বৃদ্ধাশ্রম প্রথম পর্ব।
সবাই কেমন আছেন বন্ধুরা। আমি আপনাদের দোয়ায় ভালো আছি। আজকে আপনাদের সঙ্গে এমন একটি গল্প শেয়ার করতে চাচ্ছি। যে গল্পটি সবার জীবনে অনেক গুরুত্বপূর্ণ এবং অনেক কষ্টের। তাই আশা রাখবো সবাই আমার এই গল্পটি পড়াবেনএবং পড়ার পর আপনাদের সুন্দর মন্তব্য গুলো কমেন্ট বক্সে লিখে দিবেন।
আমাদের প্রত্যেকের জীবনে বয়সের নিজস্ব একটা ধাপ থাকে। আমরা যখন ছোট থাকি তখন একটা বয়স। আবার যখন একটু বড় হই তখন একটি বসয়।তারপর যখন স্কুলে যায় তখন একটি বয়স অতিক্রম করে কলেজে যেতে হয়। কলেজের পর ভার্সিটি শেষ করে আমরা আমাদের জীবিক নির্ধারণের জন্য বিভিন্ন পেশায় চাকুরী, ব্যবসায় লিপ্ত হতে চাই।
কিন্তু আমরা কি কখনও চিন্তা করেছি আমাদের আজকের এই অবদান কার? কে বা কার জন্য আমরা এই মাটিতে হাঁটাহাঁটি করতে পারছি।
কার জন্য আমরা এই দিগন্তের সূর্য ওঠা থেকে অস্ত যাওয়া পর্যন্ত দেখতে পাচ্ছি। কেইবা আমাদের ধাপে ধাপে এগিয়ে যাওয়ার পদক্ষেপ শিখিয়ে দিল।
আমরা সবাই মানুষ কিন্তু মানুষ হয়েও আমরা এক লাফে গাছে উঠতে পারি না।
আমাদের জীবনে বিভিন্ন সমস্যার সম্মুখীন হতে হয় সেটা প্রাকৃতিক দুর্যোগ হোক বা ব্যক্তিগত বিভিন্ন সমস্যায় হোক। আমাদেরকে সময় মত সব কিছুর প্রতিকূলতা মেনে নিতে হয়। এই মেনে নেওয়া থেকে শুরু করে আমাদের বড় হওয়া পর্যন্ত যে দিনগুলো আমরা অতিক্রম করে আসছি সে সবই আর কারও অবদান নয় সেটা আমাদের বিধাতার দেওয়া পরম শ্রদ্ধার স্নেহের মা-বাবা।
আমাদেরকে এই সমাজে অনেক সোহাগে, আদরে আগলে রেখেছেন তারাই।তাদের জন্যই আমরা হয়তোবা এই দীর্ঘ সু-শীতল নীলিমা দেখতে পাচ্ছি। মাটিতে সবুজের সমারোহ।আকাশ ভরা বৃষ্টি, সবই সম্ভব হয়েছে তাদেরি জন্য।
জোনাকির আলোয় ঝি ঝি ডাকা শব্দ সবই লাগে ভালো। কবির দৃষ্টি কোণ থেকে যদি বলা যায় তাহলে বলতে হয় "এমন দেশটি কোথাও খুঁজে পাবে নাকো তুমি সকল দেশের সেরা সে যে আমার জন্মভূমি"।
বাংলার মাটি, বাংলার গান, বাংলার খাবার সবই মায়ের সম্মান।আমরা সবাই একটু যদি ছোট বেলার স্মৃতিতে হারিয়ে যায় তাহলে সবটুকু না হলেও কিছু কিছু আমাদের মনে পড়ে যাবে।মা-বাবার হিয়ার মাঝে যখন লুকিয়ে ছিলাম তখন একটু যদি মাটিতে লুটিয়ে পড়ে যেতাম মনে হতো তার হৃদপিণ্ড ছিঁড়ে পড়ে গেল।