা বলছো না কেন। মা ওমা তুমি কোথায় আমার সঙ্গে একটু খেলা করো মা উঠো অনেকক্ষণ থেকে তোমাকে ডাকছি কেন তুমি উঠছো না। দেখো নানু বাবা, দাদু সবাই আসছে তুমি দাঁড়াচ্ছ না কেন।
মা ওঠো আমাকে নিয়ে একটু বাইরে থেকে ঘুরে এসো দেখো তোমার ভালো লাগবে। মায়ার মেয়ের কথাগুলো শুনে সবাই অঝোরে কাঁদতে লাগলো। আসলে আমাদের সিদ্ধান্তগুলো অনেক সময় ভুল হয়ে থাকে। মানুষের উপর দেখে আজকাল চেনা বড় মুশকিল। তাইতো যার সঙ্গে সারা জীবন থাকতে হবে তার খোঁজ খবর সব দিক থেকে আগে নেওয়া উচিত।
মনের মানুষটি যদি মনের মত না হয় তাহলে সেখানে সংসার করা অনেক কঠিন হয়ে যায়। কারণ জীবনটা ক্ষণস্থায়ী কিন্তু এই ক্ষণস্থায়ী জীবনে অনেকগুলো সময় পার করতে হয়।
আমি মোছাঃ সায়মা আক্তার। আমি একজন ব্লগার, উদ্যোক্তা এবং শিক্ষিকা।কবিতা লিখতে, নতুন কোনো রেসিপি তৈরি করতে এবং নতুন নতুন ডিজাইন সৃষ্টি করতে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করি।সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকতে এবং অবহেলিত মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে পারলে খুব ভালো লাগে।তাই সব সময় অবহেলিত মানুষের পাশে থাকার চেষ্টা করি এবং তাদের সহযোগিতায় নিজেকে সব সময় সম্পৃক্ত রাখি।
বিষয়ঃ- ছোট গল্প "মায়াবতী শেষ পর্ব"।
কমিউনিটিঃ- আমার বাংলা ব্লগ।
আপনার মূল্যবান সময় নষ্ট করে সুন্দর মন্তব্য করার জন্য অসংখ্য ধন্যবাদ..........
আপনি ঠিক বলেছেন মনের মানুষ মনের মতো না হলে তার সাথে সংসার করা কঠিন হয়ে যায়।যাইহোক আপু আপনার গল্পের আগের পর্ব গুলো পড়া হয়নি। আসলে এই অকালে মায়ার জীবন এভাবে শেষ হয়ে গেল। আর এই অবুঝ শিশুর কান্না মেনে নেওয়া যায় না। ধন্যবাদ আপু পরবর্তীতে আরো নতুন গল্প নিয়ে আসবেন।
অবশ্যই আপু আপনাদের সুন্দর মন্তব্য পেয়ে। গল্প লেখার আগ্রহ অনেক গুণ পেয়ে গিয়েছে।
মায়াবতী গল্পটার শেষ যে এরকম ভাবে হবে, এটা তো একেবারে ভাবতেই পারিনি। সত্যি চোখে জল চলে এসেছে মায়াবতী গল্পটার শেষ পর্ব পড়ে। মায়া হয়তো তার বাবা-মাকে এই দুটো কথা বলার জন্যই বেঁচে ছিল। এই দুইটা কথা বলার পরেই সে মারা গিয়েছে জেনে অনেক খারাপ লেগেছে। বিশেষ করে তার মেয়েটার জন্য অনেক খারাপ লাগতেছে। মেয়েটা এখনো কত ছোট। এই বয়সে মাকে হারালো শুধুমাত্র বাবার জন্য। কোনরকম সিদ্ধান্ত নেওয়ার আগে অবশ্যই ভেবেচিন্তে এবং সবকিছু দেখে শুনে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। বিশেষ করে বিয়ের বিষয়টা নিয়ে। কারণ এটা সারা জীবনের কষ্ট হয়ে দাঁড়াবে যদি ভুল সিদ্ধান্ত হয়।
জি আপু যে কোন সিদ্ধান্ত আসলে বুঝেশুনে নেওয়ায় সবচেয়ে ভালো।
এই গল্পের প্রথম থেকে পড়তে খুব ভালো লাগছিল। তবে শেষে যে এরকম কিছু হয়েছে এটা তো ভাবতেই খারাপ লাগতেছে। আসলে অনেক সময় তো ভালোবাসার মানুষগুলোই বেইমানি করে। তখন তাদের রূপ বদলে যায়। আর তারা অনেক অত্যাচার করে। আর এত সবকিছু মেনে নেওয়া সম্ভব যদিও হয় না। কিন্তু মায়া মেনে নিয়েছিল। কারণ সে পছন্দের মানুষটাকেই বিয়ে করেছে। এর জন্য ফ্যামিলি কেও কোন কিছু বলতে পারেনি। তার উচিত ছিল ওই ছেলেটাকে ভালোবাসলেও বিয়ে করার আগে তার সম্পর্কে সকল রকমের খোঁজ খবর নেওয়া, তারপর বিয়ে করা। কারণ আমাদের জীবনের একটা সিদ্ধান্ত সারা জীবনের কান্না হতে পারে। এখন কি হবে তার ছোট্ট মেয়েটার। মেয়েটার কথা ভাবতেই তো খারাপ লাগছে।
গঠনমূলক মন্তব্য করে কাজে আগ্রহ বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য ধন্যবাদ ভাই।