আমরা সন্তানেরা যখন অসুস্থ হই তখন তাদের আবেগ অনুভূতি কোন কিছুই ঠিক থাকে না। যে পর্যন্ত আমরা সন্তানেরা সুস্থ না হচ্ছি। দিনের পর দিন রাতের পর রাত নিশি জেগে আমাদের পাশে আপদে-বিপদে একজনই সে হলো আমাদের শ্রদ্ধা ও সোহাগ ময়ী মা-বাবা। আমাদের জীবনে যদি কখনো মেঘ জমে তবে সেই মেয়েকে কিভাবে আলোর দিব্বমানে ভরিয়ে দিবে সেটা শুধু মাত্র মা-বাবই পারে।এই ভবনে উপকার কথাটি বললে, বলতে হয় একমাত্র তারাই আগে পিছু চিন্তা না করে উপকারের জন্য লাফিয়ে পড়ে সন্তানের মঙ্গল কামনার জন্য যদি কেউ থেকে থাকে তারা হচ্ছে আমাদের সোহাগ ময়ী মা-বাবা।
শান্ত শীতল ছায়া সনে আমাদের জীবনের দীর্ঘায়ু কামনা তারাই করেন। দুপুরের তপ্ত রোদে মমতাময়ী মা-বাবা সন্তানের যেন কষ্ট না হয় সে জন্য সবকিছুই করে, বৃষ্টিতে যেন না ভিজে,অশ্রুকনা যেন তার চোখে না ভাসে।এই বেলা ঐ বেলা সারাবেলা শুধুই তার চিন্তা সন্তানেরা যেন থাকে ভালো কোন অন্ধকার তার জীবনকে গ্রাস করতে না পারে। শুধুই আলোর ঝলকানিতে জীবন কাটাক তার সন্তানেরা এইতো থাকে বাবা-মার প্রার্থনা। কিন্তু আমাদের বাস্তবতা মেনে নিতে হয়, সমাজের বিধি নিষেধ মেনে নিতে হয়।
আলোর পরে যে অন্ধকার আসে সেটা তো মা-বাবা মানতে চায়না সন্তানের মঙ্গল কামনায়।বিধাতা ভালোবাসাগুলো অদ্ভুত করে দিয়েছেন। একেক জনের ভালোবাসা একেক রকম। এই পৃথিবীতে সবথেকে মধুর ও নির্ভুল ভালোবাসা হচ্ছে মা-বাবার ভালবাসা।
তাদের ভালবাসার মত কেন অন্যসব ভালোবাসা হলো না।আমাদের আদর্শ এই সভ্য সমাজে ভালোবাসার মধ্যে আছে অনেক কালো মেঘ।যা কিনা বৃষ্টিতে ঝরে গেলও সরে যায় না মেঘ।আমরা এই ভুবনে আলোর দিব্বমান প্রদীপ শিখা হয়ে বাঁচতে দিতে চাই। চাই আমরা আকাশ,অট্রালিকা বাড়ি দিতে।চাই আমরা আকাশের ঐ চাঁদকে ছিনিয়ে আনতে।একমেরু হতে অন্য মেরুতে যেতে আমাদের যা যা করার দরকার আমরা ঠিক সেই কাজটি করার জন্য মরিয়া হয়ে থাকি।কিভাবে আমরা আমাদের নতুন জীবন সাজাবো, কি করলে আমাদের জীবনের প্রতিটি পদক্ষেপ বাস্তবায়ন হবে।
-----------------------------ধন্যবাদ --------------------------------
বাবা মায়ের অবদানের তুলনা করা কোনো কিছুর সাথেই সম্ভব না তারা আমাদের জন্য তার জীবনের সব কিছুই ত্যাগ করেন তবুও মা বাবা বিদ্ধ বয়সে বৃদ্ধাশ্রমে গিয়ে থাকতে হয়।তবে সব ছেলে মেয়ে এক না।অনেক সুন্দর লিখেছেন আপু।
সুন্দর মন্তব্যের জন্য ধন্যবাদ ভাই।
জীবন আল্লাহর দেওয়া অদ্ভুত একটা জিনিষ। জন্মের পর মা বাবার কাছে তার সন্তান নাড়িছেঁড়া ধন থাকে। একটু হেলে পড়লে মায়ের কলিজা ছিড়ে যায় কথাটি বলেছিলেন এতে কোন ভুল নেই এটাই চিরসত্য। সময়ের প্রত্যাবর্তন এর ফলে শিশু-কিশোর জীবনটা একটু রঙ্গিনী থাকে। তখন কোন মানুষ তার শিশুকাল তার প্রতি তাঁর মা-বাবার কতটা ভালোবাসা সে বুঝতে চায় না। আর সে বুঝেও না তার শুধু অভিমানে ভরা থাকে। কিশোর জীবনটাও এর ব্যতিক্রম ননয। একটা কথা আছে শরীরের চামড়া কেটে পাপোশ বানিয়ে দিলেও মা-বাবার ঋণ শোধ করা যায় না। কিন্তু শিশুকাল বলেন আর কিশোর বলেন তখন এর মর্যাদা ভালোবাসা আবেগ কোন কিছুই কোন মানব শিশু বুঝতে পারে না। আপনি একজন মা আপনি অনেক সুন্দর করে ব্যাখ্যা দিতে পারবেন আমি যতোটুকু জানি বা বুঝতেছি। আপনি অনেক সুন্দর করে বুঝিয়েছেন উপস্থাপনাটি করেছেন। আপনার আগামী পর্বের জন্য অপেক্ষায় থাকলাম। আপনার জন্য শুভকামনা রইল আপু
আপনি এতো সুন্দর করে আপনার মনের কথা গুলো লিখেছেন যা আমার কাছে অনেক ভালো লাগছে ধন্যবাদ ভাই।
এই দুনিয়ায় বাবা মার চেয়ে আর কেউ নাই।বাবা মাক কেউ কখনো কষ্ট দিবেন না।
আপনার কথা সবাই বুঝলে আমার লেখা সার্থক হবে।
বাবা মায়ের অবদান আমাদের জীবনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে। তারা আমাদের জন্য তার জীবনের সব কিছুই ত্যাগ করে থাকেন। তবুও মা বাবা বিদ্ধ বয়সে বৃদ্ধাশ্রমে গিয়ে থাকতে হয়। সত্যি এটা দুঃখজনক ব্যাপার।অনেক সুন্দর লিখেছেন আপু। শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন রইল আপু।
ধন্যবাদ ভাই।
বৃদ্ধাশ্রম প্রথম পর্বটি পড়ে আমার অনেক ভালো লেগেছে, যা আমাদের পৃথিবীর বুকে বাস্তব মন্ডিত জীবন ব্যবস্থা তুলে ধরেছেন, আমরা সবাই মায়ের আদলে, পিতা-মাতার ভালোবাসা ও স্নেহের বড় হয়ে ওঠে, কিন্তু কখনোই আপনার মত করে নিজেকে প্রশ্ন করতে শিখি না, কোথায় থেকে আসলাম আমরা, কে আমাদের এত সুন্দর জীবন দান করল তাদের উপর আমরা মানুষ জাতি হিসেবে গুরুত্ব দিতে জানি না, যদি জানতাম ই তাহলে বৃদ্ধাশ্রম পৃথিবীর বুকে আর তৈরি হতো না। আমরা মানুষ হয়েও পশুর সমতুল্য অর্জন করতে সক্ষম ব্যক্তি। শুভকামনা রইল আপনার জন্য।
অনেক ধন্যবাদ ভাই। আপনি আমার মনের ভাষাটি বুঝতে পেরেছেন।